বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে বিশ্ব শান্তির ওপর গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকালে (নিউইয়র্ক সময়ানুযায়ী) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব নিয়ে তার ভাষণ দেবেন।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। আমরা বলব যে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলব যে কোনো ধরনের সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার সর্বোত্তম উপায় হল সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তার (প্রধানমন্ত্রী) বক্তব্য জলবায়ু সমস্যাও তুলে ধরবে। তিনি এর সাথে যোগ করেন, বাংলাদেশ আশা করে যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ীরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বহুপাক্ষিকতা প্রচারেরও আহ্বান জানাবেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বে শীর্ষ সফল দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠার ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথাও প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিচ্ছে। আমরা মানুষকে একটি বাড়ি ও একটি জীবন দিচ্ছি। আমরা বিশ্বকে দেখাব যে আমরা বেশ ভালো কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-কম্বোডিয়া এফটিএ চুক্তিতে সম্মত
এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন নিউইয়র্কে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের জন্য বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসস্থানের কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে কম্বোডিয়ান প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এই প্রস্তাবে সম্মত হন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানির বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে কম্বোডিয়ায় কৃষি ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়া হুন সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন যে কম্বোডিয়া, আসিয়ানের সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।
মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার ও এর উদার বিনিয়োগ নীতিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই।’
লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের পলিসি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি উদার বিনিয়োগ নীতি আছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদেশী বিনিয়োগ সুরক্ষা, কর অবকাশ, রয়্যালটির জন্য রেমিটেন্স, অনিয়ন্ত্রিত প্রস্থান নীতি, লভ্যাংশের সম্পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, প্রস্থানের ওপর মূলধন এবং অন্যান্য সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আসুন আমরা আবারও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশীদারিত্বের জন্য হাত মেলাই।’
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বেশ কয়েকটি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে। ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সিং আইটি পেশাদার থাকার কারণে বাংলাদেশ আইটি বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য।
তিনি বলেন, ‘অধিকন্তু, প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে দক্ষ মানবসম্পদ বাংলাদেশে একটি অতিরিক্ত সুবিধা। এমনকি যদি প্রয়োজন হয়, আমরা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিবেদিত 'বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল' প্রস্তাব করতে পারলে খুশি হব। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উতরে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ও রপ্তানি ক্ষেত্র বাড়ানোর জন্য দেশটির পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চ্যালেঞ্জিং প্রচেষ্টায় আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশীদার হতে পারে।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী দেশ। কৌশলগত অবস্থানটি এই অঞ্চলের একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হওয়ার অসাধারণ সম্ভাবনা প্রদান করে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চার বিলিয়ন মানুষের সম্মিলিত বাজারের মাঝ অবস্থানে আছে। প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাবিকাঠি। বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তৃতীয় বৃহত্তম সবজি উৎপাদনকারী, চতুর্থ বৃহত্তম ধান উৎপাদনকারী এবং পঞ্চম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্য উৎপাদনকারী।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অংশগ্রহণকারীদের সাথে ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক কূটনীতি চালিয়ে যাবে। আমরা ক্রমাগত আমাদের ভৌত, আইনি ও আর্থিক অবকাঠামো উন্নত করছি এবং দেশে যোগাযোগ উন্নত করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর সমাপ্তি অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক উভয় ধরনের সংযোগ বৃদ্ধি করেছে। ঢাকা মেট্রোরেল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে দ্রুত অভ্যন্তরীণ গতিশীলতা যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা এবং আইসিটি ক্ষেত্রে একটি অনুকরণীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে। আইএলও রোডম্যাপ উদ্বেগ মোকাবিলার জন্য কর্মের একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও সময়রেখা প্রদান করে এবং শ্রম খাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার পরামর্শ দেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার এই সেক্টরে ক্রমাগত উন্নতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে ব্যাপকভাবে যুক্ত রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান যে বাংলাদেশে ১২১ মিলিয়ন মানুষ কমপক্ষে দুটি ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি মহামারি মোকাবিলায় দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতা দেখিয়েছে।’
তিনি কোভ্যাক্স এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দান করার জন্য মার্কিন সরকারের আন্তুরিক প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
গলায় ফাঁস দিয়ে চাঁদপুরে শিশুর আত্মহত্যা!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে ১২ বছরের এক শিশুর আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লাউতলী এলাকায় নিজবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: টিভি দেখতে না করায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে শিশুর আত্মহত্যা!
নিহত তারেকুল ইসলাম উপজেলার লাউতলী গ্রামের রিকশাচালক রুবেল হোসেনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: এসএসসির বাংলা ১মপত্র খারাপ হওয়ায় খুলনায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ হোসেন জানান, শিশুটির বাবা প্রতিদিনের মতো রিকশা নিয়ে সকালে বাহিরে যান। তার মা বাড়ির পাশে সবজি খেতে শাক তুলতে গেলে কোনো এক ফাঁকে সে গলায় ফাঁস দেয়। খবর পেয়ে তার বাবা বাড়িতে এসে ছেলেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম, বেঁচে রইল না কেউ
বিয়ের ১০ পর একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সালেমা খাতুন। কিন্তু বিধিবাম, পাঁচ সন্তানের একজনও বেঁচে রইলো না। সবাইকে কাঁদিয়ে তারা চলে গেলো না ফেরার দেশে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এ্যাপোলো ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন গৃহবধূ সালেমা। প্রসবের কিছুক্ষণ পর একে একে পাঁচ সন্তানই মারা যায়। তবে প্রসুতি সালেমা খাতুন সুস্থ আছেন।
সালেমা খাতুন (২৭) উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস বলেন, বাচ্চাদের বয়স সাড়ে চার মাস ছিল। মূলত জরায়ুর সমস্যার কারণে প্রসব করেন তিনি। একটি মেয়ে, দুটি ছেলে এবং বাকি দুটি একসঙ্গে জোড়া থাকায় চিহ্নিত করা যায়নি। প্রসুতি সালেমা খাতুন চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন।
সালেমার খাতুনের স্বামী ঝন্টু মিয়া বলেন, বিকালে স্ত্রীর পেট ব্যথা হলে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। এরপরই একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ সন্তানই আল্লাহপাক ডাকে সাড়া দিয়েছে। বিয়ের ১০ বছর পর সন্তানের মুখ দেখলাম। কিন্তু কেউ বেঁচে রইল না। বর্তমানে আমার স্ত্রী সুস্থ আছেন।
এ্যাপোলো ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মামুন আর রশীদ বলেন, সন্ধ্যার আগে স্বামীর সঙ্গে ওই প্রসুতি বিকালে পেট ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। ক্লিনিকে ঢোকার পরই প্রথমে একটি সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসকের সহযোগিতায় বাকি চার সন্তান প্রসব করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
সাফজয়ী ফুটবলারদের লাগেজ ডেলিভারি সম্পর্কে বিমান যা বললো
সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের দুই সদস্যের ব্যাগ থেকে টাকা চুরি যাওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে বিবৃতি দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
তারা জানিয়েছে, বিমানবন্দরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তারা এ অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিনিধি ও খেলোয়াড়রা অক্ষত অবস্থায় তাদের লাগেজ বুঝে নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: চীনের গুয়াংজু রুটে বিমানের পরবর্তী ফ্লাইটের টিকিট বিক্রয় শুরু
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাঠমান্ডু-ঢাকা ফ্লাইটে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২২ এর বিজয়ী নারী ফুটবল দলের সম্মানীত খেলোয়াড়দের লাগেজ থেকে টাকা ও মালামাল খোয়া যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
গতকাল কাঠমান্ডু-ঢাকা রুটের বিজি-৩৭২ ফ্লাইটটি দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটির ব্যাগেজ ৮নং ব্যাগেজ বেল্টের মাধ্যমে ২টা ১০ মিনিটে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে ডেলিভারি দেয়া হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা লাগেজগুলো সঠিক অবস্থায় বুঝে নেন। লাগেজগুলো বুঝে নেয়ার সময় লাগেজ থেকে কোন কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বাফুফের প্রতিনিধিরা লাগেজগুলো দুটি কাভার্ড ভ্যানে তুলে এয়ারপোর্ট এরিয়া ত্যাগ করেন। আজ ২২ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্টস্থ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে এয়ারপোর্টে বর্ণিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উল্লিখিত বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করার জন্য সকলকে অনুরোধও করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: কলকাতা বিমানবন্দরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ফ্লাইটে আটকে ছিলেন ১৫৮ যাত্রী
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলায় বিশ্বের নিষ্পত্তিমূলক রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পদক্ষেপ প্রয়োজন যা কয়েক লাখ মানুষের জীবন নষ্ট করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এটি (অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স) একটি সমস্যা, যা একটি সংকটে পরিণত হতে পারে। এটি বিশ্বব্যাপী কয়েক লাখ মানুষের জীবন নিতে পারে। এটা যাতে না ঘটে তার জন্য আমাদের টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের লেক্সিংটন হোটেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আরও কিছু করা দরকার। কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাদের ‘এক স্বাস্থ্যনীতি’ পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার।’
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৫০টি দেশে ইতোমধ্যেই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ে তাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। ‘নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থপূর্ণ সমর্থন প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড এক্ষেত্রে ভালো উপায় হতে পারে।
তিনি জানান, ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের জন্য বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করা দরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে এই প্রসঙ্গে কথা বলছে। ‘এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগের মাধ্যমে প্রাথমিক রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে পারে।’
তিনি উদ্বেগের প্রধান কারণ হিসেবে গবেষণার অভাব, নতুন ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার উদ্ভাবনের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, এ জন্য বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স নিয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। নভেম্বর মাসে বার্ষিক বিশ্ব সচেতনতা সপ্তাহ তার জন্য একটি উপযুক্ত উপলক্ষ। এসডিজি-এর জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের সূচক তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সূচকগুলোর প্রতিবেদন মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাণীর স্বাস্থ্য, খাদ্য ব্যবস্থা ও পরিবেশকে প্রভাবিত করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের নীতি বিকাশে সহায়তা করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে সাফজয়ী ফুটবলারদের পুরস্কারে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ার কাহালুতে পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের কাউরাস গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সেলিম হোসেন (২৮) ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তার দেড় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে সেলিমকে ওই পুকুর পাড়ে সবজির বাগানে কাজ করতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন। কৈতারা পুকুরটি সরকারি খাস। পুকুরটি সমিতির নামে লিজ নেয়া হলেও সেটি ওই গ্রামের জনৈক হাসান মাস্টার সাব-লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ওই পুকুরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া আছে।
আরও পড়ুন: থানার পাশে থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার!
সম্ভবত বিদ্যুতায়িত হয়ে সেলিমের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন জানান, গ্রামবাসী রাতে পুকুরে সেলিমের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে কাহালু থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে রাতেই থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
প্রাথমিকভাবে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: নৌকাবাইচ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ: চাচা-ভাতিজাসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ফরিদপুরে পৃথক স্থান থেকে ২জনের লাশ উদ্ধার
প্রতিকেজি পাম তেলের দাম ১২ টাকা ও চিনির দাম ৬ টাকা কমল
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি প্যাকেট চিনির দাম কেজি প্রতি ৮৯ টাকা, খোলা চিনি ৮৪ টাকা এবং পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সুপারিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগের বিষয় বিটিটিসির সুপারিশ অনুযায়ী, মিলগেটে প্রতি লিটার পাম সুপার (খোলা) তেল বিক্রি হবে ১২৮ টাকায়, পরিবেশকরা বিক্রি করবে ১৩০ টাকায় এবং খুচরা বা ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি করবে ১৩৩ টাকায়।
প্রতি কেজি খোলা চিনি মিলগেটে ৭৯ টাকায়, পরিবেশক পর্যায়ে ৮১ টাকায় এবং খুচরা পর্যায়ে ৮৪ টাকায় বিক্রি হবে।
আর পরিবেশকরা মিলগেটে ৮২ টাকায় প্যাকেটজাত চিনি কিনে ভোক্তাদের কাছে ৮৪ টাকায় বিক্রি করবেন।
আজ পর্যন্ত খুচরা বাজারে পাম সুপার অয়েলের (খোলা) দাম লিটারপ্রতি ১৪৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সে অনুযায়ী পাম তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা এবং চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা কমেছে।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আগে বিটিটিসির প্রতিবেদন চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
পিকে হালদারকে কি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেবে ভারত?
দেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে পারে ভারত। চলতি বছরের শুরুর দিকে পশ্চিমবঙ্গের ফেডারেল অর্থনৈতিক অপরাধ সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হালদারকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারের আরও দুই নারী সহযোগী আটক
উচ্চপদস্থ একটি সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ‘যেহেতু ইন্টারপোল গত বছর হালদারের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল, তাই ইডি শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারে।’
ইডি চলতি বছরের মে মাসে কলকাতা এবং এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে একাধিক অভিযান চালিয়ে হালদার এবং তার দুই সহযোগী প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারকে গ্রেপ্তার করে।
ইডি তখন এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পিকে হালদার বিভিন্ন সরকারি পরিচয় জালিয়াতি করে সবশেষে শিবশঙ্কর হালদার নামে একজন ভারতীয় নাগরিক পরিচয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন…।’
ইডি আরও জানায়, এই তিনজনই জাল নথির ভিত্তিতে ভারতীয় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিল।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিচার শুরু