বাংলাদেশ
জ্বালানি সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও ব্রুনাই
ঢাকা, ১৬ অক্টোবর (ইউএনবি)-
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই দারুসসালাম জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হয়েছে।
রবিবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রকাশ করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য সম্মত হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং জ্বালানির একটি স্থিতিশীল ও মূল আঞ্চলিক রপ্তানিকারক হিসেবে ব্রুনাই দারুসসালামের অবস্থানের ভিত্তিতে দুই নেতা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে; বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করতে সম্মত হন।’
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর, দুই দেশ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ চারটি সমঝোতা স্মারকেও (এমওইউ) সই করেছে।
চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।
আলোচনায়, দুই পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দ্বিমুখী বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য কাজ করার জন্য তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বর্তমানে যা সম্ভাবনার চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করছে।
দুই দেশ বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ব্রুনাই দারুসসালামের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্ধিত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং সহযোগিতার জন্য একটি পথ অনুসন্ধানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাকে স্বাগত জানায়।
উভয় নেতা হালাল বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়েও সম্মত হন।
বাংলাদেশ ব্রুনাই দারুসসালামকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগের সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রুনাই দারুসসালাম প্রস্তাবটি নোট করেছে এবং উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিনিয়োগ সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে।
ব্রুনাই দারুসসালাম বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যমূলক কর্মকাণ্ড যেমন খাদ্য, কৃষি এবং অ্যাকুয়াকালচারে (পানির মধ্যে গাছপালা উত্পাদন বা জীবজন্তুর বংশবৃদ্ধির প্রচেষ্টা) বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। রবিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পেয়েছিলেন- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা: মিন্নিসহ ২ জনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী রয়েছেন জেড আই খান পান্না ও জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ।
মিন্নির আইনজীবী ফয়সাল বলেন, মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মিন্নির আপিল হাইকোর্টে বিচারাধীন। বিচারাধীন আপিলে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। এখন যে কোন দিন শুনানি হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর এ মামলায় খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন মিন্নি।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বাকি চারজনকে দেয়া হয় খালাস।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
আরও পড়ুন: রিফাত শরীফ হত্যা: খালাস চেয়ে মিন্নির হাইকোর্টে আপিল
রিফাত হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসি
নুসরাত হত্যা: বাদী-বিবাদী পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
ফেনীর আলোচিত নুসরাত হত্যা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে বাদী ও বিবাদী পক্ষ।
রবিবার সকালে সোনাগাজীর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের পক্ষে ফেনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানি এবং দুপুরে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির পরিবার পরিজনরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নুসরাত হত্যা: ওসি মোয়াজ্জেমের জামিন শুনানি ৩ মাস মুলতবি
নুসরাত হত্যার ৩য় বাষির্কী, সামাজিক অপপ্রচারে আতংকিত পরিবার
সংবাদ সম্মেলনে নুসরাতের ভাই নোমান বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি পক্ষ। তারা সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানাভাবে তাদের জড়িয়ে হয়রানি ও গুজব ছড়াচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় সকল তথ্য প্রমাণ সহকারে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন। এই রায়কে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই এ নিয়ে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান নোমান।
অন্যদিকে দুপুরের দিকে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে নুসরাত হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের দাবিতে মামলায় মৃত্যুণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির পরিবার ও তাদের স্বজনরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ও মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে তারা জানায়, নুসরাত জাহান রাফি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ একটি মহল ঘটনাটিকে হত্যার নাটক সাজিয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদের ফাঁসিয়েছে। তাই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় বাতিল করে ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি তোলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল মাদরাসা থেকে নুসরাত জাহান রাফিকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যান।
ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরে সেটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
ওই মামলায় একই বছরের ২৪ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আরও পড়ুন: আলোচিত নুসরাত হত্যার দুই বছর
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ২ বছর, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর চায় পরিবার
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
চলতি অক্টোবর মাসের দুই সপ্তাহে (২-১৩ তারিখ) দেশে ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশে এক দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও রেমিটেন্সের প্রবাহের নিম্নমুখিতা দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান,অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহে প্রবাসীরা ৭৬৯ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। চলতি মাসের শেষে রেমিটেন্স প্রবাহ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরে নগদ প্রণোদনা দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ করা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্সের অভ্যন্তরীণ প্রবাহে কমে যেতে দেখা যায়।
তিনি আরও জানান,বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৫৯ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাওয়া যাবে।
অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স বৃদ্ধির প্রবণতা নিয়ে এই অর্থবছর শুরু হয়েছিল। যেখানে জুলাই মাসে বাংলাদেশ দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগস্ট মাসে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় পেয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে এসে তা নিম্নমুখী হয়ে যায়।
আর্থিক খাতের পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য হুন্ডিকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ সেখানে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার খুচরা বাজারে ৮ থেকে ১৪ টাকা বেশি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ৩৫৭.৭৬ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জামানত হিসেবে এক হাজার ৬শ’ ডলার দিতে হয়। মালয়েশিয়ার জন্য এ পরিমাণ ৫’শ ডলার। এই বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ব্রুনেইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারণে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য। এদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি চীন-ভারতের ২৭০ কোটি মানুষের বাজারও ধরা যাবে। কেননা দুটি দেশেই বেশিরভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম ব্রুনেইকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানবসম্পদ নেয়ার আহ্বান জানন।
এছাড়াও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুাব দিয়ে ব্রুনেইকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতো সেরি সেটিয়া ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন লিউ আবদুল্লাহ তার দেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ব্রুনেইয়ের বন্দর ব্যবহার করলে চীনের সঙ্গে দূরত্ব অনেক কমবে। এতে খরচ ও সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে ব্রুনেইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি আহমাদদিন বিন হাজী আবদুল রহমান বলেন, ব্রুনেইয়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এসব কর্মীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও মো.হাবীব উল্ল্যাহ ডন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনেইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ঘানিম ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে সিইও নূর রহমান ও জেডইএস ট্রেডিংয়ের পক্ষে এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
ভারতে পাচারকালে অর্ধ কোটি টাকার ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
সাতক্ষীরা-খুলনা মহসড়কের বিনেরপোতা এলাকা থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আটকের সময় তার কাছ থেকে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের চারটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
আটক শামিমুল ইসলাম (৪০) কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের গ্যাড়াখালি গ্রামের সাজেদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: শার্শার গোগা সীমান্ত থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বিজিবি জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি চালান পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রেজা আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজিবির একটি চৌকসদল সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনোরপোতা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সেখান থেকে একটি ডিসকভার মোটর সাইকলেসহ শামিমুল ইসলামকে আটক করা হয়। এরপর তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে কোমরে বাধা কাপড়ের প্যাকেট থেকে চার পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রেজা আহম্মেদ আটক চোরাকারবারী শামিমুলের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ওই স্বর্ণ সে বাহক হিসেবে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তে নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, জব্দ করা স্বর্ণের বারের ওজন ৫০৬ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। এ সময় তার দুই লাখ টাকা মূল্যের ডিসকভার মোটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণ সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা দেয়া হয়েছে এবং আটক চোরাকারবারীকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বাদি হয়ে শামিমুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে একজন আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
ব্রুনাইয়ের সঙ্গে সই হলো যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ ও ব্রুনাই রবিবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বিমান পরিষেবা চুক্তিসহ চার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
দুই নেতার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ব্রুনাইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় এই চুক্তি ও স্মারক সই হয়।
চুক্তিটি হলো- বিমান সেবা চুক্তি। আর অন্য তিনটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক হলো- ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’, ‘তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক' এবং ‘নাবিকদের প্রশিক্ষণ, সনদ, ওয়াচকিপিং এর মান সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আন্তর্জাতিক কনভেনশনের অধীনে ইস্যুকৃত সনদপত্রের স্বীকৃতির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক’।
রাজধানীতে ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হয়েছে।রবিবার ঢাকায় মিরপুরে গাবলতীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি’র আওতায় গণপরিবহনে সিসি টিভি স্থাপন উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সিসি টিভি স্থাপনের মাধ্যমে গণপরিবহন নারীবান্ধব ও নিরাপদ হবে। নারীরা সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত বাসে উঠতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। সিসি ক্যামেরা থাকায় এসব বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সকল বাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে নারীরা ৯৯৯ ও ১০৯ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। হয়রানী বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রামাণক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নারীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে আজ শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা বেড়েছে বহুগুণ। এর ফলে নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে ও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। নারীরা গণপরিবহনের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কর্মস্থল ও নিজ নিজ বাসস্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু নারীদের জন্য সরকারের এত উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণের পরেও গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির ঘটছে। গণপরিবহনে যাতায়াতকালে নারীরা অসম্মানজনক আচরণেরও শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সভ্যতার এযুগে নারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এসব ঘটনা তাদের স্বাধীন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। গণপরিবহনে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরা নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে কর্মজীবী নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বাস চালু করেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সকল গণপরিবহন নিরাপদ ও নারী বান্ধব করে তুলছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে নারীরা নিরাপদ থাকে। নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তিনি বাস মালিক সমিতির উদ্দেশে বলেন, চালকদের নিয়োগদানের পূর্বে তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যেন তারা অপরাধ করলে তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সাথে গাড়ির চালক ও স্টাফদের উত্তম আচরণ কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাসচালক, স্টাফ, হেলপার যাত্রীসহ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী দিনে ৫টি বাস কোম্পানি ও ভিন্ন রুটের মোট ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বাসগুলো হলো- চন্দ্রা টু ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রুটের রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পঁচিশটি, গাবতলী টু গাজীপুর রুটের বসুমতি ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের পঁচিশটি, মোহাম্মদপুর টু আবদুল্লাহপুর রুটের প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেডের পঁচিশটি। ঘাটারচর টু আব্দুল্লাহপুর রুটের পরিস্থান পরিবহনের রয়েছে পঁচিশটি এবং গাবতলী টু সায়েদাবাদ রুটের গাবতলী এক্সপ্রেসের আটটি বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
শিগগিরই লোডশেডিং সমস্যার সমাধান নেই: তৌফিক ইলাহী
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বিদ্যমান লোডশেডিংয়ের তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান নেই।
রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের জ্বালানি আমদানি কমাতে হবে।
জনগণকে আরও ধৈর্য ধরার এবং জ্বালানি ব্যবহারে অপব্যবহার রোধে সচেতন থাকার আহ্বান পুর্নব্যক্ত করে তিনি বলেন, ব্রিটেন ও জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলোতেও এখন ৪-৫ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি হবে না
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সরকার ভেবেছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবে, কিন্তু তা হয়নি।
তিনি বলেন, ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট এবং রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১০০০ মেগাওয়াট পাওয়ার আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
কিন্তু এই দুটি প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন তৈরি না হওয়ায় সেগুলো থেকে বিদ্যুৎ পেতে আরও তিন-চার মাস সময় লাগবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘ফলে খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
তিনি আরও বলেন, সরকার সৌরশক্তি থেকে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করছে। কিছু বিদ্যমান ডিজেল চালিত সেচ পাম্পগুলোকে সৌর-চালিত সেচ ব্যবস্থার সঙ্গে প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: নভেম্বরের আগে উন্নতির আশা নেই, বললেন নসরুল হামিদ
ছুটির দিনে চাহিদা কম থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিংয়ে নাগরিক ভোগান্তি
সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কড্ডার মোড় এলাকায় পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছয় ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর উত্তর পাড়ার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে তুষার আহম্মেদ ওরফে ইউসুফ খাঁন (২২), চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের ভাড়াটিয়া মৃত নুরু মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৪), চর-মালশাপাড়া মহল্লার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল লতিফ খান (২১), পূর্ব মোহনপুর গ্রামের বাবু কশাইয়ের ছেলে ইনামুল হক আশিক (১৯), সয়াধানগড়া মহল্লার কিসমত আলীর শেখের ছেলে আব্দুল মোতালেব (২৬), চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ফটিক শেখের ছেলে সোহেল রানা (২৮)।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসাছাত্রকে হোটেলে আটকে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ২
পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে সোনাতলা থানার একদল পুলিশ ঢাকা থেকে একটি মামলার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে মাইক্রোবাসে করে বগুড়া যাচ্ছিল। এ সময় সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসাটি উল্লেখিত এলাকায় পৌঁছলে ছিনতাইকারী চক্র এলোপাঁথারি ঢিল ছুঁড়লে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙ্গে যাওয়ায় চালক রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে দেয়। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী মাইক্রোবাসে থাকা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক, দুটি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও র্স্বনের গহনা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দুদিন পর বগুড়ার সোনাতলা থানার এসআই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান,এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিরাজগঞ্জ ও ঢাকার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছ পুলিশ।
ছিনতাইকারী দলের সর্দার তুষারের নেতৃত্বে জেলার বিভিন্ন স্থানে তারা বেশ কিছুদিন ধরে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার
সোনারগাঁ থেকে ২ হাজার৭৯০ পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১