বাংলাদেশ
কুড়িগ্রামে ধরলার ভাঙন মুখে তিন শতাধিক পরিবার
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দেয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ধরলা পাড়ের শতশত পরিবার।
গত আড়াই মাসে ধরলার ভাঙনে নদী নিকটবর্তী ওই গ্রামের ফসলি জমি, বাঁশঝাড়, গাছপালার বাগানসহ চলাচলের একমাত্র সড়কের প্রায় ৩০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে ওই গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা না নিলে চর গোরকমন্ডলের পুরো গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
চর গোরকমন্ডল এলাকার বাসিন্দা আমীর আলী (৪২) ও জাহাঙ্গীর আলম (৩৭) জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এই এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই মাসে প্রায় শতাধিক বিঘা আবাদী জমি, গাছপালার বাগান ও বাঁশঝাড় নদী গিলে খেয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়কটিও নদীতে চলে গেল। এভাবে ভাঙতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে ভিটা-বাড়িও নদীতে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: তিস্তা-ধরলা পাড়ে ভাঙন, সরকারি ভাতার বদলে বাঁধ চায় এলাকাবাসী
চর গোরকমন্ডল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার এই গ্রামে প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার বসবাস করে। তাছাড়া এ গ্রামে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি মাদরাসা, চারটি মসজিদ, একটি সরকারি আবাসন প্রকল্পসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০টি পরিবার ধরলার ভাঙনে ঘরবাড়ি ভেঙে নিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি পরিবার অন্য জায়গায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নিলে নদীর তীরবর্তী চর গোরকমন্ডল গ্রামটি হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, চর গোরকমন্ডল এলাকার নদী ভাঙন উদ্বেগজনক। ভাঙন প্রতিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে আবেদন করে সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মাত্র দুইশত জিও ব্যাগ প্রদান করেছে। যা দিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ, কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি
তিনি চর গোরকমন্ডল গ্রামটি ধরলার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা তিস্তাসহ যে সকল এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে আমরা সেইসব এলাকা পরিদর্শনসহ নদী ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা করছি। জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলমানও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
রাজধানীতে রেস্তোরাঁয় আগুন
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, রবিবার ভোর ৬টার দিকে উত্তর যাত্রাবাড়ীর ‘আরবেন রেস্টুরেন্টে’এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বায়তুস সমীর মার্কেটে আগুন
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
‘আকবর আলী ছিলেন ন্যায়বিচারের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, প্রশাসনিক সংস্কারক’
দেশের অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সমাজ ড. আকবর আলী খানের আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাকে প্রগতিশীল নীতি ও আলোকিত বুদ্ধির অধিকারী ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসা করেছেন।
বক্তারা বলেন, তার প্রথম পরিচয় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে এবং তার মৃত্যু সমাজের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
তারা আরও বলেন, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হওয়ার পাশাপশি তিনি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার চিন্তা করেছিলেন।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আকবর আলী খান আমলাতান্ত্রিক ফাঁদে আটকে থাকার পরিবর্তে তার জীবনে আত্মত্যাগের দর্শন প্রতিফলিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন:আকবর আলী খানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
বেসরকারি থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় বলেন, তিনি যে নীতিগুলো এখন রাষ্ট্রের প্রশাসনে খুব স্বাভাবিকভাবে গৃহীত হচ্ছে তার পক্ষে একটি ঐক্যমত প্রবর্তন এবং তৈরি করার পিছনে ছিলেন।এমনকি তিনি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাকে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে কখনও পিছপা হননি। বরং তিনি সর্বদা এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন।
পরিশেষে, তিনি বলেন, আকবর আলী খান সুশীল সমাজের একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি ছিলেন। চাকরি পরবর্তী জীবনে তিনি তার নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করতে কখনও দ্বিধাবোধ করেননি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আকবর আলী মনেপ্রাণে জ্ঞানের সন্ধানী ছিলেন, কিন্তু সমাজের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন নন।
জিল্লুর বলেছেন ,‘তার প্রথম বই ডিসকভারি অব বাংলাদেশ থেকে শুরু করে পরবর্তী অসংখ্য শিরোনাম পর্যন্ত, তিনি তার পাণ্ডিত্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন এবং তিনি পাঠকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে আগ্রহী ছিলেন। তার অপ্রচলিত শিরোনাম, তার যোগাযোগমূলক ভাষা যার মাধ্যমে তিনি জটিল অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন যে উভয়ই পাঠকদের আকৃষ্ট করে। এর মাধ্যমে লেখক হিসাবে তার দুর্দান্ত সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আকবর আলী কর্মজীবনে অনেক পথ অতিক্রম করেছেন: শিক্ষক, আমলা, মুক্তিযোদ্ধা, নীতিনির্ধারক, লেখক এবং গণবুদ্ধিজীবী। কিন্তু এই দীর্ঘ এবং ঘটনাবহুল জীবনযাত্রায় একটি ধ্রুবক হুমকি ছিল: সততা, সেবার জন্য উৎসর্গীকরণ এবং শেখার জন্য উন্মুক্ততা।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলী খান মারা গেছেন
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আকবর আলী পেশাগত জীবনে একজন আমলা ছিলেন, তবে তিনি এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না।
রায়হান বলেন, ‘আমলাতন্ত্রেও শ্রেষ্ঠত্বের ছাপ রেখে গেছেন আকবর আলী। তিনি সংস্কারেরও সূচনা করেছিলেন, যদিও আমরা জানি দেশের আমলাতন্ত্রের সংস্কার করা কতটা কঠিন। কিছু ক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে তিনি সফল হননি।’
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ছিল তার। উন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতিও অধ্যয়ন করেছেন তিনি। তার লেখায়ও এর প্রতিফলন ঘটেছে। ফলে দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়নের অধ্যাপক রায়হান বলেন, ‘এখন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে, আকবর আলীও এসব বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি যে এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি কথা বলেছেন তা নয়, তবে তিনি যা বলেছেন তার গভীরতা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আকবর আলী খান
বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বছরে ৩০ জন নারী শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার খরচ দেবে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে এফবিসিসিআই এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর পক্ষে উপাচার্য ড. রুবানা হক পাঁচ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীরা এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এ পড়ার সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি মো. জাসিম উদ্দিন বলেন, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে তৃণমূলের প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এফবিসিসিআই। এর মাধ্যমে সমাজে নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংগ্রহণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন সভাপতি।
সভাপতি বলেন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে শিল্পখাতের সঙ্গে শিক্ষাখাতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশেও এই সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। দক্ষ জনবল তৈরি ও শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ বাড়াতে এফবিসিসিআই’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বুয়েট ও নর্থ সাউথ এর সঙ্গে চুক্তি করেছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ চলছে।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হতদরিদ্র নারীরা বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে পড়াশুনা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এফবিসিসিআই’র
অন্তর্ভুক্তিকরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে কাজ করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া ১৯ টি দেশের প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম আনিসুল হকের শিল্পখাতে ব্যাপক অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও অসোসিয়েশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা ব্যবসায়ীরা সারাজীবন মনে রাখবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি। ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজন শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আহমেদ বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদেরকে পেছনে রেখে দেশ এগুতে পারবেনা। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষাকে সার্বজনীন করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন কামাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালকরা ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই-রিও ডি জেনিরো চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক
মুন্সীগঞ্জে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পশ্চিম ধামারণ বিলে শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় আরেক ভাগনে আহত হয়েছে।
নিহতরা হলো- মামা রবিউল হাসান (১৬), তার ভাগনি সানজিদা আক্তার (৯) ও ভাগনে লামিম হোসেন (১২)।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেতে বজ্রপাত, ৯ কৃষি শ্রমিক নিহত
আহত আরেক ভাগনে সিফাত হোসেনের (১৫) পা সমান্য পুড়ে গেছে।
নিহত লামিম ও আহত সিফাত গাজীপুরের বাস নির্মাণ ওয়ার্কসপের মিস্ত্রী কামাল হোসেনের ছেলে। আর সানজিদা তাদের খালাতো বোন। সে মাদরাসার শিক্ষার্থী। সানজিদার বাবার নাম সাইফুল হোসেন। একই উপজেলার সোনারং গ্রামে তারা বসবাস করতো।
মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। আর নিহত রবিউল তাদের মামা। সে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্বজনরা জানায়, সিফাত আহতাবস্থায় দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর জানালে স্বনজরা তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এএসএম ফেরদৌস জানান, তারা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। তবে তাদের শরীরে পুড়ে যাওয়ার কোন চিহ্ন পওয়া যায়নি।
এছাড়া বেঁচে যাওয়া সিফাত বিকট শব্দের কারণে এখনও স্তব্ধ অবস্থায় রয়েছে। সে নানা বাড়িতেই আছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করা হলেও তার বিশেষ চিকিৎসা প্রয়োজন।
স্বজনদের বুকফাঁটা আর্তনাদ ও আহাজারিতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়।
টঙ্গীবাড়ির দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, অসচেতনতা আর অবেহেলাই এমন করুণ মৃত্যুর কারণ। বৃষ্টি বাদলের মধ্যে শিশুদের কোনভাবেই বিলে যেতে দেয়া ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে বজ্রপাতে নানা-নাতির মৃত্যু
‘প্রতিদিন এক জনের ৮০০ ডলারের অক্সিজেন লাগে’
পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, একজন মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকলে ওই হিসাব অনুযায়ী ৮০০ ডলার লাগে প্রতিদিন। সে কারণেই প্রত্যেকের পরিবেশ সুন্দর রাখার ব্যবস্থা করা উচিত।শনিবার রাজধানীর নটরডেম কলেজে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব’ আয়োজিত প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসুন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের পরিবেশটাকে সুন্দর রাখা দূষণমুক্ত করে তোলা, নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব এই বার্তাটিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রকৃতি, বন, পরিবেশ এই নিয়েই আমাদের জীবন। আমরা বাতাসের মধ্যে থাকি কিন্তু বাতাস যতক্ষণ বন্ধ না হয় ততক্ষণ আমরা টের পাই না। আমরা এতো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছি যে সারা বিশ্বকে বহুবার ধ্বংস করে দেয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু জীবনের জন্য অত্যাবশ্যক অক্সিজেন তৈরি করতে পারিনি।
আরও পড়ুন:ছাত্র রাজনীতি থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা ভাবতে পারি প্রতিদিন যে অক্সিজেন আমরা বিনা পয়সায় পেয়ে যাচ্ছি, তা কিন্তু প্রকৃতি আমাদের দিচ্ছে। একইসঙ্গে গাছের কথা বলি —গাছ শুধু অক্সিজেন দিচ্ছে তাই নয়, কার্বনডাই অক্সাইডও দিচ্ছে। তাহলে এর চেয়ে পরম বন্ধু আর কে হতে পারে? বলা হয়ে থাকে খাবার না খেয়ে ২১ দিন থাকা যায়, পানি পান না করে দিন তিনেক থাকা যায়, কিন্তু অক্সিজেন ছাড়া মিনিট তিনেক আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবো না, কতজন তা মনে করে গাছ লাগাই? আমরা প্রতিদিন ৮০০ ডলার মূল্যের অক্সিজেন গ্রহণ করছি। সে কারণেই গাছের যত্ন নিতে হবে একইসঙ্গে পানির যে আধার পুকুর, নদী, খালসহ যেসব জলাধার আছে সেগুলোরও যত্ন নিতে হবে। আমরা খুবই বেখেয়ালিভাবে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলি, সেগুলো আবার আমাদেরই তৈরি। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা কেউ ভাবি না। প্রত্যেকে যদি নিজের ময়লাটা সঠিক জাগায় ফেলে তাহলে পৃথিবীতে একটি বিশাল কাজ হয়ে যায়। আমাদের কারও দরকার নেই অন্য আরও ১০ জনের ময়লা ফেলা, নিজে যেটুকু তৈরি করছি সেটুকুই সঠিকভাবে ব্যবস্থপনা করি, তাহলেই হয়ে যায়। একইভাবে গাছের ক্ষেত্রেও আমরা যতটুকু অক্সিজেন গ্রহণ করি ততটুকুর জন্য চেষ্টা করি।প্রসঙ্গত, প্রতিদিন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ভালোবাসুন’ এই স্লোগান নিয়ে নটরডেম ন্যাচার স্টাডি ক্লাব’ সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন:২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন: শিক্ষামন্ত্রী
এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৯৪
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ২৯৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
এদের মধ্যে ২৪৪ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৫০ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ২৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৮৪৯ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৭৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৪৫ জন হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট আট হাজার ৩৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ছয় হাজার ৮৩২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে সাত হাজার ৩৩৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৭০ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ৩৬৫ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৩২ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের প্রাণহানি
খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার ‘অর্থনীতির শত্রু’ হিসেবে খ্যাত খেলাপি ঋণ-এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণ খেলাপি মামলাজট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলছে।
শনিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ১৪৭তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার অভাবেই মামলাজট: আইনমন্ত্রী
তিনি বলন, গত প্রায় সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়া বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমাদের অবশ্যই ঋণ খেলাপি মামলাজট খুলতে হবে এবং এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলার পক্ষগণের অনাগ্রহের কারণে এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না। ঋণ খেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে-এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপন রোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যায়বিচারের সঙ্গে সামাজিক অপরাধ, রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা ও নাগরিক জীবনের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকারগুলো নিবিড়ভাবে জড়িত। তাছাড়া ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন ব্যতিত রাষ্ট্রের প্রকৃত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায় না।
মামলাজটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, দেশের আদালতগুলোতে দায়েরকৃত সিভিল মামলার অর্ধেকেরও বেশি ভূমি সম্পর্কিত। অনেক ফৌজদারি মামলার মূলেও রয়েছে ভূমি বিরোধ। এসব মামলার বিচার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাখ লাখ বিচারপ্রার্থীকে আদালতে ধরা দিতে হয়। এতে যে কেবল তাদের সময় ও অর্থ অপচয় হচ্ছে তা নয়, মূল্যবান কর্মঘণ্টাও নষ্ট হচ্ছে। যেসময়ে তাদের উৎপাদনের কাজে থাকার কথা, সেসময় আদালতের বারান্দায় ঘুরেঘুরে বিচার পাওয়ার প্রহর গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন বিচারকগণ, বিচারকগণ এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিবেন এবং জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদান করে তাদের বিচার পাওয়ার দুর্ভোগ লাঘব করবেন।
প্রশিক্ষণার্থী বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারা জীবনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এমন এক স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গতিশীল বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন-যেখানে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং অসহায় মানুষ স্বল্প খরচে দ্রুত ন্যায়বিচার পাবে। বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন- বিচারক হিসেবে আপনাদের ওপরই নির্ভর করে। এই নির্ভরতা আপনাদেরকে যেমন দায়িত্বশীল করেছে, তেমনি মর্যাদাবানও করে তুলেছে।
তিনি বলেন, আপনাদের দায়িত্ব পালনে আমরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছি মাত্র। আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, দক্ষতার সঙ্গে সুচারুরূপে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনাদের দাপ্তরিক সমস্যার যুক্তিসঙ্গত সমাধানসহ পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোটাও অপরিহার্য। আর পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। সেকারণে আমরা দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করে যাচ্ছি।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২২২
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে নতুন করে ২২২ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩৩২ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৮
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৫৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৮
এ সময় শনাক্তের হার আট দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫৪ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আর এক মৃত্যুশূন্য দিন, শনাক্ত ২৮২
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা ঢাকায় গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার রাতে রাজধানীর আদাবর এলাকার রিং রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস, ভিপি শামিম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ সুইট ও কাজিপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ কবির চান্দু।
আরও পড়ুন:রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন শেষে সিরাজগঞ্জ শহরের নবদ্বীপ পুল এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চুসহ ১১৫ নেতাকর্মীর নামে পুলিশ বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করে।
ওসি বলেন, মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা হয় এবং রাতেই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার আদাবর এলাকায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রিং রোড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে দৃশ্যমান কোনো অর্জন নেই: বিএনপি
বগুড়ায় একই স্থানে আ. লীগ-বিএনপির সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি