বাংলাদেশ
জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিকে এক শিফটের স্কুল
আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক শিফটে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রায় ৯০ ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। আর শিক্ষকদের ক্লাস নেয়ার সময়ও বাড়ানো হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রশাসনের বড় রদবদলের অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খানকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) ছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার শেষ কর্মদিবস।
সচিবালয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা রাতারাতি স্কুলভবনও নির্মাণ করতে পারছি না। যে কারণে ছাত্র ও শিক্ষক সংখ্যা সবকিছু বিবেচনা করে আমরা দেশের সব স্কুলকে এক শিফটে আনার পরিকল্পনা করেছি। সে ব্যাপারে কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কোনো স্কুলই বন্ধ হচ্ছে না। কোনো শিক্ষকই চাকরি হারাচ্ছেন না। সবই ঠিক থাকছে। কিন্তু আমরা কাজটিকে ভাগ করছি। যেখানে দুই কক্ষ আছে, সেখানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক থাকছে। আবার যেখানে ভবন করার সুযোগ আছে, সেখানে ভবন করবো। সবমিলিয়ে আমরা আশা করছি, দেশের সব প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক শিফটে নিয়ে আসব।
পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
এক কক্ষের স্কুলগুলোকে দ্বিকক্ষের স্কুলের সঙ্গে সংযুক্তি করে ফেললে এক কক্ষের জায়গাগুলো কী হবে জানতে চাইলে এই সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা কোনো স্কুলের জায়গাই নষ্ট করছি না। সেখানে আমদের সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার (এটিও), মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন, এককক্ষের স্কুলগুলোকে তাদের অফিস করে দেয়া হবে।
তবে সব জায়গায় একই কৌশল ব্যবহার হবে না বলেও জানান তিনি।
সচিব বলেন, একেক জায়গার জন্য আমরা একেক ধরনের কর্মকৌশল নির্ধারণ করবো। যে কারণে বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে একটু সময় লাগছে। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজটি করবো। কিন্তু কোথাও স্কুল সংখ্যা কম, এমনও গ্রাম আছে, যেখানে তিন কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র একটি স্কুল, তাতে দুটি কক্ষ আছে। সেখানে কক্ষ বাড়ানো ছাড়া কিছু করার সুযোগ নেই। যে কারণে আমরা বিভাগ অনুসারে, জেলা অনুসারে, উপজেলা অনুযায়ী, যেমন চরাঞ্চলে, হয়তো সেখানে ছাত্রসংখ্যা ৫০ জন, কিন্তু স্কুলটি রাখতে হচ্ছে। কারণ চরে পড়াবার আর কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বিষয়গুলো ঘটনা অনুসারে পর্যালোচনা করছি এবং নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করছি। আগামী জানুয়ারি থেকেই আমরা এটি করতে পারবো। পুরোটা করতে না পারলেও অনেকটা শেষ করবো।
সেক্ষেত্রে ক্লাসের সময়টা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা কিংবা মহানগর এলাকার একটি সময় আছে। কিন্তু গ্রামের স্কুলগুলোতে একটু দেরি করে ক্লাস শুরু হয়। আবার স্কুলগুলো গ্রামে হলেও শিক্ষকরা শহরে থাকেন। যে কারণে যাতায়াতের ব্যাপারটিও আমরা বিবেচনায় রাখছি। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হলো, শিক্ষকরা ক্লাসে থাকছেন কি না, সেটির ওপর। কারণ আমরা চাই, শিক্ষকরা যাতে নিয়মিত পাঠদান করেন। আর টিচিং লার্নিং সময়টাও আমরা বাড়াতে চাই। যে কারণে আমরা এক শিফটে নিয়ে আসতে চাচ্ছি। তিন ঘণ্টার জায়গায় আমরা সাড়ে চার ঘণ্টা পাঁচ ঘণ্টা করতে চাই।
ঢাকার অনেক স্কুলে অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে, সেখানে তাদের এক শিফটে নিয়ে আসলে বাচ্চাদের অন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না। সেক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত কী জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কোথাও কোথাও পরিস্থিতি অনুসারে ভাবতে হবে। এই সংকটটা মহানগরীগুলোতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রয়েছে। আবার আইডিয়াল স্কুলের পাশে সুন্দর অবকাঠামোসহ স্কুল আছে, সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে না, এতে সেখানে শিক্ষার মান বাড়ছে না। অথচ সেখানে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষকরা আছেন। শিক্ষার্থীরা গেলে তো স্কুলটা কার্যকর হবে। যে কারণে আমরা চাই, আমাদের দেশের সব স্কুল সমমান সম্পন্ন হোক।
পড়ুন: শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
গাইনি চিকিৎসক পরিচয়ে ফেসবুকে প্রতারণা, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় ফেসবুকে গাইনি চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতরণার ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। শনিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
মারুফুল হক মারুফ (২৭) ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুতুল (ছদ্মনাম) নামের একটি মেয়ে তার ব্যক্তিগত গোপনীয় কিছু সমস্যার জন্য অনলাইনভিত্তিক গাইনি চিকিৎসক খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে ফেসবুকে কামরুন নাহার নামের এক গাইনি চিকিৎসকের আইডি দেখতে পান তিনি। পরে চিকিৎসক ভেবে ওই আইডিতে যোগাযোগ শুরু করেন। একপর্যায়ে মেসেঞ্জারে মেয়েটি তার ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো তাকে জানান।
আরও জানা যায়, চিকিৎসক প্রথমে মেয়েটিকে তার সমস্যা জনিত স্থানের ছবি পাঠাতে বলেন। কথামত পুতুল বিশ্বাস করে ছবি পাঠান। পরবর্তীতে ওই আইডি থেকে পুতুলের শরীরের আপত্তিকর স্থানের আরও কিছু ছবি পাঠাতে বলে। বিষয়টি পুতুলের সন্দেহ হলে কথিত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করেন। পরে ওই আইডির ব্যবহারকারী মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তার কথায় রাজি না হলে পাঠানো ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করবে বলে হুমকি দেয়।
উপায় না পেয়ে মেয়েটি চুয়াডাঙ্গা থানায় এসে ঘটনাটি জানালে সদর থানা পুলিশের একটি টিম কৌশলে মারুফুল হক মারুফকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন,মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে মাঠে নামে সদর থানার পুলিশ। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের উইমেন সাইবার ক্রাইম সাপোর্ট সেন্টার এর সহযোগিতায় ভূয়া আইডির ব্যক্তিকে শনাক্তপূর্বক আটক করা হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ভূয়া পুলিশ পরিচয়ে তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণ!
রহিমা বেগম ‘অপহরণ’ মামলায় ৪ জনের জামিন
রহিমা বেগমের নিখোঁজ ঘটনা ‘অপহরণ’ নয়: পিবিআই
সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রশংসার দাবিদার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ না চাইলেও বহিরাগত হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ-৮৩২২ ও এমপিএ-৮৩২৭) অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার বক্তব্যকালে এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে (বিমান রাখার স্থান) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সমুদ্র ও আকাশ রক্ষায় নৌবাহিনীকে সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই দুটি টহল বিমানের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিমান চালনার সক্ষমতা বহুগুণে শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন ‘বিএনএস নবযাত্রা’ ও ‘বিএনএস জয়যাত্রা’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, বন্দরে সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজকে নিরাপদ জেটি সুবিধা দিতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযানের পরিচালন ও যোগাযোগ সুবিধা বাড়াতে ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’ এর নির্মাণ কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহে কাজ করেছে এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা ক্ষমতা জোরদার করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীর কর্মীরা প্রতিনিয়ত অনেক প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামুদ্রিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা প্রশংসার দাবিদার।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসহ দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের উন্নয়নের গতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ, ভূমি ও জনশক্তি দিয়ে এ দেশকে রক্ষা করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। অনুষ্ঠানে নেভাল এভিয়েশন সম্পর্কিত একটি ছোট ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী
শরীয়তপুরে গাড়ি খাদে পড়ে বাবা-মেয়ে নিহত
শরীয়তপুরের জাজিরা এলাকায় সড়কের পাশে গাড়ি খাদে পড়ে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছে।
শনিবার চট্টগ্রাম থেকে শরীয়তপুর আসার পথে মধ্যরাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের পরিচয়- অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৪২) শরীয়তপুর জজ আদালতের এপিপি ও শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং মেয়ে মইশা (৩)। তারা শরীয়তপুর জেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকার বাসিন্দা। রাশেদ নিজেই ব্যক্তিগত গাড়ি (কার) চালিয়ে আসছিলেন।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলার আঙ্গরিয়া ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকার বাসিন্দা আইনজীবীর স্ত্রী সোহানা আক্তার মিলি (২৬), মেয়ে মেরিন (৬) ও চালক কামরুল হাসান (৩০)।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ করে। গাড়ি খাদে পরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, এতে দুইজন নিহত হয়। বাকিদের উদ্ধার করে হসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলে নিহত
জকিগঞ্জে ট্রাক চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ডিএমপিতে মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধের বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ চারজনকে বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধান চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়। আজ এই রিটের ওপর আদেশের দিন ধার্য ছিল।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার ররায়।
২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবির, চাঁদুপর বারের আইনজীবী সেলিম আকবর ও রাজধানীর বাসিন্দা শাহ নুরুজ্জামান, মোহাম্মদ ইয়াসিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর সেকশন ২৯ চ্যালেঞ্জ করা হয়। সেকশন ২৯ এ বলা হয়েছে, জনসাধারণের শান্তি বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য পুলিশ কমিশনার যখনই প্রয়োজন মনে করবেন এবং যতদিনের প্রয়োজন বিবেচনা করবেন লিখিত আদেশ দ্বারা কোনো জনসমাবেশ বা মিছিল নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ কোনো নিষেধাজ্ঞা সরকারের অনুমতি ব্যতীত ত্রিশ দিনের বেশি বলবৎ থাকবে না।
আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী বলেন, অধ্যাদেশের সেকশন ২৯ সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি মৌলিক অধিকারের বিরোধী। কারণ সংবিধান বলছে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে সমাবেশ করার কথা। আর অধ্যাদেশে পুলিশ কমিশনারকে দেয়া হয়েছে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা। দুটি ভিন্ন জিনিস। তাই এটি সাংঘর্ষিক। এছাড়া রুলসে অস্ত্র ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেন ব্যবহার করা হবে?
এর জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সব সময় সমাবেশ বন্ধ করা হয় না। যখন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন সমাবেশ বন্ধ করা হয়। যেমন একই স্থানে দুই দল সমাবেশ ডাকলে তো অশান্তি হয়। সংবিধানে আছে জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে। তাই জন শান্তির জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
আর সংবিধান অনুসারে তো সভা সমাবেশে অস্ত্র ছাড়া আসার কথা। কিন্তু যখন বোমা হামলা হয়। অস্ত্রের ব্যবহার হয়। আর এরকম কিছু হলে তো পুলিশের ঘাড়ে দায় পড়ে। সরকারের ওপর দায় পড়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে জনস্বার্থের মামলা করতে পারবে সেটা আপিল বিভাগের রায়ে আছে। এখানে সেই শর্ত পূরণ হয়নি। তাই এ রিট খারিজযোগ্য বলে উল্লেখ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
পড়ুন: মিছিল-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিটের আদেশ রবিবার
ইভ্যালির শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দুই বাংলার হৃদয়বন্ধন কাঁটাতারের বেড়া মানে না: তথ্যমন্ত্রী
কলকাতা সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কাঁটাতারের বেড়া কিংবা ভৌগলিক সীমারেখা বেঁধে দিলেও, এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষের হৃদয়ের বন্ধন কেউ আলাদা করতে পারবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী আটশ’ বছরের পুরনো শহর কলকাতার রবীন্দ্র সদনে চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাঙালিরা অনেক মেধাবী উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতবর্ষ থেকে যারা নোবেল পুরষ্কার পেয়েছে তাদের অধিকাংশই বাঙ্গালি। মেধায় বাঙ্গালিরা বিশ্বের অনেককে পেছনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টেলিভিশন শিল্পীদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
এছাড়া আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বের উন্নত সংস্কৃতিগুলোর অন্যতম।
১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি যেন কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ হয়ে না যায়। শিল্পীদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই। উত্তম-সুচিত্রা শুধু ভারতের নয়, আমারা মনে করি তারা বাংলার, তারা আমাদেরও।
বিশেষ অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিকস ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী বাবুল সরকার বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।
এপার বাংলা-ওপার বাংলার শিল্পীদের মধ্যে আসলে কোন দূরত্ব নেই। সভাপতির বক্তৃতায় ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক এখনো কমেনি।
দর্শকদের উৎসাহিত করতে দুই দেশের চলচ্চিত্রকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য সাইমুম সারওয়ার কমল, কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
শেষে দু'দেশের শিল্পীরা যৌথভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
কলকাতার নন্দন এক, দুই ও তিন প্রেক্ষাগৃহে দুই নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৫টি চলচ্চিত্রের উন্মুক্ত প্রদর্শনী চলছে।
উৎসবে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে গুণিন, হৃদিতা, বিউটি সার্কাস, হাওয়া, পরাণ, পায়ের তলায় মাটি নাই, পাপ পূণ্য, কালবেলা, চন্দ্রাবতী কথা, চিরঞ্জীব মুজিব, রেহানা মরিয়ম নূর, নোনাজলের কাব্য, রাত জাগা ফুল, লাল মোরগের ঝুঁটি, গোর, গলুই, গণ্ডি, বিশ্ব সুন্দরী, রূপসা নদীর বাঁকে, শাটল ট্রেন, মনের মত মানুষ পাইলাম না, ন-ডরাই, কমলা রকেট, গহীন বালুচর, ঊনপঞ্চাশ বাতাস। প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’, বধ্যভূমিতে একদিন, একটি দেশের জন্য গান, মধুমতি পারের মানুষটি শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে খড়, ময়না, ট্রানজিট, কোথায় পাবো তারে, ফেরা, নারী জীবন, কাগজ খেলা ও আড়ং।
আরও পড়ুন: দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: তথ্যমন্ত্রী
সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক রবিবার
সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। বৈঠকে উভয় দেশের ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করবেন।
দীর্ঘ আড়াই মাস সীমান্তে উত্তেজনার পর অবশেষে মিয়ানমার বৈঠকের সাড়া দিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত বরাবর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। তবে বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। এর পরের দিন মিয়ানমারের যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া আরও দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে। এতে সীমান্তে বসবাসরত বাসিন্দাদের মাঝে বাড়ে আতঙ্ক।
এভাবে ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পড়ে আরও কয়েকটি মর্টারশেল। যা বিস্ফোরিত হয়ে এক রোহিঙ্গা মারা যায় এবং আহত হয় ছয়জন। যার ফলে সীমান্তে বসবাসরত অনেকে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে আশ্রয়ে চলে যান দূরে বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কয়েক দফা কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। তবুও সীমান্তের পরিস্থিতি একই রকমের রয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
পর্যায়ক্রমে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত হয়ে টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলতে থাকে গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণ। এতে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি বাসিন্দারা।
এ অবস্থায় ১০ অক্টোবর সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে পরিদর্শনে যান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। সীমান্ত পরিদর্শনের পাশাপাশি দেখেন বিজিবি সদস্যদের কার্যক্রম।
ওই সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, প্রতিবাদলিপি পাঠানোর পাশাপাশি বিজিপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা চালান। সময় নির্ধারণ না হলেও পতাকা বৈঠকের সম্মতি জ্ঞাপন করেন বিজিপি। চলতি মাসের ২৩ তারিখ সর্বশেষ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনা গেলেও ধীরে ধীরে কমে যায়। এরপর থেকে আর শোনা যায়নি। চলমান সংঘাতে সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অবশেষে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বৈঠকে রাজি হলো মিয়ানমার বিজিপি।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মো. ইফতেখার জানান, রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে উভয় দেশের ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রয়েছে সে সম্বন্ধে আলোচনার পাশাপাশি উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বৈঠকের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গত প্রায় ৩ মাস ধরে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলমান গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সীমান্তের এ পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ চলছিল। সীমান্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিজিবি কড়া নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
পঞ্চগড় সীমান্ত থেকে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার
পঞ্চগড়ের নালাগঞ্জ সীমান্ত থেকে কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে বর্ডার গাড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার মধ্যরাতে সীমান্তের মেইন পিলার থেকে টোকাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা মূর্তিটি উদ্ধার করে। তবে এসময় চোরাকারবারীদের কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।
পরে শনিবার রাতে মূর্তিটি পরীক্ষার জন্য ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নে পাঠানো হয়েছিল।
মূর্তিটি কষ্টিপাথরের বলে নিশ্চিত করেছেন বিজিবি। এছাড়া পাচারের উদ্দেশ্যে মূর্তিটি সীমান্ত এলাকায় আনা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিজিবি।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় কষ্টিপাথরের ২টি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার
টোকাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিমের পরিকল্পনায় জেলার সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের নালাগঞ্জ সীমান্তের ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে ৯৫ দশমিক ৮০০ কেজি ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি। যার দৈঘ্য ৪৬ ইঞ্চি প্রস্থ ২০ ইঞ্চি উপরের অংশে পুরুত্ব দুই ইঞ্চি মাঝের অংশে ছয় ইঞ্চি এবং নিচের অংশে পাঁচ দশমিক ছয় ইঞ্চি। এটি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর সিজার মূল্য ৯৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বিজিবির টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা মূর্তিটি ফেলে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম বলেন, মূল্যবান এই কষ্টিপাথরের মূর্তিটির আনুমানিক মূল্য কোটি টাকারও বেশি। দুর্লভ এই মূর্তিটি কোন জাদুঘরে রাখা যেতে পারে।
সীমান্তে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে কষ্টিপাথরের ১১ মূর্তি দিল বিজিবি
নীলফামারীতে কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথর উদ্ধার
কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি পুলিশিং দরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কিশোর গ্যাংদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে কাজ করতে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
শনিবার রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে কমিউনিটি পুলিশিং দিবস-২০২২ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তরুণদের হাতে কোনও কাজ ছিল না। সেই সুযোগে কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,এই ধরনের কিশোর গ্যাংয়ের কর্মকাণ্ড সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: টার্মিনাল বাদে অন্য কোথাও টোল নেয়া যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ হচ্ছে সমাজে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা। অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা।
তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ফলে সমাজে বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং অনেক কমে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ মোকাবিলায় কমিউনিটি পুলিশিং করা উচিত
তিনি বলেন,‘অবৈধ মাদকের মতো কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো আছে...মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।’
দেশে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় তারা সফল হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান... সেই সময়ে আমরা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখেছি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘মানুষ যেখান থাকে সেখানে কিছুই অসম্ভব নয়’।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য এ.এম.এস. আরেফিন সিদ্দিক, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আখতার ও মিরপুর মডেল পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি দেওয়ান আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: বাস মালিকদের ধর্মঘট কেন তা আমাদের জানার বিষয় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সমাবেশে বিএনপির কর্মীরা লাঠি নিয়ে আসছে, এটা আইনসিদ্ধ নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর উপকূলীয় অঞ্চলের নদীগুলোতে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ইতোমধ্য সেই ইলিশ বাজারে বিক্রিও শুরু হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জাটকা সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞার সুফল মিলেছে।
শনিবার দুপুরে বরগুনার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মাছ বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগর মোহনায় জাল ফেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে।
এবারে ইলিশ বিক্রির টাকায় বিগত দিনের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ
মাছের আড়ৎ সূত্রে জানা যায়, ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে শনিবার প্রথম দিনের মতো জেলেরা নদীতে জাল ফেলে প্রত্যাশারও বেশি মাছ পেয়েছেন। বড় ইলিশ ছাড়াও সম্প্রতি বড় বিষখালী নদীতে ৫ থেকে ২০ কেজি ওজনের কোরাল, বোয়াল, পাঙাশ, বাঘাইড়সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। জেলেরা নদী থেকে বাজারে মাছ আনতে শুরু করছেন দুপুর ১২ টা থেকে। বাজারে চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত মাছ সরবরাহ হলে দামও কমে যাবে।
আড়ৎদার কামাল বলেন, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে এ অবস্থায় মাছ ধরা পরলে জেলেরা বিগত দিনের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন পর বাজারে শনিবার প্রথম বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। তাই চাহিদাও প্রচুর। চাহিদার তুলনায় মাছের যোগান কম থাকার কারণে দাম একটু চড়া।
মাছের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বরগুনা পৌর মাছ বাজারে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৬০০ টাকা এক কেজি, এক কেজি থেকে এক কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা দরে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ইলিশ রক্ষা অভিযানে ৭২ জেলে আটক
৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা কেজি, আর তারও ছোট ২২০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৬০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় স্থানীয় জেলেরা উপকৃত হচ্ছেন। এ কারণে নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের বংশবিস্তার বেড়েছে। ফলে নদীতে টানা ও বসানো জালে বড় ইলিশ মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর সমুদ্রে ও সুন্দরবনে এখন দস্যুতার ভয় বিগত বছরগুলো তুলনায় কমেছে। তাই অনেকটা স্বস্তি নিয়েই সাগরে যাচ্ছে জেলেরা। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভের পাল্লা ভারী করেই মৌসুম শেষে বাড়িতে ফিরতে পারবেন উপকূলীয় জেলা বরগুনার জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, জেলেরা ২২ দিনের সরকারি নির্দেশনা পালন করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার সাগরে যেতে দেয়া হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞার পরপরই জেলেরা গভীর সাগরে মাছ শিকারে যেতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ৬ জেলের কারাদণ্ড