%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় গরু ব্যবসায়ী নিহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে গরুবোঝাই নছিমনের সঙ্গে ইটবোঝাই ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় নছিমনের চালকসহ আহত হয়েছে তিনজন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদুল হক (৫৫) থেতরাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
স্থানীয়রা জানান, নাজিমখাঁন বাজার থেকে আসা গরুবোঝাই একটি নছিমনের সঙ্গে উলিপুরগামী ইটবোঝাই একটি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটলে গরুবোঝাই নছিমন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার একটি খাদে পড়ে যায়। এসময় নছিমনে থাকা গরু ব্যবসায়ী এরশাদুল হক নছিমনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদের মধ্যে নছিমন চালক দিপু মিয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ নিয়ে গেছে। এছাড়া এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
দিনাজপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইকেল চালক নিহত
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পৌর এলাকার পুয়ালী-মাদারীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দেড় বছর বয়সী মাইসা পৌর এলাকার পুয়ালী-মাদারীপুর গ্রামের আব্দুল রহিম মুন্সির মেয়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশু মাইসা সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা পুকুর পাড়ে খেলতে যায়। এ সময় হঠাৎ করে পা পিছলে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পুকুর থেকে উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
নিহত মাইসার বাবা বলেন, আমার আদরের মেয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে। এই শোক আমরা কীভাবে সইবো।
এ ব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান লাবু তালুকদার বলেন, শিশুটি পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মেট্রোরেল: চালু হচ্ছে আরও দুটি স্টেশন
মেট্রোরেলের আরও দুটি স্টেশন চালু হতে যাচ্ছে। উত্তরা সেন্টার ও মিরপুর-১০ স্টেশন যথাক্রমে ১৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হবে।
বৃহস্পতিবার মেট্রোরেলের উপ-প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আহসান ভূইয়া এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় মেট্রোরেল সার্ভিস উদ্বোধনের প্রায় এক মাস পর মিরপুরের পল্লবী স্টেশন খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে, যাত্রীরা উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে উত্তরা এবং আগারগাঁও থেকে পল্লবী ব্যবহার করছেন।
উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে উত্তরা এবং আগারগাঁও থেকে পল্লবী পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর মতে, মতিঝিল পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হতে পারে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ এবং কমলাপুর ২০০৫ সালের মধ্যে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগারগাঁও থেকে কমলাপুর রুটে ২৪টি ট্রেন দিয়ে মেট্রো রেল চলাচল শুরু করবে।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল
অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারকে যারা ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন দেখছেন তাদের এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যারা অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন দেখছেন, দয়া করে এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা জীবনে কখনই ঘটবে না।’
বৃহস্পতিবার বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু লোক বলছে যে একটি অনির্বাচিত সরকার যদি দুই থেকে তিন বছর ধরে দেশ চালায় তবে কোনও ক্ষতি হবে না এবং এটি মহাভারতকে অশুদ্ধ করবে না।
যারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা কি আসলেই এদেশের মানুষের কল্যাণ চান? তারা ব্যক্তিগত লাভকে অগ্রাধিকার দেয়। সুতরাং, দেশের জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতির পরিবর্তন তাদের নজরে আসে না। এটিকে দুর্ভাগ্যজনক,’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
‘এখন তারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছে, দেশের উৎপাদন ব্যাহত করেছে এবং অতীতে অনির্বাচিত সরকারের আমলে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কি দেশের মানুষকে আবারও ভীতিকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। জনগণের ভাগ্য আবারও অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিতে চায়?
২০২৩ বর্ষপঞ্জির আলোকে বছরের প্রথম অধিবেশন ২৫টি বৈঠকের পর মূলতবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতির মূলতবির আদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া নববর্ষের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার ভাষণ দেন।
পরে, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর ৪০ ঘন্টা ২৭ মিনিট আলোচনার পরে, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বৈত নাগরিকদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত: হাইকোর্ট
সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুসারে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারেন কি না, সে বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, যারা দ্বৈত নাগরিক তাদের দেশপ্রেম দুভাগে বিভক্ত। তারা টাকাটা নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। দ্বৈত নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া যায় কি না; সংবিধান ও আইন দেখে এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা বিদেশে সম্পদ কিনতে পারে কি না, সে বিষয়েও আদেশ দেয়া হবে। আদালত এসব ক্ষেত্রে সংবিধানের ব্যাখ্যাও রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদেশের দিন নির্ধারণকরেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
এর আগে বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকের ‘বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আদালতের নজরে আনা হয়। প্রতিবেদনটির একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগেই আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো। ইতোমধ্যে দুবাইয়ে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সারা বিশ্বে রয়েছেন এক নম্বরে। আবার লন্ডনের অভিজাত স্থানে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশিরা।’
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব সম্পদ কিনতে যেসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা বৈধ বা অবৈধ যে উপায়েই আয় করা হোক, দেশের বাইরে নেয়া হয়েছে অবৈধ উপায়ে। কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তরে কোনও ক্ষেত্রেই অনুমোদন নেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কূটনীতিকদের আলোচনা হয়েছে: এমএফসি
ঢাকায় মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের(এমএফসি) সদস্য দেশগুলোর কূটনীতিকরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে একত্রিত হয়েছিলেন।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, উপস্থিতরা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর ‘সেন্সরিং’ এবং সাংবাদিকদের ‘হয়রানি ও ভয় দেখানোর’ সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত বর্তমান গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এমএফসি সদস্য দেশ কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নেয়।
মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ এমএফসি-এর কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক উদ্যোগ চালু এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় তাদের সমর্থনের জন্য উপস্থিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।
সুশীল সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত তাদের কাজের বর্ণনা দেন।
উপস্থিতরা বর্তমান মিডিয়া পর্যবেক্ষণ এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সেন্সরিং এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
এমএফসি বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থনে মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন হলো একটি মিশ্র-আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব যা অনলাইন এবং অফলাইনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করে।
এমএফসি সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপত্তাকে সমর্থন করে এবং যারা সাংবাদিকদের ক্ষতি করে এবং তাদের কাজ করা থেকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চায়।
ডিপ্লোম্যাটিক নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ সারা বিশ্বের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এমএফসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক মিশনগুলো যে সমস্ত দেশে রয়েছে সেখানে মিডিয়া স্বাধীনতা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম এবং মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা ও অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম।
এমএফসি ২০১৯ সালের জুলাইয়ে গ্লোবাল কনফারেন্স ফর মিডিয়া ফ্রিডম -এ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা বর্তমানে ছয়টি মহাদেশের ৫০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে দৃক
স্মার্টনেসের জন্য দরকার প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন: মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্টনেস পোশাকে নয়, স্মার্টনেসের জন্য দরকার প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনলোজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘স্মার্ট কানেক্টিভিটি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাদপদতা অতিক্রম করার উত্তম উপায় হচ্ছে প্রযুক্তি সাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। তা না করতে পারলে জাতিকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আমরা সে কাজটি দৃঢ়তার সঙ্গে করছি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের সার্বিক উন্নয়ন: মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সংযুক্তি প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিক বিবর্তন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তির ওপর স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। ইন্টারনেট প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল কনটেন্টের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তা না হলে নতুন প্রজন্ম নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশিয় সংস্কৃতি যুক্ত না হবে বিপদের সম্ভাবনা তত বাড়তেই থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জের নাম হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা।
ইন্টারনেটের পাশাপাশি স্মার্ট দুনিয়ায় কনটেন্টের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেভাবে প্রতিদিন অনলাইনে জুয়া বসে, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসআপ ব্যবহার করে হয়রানি করা হয়; সেখানে আমরা একপর্যায়ের অসহায়ত্বের মধ্যে পড়ে গেছি। এটা রোধে ইন্টারনেটে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। এই অবস্থাটা আগামীতে আরো ভয়ংঙ্কর হবে।, সেটা মোকাবিলা করতে হবে।
গণসচেতনতা তৈরির জন্য সাংবাদিকরা অতীতের মতো আগামীতেও ভূমিকা রাখবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার ব্যবসায়ীরা ঘরে ঘরে কম্পিউটার পৌঁছে দিয়েছেন। চাহিদা সৃষ্টি করেছেন। আপনাদেরকেও গ্রামে গ্রামে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিতে হবে। কেননা ডিজিটাল রূপান্তর মানেই জীবন-জীবিকার মনোন্নয়ন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তফা জব্বার
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। সেটি হচ্ছে কানেক্টিভিটি, কানেক্টিভিটি এবং কানেক্টিভিটি।
টিআইএম নূরুল কবির সেমিনারে মূল প্রবন্ধ স্মার্ট সমাজ, সরকার ও সেবার নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে আলোকপাত করেন। একইসঙ্গে অংশীজনদের নিয়ে বিদ্যমান নীতিমালায় ঘাটতিগুলো খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ, ডিআইজি হায়দার আলী খান, এমটবের মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এসএম ফারহাদ, আইএসপিএবি‘র সভাপতি এমদাদুল হক, ফাইভার এট হোমের কর্মকর্তা সুমন সাব্বির এবং টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান মোস্তফা জব্বারের
বিপিসি’র ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ৩ মাসের মধ্যে দুদককে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসি) বিরুদ্ধে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের অভিযোগে বিষয়ে করা মামলার তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি সুয়োমটো (স্বপ্রণোদিত) রুলের শুনানিতে এ আদেশ দেন।
এর আগে ৪৭২ কোটি টাকার বেশি অনিয়মের ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে এসএওসির ৫ পরিচালকের একজন এবং এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলছে।
মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অনিয়মে জড়িতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে এবং ট্রায়াল কোর্ট তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে আদালত এ মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় ‘৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। পরে ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট সুয়োমটো রুল ও আদেশ জারি করেন। আদেশে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চান।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
একইসঙ্গে অনিয়মের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন, অডিটর জেনারেল ও বিপিসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।
এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি প্রদানে অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ এবং ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।
প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ পরিচালকের একজন ও এর ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, ২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত মঈনুদ্দিন আহমেদের মালিকানাধীন এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির কাছে এসএওসিএলের বিক্রি করা লুব্রিকেটিং তেলের বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে সংস্থাটির ১৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এসএসিওএলের নথিগুলোতে দেখা গেছে, এওসিএল চালানের বিপরীতে চেক সরবরাহ করেছিল। তবে, চেকে উল্লেখ করা অর্থ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী, অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ। বকেয়া পরিশোধ না করার কারণে এওসিএলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সিএজি বলছে, ‘এটি গুরুতর অনিয়ম।’
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২০১১-১২ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানির জন্য এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিমের জন্য কোনো ভাউচার বা চালান সরবরাহ না করেই ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
তিনি ২০১২-১২ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত ২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে তুলে নিয়েছেন। কারণ টাকা তোলার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। তিনি কখনও এই টাকা ফেরত দেননি।
অর্থ তছরুপের দুটি ঘটনায় মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং তার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এসএওসিএলের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ দিয়ে মঈনুদ্দিন আহমেদ গুলশানে ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় তার স্ত্রীর নামে দুটি ফ্ল্যাট এবং ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়া, উত্তর কমলাপুর, বারিধারা, বসুন্ধরা ও চট্টগ্রামের হালিশহরে ৬টি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এসএওসিএলের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা তুলে সেই অর্থ নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেন মঈনুদ্দিন আহমেদ।
২০১৩-১৪ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মধ্যে আমদানি করা এক লাখ ৩৪ হাজার ৩২৫ ড্রাম বিটুমিন হারিয়ে যাওয়ার কারণে এসএওসিএলের বইয়ে ৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। বিটুমিন ড্রামগুলো চট্টগ্রামের পোর্ট কলোনির গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
সেখানকার প্রহরী জানান, এসএওসিএলের চাহিদাপত্র দেখেই তিনি সেই পণ্য নিয়ে যেতে দিয়েছেন। তবে গুদামের মালিক এ ধরনের কোনো চাহিদাপত্রের কথা অস্বীকার করেন।
প্রতিষ্ঠানটির কাছে কোনো স্টক রিপোর্ট ছিল না। নিরীক্ষকরা এই ধরনের ঢিলেঢালা অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিপিসিকে দায়ী করেন এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য এই বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত লুব-ভিত্তিক তেল ও বিটুমিন আমদানির খাতে এসএওসিএলের অ্যাকাউন্টে আরও ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গালফ পেট্রোলিয়াম পিটিই, গালফ পেট্রোলিয়াম পিএলসি, ইউনাইটেড অয়েল কোম্পানি ও ইউনাইটেড পেট্রোকেমিকেলের নামে নন-অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেক ইস্যু করেছিল। চেকগুলোর অর্থ উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে, এর বিপরীতে কোনো ভাউচার বা চালান পাওয়া যায়নি। কিছু চেকের পেছনে করা সইয়ে দেখা গেছে, এসএওসিএল কর্মকর্তারা চেকগুলো থেকে অর্থ উত্তোলন করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ অনিয়মের পেছনে দায়ী মঈনুদ্দিন আহমেদ ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহেদ। এই দুইজন সাড়ে ৩৮ কোটি টাকা দিয়ে জীবন বীমার প্রিমিয়ামও কিনেছিলেন। এসএওসিএলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই সেই টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
দ্রুত সাগর-রুনি হত্যার রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে র্যাবকে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে র্যাবকে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি (ডিআরইউ)।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ডিআরইউ আমাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিচার তো আমরা করতে পারব না, আমরা তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব। আমরা চেষ্টা করছি, অনেক বছর হয়ে গেছে। আমরাও চাই এ রহস্য উন্মোচিত হোক। উদীয়মান এই দুই সাংবাদিক, যাদের অনেক প্রতিভা ছিলো তারা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারত। তারা আমাদের মধ্য থেকে চলে গেছেন। আমরাও চাই কেন এই হত্যকাণ্ড হয়েছে, সেটি উদঘাটনের।
মন্ত্রী বলেন, ডিআরইউ’র স্মারকলিপি আমি র্যাবের ডিজিকে এখনই পাঠিয়ে দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি একটা কিছু জানায় সেই নির্দেশনা তাদেরকে দেবো। আমরা চেষ্টা করছি রহস্য উদঘাটনের। সাংবাদিক নেতাদেরও বলেছি আপনাদের কাছেও যদি কোন তথ্য থাকে সেগুলো আমাদের জানালে আমরা সেটিও দেখব।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের নামে ঢাকার রাজপথ দখলের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিআরইউ’র স্মারকলিপিতে বলা হয়, ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ডিআরইউ সদস্য মাছরাঙা টেলিভিশনের সাবেক বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের এক দশক পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারীদের এখনও শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়নি। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজা বাজারে নিজ বাসায় তাদের শিশুপুত্রের সামনে নির্মমভাবে খুন হন এই সাংবাদিক দম্পতি।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ ১১ বছর পেরিয়ে গেছে; তদন্তের কোন ধরনের অগ্রগতি নেই। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে ৯৫ বার সময় নেয়া হয়েছে।
বিচার না পেয়ে সাগর-রুনীর পরিবারে ও গোটা সাংবাদিক সমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। কিছুদিন আগে পরলোকগমন করেছেন মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা। এখনো বিচারের আশা ছাড়েননি সাগর সারওয়ারের বয়োবৃদ্ধ মা সালেহা মুনির ও সাগর-রুনীর একমাত্র পুত্র মাহীর সারওয়ার মেঘ।
যে কোন হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের সেই অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা দেখেছি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে; অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার কোন কুলকিনারা তারা করতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। তাই আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে সাগর-রুনি হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য ডিআরইউ’র পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা আবারও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এই হত্যার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ডিআরইউ এ দাবি থেকে সরে যাবে না।
এসময় ডিআরইউ'র সভাপতি মুরসালিন নোমানী, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আজম ও কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের ২০২৩-২৪ সেশনের কমিটি নির্বাচনের ভোট সম্পন্ন
অনেক ধুমধাম ও উৎসবের মধ্যদিয়ে দেশের প্রাচীনতম পেশাজীবী সংগঠন ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ২০২৩-২০২৪ মেয়াদের কমিটি নির্বাচনে ভোট সম্পন্ন হয়েছে।
আইইবি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভাপতি পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর, বুয়েটের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রকৌশলী অধ্যাপক এসএম নজরুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসের ৪ প্রকৌশলী গ্রেপ্তারে আইইবির নিন্দা
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
আইইবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৮টি কেন্দ্র, ৩৩টি উপকেন্দ্র, ১৩টি আন্তর্জাতিক শাখার মোট ১৭ হাজার ৬০১ জন ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আইইবি'র প্রতিবাদ