বাংলাদেশ
সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
চায়ের দেশ সিলেট ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সর্ম্পক উন্নয়নের আগ্রহী দেশটি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে ঢাকাস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সিলেট তথা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সর্ম্পক সূদৃড় করা, সিলেটের ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের মানোন্নয়ন ও বাজার বৃদ্ধিতে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় পর্যটন, তথ্প্রযুক্তি, নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন সহ আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এক সাথে কাজ করার বিষয়েও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর ফয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান,কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, মেয়রের সহকারি একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাৎ থান সায়েম এবং ঢাকাস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
বিএসএফ ধরে নেয়ার ৩দিন পর মিলল কৃষকের লাশ
ফেনীর পরশুরামে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশি এক কৃষককে ধরে নেয়ার তিনদিন পর তার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বাঁশপদুয়া সীমান্ত এলাকার ৬৪ নং পিলারের ৯-১০ নং পিলারের একশ গজ ভিতরে স্থানীয়রা নিহতের লাশ দেখে বিজিবিকে খবর দেয়।
নিহত মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।
স্থানীয় কাউন্সিলর, গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার বিকালে উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের অংশে ধান কাটাছিলেন মেজবাহ উদ্দিন। এসময় ভারতীয় বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে এবং মেজবাহ উদ্দিনকে পেয়ে আটক করে নিয়ে যায়। মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম ও তার পরিবার বিষয়টি ওইদিনই স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা থেকে নিখোঁজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, নিখোজেঁর পরদিন সোমবার সকাল ১১টা, দুপুর ২টা এবং বিকাল সাড়ে ৫টায় পর পর তিনবার বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক করেন। কিন্তু মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নেয়ার বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করে।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার জানান, রবিবার বিকালে মেজবাহ সীমান্ত এলাকায় গেলে বিএসএফ তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলেই তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি দিতে দেখা যায়। এ সময় তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর তিনদিন আশপাশে খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে তার লাশ কাঁটাতারের একশ গজ ভিতরে জঙ্গলের ভিতরে ফেলে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
৪ বিজিবি ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুর রহমান জানান, ভারতের কাঁটাতারের একশ গজের ভিতরে এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিজিবিকে খবর দেয়। তবে ওই লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা দাবি করছেন তিনদিন আগে ওই ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনদিন আগে বিএসএফ একজনকে ধরে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে একটি লাশ পরে থাকতে দেখে গ্রামবাসী পুলিশকে খবর দেয়। যেহেতু ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা তাই বিজিবি আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করবে।
পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা শমসাদ বেগম জানান, ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি এক কৃষক মারা গেছেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন খবর পেয়েছি।
তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় রেললাইনে কিশোরীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোলে ১১২ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
বেনাপোলের আমড়াখালি সীমান্তে ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ১১২ টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এসময় দু’জনকে আটকের দাবি করেছে বিজিবি। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটক ওমর ফারুক ( ২৭) চাদপুরের মতলব থানার মোবারকপুরের মনুমিয়ার ছেলে এবং ফরহাদ হোসেন (৩২) একই গ্রামের বারেক সরকারের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোপন সূত্রে খবর আসে বেনাপোলের আমড়াখালি সীমান্ত দিয়ে ২ পাচারকারি বিপুল পরিমাণ সোনা ভারতে পাচার করছে। এমন ধরনের গোপন খবর পেয়ে বিজিবির একটি টহলদল সেখানে অবস্থান নেয়। পরে বিজিবি তাদের অটক করে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে তাদেরও দেহ তল্লাশি করে সেখান থেকে ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ১১২ পিছ স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। আটক স্বর্ণের মূল্য সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ৯ টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বিজিবি আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানায় জব্দ করা সোনার একটি অংশের মালিক স্থানীয় বড় আচড়া গ্রামের ক্ষীতিষ চন্দ্র্র দের ছেলে অশোক কুমার দে।
অশোক নারী ও শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত আছেন বলেও বিজিবি জানায়।
২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল মিনহাজ আহমেদ সিদ্দিকি জানান, ভারতে পাচারের সময় আমড়াখালি সীমান্ত থেকে বিজিবির সদস্যরা ১৬ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ১১২ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বেনাপোল পোর্ট থানায়।
আরও পড়ুন: শার্শা সীমান্তে ৬২ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্রিস্টাল মেথ ও ইয়াবা জব্দ: বিজিবি
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র
আদালত অবমাননা আইন বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করে তা অবৈধ ও বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রায় ৯ বছর আগে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের দেয়া ওই রায়ের ৩৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে আদালত অবমাননা আইন-২০১৩ পাস হয়। ১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন রহিত করে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি গেজেট প্রকাশিত হয়।
পরে একই বছরের ২৫ মার্চ নতুন আইনের ৪, ৫, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৩(২) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবী রিট আবেদন করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আইনের ৪ ধারায় নির্দোষ প্রকাশনা বা বিতরণ অবমাননা নয়, ৫ ধারায় পক্ষপাতহীন ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ আদালত অবমাননা নয়, ৬ ধারায় অধস্তন আদালতের সভাপতিত্বকারী বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত অবমাননা নয়, ৭ ধারায় কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিচারকের খাসকামরায় বা রুদ্ধদ্বার কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রক্রিয়া-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ আদালত অবমাননা নয় বলে আইনে ব্যাখ্যাসহ বলা হয়েছে।
আইনের ৯ ধারায় আদালত অবমাননার পরিধি বিস্তৃত না হওয়া অর্থাৎ এই আইনে শাস্তিযোগ্য নয় এমন কোনও কাজ আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবে না।
আরও পড়ুন : আদালতের ব্যতিক্রমী সাজায় আসামি এখন জনপ্রতিনিধি!
আইনের ১০ ধারায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কথা বলা হয়।
১০(১) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রচলিত আইন, বিধিমালা, সরকারি নীতিমালা, পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, স্মারক ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণ করে জনস্বার্থে ও সরল বিশ্বাসে কাজ করলে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে না।
১০(২) ধারায় বলা হয়, উপধারা(১)-এর অধীনে করা কাজের বিষয়ে আদালতের আদেশ-নির্দেশ যথাযথ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন বা প্রতিপালন করা অসম্ভব হলে তার জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা যাবে না।
আর আইনের১৩(২) ধারায় বলা হয়, আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তি হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপিলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে এবং আদালত তাতে সন্তুষ্ট হলে তাকে ক্ষমা করে দণ্ড মাফ বা কমাতে পারবেন।
বুধবার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রায়ে বলেছেন, যে উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য নিয়ে আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে তাতে মনে হয় নির্দিষ্ট একটি গ্রুপকে আদালত অবমাননার দায় থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য প্রনয়ন করা হয়েছে।
আদালত আরও বলেন, সংবিধানের আর্টিকেল ১০৮ অনুসারে যেকোনও নাগরিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত শাস্তি দিতে পারেন এবং অনুচ্ছেদ ১১২ অনুসারে রাষ্ট্রের সকল কর্তৃপক্ষ, নির্বাহী এবং বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিগণ সুপ্রিম কোর্টের কাজে সাহায্য করবে।
সংবিধানে উক্ত নির্দেশনা থাকা স্বত্বে আদালত অবমাননা আইনের উল্লেখিত ধারাসমূহ সংবিধানের উক্ত নির্দেশনাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
এছাড়া সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান এবং একই প্রতিকার পাওয়ার বিধান থাকলেও উক্ত ধারাগুলো বিশেষ ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিয়েছে।
এসব কারণে আদালত অবমাননা আইনের ওই ধারাগুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং বৈষম্যমূলক।
রায়ে আদালত আরও বলেন, ২০১৩ সালের আইনে উল্লেখিত মূল ধারাগুলো না থাকলে আইনের অন্যান্য বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়।
সে কারণে ‘আদালত অবমাননার আইন-২০১৩’ সংবিধান পরিপন্থী ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
রায়ে আদালত ‘১৯২৬ সালের আদালত অবমাননার আইন’ পুনর্বহাল করেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
'হত্যার ষড়যন্ত্র': আদালতে সাক্ষ্য দিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়
রাজবাড়ীতে রেলওয়ে ওয়ার্কশপ স্থাপনে চুক্তি সই
রাজবাড়ীতে কোচ ও ওয়াগন মেরামত বিষয়ক একটি ওয়ার্কশপ নির্মাণের বিষয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগের চুক্তি সই হয়েছে।
বুধবার রেলভবনেবাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ কুদরাত ই খুদা এবং কনসালটেন্ট এর পক্ষে সই করেন সিস্ট্রা’র সাউথ এশিয়া বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারি সোমাল রাজু।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বাংলাদেশের রেলওয়েতে দুই ধরনের গেজ ব্যবস্থা বিদ্যমান। মিটার গেজ এবং ব্রডগেজ।
মিটারগেজকে পর্যায়ক্রমে আমরা ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। উন্নত বিশ্বে সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে রেলওয়ে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে আমারা রেল ব্যবস্থাকে এখনও সেভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের দেশে রেল ব্যবস্থা এখনও ডিজেল চালিত অথচ পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রায় পুরোটা বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন।
আরও পড়ুন: ১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র সেবা সপ্তাহ শুরু
রেলপথমন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে এই কারখানা করার ফলে আমাদের বহরের বিদ্যমান ও ভবিষ্যতে যেগুলো যুক্ত হবে সেগুলোর কোচ ও ওয়াগন এখান থেকে মেরামত করতে পারব।
এছাড়া পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ফলে রাজবাড়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে এখান থেকে কোচ এবং ওয়াগন মেরামত করে সারাদেশে চালানো সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন. প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নতুন করে রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সরকারের অগ্রাধিকার ১০টি প্রকল্পের মধ্যে দুটি রেলওয়েতে চলমান আছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। ভারতের সঙ্গে আটটি ইন্টার সেকশন পয়েন্টের মধ্যে পাঁচটি চালু করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং যাতায়াত সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া কলকাতা শিলিগুড়ির মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু আছে। আমাদের দেশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার জন্য পর্যায়ক্রমে সকল সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইন এ রূপান্তর করার উদ্যোগ নিয়েছি।
জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী, খুলনা থেকে দর্শনা, ঈশ্বরদী থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
রাজবাড়ীর ওয়ার্কশপ নির্মাণের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের সিস্ট্রা কাজটি করবে।
আগামী ১৬ মাসের মধ্যে তারা বিস্তারিত নকশা সহ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত করবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার সহ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লোকসান সত্ত্বেও বাংলাদেশ রেলওয়ে ডেমু ট্রেন মেরামত করবে
কুড়িগ্রামে রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান
সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ এমওসি সই
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব জানান।
তিনি বলেন, পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করা প্রয়োজন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে উভয় দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) সইয়ের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আশা করা যায় শিগগিরই নেগোসিয়েশন শুরু করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের মধ্যে সাক্ষরিত মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বুধবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস এবং শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারান এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি উভয় দেশের মধ্যে মিটিং শেষে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেমোরেনডাম অফ কো-অপারেশন (এমওসি) সই করা হয়।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রিজার্ভ গড়ে তুলতে আইএমএফ এর ঋণ দরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
সিঙ্গাপুরের ট্রেড মিনিষ্টার বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে উঠছে। বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধির জন্য এ বিমানবন্দর খুবই সহায়ক হবে। আইসিটি খাতে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশের পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে প্রচারণা বৃদ্ধি করতে পারে। বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের দক্ষ জনবল সিঙ্গাপুর যাচ্ছে। সেখানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। রেমিটেন্স আসতেছে। হালাল সার্টিফিকেশন নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে।
এতে করে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পর সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পণ্য রপ্তানিতে শুল্ক, কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়া সহজ হবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই-কমিশনারসহ সিঙ্গপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চিনির দাম স্থিতিশীল হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-৩ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার মো. আলী হোসেন ফকিরকে পাবলিক সার্ভিস আইন, ২০১৮ -এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আলী হোসেন সর্বশেষ রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং তিনজন এসপিকে যথাক্রমে ৩১ অক্টোবর ও ১৮ অক্টোবর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতির কারণে পুলিশ কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও ২ ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে জিএম কাদের দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় শুনানি শেষ হয়।
বুধবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
এরপর লিখিত জবাব দাখিল ও মূল মামলার শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ৬ অক্টোবর জিএম কাদেরের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন।
বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহনে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ চার জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
পরে চলতি বছরের ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
এতে আরও বলা হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
শপথ নিলেন নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান
একাদশ জাতীয় সংসদের ৩১৯ মহিলা আসন ১৯ (সংরক্ষিত) আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোছা. ডরথী রহমান শপথ নিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ও হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণ শেষে মোছা. ডরথী রহমান এমপি রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে সাক্ষর করেন।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়েছেন ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু’র শপথ গ্রহণ