বাংলাদেশ
নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দেবে বলে সুস্পষ্টভাবে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা (বিএনপি) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে, কারণ তারা ভোট কারচুপি এবং ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাবে না। অন্যথায়, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সব সময়ই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলতে চায় তারা কারা? আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে।’
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে।
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞায় থেকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানানসই নয়: বিএনপি
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ নির্বিঘ্নে নির্বাচনে তাদের ভোট দেবে। ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন এমন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি, এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, ‘তারা জানত সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা খুন, অভ্যুত্থান ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে অভ্যস্ত। এটাই বাস্তবতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে।
শেখ হাসিনা আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সঠিক পথে এনেছে, যা সামরিক শাসন ও বিএনপি-জামায়াতের আমলে লাইনচ্যুত হয়েছিল।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দ্রুত নির্বাচনী ফলাফল পাওয়া যায় এবং মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।
তিনি অবশ্য বলেন, কিছু লোক ইভিএম ব্যবহারের বিরুদ্ধে আছে এটা সত্য।
পড়ুন: জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন ইউএনবিকে বলেন, শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, রহিমা আত্মগোপনে রয়েছেন এমন খবর পেয়ে সৈয়দপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। তারা এখন খুলনায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
৫২ বছর বয়সী রহিমার বড় মেয়ে মরিয়ম মান্নান আকুল আবেদনে পর প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ তার মাকে খুঁজে পাওয়া পুরো জাতিকে স্পর্শ করছে, সম্প্রতি ময়মনসিংহে দাফন করা অজ্ঞাত এক নারীর লাশ তার মায়ের বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।
ফেসবুকে মরিয়ম একটি পোস্ট দিয়েছেন যে তারা তার মাকে ফিরে পাওয়ার আশায় খুলনা শহরে ‘নিখোঁজ’র পোস্টার লাগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে দৌলতপুরের বণিকপাড়া এলাকায় পানি আনতে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। পরে তার মেয়েরা তার স্যান্ডেল, স্কার্ফ এবং পানির পাত্র খুঁজে পান।
এ বিষয়ে তার পরিবার প্রথমে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে, এর ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রহিমার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) দায়ের করে।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
মরিয়ম বলেন, রহিমা কেগম ১৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে পুলিশ তার মাকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হলে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তার ছোট মেয়ে আদুরী আক্তার মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে স্থানান্তরের জন্য খুলনার একটি আদালতে আবেদন করেন।
হিলিতে পুকুরের ডুবে শিশুর মৃত্যু
দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে হিলির বোয়ালদাড় গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশু রাহি মনি (৮) ওই গ্রামের রাসেল মিয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে কিশোরগঞ্জে ২ শিশুর মৃত্যু
বোয়ালদাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সদরুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করার সময় রাহি পানিতে ডুবে যায়। পুকুরে তল্লাশি করে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
চিকিৎসক ডা.আসমা বেগম জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে মৃত্যু বাড়ছে, এবারের বন্যায় প্রাণ গেছে ১৫ শিশুর
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় নছিমনচাপায় শিশুর মৃত্যু
মাগুরা সদর উপজেলার বাহারবাগ গ্রামে নছিমনচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
নিহত হানজালা (৪) ওই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সকালে বাড়ির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় পেছন থেকে আসা নছিমন তাকে চাপা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনগণ মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে কিশোরগঞ্জে ২ শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নেশার টাকা না পেয়ে শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানাকে হত্যা!
গাজীপুরের শ্রীপুরে নেশার টাকা না পেয়ে শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানাকে হত্যা অভিযোগে নাতিকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নানা আব্দুল হক মাতবর (৮০) ওই গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত নাতি আবু সালেক হানিক (২৬) একই এলাকার জামাল শিকদার এবং নিহত আব্দুল হকের মেয়ে হুসনে আরা'র ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ২
জানা যায়, আবু সালেক নেশাগ্রস্ত। সালেক প্রায়ই তার নানার কাছ থেকে টাকা নিতো নেশা করার জন্য।
কিন্তু শুক্রবার টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে তার নানাকে শীল দিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে।
এসময় চিৎকার শুনে ছেলে এগিয়ে এলে মামাকেও পিটিয়ে আহত করে সালেক। পরে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাজীপুর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
সকালে আঘাত করা শিল খুঁজতে গিয়ে মেঝেতে রক্ত দেখে তিনি তার বাবার লাশের সন্ধান পান।
গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে মশলা বাটার শিল দিয়ে মাথা থেতলিয়ে নানা আব্দুল হক মাতবরকে হত্যা করে কার্টুন দিয়ে লাশ ডেকে রাখে আবু সালেক হানিক।
এই ঘটনায় নাতি সালেক আহমেদকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ৩
ইউরোপে মানব পাচার: কুমিল্লায় মূলহোতাসহ আটক ৩
বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪.৩৮% কমেছে: ইআরডি
বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমেছে। যা ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বৈদেশিক ঋণের ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ হ্রাস দেখায়।
বিগত আর্থিক বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহে লাফ দেয়া শুরু করেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে প্রায় ৪৯ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ দেশে এসেছে যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু, আগস্টে তা কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। দাতারা এ মাসে ৩৭ দশমিক ৬৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠানো বন্ধ করেছে। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা: বিবি
করোনা মহামারির পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে উল্টে যাওয়া বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে স্বল্প সুদে বৈদেশিক ঋণ পাওয়ার রেকর্ড গড়েছে। দাতারা এই অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বৈদেশিক ঋণ মওকুফ করেছে।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের শাখা ইআরডি বিদেশি ঋণ মওকুফের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাতাদের কাছ থেকে ৮৬ দশমিক ৪৩ কোটি মার্কিন ডলার গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য এসেছে ৮৩ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। আর প্রাপ্ত অনুদান হল তিন দশমিক ১৪ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার পদ্ধতি
গত বছরের একই সময়ে প্রকল্প সহায়তা ছিল এক দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান এসেছে তিন দশমিক ৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বাড়তে থাকে। একই বছরে বৈদেশিক ঋণ এক লাফে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ছয় দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ ছিল ছয় দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজার কারসাজিকারীকে চিহ্নিত করতে ৬-১২ মাস সময় লাগে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক-অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে বাজার সিন্ডিকেট দমন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের দমন, দলবাজী ও ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির বর্তমান অস্থিরতা, সংঘাত ও সংঘর্ষ নতুন নয়, এটা ৫২, ৭১ ও ৭৫-এর পুরাতন বিরোধের বহিঃপ্রকাশ। ৫২ ও ৭১-এ মীমাংসিত বিষয়গুলোকে অমীমাংসিত করা ও ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করার রাজনীতিই এই বিরোধের মূল কারণ।
এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে মুশতাক-জিয়া এই ৫২ ও ৭১ বিরোধী, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজে চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে বিরোধের রাজনীতিকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনটা ভোট যুদ্ধ নয়, বিএনপি-জামায়াত বর্জনের যুদ্ধ: ইনু
জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী, উগ্রবাদী শক্তিগুলো এই বিরোধের রাজনীতির ধারক ও বাহক। এরা বাঙালির আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান মানে না। এরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহনীর গণহত্যার পক্ষে, রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষে সাফাই গায়। এরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ধারাকে নিশ্চিহ্ন করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেছে ও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি-বাংলা-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যতদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে, ততদিন দেশের রাজনীতির অস্থিরতা-সংঘর্ষ-সংঘাত-অশান্তির অবসান হবে না।
ইনু বলেন, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রুদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত-দমন-ধ্বংস করেই রাজনীতি ও সমাজে স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে হবে।
সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রু পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গীবাদী-উগ্রবাদী শক্তিকে বর্জন ও ধ্বংস করার দায়িত্ব নিতে হবে।
এছাড়া সমগ্র জাতিকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশ আফিগানিস্তান-পাকিস্তানের মত তালেবানি পথে যাবে, নাকি ধর্মের নামে সংঘাত-সংঘর্ষ-অশান্তি-খুনাখুনি-রক্তারক্তির পথে যাবে, নাকি শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়নের পথে যাবে?
ফেনী জেলা জাসদের সভাপতি নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, মো. মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, মো. নুরুন্নবী, জসিম উদ্দিন বাবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা, কোষাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ-দপ্তর ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ সুমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম, সমাজসেবা সম্পাদক কাজী সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য তৈয়বুর রহমান, কক্সবাজার জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি মফিজর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, বান্দরবন জেলা জাসদের সভাপতি সুযশময় চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বকশী, লক্ষীপুর জেলা জাসদের মাহবুবুল আলম, কুমিল্লা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, চাঁদপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন।
আরও পড়ুন: বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক তালেবানী চক্র: ইনু
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতারা চিহ্নিত রাজনৈতিক মোল্লা: ইনু
বাংলাদেশি কর্মী নেবে মলদোভা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মলদোভায় বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা বাংলাদেশি শ্রমিক নিতে রাজি হয়েছেন।
শনিবার ইউএনবিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রথম ব্যাচে ২৮ বাংলাদেশি শ্রমিককে মলদোভিয়ান ভিসা দেয়া হয়েছে।
তারা একটি অ্যালুমিনিয়াম উইন্ডো তৈরির কারখানায় কাজ করবে এবং আরও ৪০জন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান মোমেন।
এক দশকেরও বেশি আগে মলদোভা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর আয়োজিত নৈশভোজে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
চাঁদপুরে ছুরিকাঘাতে আ.লীগ নেতা নিহত
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহ (৭০) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শহরের নতুন বাজার সফিনা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রফিক উল্লাহ ওই এলাকার বাসিন্দা মো. হেদায়েত উল্যাহর ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৯, আহত ৫০
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মাগরিবের নামাজের পরে বাসার কেয়ার টেকার মিরাজ রফিকউল্লাহকে খুঁজতে গিয়ে ওই কক্ষে প্রবেশ করে। সেখানে গিয়ে দেখে কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে। একটি ছুরি তার শরীরে গেঁথে ছিল এবং তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন।
মিরাজের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং ওই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এবং শহীদ জাবেদ মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিক উল্লাহকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আমরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে তার মরদেহ দেখেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি এটি ছুরিকাঘাতে হত্যা। আমাদের কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। বাড়ির কেয়ার টেকার মিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
এদিকে, এই মুক্তিযোদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ জেনে হাসপাতালে দেখতে আসেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
আরও পড়ুন: রংপুরে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ২
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
‘সুন্দরবনকে র্যাবের দস্যুমুক্ত করাই মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা’
পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, শুক্রবার মুক্তির পর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ দর্শকদের মন জয় করছে।
আইজিপি বলেন, দুই ঘন্টা ২১ মিনিটের চলচ্চিত্র হওয়া সত্ত্বেও এটি দর্শকদের মনোযোগ রাখতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং সাসপেন্সে ভরপুর ছবিটি দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে। ভিএফএক্স, সাউন্ড কোয়ালিটি, অভিনেতাদের পারফরম্যান্স – সব মিলিয়ে ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর সাফল্যের পরিমাণ বেশি।
শুক্রবার বিকালে বসুন্ধরা সিটি মলের স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমা দেখার পর বেনজীর আহমেদ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পেছনে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প: আইজিপি
তিনি বলেন, ‘আমাদের র্যাব সৈন্য ও কর্মকর্তারাও দারুণ কাজ করেছে। বিভিন্ন উপায়ে অপারেশনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি দেখার পরে দর্শকরা আমাদের অফিসারদের কুশলতা ও দক্ষতা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে। ’
‘অপারেশন সুন্দরবন’- এর গল্প উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, দস্যুদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে র্যাব অভিযান শুরু করে। অফিসার ও সৈন্যদের দক্ষ ও চৌকস অভিযানের মাধ্যমে সুন্দরবনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর মাধ্যমে সেই সাফল্যের গল্প জাতির সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছিলাম।
তিনি বলেন, তবে, একটি চলচ্চিত্র দিয়ে শুধুমাত্র র্যাবের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব নয় এবং আমি মনে করি এই চলচ্চিত্রটি আংশিকভাবে র্যাবের অনেক সাফল্য তুলে ধরে। ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনার পর আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনকে সুন্দরবনে যেতে, সেখানে থাকতে, ভাওয়ালী, মধু সংগ্রহকারী, জেলেসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে চিত্রনাট্য লিখতে বলেছিলাম। দীপন সেই পরামর্শ অনুসরণ করেছিলেন।
বিদায়ী আইজিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর প্রায় ৪০ বছর সুন্দরবন ছিল ডাকাতদের অভয়ারণ্য। র্যাব তাদের হাত থেকে সুন্দরবনকে মুক্ত করার পাশাপাশি একটি মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছে।’
আইজিপি বলেন, আগে আমি যখন দীপনের সঙ্গে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ কাজ করেছি, তখন পুলিশ কমিশনার ছিলাম। আর ‘অপারেশন সুন্দরবন’ পরিকল্পনা করার সময় আমি র্যাবের মহাপরিচালক(ডিজি) ছিলাম। ছবিটি মুক্তির সময় আমি আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন; র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রাইসুল আজম; প্রযোজক অরুণ চৌধুরী, চয়নিকা চৌধুরী, অভিনেত্রী তানজিকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এ হক অলিক, অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদয় হক, রায়হান রাফি এবং ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি