বাংলাদেশ
বাংলাদেশ তার কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত: নিউইয়র্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ তার অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং এ ক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে দাবী করেন।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান (জিএপি) মিনিস্ট্রিয়ালের উদ্বোধনী অধিবেশনে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী অতিমারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও মোকাবিলা (পিপিআর)-এর জন্য বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি গঠিত ফিনান্সিয়াল ইন্টারমিডিয়ারি ফান্ড গঠনের এর উদ্যোগটিকে স্বাগত জানান এবং এ তহবিল কার্যকরভাবে স্বাস্থ্যখাতের চলমান বিভিন্ন বিনিয়োগের সমন্বয়কের ও পরিপূরকের ভুমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও তিনি একটি প্লেবুক তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যেখানে দেশগুলো ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য হুমকির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন,স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ও বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. লেমোগাং কোয়াপে যৌথভাবে কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান মন্ত্রী পর্যায়ের সভা আয়োজন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের গোলাবর্ষণ ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’: নিউইয়র্কে মোমেন
যার লক্ষ্য হচ্ছে, কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বজায় রাখতে ও শক্তিশালী করতে অংশীদারদের একত্র করা।
জাপান, সৌদি আরব ও থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মহাপরিচালক বৈঠকে অংশ নেন।
এছাড়া ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, নরওয়ে, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এতে যোগ দিয়েছিলেন।
এসময় ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ব্যববস্থাপনায় অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এই সাফল্যের মূলে রয়েছে জীবন রক্ষার পাশাপাশি জীবিকার সংস্থান অব্যাহত রাখা, অতিঝুঁকিপূর্ণদের জন্য বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করা এবং লাগসই প্রনোদনা প্রদানের মাধ্যমে অতিমারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির দ্রুত পুনর্গঠন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত সময়সূচি: মোমেন
টিকা ও অন্যান্য কোভিড সামগ্রী সহজলভ্য করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে গঠিত ও পরিচালিত অ্যাক্ট-এ এবং কোভ্যাক্স এর মতো বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মগুলোর প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত বহুপক্ষীয় উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোভিড অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায় নি মনে করিয়ে দিয়ে তিনি টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিকাকে ‘বৈশ্বিক গণ পণ্য’- হিসেবে ঘোষণা করা এবং বৈষম্য ছাড়াই সকল দেশের মাঝে বিতরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে জানা যায়, সভা শেষে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং অগ্রগতির রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়।
বিবৃতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ৬ টি মূল কর্মপরিকল্পনার আলোকে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের হালনাগাদ অগ্রগতি এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, মহামারি চূড়ান্তভাবে মোকাবিলায় অবশিষ্ট পদক্ষেপ সমূহ গ্রহণ করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকি প্রতিরোধ করতে আরও উন্নত ও কার্যকরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা কাঠামো তৈরিতে গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের অংশীদারদের সমন্বিত প্রয়াস চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: র্যাবের অনুমোদনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি: নিউইয়র্কে মোমেন
খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার ফুলতলার আইয়ান জুট মিলে লাগা আগুন দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেজেরডাঙ্গা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীর গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের এডি ফারুক হোসেন শিকদার জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে হঠাৎ করে জুট মিলের তিন নম্বর গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে রেস্তোরাঁয় আগুন
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে কী পরিমাণ পাট ছিল এবং কী পরিমাণ পাট পুড়ে গেছে তা জানা যায়নি।
জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী ও শিশুসহ গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বিগত বছরের মতো এবারও তিনি বাংলায় বক্তব্য দিয়েছেন। এ বছরের সাধারণ বিতর্কের থিম হল ‘এ ওয়াটারশেড মোমেন্ট: ট্রান্সফর্মেটিভ সলুশনস টু ইন্টারলকিং চ্যালেঞ্জেস’।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব একটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বরং সমস্ত দেশের জনগণের জীবন ও জীবিকাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে এবং তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মানুষ খাদ্য,বাসস্থান,স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিবেকবান অংশের কাছে আমার আবেদন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করুন। শিশুদের খাদ্য, শিক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একই গ্রহে বাস করি এবং আমরা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটিকে আরও ভালো অবস্থায় রেখে যাওয়ার জন্য দায়বদ্ধ।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সংলাপ হচ্ছে সংকট ও বিরোধ নিরসনের সর্বোত্তম উপায়।’
এ প্রসঙ্গে তিনি ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ’- গঠনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গ্রুপের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে, আমি বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সঙ্কটের গভীরতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বৈশ্বিক সমাধান নিরূপণ করতে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটি (যুদ্ধ) আমাদের মতো অর্থনীতিকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ফেলেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা (বাংলাদেশ) বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও এর বাইরেও প্রভাব ফেলতে পারে
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গত মাসে বাংলাদেশ ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ থেকে বাংলাদেশে অভিবাসনের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারকে সহায়তা করার জন্য ত্রিপক্ষীয় বিন্যাসে অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও একটি রোহিঙ্গাকেও তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন উপস্থিতির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। মানব ও মাদক পাচারসহ আন্তঃসীমান্ত সংগঠিত অপরাধ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘সমস্যাটি অব্যাহত থাকলে এটি সমগ্র অঞ্চল ও এর বাইরেও নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কর্মকাণ্ড প্রচার করুন
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
তিনি বলেন, ‘অতীতে আমরা প্রতিশ্রুতি দেয়া এবং ভঙ্গ করার একটি দুষ্ট চক্র দেখেছি। আমাদের এখন এই পথ পরিবর্তন করতে হবে।’
বাংলাদেশের বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে সরকার প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব মোকাবিলায় অনেক রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, “ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি থাকাকালে আমরা ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রস্পারিটি প্লান’ গ্রহণ করি, যার লক্ষ্য হল বাংলাদেশকে ‘ঝুঁকির পথ থেকে জলবায়ু সহনশীলতা ও জলবায়ু সমৃদ্ধির টেকসই পথের’ দিকে নিয়ে যাওয়া।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কিত আমাদের জাতীয় পরিকল্পনা এবং নীতিগুলি লিঙ্গ প্রতিক্রিয়াশীল এবং অভিযোজন এবং প্রশমনে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিবেচনা করে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তাদের নিজস্ব সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বিকাশের জন্য অন্যান্য দুর্বল দেশগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। আমি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
সন্ত্রাস ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার প্রতি বাংলাদেশের 'জিরো টলারেন্স' অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূখণ্ড কোনো পক্ষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অন্যদের ক্ষতি করার জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দিই না।’
সাইবার-অপরাধ এবং সাইবার-সহিংসতা মোকাবিলায় একটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যতামূলক যন্ত্রের সমাপ্তির জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ
একটি দায়িত্বশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার নিজস্ব জনগণের মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটি সামগ্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি গ্রহণ করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত ও অর্থ, জ্বালানি ও জ্বালানি সংকট প্রতিরোধে রূপান্তরমূলক সমাধান খুঁজতে আগ্রহী যা বিশ্ব এখন মোকাবিলা করছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
ফিলিস্তিনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অধিকৃত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
তিনি ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য সংক্ষেপে বর্ণনা করে তিনি বলেন, আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগ্য জনসংখ্যার শতভাগ টিকা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে এর সাফল্য এবং লিঙ্গ বৈষম্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
মিয়ানমার যুদ্ধবিমান থেকে বাংলাদেশে গুলি, সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক
মর্টার শেল ছোড়ার কয়েকদিনের মধ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান এবার বাংলাদেশের দিকে গুলি ছুড়েছে, এতে সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য দিল মোহাম্মদ আলম জানান, শুক্রবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি ১০-১৫টি গুলি ছুড়ে। গুলিবর্ষণের পাশাপাশি সারাদিন বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণের শব্দও ভেসে এসেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমির হামজা বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির অন্যান্য পিলারে গুলি ও মর্টার শেল ছোড়ার শব্দ আপাতত বন্ধ থাকলেও ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার পয়েন্টে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ হয়নি।
সীমান্তের এই অংশে মাঝে মাঝে গুলিবর্ষণের শব্দ হচ্ছে থামার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এতে এলাকায় বসবাসকারী আমরা সবাই আতঙ্কে আছি ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
সূত্র জানায়, স্থানীয়রা সকাল ৮টা, বিকাল ৫টা ১০ মিনিট, বিকাল ৫টা ২৮ ও সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার ফর এডভ্যান্স রিসোর্স ইন আর্টস অ্যান্ড সোস্যাল সাইন্স অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ‘নবীনবরণ এবং কৃতি সংবর্ধনা ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোলা জেলার চর কুকরি- মুকরিতে যখন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্বোধন করেন, তখন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী তরুণদের পাশাপাশি একজন তরুণীকে উদ্যোক্ত হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। বর্তমানে ৮ হাজার ৩৬৩ টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজারের বেশি তরুণ তরুণী উদ্যোক্ত হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম ক্যাশ-লেস ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: পলক
পলক বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রতিমাসে ১ কোটি মানুষ এসব সেন্টার থেকে সেবা গ্রহণ করছে। সাড়ে ৬লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছে।
প্রতিমন্ত্রী মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে আগামী দিনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন নাটোর ছাত্র কল্যাণ সমিতিকে প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদের কল্যাণে জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার হবে।পরে তিনি নাটোর জেলার ৭ উপজেলার ৭ জন কৃতিশিক্ষার্থীর মাঝে বিশ্বজের হাতিয়ার ল্যাপটপ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য,বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাব্বির সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি এড. কোহেলী কুদ্দুস, মুক্তি,ঢাকা বিশ্ববিশ্বদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু সহ অন্যান্য অতিথিরা।
আরও পড়ুন: যে দেশ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারবে না তারা পিছিয়ে পড়বে: পলক
বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
জয়পুরহাটের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার পাঁচশিরা-মোলামগাড়ি সড়কের মহিরোম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৬৬) এবং তার নাতি শাকিব হোসেন (৫)।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় নানীর কোলে নাতনীর মৃত্যু!
স্থানীয়রা জানান, শিকটা উত্তরপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তার নাতি শাকিবসহ শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাটারিচালিত একটি অটোভ্যানে করে মোলামগাড়িহাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মহিরোম গ্রাম এলাকায় পৌঁছালে কালাই উপজেলা সদরের দিক থেকে আসা আলুবোঝাই একটি ট্রাকের ধাক্কায় ভ্যান থেকে নিচে পড়ে যান তারা। এসময় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
কালাই থানার পরিদর্শক (ওসি) মঈনুদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও এর চালক ও হেলপার (সহকারি) ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এল সালভাদরে ভূমিধসে ৭ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
ভোলায় কোমড় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
ভোলায় কোমড়ে জোড়া লাগানো যমজ দুই মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে এই দুই মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়েছেন মনি মুক্তা (২২) নামের এক নারী।
মনি মুক্তা ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলসম্যান।
মুক্তার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে তার স্ত্রীকে শহরের বন্ধন হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ১টার দিকে গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাত ই আলমের অস্ত্রোপাচারের (সিজার) মাধ্যমে মনি মুক্তা জোড়া লাগানো যমজ দুই শিশুর জন্ম দেন। শিশু দুইটির কোমরের অংশে জোড়া লাগানো।
আরও পড়ুন: পাবনায় জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম
তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে তিনি মনি মুক্তাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে তাকে জানিয়েছিল গর্ভে যমজ শিশু দুইটি রয়েছে। তারা গর্ভে উল্টো অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার দুপুরে মনি মুক্তাকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। অস্ত্রোপাচার করা ডাক্তার সর্বশেষ রিপোর্ট দেখে একই কথাই জানিয়েছিলেন। তবে যমজ বাচ্চা দুইটির কোমরের অংশে যে জোড়া লাগানো তা কোনো রিপোর্টেই আসেনি।
তিনি আরও জানান, সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু দুটি সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান। তার চার বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে শিশু রয়েছে।
অস্ত্রোপাচার করা চিকিৎসক ডা. জান্নাত ই আলম গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নারীদের গর্ভে সন্তানের অবস্থান কেমন সেটা জানতে হলে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা থাকাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। তাহলে বাচ্চা জোড়া লাগানো কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়। মনি মুক্তা যথাসময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেনি। তার আল্ট্রাসনোগ্রামে বিলম্ব ছিল। যার ফলে তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ শিশু থাকার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু শিশু দুইটি যে জোড়া লাগানো তা আসেনি।
এ চিকিৎসক আরও জানান, বর্তমানে নবজাতক দুইটি ও তাদের মা মনি মুক্তা সুস্থই আছেন।
বন্ধন হেলথ কেয়ার এর পরিচালক সাদ্দাম জানান, যমজ নবজাতক ও প্রসূতি মা ভালো আছেন। যমজ জোড়া লাগানো নবজাতক শিশু দুটোর উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মায়ের পাশে ঘুমন্ত যমজ শিশুর লাশ মিলল পুকুরে
কুষ্টিয়ায় জন্মের ৩ ঘণ্টা পর জোড়া লাগানো যমজ শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষককে তিনদিনের রিমান্ড এবং অন্য তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
নিহত তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪)পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে এবং নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২০) একই এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে। এবং বাকি গ্রেপ্তাররা হলেন-সুধারামপুর থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার অজি উল্যাহের দুই ছেলে ইসরাফিল (১৪), সাঈদ (২০)ও ইমাম।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে শিক্ষকের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুর রহিম রনির ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদ রনির তিনদিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্যাক্তকারী কিশোর ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখে তাকে এঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে ওই স্কুলছাত্রী রনির কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হলেও রনি ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় আসা যাওয়া করতো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন একসময় ওই ছাত্রীর ঘরে গিয়ে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা দামাচাপা দেয়ার জন্য ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ঘরের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু ঘরে থাকা কোন মূল্যবান জিনিস বা স্বর্ণালংকার সে নেয়নি।
এসপি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পারিবারিক বা অন্যকোন বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, রনি ও ইসরাফিলকে হত্যা মামলা এবং সাঈদ ও ইমামকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত, ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে স্থানীয় একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর তালাবদ্ধ ঘরে গলাকাটা ও অর্ধনগ্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
স্বামীকে ছেড়ে দেবরকে বিয়ে: নারীকে গলাকেটে হত্যা, সাবেক স্বামী আটক
আরআরএফ'র নতুন সভাপতি বাদল, সম্পাদক বাবলু
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের উবায়দুল্লাহ বাদলকে সভাপতি ও নিউ নেশনের কামরুজ্জামান বাবলুকে সাধারণ সম্পাদক করে রিলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) দু’বছর মেয়াদী (২০২২-২০২৪) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ধর্মীয় বিটে কর্মরত রিপোর্টারদের এ সংগঠনটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সবার সম্মতিতে ১৩ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের নেতৃত্বে নাজমুল-মাসুদ
আরআরএফ'র বিদায়ী সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার প্রথম পর্বে সংগঠনের গত দুই বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল। একই সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলু ও অর্থ সম্পাদক রকিবুল হক তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত সদস্যদের সবার সম্মতিতে নতুন কমিটি গঠিত হয়।
নবগঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি রাশিদুল হাসান (ডেইলি স্টার), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আকবর হোসেন (বাংলা ট্রিবিউন), অর্থ সম্পাদক শাহ আলম নূর (এশিয়ান এজ), সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ (বাংলাদেশ প্রতিদিন), দপ্তর ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক বাহরাম খান (সমকাল)।
এছাড়া কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়া (নয়াদিগন্ত), শামসুল ইসলাম (ইনকিলাব), মহসীনুল করিম লেবু (অবজারভার), মিয়া হোসেন (দৈনিক সংগ্রাম), রকিবুল হক (আলোকিত বাংলাদেশ) ও নিয়াজ মাখদুম (বাংলাভিশন)।
আরও পড়ুন: বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল, সম্পাদক মিনারুল
পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সৎ বাবা গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সৎ ছেলেকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মাহবুব রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার রূপগঞ্জ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আহত রনি ওই গ্রামের নাসিরুল ইসলামের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রির সহকারী শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
অভিযুক্ত মাহবুব রহমান (৪৫)ওই গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।
আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপির সহিংসতায় দুই মামলায় সহস্রাধিক আসামি, গ্রেপ্তার ২৪
জানা যায়, মাহবুব রহমান ওই গ্রামের নাসিরুল ইসলামের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী নূর নাহার বেগমকে বিয়ে করেন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে রনি নূর নাহার বেগম ও সৎ বাবা মাহবুব রহমানের সঙ্গে বসবাস করত।
বৃহস্পতিবার বিকালে সৎ বাবা মাহবুব রহমান রনির কাছে টাকা চায়। রনি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মাহবুব দা দিয়ে রনিকে এলোপাথারি কোপায়। এসময় চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে রনিকে উদ্ধার করে। মাহাবুব পালানোর চেষ্টা করলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাহবুবের ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, স্থানীয় লোকজন রনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রনির বাবা নাসিরুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী থানায় অভিযুক্ত মাহবুব রহমানসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
তিনি জানান, আসামিকে ঠাকুরগাঁও জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৮ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার