বাংলাদেশ
চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী মারা গেছেন
বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও শিক্ষাবিদ সমরজিৎ রায় চৌধুরী (৮৫) রবিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, একুশে পদক জয়ী এই চিত্রশিল্পী একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শ্রদ্ধেয় এই শিল্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং পরে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
চৌধুরীর ছেলে সুরজিৎ রায় চৌধুরী জানান, ৫ সেপ্টেম্বর এই শিল্পীকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর ১২ সেপ্টেম্বর পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে যাযওয়া হয়; তবে, স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার প্রয়াণের খবরে দেশের শিল্পাঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সোমবার সকাল ১০টায় শিল্পীর মরদেহ ঢাবির চারুকলা অনুষদে আনা হবে। সেখানে তার ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন
১৯৩৭ সালে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী সমরজিৎ চৌধুরী ১৯৬০ সালে সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্নাতক হন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, মোহাম্মদ কিবরিয়া, সাফিউদ্দিন আহমেদ ও আনোয়ারুল হাসানসহ দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের কাছ থেকে তিনি সরাসরি শিক্ষা লাভ করেন।
তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে যোগদান করেন এবং ৪৩ বছর অধ্যাপনা করার পর ২০০৩ সালে অবসর নেন। তিনি ২০১৪ সাল থেকে ঢাবির সুপারনিউমারারি প্রফেসর হিসেবে শিক্ষকতা করেন।
২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্ট বিভাগের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের শিল্পক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র মারা গেছেন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডোবায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ডোবার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত স্মৃতি (২) ওই গ্রামের হাবিব আলীর মেয়ে।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ির পাশে খেলছিল স্মৃতি। খেলার এক পর্যায়ে শিশুটি পাশে থাকা টিউবওয়েলের পানি জমে তৈরি হওয়া ডোবায় পড়ে মারা যায়। পরে বাড়ির লোকজন ডোবার পানিতে তার লাশ ভাসতে দেখে উদ্ধার করে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় শিশুর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বিশ্বনাথে পুকুরে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
মতলবে মেঘনায় ডুবে শিশুর মৃত্যু
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আরেক বাংলাদেশি নিহত
সাতক্ষীরায় ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৪টার দিকে সদর উপজেলার খৈতলা-কৈজুরী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. হাসানুর রহমান (২৫) সাতক্ষীরা সদর উপেজলার কুশখালী গ্রামের মো. হায়দার আলীর ছেলে।
নিহতের পিতা হয়দার আলী জানান, পার্সপোট না থাকায় তার ছেলে হাসানুর রহমান কয়েকদিন আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। রবিবার ভোর রাত ৩টার দিকে একইভাবে কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে ভারতের কৈজুরী সীমান্ত পার হয়ে দেশে ফিরছিল। পথিমধ্যে ভোর রাত ৪টার দিকে ভারতের কৈজুরী ক্যাম্পের টহল বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে হাসানুর বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
এসময় তার সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে সকাল সোয়া ৬টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় রেফার্ড করে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা সার্জিকাল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ বলেন, ‘হাসানুরের মৃত্যুর বিষয়ে বিএসএফকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে। আমরা তাদের পতাকা বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। মিটিং হলেই আমরা মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব।’
যদিও জানা গেছে, কখন বা কোথায় বৈঠক হতে পারে সে বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
একই সময়ে দেশের পৃথক স্থানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বলদিয়া সীমান্তে মুনতাজ হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর (৩২) নামের এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ।
বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক জানান, ভোর ৫টার দিকে মুনতাজ ৮২ নম্বর মূল পিলারের বিপরীত সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে ভারতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, নিহতের লাশ এখনও সীমান্তের ভারতীয় অংশে রয়েছে।
এ বছর প্রথমবারের মতো একদিনে বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি নিহত হলেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তথ্যে দেখা গেছে যে ২০২২ সালে গত মাসের শুরু পর্যন্ত বিএসএফ ১৮ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুর সীমান্ত থেকে নারী ও শিশুসহ ২৬ জন আটক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা
চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, তিস্তা একটি বৃহৎ নদী। এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এটি বাংলাদেশে আমার প্রথম কাজ। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন যদিও চ্যালেঞ্জের, তবুও আমরা এটি করব।
রবিবার দুপুরে তিন সদস্যের একটি দল নিয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় তিস্তা মেগা প্রকল্প পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। এসময় তিনি প্রকল্পটির বিষয়ে তিস্তা পাড়ের মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এসেছি নদীটি খননের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য। আমাদের প্রকৌশলীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরিকল্পনা করা হবে যে, কবে থেকে কাজটি শুরু কর যায়। তবে আশা করছি শিগগিরই আমরা তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করতে পারব। এটি শুধু এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুসংবাদ নয়, পুরো বাংলাদেশিদের জন্যও গর্বের বিষয়।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
জানা গেছে, পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান শহরের আদলে তিস্তার দুই পাড়ে পরিকল্পিত স্যাটেলাইট শহর গড়ে তোলা হবে। এছাড়া নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি সেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প, পর্যটনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে সাত থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে করে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি হবে।
হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোতাহার হোসেন বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা ব্যারাজে পরিদর্শনে এসে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। তারা কাজ করতে আগ্রহী। আমি আশা করি চীন ছাড়া তিস্তার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব না। কারণ, ভারত দিয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা আর চীন দিয়েছে আট হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: তিস্তা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিল ভারত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল প্রকৌশলী আমিনুল হক ভূঁইয়া, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা, লালমনিরহাট অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) টিএম মমিন, হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।
তিস্তা ব্যারেজ পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রদূত রংপুরের উদ্দেশে রওনা করেন। সেখানে তিনি মহিপুর ব্রিজ ও কৃষি প্রকল্প, গাইবান্ধা তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজ, নীলফামারির উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ জোন, দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক থার্মাল পাওয়ার স্টেশন ও সৈয়দপুর পাওয়ার স্টেশন পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান শহরগুলোর জন্য বড় নগরায়ন প্রকল্প সরকারের
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্রুত নগরায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
ইউএনবির দেখা একটি নথি অনুযায়ী, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উন্নত আবাসন, পার্ক ও জলাশয়ের ব্যবস্থাপনা, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে।
নথিতে উল্লেখ আছে, ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের আওতায় ঢাকা শহরের ভবনগুলোর জন্য ভূমিকম্পের ঝুঁকির মূল্যায়নও চলছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার মাস্টারপ্ল্যান (২০২০-২০৪১) প্রণয়ন’- শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ২০ বছরে চার ধাপে বাস্তবায়নের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
এছাড়া সারাদেশে পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে ‘নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা আইন’-এর খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
ঢাকায় কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল খনন ও উন্নয়ন এবং ১২ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৪ লেনবিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। যার আওতায় রয়েছে পাঁচটি ইন্টারসেকশন, ১৩টি খিলান সেতু এবং চারটি আন্ডারপাস ও ছয়টি সেতু প্রশস্তকরণ।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
এছাড়া রাজউকের অধীনে ঢাকার নতুন বাজার এলাকা থেকে মাদানী এভিনিউ বরাবর বালু নদী পর্যন্ত ৪টি সেতুসহ ৬ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।
নথিতে বলা হয়েছে, শহরকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে চট্টগ্রামে ৩৫টি খাল পরিষ্কার ও পুনঃখননের কাজ চলছে।
লালখানবাজার থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজও চলছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসনে ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার রিং রোড প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে।
সরকারি কাগজপত্র অনুসারে, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য ইটের বিকল্প হিসেবে আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব ইট (ব্লক) ব্যবহার করতে সরকার উৎসাহিত করছে।
এতে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব ‘অটোক্লেভ এরেটেড কংক্রিট প্যানেল’ তৈরির জন্য একটি পাইলট প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে।
এর ফলে ২০২৫ সালের মধ্যে ইটের ব্যবহার শূন্যে নামিয়ে আনার সরকারের নীতির বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এছাড়াও, উন্নত বিশ্বে অনুসৃত নির্মাণ প্রকৌশলের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দ্রুত ভবন নির্মাণ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভুমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে বহুতল ভবনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনায় স্থানীয় উপকরণ, প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্মাণ শিল্পকে আধুনিক ও টেকসই করার কথা বলা হয়েছে।
চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী পুরানো সরকারি ভবনগুলোকে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থার (সিসমিক রেট্রোফিটিং) আওতায় আনা হচ্ছে।
নথিতে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনাটি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সব সরকারি ভবনকে পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও সবুজ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ করে তুলবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংককে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করার আহ্বান নসরুল হামিদের
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩৪
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে আরও ৩৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২৪১ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৯৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৩৪৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৭৬৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৫৮৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৬৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ০৯ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২০ হাজার ৫৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫ হাজার ৪৭৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৮ হাজার ১৫৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১৩ হাজার ৬৭৮ জন ঢাকার এবং বাকি চার হাজার ৪৭৫ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
রবিবার একজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৬৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: আজও ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৬৮
দেশে করোনায় শনাক্ত ৪০৯, মৃত্যু ১
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এময়ে নতুন করে ৪০৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে শনাক্ত হার ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৮১ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ২৯ হাজার ৭২৩ জনে পৌঁছেছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ৬১৪, মৃত্যু ৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬৫১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৯৯৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬০১
দেশে করোনায় আরও এক মৃত্যুশূন্য দিন, শনাক্ত ১৪১
চাঁদপুরে ২০ মণ জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ
চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ মণ (৮০০ কেজি) জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। রবিবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন:খুলনায় জেল ইনজেক্টেড চিংড়ি জব্দ, আটক ১৮
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কোস্টগার্ড স্টেশন চাঁদপুরের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বি এম তানজীমুল ইসলাম এর নেতৃত্বে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে চট্রগ্রামগামী দুটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক ২০ মণ (৮০০ কেজি) জেলিযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয়।
তিন আরও জানান, এ সময় বাসে জেলিযুক্ত চিংড়ির প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
দুপুরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিল হাসান এর উপস্থিতিতে শহরতলীর ইচোলীতে কোস্টগার্ড স্টেশন এলাকায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা: নেত্রকোণায় মাছ চাষিদের সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি
নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (১৭) ওই গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: মসজিদে জমি দেয়ায় ছেলে ও নাতির হাতে বৃদ্ধ খুন
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম হোসেন বাড়ির পাশে রাস্তায় বসে মোবাইল দেখছিল। এ সময় কে বা কারা তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সাদ্দামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক’খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর হাতে নারী খুনের অভিযোগ
কাঁচপুরে অটোরিকশা-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৪
নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুর সেতু এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন-অটোরিকশাচালক আবু হানিফ (২৫), যাত্রী নূর উদ্দিন (৪৫), মামুন (৩০), জামাল মিয়া (৪২) ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (৩৬)।
আরও পড়ুন: কাঁচপুরে অটোরিকশা মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর ব্রিজের ঢাকামুখী লেনে একটি অটোরিকশা উল্টোপথে যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকামুখী একটি হাইস মাইক্রোবাসের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা পাঁচজনের মধ্যে চারজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি জানান, আরও চারজন নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুশিয়ারা নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
আশ্রয়ণ প্রকল্প:-এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে