বাংলাদেশ
অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল
ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগে গাইনবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ্য করেছি যে ভোটগ্রহণে অনিয়ম হচ্ছে। অনেক কেন্দ্রেই আমরা গোপনকক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছি।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, অবৈধভাবে (গোপনকক্ষ) প্রবেশ করে ভোটারদের ভোট প্রধানে হয়তো সহায়তা করছেন বা বাধ্য করছেন। এটা আমরা সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখেছি যে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। পোলিং এজেন্টদের পোশাকে প্রার্থীদের প্রতীক ছিল, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।’
তিনি (সিইসি) অবশ্য এ অনিয়মের জন্য কোনো প্রার্থীর নাম উল্লেখ করে দায়ী করেননি।
সিইসি নির্বাচন বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা ৯১ অনুসারে, ইসি যদি দেখতে পায় যে একটি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, তবে ইসি কিছু বা পুরা আসনে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘অনেক আলোচনা ও পর্যালোচনার পর আমাদের কাছে মনে হয়েছে কিছু প্রার্থী বিভিন্নভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন।’
সিইসি বলেন, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে ১৪৫টির মধ্যে ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয় এবং দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
তিনি আরও বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলোতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলরুম থেকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
সিইসি বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখেছি ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ভোট কারচুপি হলে বাকি কেন্দ্রে নির্বাচনের সুষ্ঠু ফল পাওয়া যাবে না। ফলে আমরা পুরা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বাতিল করেছি।’
পরবর্তী কর্মপন্থা সম্পর্কে সিইসি আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন বিপত্তি সম্পর্কে সচেতন হয়েছে ইসি।’
গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনে ব্যবহৃত সব ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সিইসি আরও বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী করা উচিত বা কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে ইসির নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচনের সময় কোনো যান্ত্রিক সমস্যা হয়নি, সব ইভিএম ঠিকঠাক কাজ করেছে। সমস্যাটি মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হয়েছে। এই অপকর্মের জন্য কারা দায়ী তা খুঁজে বের করতে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত প্রয়োজন।’
আরপিওর ৯১ (ক) ধারা অনুযায়ী, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন ও বল প্রয়োগসহ যেকোনো অনিয়মের জন্য যদি ইসি নিশ্চিত হয় যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে ইসি যে কোনো পর্যায়ে যে কোনো ভোটকেন্দ্রে বা পুরা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন বন্ধ করতে পারে।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন।
নির্বাচনে মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন।
২৩ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ইন্তেকাল করলে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ডিসি, এসপিদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকার নির্দেশ সিইসি’র
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
শায়েখে চরমোনাইয়ের ব্যাংক হিসাব তলব ষড়যন্ত্রমূলক: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই এর ব্যাংক হিসাব তলব করার সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, হাজারও লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে দেশের অন্যতম একজন ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই এর ব্যাংক হিসাব তলব দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্রমূলক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অব্যাহত দুর্নীতির কারণে দেশের অবস্থা যখন করুণ, তখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দুর্নীতিবাজ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটকারী ও বিদেশে অর্থপাচারকারীরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বনে গেলেও তাদের ব্যাংক হিসাব তলব না করে একজন ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে দেশের সরকার প্রকৃত অপরাধীদেরকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, যিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া আর রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আল্লাহভোলা মানুষকে দ্বীনের পথে এনে অপরাধমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তার ব্যাংক হিসাব তলবে সরকারের সিদ্ধান্ত হয়রানিমূলক।
সাংবাদিক আফতাব হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া অপর আসামির সাত বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সবুজ খান। এদের মধ্যে রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিল শুনানি করে বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল
রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখা হলো।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ও আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। বুধবার মামলার রায়ের জন্য দিন দার্য ছিল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় স্কুলছাত্রী ফারজানাকে ধর্ষণ ও হত্যা, হাইকোর্টে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা ওয়াপদা রোডে ৬৩ নম্বরের নিজ বাসায় খুন হন ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ। পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা স্বীকারোক্তিতে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু আফতাব আহমেদের বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ: স্বামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল
৬৯ বছর বয়স্ক সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ছিলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদক পান।
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তার জন্য দেশের কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে কৃষিপণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের এক বা দুটি রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না।’
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পুরস্কারটি দেশের কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে স্বাবলম্বী করা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বৃদ্ধিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা এটি মনে রাখা উচিত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
স্ত্রীর দায়ের করা পারিবারিক সহিংসতা মামলায় ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার শুনানির জন্য আল-আমিন আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।
শুনানির সময় আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের কৌঁসুলি শামসুজ্জামান দাবি করেন, অভিযুক্তের বিবাহবিচ্ছেদের দাবি সম্পর্কে তার মক্কেলের কোনো ধারণা নেই।
৬ অক্টোবর আল-আমিন আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করে দাবি করেন যে তিনি ২৫ আগস্ট ইসরাতকে তালাক দিয়েছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকার মুচলেকায় আল-আমিনকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর করা মামলায় আগাম জামিন পেলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
বিচারক শফি উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাতকে বিয়ে করেন এবং তার স্ত্রী পরবর্তীতে দুই ছেলের জন্ম দেন।
এজাহারে উল্লেখ আছে, ইসরাত দাবি করেন যে আল-আমিন অনেক দিন ধরে তার দুই ছেলের ভরণ-পোষণ ও শিক্ষার খরচ জোগায়নি। আল-আমিন তার স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করত। তিনি ২৫ আগস্ট তাদের দুই সন্তানসহ তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে টি২০ স্কোয়াড: চার বছর পর দলে আল-আমিন
উল্লেখ্য, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ইসরাত। পরে এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিন তার মায়ের মাধ্যমে ইসরাতকে বার্তা পাঠান যে তিনি তার ভরণ-পোষণ দেবেন না এবং তাকে তালাক দিয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আল-আমিনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কোটালীপাড়ায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বসচাপায় এক শিক্ষার্থী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের উপজেলা তারাশী বাসস্ট্যান্ডের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অংকন বিশ্বাস (২২) উপজেলার তারাশী গ্রামের পল্লব বিশ্বাসপর ছেলে এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোজ কুমার জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লোকাল বাস গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কের তারাশী বাসস্ট্যান্ডের পাশে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অংকন বিশ্বাসসহ কয়েকজনকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলে অংকন বিশ্বাস মারা যায়। ঘটনার পর থেকে বাস চালক পলাতক রয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ নিহত ৪, আহত ১৫
মেঘনায় মা ইলিশ ধরায় ৮ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ১০ জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর জেলেকে মুচলেকা দিয়ে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন-মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ইয়াকুব বেপারী, নুরুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মো. রুবেল, মাহাবুব বেপারী, সজল চন্দ্র দাস ও নজরুল ইসলাম। তারা সবাই চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকার।
আরও পড়ুন: যমুনায় মা ইলিশ ধরার দায়ে ১৯ জেলের কারাদণ্ড
ছেড়ে দেয়া দুই কিশোর মোহাম্মদ শাহেদ ও রাজীব হোসেন।
বুধবার রাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আর এম জাহিদ হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মা ইলিশ নিধনরোধে অভয়াশ্রম এলাকায় চাঁদপুর মৎস্য অফিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে জব্দ করা হয় প্রায় ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল এবং বিভিন্ন আকৃতির ৬৭টি মা ইলিশ । যার ওজন ১৩.৪১ কেজি।
তিনি বলেন, অভিযানে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাসহ ১০ জন জেলেকে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ইলিশ মাছগুলো এতিম ও দুঃস্থ গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয় এবং ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি নৌপুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
অভিযানে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা, নৌ পুলিশের কর্মকর্তা, নৌপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ জেলেকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে নৌ র্যালি
করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬২ কোটি ৭৬ লাখ ছাড়িয়েছে
বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৮০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৩ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭১ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৪৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৪ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৮২২ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৬৫ লাখ ৬২ হাজার ছাড়াল
এদিকে, বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত নতন ৩০ হাজার ৫৩৫ জন শনাক্তসহ মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার ৭৪৯ জন।
এছাড়াও আরও ১৫ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭২৩ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ৪৬০ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫৫০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্ত হার আট দশমিক ৮৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭১ হাজার ২০৩ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত ৬২ কোটি ৬০ লাখ ছাড়াল
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি।
এ নির্বাচনে ভোট প্রদানের সময় সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ৪৭ সদস্যের এই কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদানের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনে আমাদের দক্ষতারই একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ।’
নির্বাচনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। বিপুল ভোটে বাংলাদেশকে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে সবার সাথে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন মালদ্বীপ (১৫৪ ভোট), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) এবং কিরঘিজিস্থান (১২৬ ভোট)।
পড়ুন: গণতন্ত্রে যুক্তরাষ্ট্রেরও দুর্বলতা আছে: মোমেন
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এবারের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬টি দেশ এ অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ৪ চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। জাতিসংঘ বিশেষ করে মানবাধিকার কাউন্সিলে আমাদের গঠনমূলক ও নীতিগত উপস্থিতির ফলে আজ আমরা এত বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করতে পেরেছি।
নির্বাচনের পর সদস্য দেশগুলোর বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধিরা বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শাসন ব্যবস্থা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তির জন্য তাঁর সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন।
পড়ুন: কর্মকর্তা-কূটনীতিকদের ভিসা মওকুফে চুক্তি সই করল বাংলাদেশ ও কসোভো
নরওয়ের একদিনের রাষ্ট্রদূত হলেন বৈশাখী
কর্মকর্তা-কূটনীতিকদের ভিসা মওকুফে চুক্তি সই করল বাংলাদেশ ও কসোভো
বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনে সরকারি কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকদের জন্য ভিসা মওকুফের একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ এবং কসোভো।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং কসোভোর সফররত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং প্রবাসী ক্রেশনিক আহমেতি দুই দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে নিজ নিজ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে এই চুক্তি সই হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলোচনার সময় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতে মারাকেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ
বৈঠকে সফররত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কসোভোতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
এতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে বেশ কিছু সম্ভাব্য চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অন্যান্য সুযোগের বিকল্পগুলো খুঁজতে চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার ঢাকায় পৌঁছেছেন ক্রেশনিক আহমেতি।
সোমবার, আহমেতি এফবিসিসিআই এবং ডিসিসিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্ব বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
কসোভোর সঙ্গে ২০১৮ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এরপর ২০২০ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য মাত্র শূন্য দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। যা ২০২১ সালে তা বেড়ে এক দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বাংলাদেশি আইটি পেশাদার, প্রকৌশলী এবং দক্ষ জনশক্তির জন্য একটি ভাল গন্তব্য হতে পারে কসোভো। বাংলাদেশ থেকে পোশাক এবং ওষুধ পণ্য আমদানি করতে পারে দেশটি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি