%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ভুয়া সনদ সিন্ডিকেট: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ
সনদ জালিয়াতির ঘটনায় স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বিকেলে ডিবি কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ডিবির পক্ষ থেকে সময় দেওয়া হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে তিনি যদি অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা না দেন পরে জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জালিয়াতির ঘটনাটিকে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কিত ও কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করার মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন ডিবি প্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ঘটনার দায় কারিগরির চেয়ারম্যান এড়াতে পারেন না। কোনো সুযোগ নেই। আমরা এখন দেখব, তিনি আসলেই সনদ বিক্রির বিষয়টি জানতেন কি না।’
সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যায় ডিবি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, আসল সার্টিফিকেট বিক্রি করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এই সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা লজ্জাজনক। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
হারুন আরও বলেন, ‘এসব কাজ চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অবহেলায় করেছেন নাকি স্বপ্রণোদিত হয়ে করেছেন, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এমন জালিয়াতি জেনেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। স্ত্রীর বিষয়টিও তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। জানতেন না বলে দাবি করেছেন।’
তিনি বলেন, আলী আকবর খানের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেন সদ্য সাবেক কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান।
ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিজের দায় স্বীকার করে বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের দায় এড়াতে পারেন না।
এ সময় তার স্ত্রীকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। গোয়েন্দা সংস্থা কী তথ্য পেয়েছে, তাও কিছুই জানি না। তবে আমি মনে করি, বিনা অপরাধেই জেল খাটছেন।’
তাকে ওএসডির বিষয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ায় একটি সংবাদ চলে আসছে এবং ডিবির কাছে তথ্য আছে, সেজন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আলী আকবর খান আরও বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে আমরা লজ্জিত ও দুঃখিত!’
সিস্টেম অ্যানালিস্টের কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এটির তদন্ত চলছে।’
গত ১ এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামানসহ তার সহযোগী ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ কারিগরি বোর্ডের (সদ্য ওএসডি) চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পরদিন আকবর আলী খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে এ নির্দেশ দেন।
এদিন আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
শুনানিতে আদালত বলেন, ‘ভারতের মতো আমাদের দেশেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সম্পদ বিবরণী আইন করা উচিত। আইন থাকলে কাউকে তাদের (সরকারি চাকরিজীবীদের) সম্পদের পাহারা দিতে হতো না। ভারতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে হয়। বিবরণীতে সম্পদের ১০ শতাংশের বেশি পার্থক্য হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এরকম আইন করতে হবে। শুধু বাতাস খেয়ে চললে হবে না।’
এর আগে গত সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় তা অনুসন্ধান করবে বলে জানায় দুদক। এ ঘটনায় সংস্থার উপপরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। একই দিন তার দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়। একই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিষ্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে গত ৩১ মার্চ অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। এরপর গত রবিবার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চেয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন। লিখিত ওই আবেদনে সাবেক আইজিপির দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চান তিনি। পাশাপাশি দুদক কোনো ব্যবস্থা না নিলে, উচ্চ আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আবেদনে বেনজীর আহমেদের পাশাপাশি তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
ঢাকার পয়োবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানী ঢাকা শহরের বাড়িঘরে ওয়াসার পয়োবর্জ্য (স্যুয়ারেজ) লাইন ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিক বাজারে দুটি ভবনে গ্যাল লাইন ও সুয়ারেজ লাইন বিস্ফোরণে দুর্ঘটনার ফলে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ একটি রিট পিটিশন দায়ের করে।
রিটে ঢাকার প্রতিটি বাড়ি ঘরে ওয়াসার সংযোজিত পয়োনিষ্কাশন লাইন ও তিতাসের গ্যাস লাইন যথাযথ আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আদালতে বাদী পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিতাসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল বাশার টুটুল।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, শুনানি শেষে আদালত ওয়াসাকে একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুইজন প্রতিনিধি, তিতাস গ্যাসের একজন প্রতিনিধি ও রাজউকের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি গঠন করে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ত্রুটি পেলে তা সংশোধন করার নির্দেশনা দেন।
শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিটি বাড়ি-ঘরে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশন ও তিতাস গ্যাসের যে লাইন দেওয়া হয়েছে তা সময়ে সময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা না করায় অনেক সময় দুর্ঘটনা হয়। যে কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এ ধরনের অযাচিত মৃত্যু থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য ওয়াসা ও তিতাস গ্যাসকে যথাযথ ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার: পরিবেশমন্ত্রী
২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ৫৩৪ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য। জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তুলতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশের জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনার অগ্রগতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান এক্সপো-২০২৪ এর একটি সেশনে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।
এ সময় জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়া এবং সব নাগরিকের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
সাবের হোসেন চৌধুরী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় পদক্ষেপ, সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং উদ্ভাবনী সমাধানের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এছাড়াও জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু অভিযোজনে দেশটির নেতৃত্ব প্রদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সেশনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স সেলের চেয়ার এ কে এম সোহেল, সবুজ জলবায়ু তহবিলের আইটিএপি সদস্য কেনেল ডেলুসচা, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. এম. আসাদুজ্জামান।
সেশনে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
আইসিএমএবির প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত
জাতীয় বাজেট ঘোষণার পূর্ব প্রস্তুতিতে সরকারের জন্য নীতি সুপারিশ তৈরি করার লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের উপর গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তন, মুদ্রাস্ফীতি ও নীতি অনিশ্চয়তার মতো বিভিন্ন বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের প্রতি সরকারের প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা ও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বক্তারা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অঙ্গীকারগুলো এবং দেশের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলো অর্জনের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। সঞ্চয়ে উৎসাহিত করা, করের আওতা প্রসারণ, রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বও আলোচনায় উঠে আসে।
আলোচনার স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান কাউন্সিল সদস্য আরিফ খান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে আগামী বাজেটের সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের ধারণা দেন।
তিনি বলেন, অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে সরকার মূল্যস্ফীতি হ্রাস, রিজার্ভ বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, রপ্তানির নতুন বাজার অনুসন্ধান, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
আগামী বাজেটে তিনি তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর বাজেট ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি খাতে প্রণোদনা এবং মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের ধারণা দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির চিফ অ্যাডভাইজর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ. মনসুর ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।
প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, ‘আগামী বাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা, ফাস্ট-ট্র্যাক অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয় করা এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ করা হবে।’
মঙ্গেলবার দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) আয়োজিত 'প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২০২৫' শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সুদের হার নয় শতাংশ ও ছয় শতাংশ ছিল, তখনো নন-পারফর্মিং লোন আমরা বাড়তে দেখেছি। সুদের হার বাড়লে খেলাপি ঋণ বাড়বে, এমন বিষয় নয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটা দূর করতে হবে। যদি মুনাফা করার সুযোগ থাকে তবে ব্যবসায়িরা উচ্চ সুদেও ঋণ নেবে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে কোভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাব, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোবাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা রপ্তানি বাড়াতে চাই। রপ্তানি বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও এফডিআই বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার মনোযোগী। রাজস্ব খাতে পরিকল্পিত সংস্কার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং কর আহরণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজনুর রহমান, মাগুরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিনসহ ব্যবসা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিএমএবি প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন আইসিএমএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আরিফ খান।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়েটশিক্ষার্থীর লাশ নরসিংদীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
‘আমারে কইছিল, পোলা ইঞ্জিনিয়ার হইয়া বিদেশে যাইব। আমার চিকিৎসা করাইব। এখন আমার চিকিৎসা কে করাইব, আমার ইঞ্জিনিয়ার পুতে গেল কই? আমার পুতেরে আইন্যা দেও তোমরা।’
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নিহত চুয়েটশিক্ষার্থীর শান্ত সাহার লাশ নরসিংদীর পশ্চিম কান্দাপাড়ার সেবাসংঘ এলাকায় তার বাড়িতে পৌঁছালে এভাবেই বিলাপ করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা শিউলি সাহা।
এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থী শান্ত সাহার (২১)।
শান্ত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
শিউলি সাহা বলেন, ‘আমার বাচ্চা আর নেই, আমি আর বাঁচতে চাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলে আমাকে কইছিল, আমি ইঞ্জিনিয়ার পাস করে বিদেশে গিয়ে তোমারে বিদেশে নিয়া চিকিৎসা করামু। এখন আমাকে এ কথা কইব কে?’
নিজের কষ্ট প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না শান্তর বাবা শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কাজল সাহা। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে অনেক আশা ভরসা ছিল। সড়ক দুর্ঘটনা আমার সব কিছু ধ্বংস করে দিল। ছেলে বলেছিল আমার পড়া লেখা শেষ হলে সংসারের জন্য তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না। কিন্তু আজ সবকিছুই আমার শেষ হয়ে গেছে।’
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরেন শান্ত। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা কৌশিক সাহাকে মৃত্যুর খবরটি জানান শান্তর সহপাঠীরা।
তিন ভাইয়ের মধ্যে শান্ত সবার ছোট। তার মেজ ভাই পার্থ সাহা ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি দেশে ফিরলে নগরীর মেঘনা নদীর পাড়ে শান্তর লাশ দাফন করা হবে বলে জানালেন বড় ভাই কৌশিক সাহা।
চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শান্তসহ চুয়েটের আরেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম কাপ্তাই রোডের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ময়নাতদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শান্তর লাশ নরসিংদীতে নিয়ে আসে শান্তর দুই সহকারী প্রভোস্ট ও সাত সহপাঠী।
দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বোঝাপড়া জোরদারের লক্ষ্যে কাতারের আমিরের সদ্য সফর: ঢাকা
২৪ ঘণ্টার রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মঙ্গলবার বিকালে নেপালের কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে 'উল্লেখযোগ্য অবদান' রাখবে বলে আশা ঢাকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বন্ধুত্বপূর্ণ আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত কাতারের আমিরের এই সফর দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও বোঝাপড়া সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন কাতারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির সদস্য।
সোমবার বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আমিরকে স্বাগত জানান। এ সময় আরও ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ১৯ বছর পর এই শীর্ষ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হয়।
সফরকালে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও কাতারের আমিরের নেতৃত্বে দুটি দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে। এছাড়াও সফর বিনিময় ও সব পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়েও মতবিনিময় করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বহুমুখী সংস্কৃতির সমাজ হিসেবে কাতারের অবিশ্বাস্য অগ্রগতি ও রূপান্তর এবং আমিরের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে কাতারের ভূমিকার গভীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রশংসা করেন কাতারের আমির। বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা করে বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
উভয় দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখায় কাতারের প্রবাসী কমিউনিটির প্রশংসা করেন তিনি।
জ্বালানি খাতে সমঝোতা ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে উভয় নেতা জানান, অদূর ভবিষ্যতে অংশীদারিত্ব পর্যায়ে এই সহযোগিতা জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করছে উভয় পক্ষ।
ওই দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কাতারের আমির। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সফরকালে আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং তার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পরে আমির তার সম্মানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও ছিলেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল (ইউএনবি)- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফেসবুক পেইজে এসব নির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. লোকজনকে তীব্র গরম থেকে দূরে থাকতে এবং মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে।
২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২.৫ থেকে ৩ লিটার) পান করতে এবং হেপাটাইটিস এ, ই ও ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ এড়াতে রাস্তার পাশের খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
৩. প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করতেও বলা হয়েছে।
৪. ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের পোশাক পরতে এবং প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাঢ় রঙিন পোশাক পরিহার করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৫. ঘাম বন্ধ হওয়া, বমি বমি ভাব, তীব্র মাথাব্যথা এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রস্রাব কমে যাওয়া, প্রস্রাবে জ্বালা, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে হাসপাতালে যেতে ও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে।
৬. ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে চিকিৎসা নেওয়া।
৭. এতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যদেরও এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
৮. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা নম্বর ১৬২৬৩ এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।