বাংলাদেশ
শকুন রক্ষায় এশিয়ায় এগিয়ে বাংলাদেশ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিলুপ্তপ্রায় শিকারি পাখি শকুন রক্ষায় এশিয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
শকুন খুবই দক্ষ শিকারি এবং প্রায়ই মৃহদেহের ওপর নেমে আসে। তাদের খাবার কোথায় আছে তা শনাক্ত করার ‘চিত্তাকর্ষক ক্ষমতা’ আছে শকুনের। অর্থাৎ একটি বিষাক্ত মৃহদেহ অনেকগুলো পাখিকে মেরে ফেলতে পারে। এই বিষাক্ততাই এই জাতীয় পাখিগুলোর বিলপ্তির প্রধান কারণ।
সরকার ২০১০ সালে গবাদি পশুর জন্য ব্যাথানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করেছে। পশুর মৃহদেহ খাওয়ার পর শরীরে এই ওষুধ প্রবেশ করার পর চরম ব্যাথায় শকুনের মৃত্যু হয়।
ডাইক্লোফেনাকের বিকল্প হিসেবে নিমেসুলাইড, এসিক্লোফেনাক ও কেটোপ্রোফেনের ব্যবহারও পাখির মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তাই সরকার কেটোপ্রোফেন ব্যবহারও নিষিদ্ধ করেছে।
পড়ুন: বিলুপ্তপ্রায় শকুন সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
শাহাব উদ্দিন বলেন, শকুন রক্ষার বড় পদক্ষেপ হিসেবে তুলনামূলক নিরাপদ ওষুধ মেলোক্সিকাম ও টলফামেনিক এসিডের ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস-২০২২ এর আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের শকুন রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন, দুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং দশ বছরের (২০১৬-২০২৫) বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্ম পরিকল্পনা একটি দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও একটি হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার
চলনবিলে বিরল প্রজাতির নেপালি শকুন উদ্ধার
চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, এটির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের চা শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘চা শিল্প আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল। তাই এই শিল্পের ক্ষতি করা উচিত নয়; এটাকে অবশ্যই আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় চা শ্রমিকদের উন্নয়ন ও চা বাগান সম্প্রসারণে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের কাজের ধরন ও পরিবেশ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় ভিন্ন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিকত্ব ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে আমি মনে করি আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবসময় আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে চা শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বাড়ানোর দাবি উত্থাপন করলে তিনি চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, মালিকরা যাতে চা শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য বাড়ি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘সেই আঘাতের ঢেউয়ের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে, তাই আমরা সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের আয় দিয়েই নিজেদের পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
পরে তিনি চার জেলার চা শ্রমিকদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া, প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত চা পাতা তোলার সুবিধা), উৎসব বোনাস, অর্জিত ছুটি, অসুস্থতার সময় পাওয়া ছুটি ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, রেশন কার্ড এবং অবসর সুবিধাসহ শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধাগুলিও আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান তিনটি অর্থনৈতিক সূচকে ভাল করছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রধান তিনটি সূচকে ভালো করছে।
সর্বশেষ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের তথ্য বলছে, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক পণ্য রপ্তানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ইউরোপে ৪৫ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
কেবল ইউরোপ-আমেরিকা নয় মোটের ওপর বিগত অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। জুনে বেড়েছে রপ্তানি বেড়েছে ৩৭. ১৯ শতাংশ।
কেবল রপ্তানি, রেমিট্যান্স এবং বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধির হারও সাম্প্রতিক সময়ে অগ্রগতি দেখাচ্ছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসেই তিন দশমিক ৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর(ইপিবি) তথ্যমতে, শেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি করে প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বরাবরের মতো তৈরি পোশাক প্রবৃদ্ধিতে যথারীতি সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। গতমাসে এই খাত থেকে তিন দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। সেই হিসাবে মোট রপ্তানির ৮৪ দশমিক ৪৯ শতাংশই পোশাক পণ্য। গত অর্থবছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছর রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।
পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্টেট -এর তথ্যমতে এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক পণ্য আমদানি বাড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে নয় দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইতে বেসরকারি প্রবৃদ্ধি ১৩ দশমিক ৫২ থেকে ১৩ দশমিক ৯৬ লাখ কোটিতে পৌঁছেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা বলছে, অনেকে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। অনেকে উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছেন। স্বল্প সুদে আবাসন, কার, ও ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণের হার এ বছর বেড়েছে। এছাড়া গত চারমাসে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ।
যদিও ঘোষিত মুদ্রানীতিতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ফলে ইতোমধ্যে মুদ্রানীতির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। অনেক মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও ভোক্তারা বেশি ঋণ নিচ্ছেন। কারণ ঋণের বিপরীতে সুদহার এখন পর্যন্ত ৯ শতাংশের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশ আগস্টে দুই দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
রেমিট্যান্স আহরণ করেছে। যা অভ্যন্তরীণ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট কাটিয়ে উঠতে আশার আলো দেখাচ্ছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসী কর্মীরা দুই দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে যা বিগত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে ছিল যথাক্রমে এক দশমিক ৮৭ ও এক দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
পড়ুন: আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
সরকার রেমিট্যান্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের দাম বেশি বলেও জানান তিনি।
এই খাতের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞরা বলেন, গত অর্থবছরে মহামারি পরবর্তী বৈদেশিক শ্রমবাজারে বেশি পরিমাণে জনশক্তির রপ্তানি রেমিট্যান্স প্রবাহকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার শ্রমিক বিদেশে গেছেন। যা ২০২১ সালে ছিল মাত্র ২ লাখ ৭১ হাজার মাত্র। এটি গত সাত বছরের ইতিহাসে বৈদেশিক শ্রমবাজারে সর্বোচ্চ।
কর্মকর্তারা আশা করছেন, মালয়েশিয়া আলোচনা সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করলে শ্রমিকদের বর্হিগমন প্রবাহ এই অর্থবছরে আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৪৫
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে আরও ২৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ২০৪ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৪১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৫৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৭৩৯ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ছয় হাজার ৬৯২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় পাঁচ হাজার ৫০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে পাঁচ হাজার ৮১১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে চার হাজার ৭৫৯ জন ঢাকার এবং বাকি এক হাজার ৫২ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৭৬
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ: আট মাসে মৃত্যু ২২
কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। তবে এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
বছরের শুরু থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত জেলায় ১২ হাজার ২৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা হচ্ছে ১১ হাজার ৬৫৮ জন ও স্থানীয় ৫৮৮ জন। এই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয়। মৃত ২৩ জনের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানীয় একজনসহ মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের, আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৩৪ জন। আর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন। এর মধ্যে স্থানীয় ৫২৬ জন ও রোহিঙ্গা ১৮৬ জন। ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ১১ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনই রোহিঙ্গা।
গত মাসে তানভীর আহমদ (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রসহ ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডা. মো. মোমিনুর রহমান জানান, বর্ষাকালে ভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। একই সঙ্গে সড়কের সংস্কার কাজসহ নালা নর্দমায় পানি জমে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলায় হেড মাঝি নিহত
অপরদিকে কক্সবাজার পর্যটন এলাকা হওয়ায় ভ্রমণে আসা অনেক পর্যটক আবাসিক হোটেলে মশারী ব্যবহার না করায় ঝুঁকি বাড়ছে। ডেঙ্গুর জীবানুবহন করে কোনো ব্যক্তি কক্সবাজার এসে রাত্রি যাপন করলে তাকে কোনো মশা কামড়ানোর পর অন্য ব্যক্তিকে কামড় দিয়ে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। তাই মশারী ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন স্থানীয় এক এবং রোহিঙ্গা ২২ জনসহ মোট ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে ডেঙ্গু ভয়াবহতা দেখা দেয়ায় নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের অন জব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত আরডিটি কিট সরবরাহ রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মী, ভলান্টিয়ার, রোহিঙ্গা মাঝিসহ নানাভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এডিস মশা যাতে প্রজনন করতে না পারে সে জন্য ক্যাম্পে খাল, ডোবা, নালা, নর্দমা পরিস্কার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি, এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ
কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলার লাইন বিস্ফোরণ: নিহত বেড়ে ৩
কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার মান্দাইল এলাকায় গ্যাসের চুলার লাইন বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে পৌঁছেছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহতেরা হলেন- বেগম (৬০), শাহদাত হোসেন (২০)। ও মারিয়া (৮)।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
এর আগে গত মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জে মডেল থানার জিনজিরা মান্দাইল এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ হয়ে একই পরিবারের ছয়জন অগ্নিদগ্ধ হয়।
দুর্ঘটনার পরই দগ্ধ বেগম (৬০) ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬), শাহাদাত হোসেন, মারিয়া আক্তার (৮) ও ইয়াছিনকে (১২) রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে এদের মধ্যে শিশু মারিয়া বুধবার রাতেই মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার রাতে বেগম ও শাহদাত হোসেন সিসিইউতে মারা গেছে। এছাড়া দগ্ধ ইয়াসিন ও ইদুনি বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
তবে অপর দগ্ধ সেলিনা আক্তারের অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গোডাউনে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
রাজধানীতে স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণ, ৭ জন দগ্ধ
পাকুন্দিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ: নারায়ণগঞ্জে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ও মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আটক ৫
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিএনপির সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি ছিল না। মিছিল নিয়ে পৌর বাজারের দিকে আসলে বাধা দেয়া হয়।
এএসপি আরও বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
সৈকতে ভেসে এলো বেলিন প্রজাতির মৃত তিমি!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে বেলিন প্রজাতির বিশালাকৃতির একটি মৃত তিমি। এটির দৈর্ঘ্য ৩০ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। শনিবার সকাল ৯টার দিকে জোয়ারের পানিতে সৈকতের ঝাউ বাগান পয়েন্টে তিমিটি ভেসে আসে।
তিমিটি অর্ধগলিত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সৈকত এলাকায় পঁচা দুর্ঘন্ধ ছড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, এটি দেখতে অনেকটা দৈত্যাকৃতির। এর আগে ২০১৮ সালে সৈকতে বড় আরও একটি তিমি ভেসে এসেছিল। তবে ঠিক কি কারণে এসব তিমি মারা যাচ্ছে সেটা বলা যাচ্ছে না।
এছাড়া সৈকতে ভেসে আসা মৃত তিমি ও ডলফিনের মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, ঘটনাস্থলে বনকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। এটির নমুনা সংগ্রহ করে মাটিচাপা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: একদিনের ব্যবধানে ভেসে এলো আরও একটি মৃত তিমি
হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশালাকৃতির মৃত নীল তিমি
‘মোংলা বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ স্থাপনে চুক্তি সাক্ষর রবিবার
বাগেরহাটের মংলায় নিজস্ব পরিচালনার ভিত্তিতে ৫৫ মেগাওয়াট একটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ-চায়না কনসোর্র্টিয়াম –এর সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একটি চুক্তি করবে। রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর এই চুক্তি সাক্ষর হবে।
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান বিপিডিবি স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে ২০ বছর বিদ্যুৎ কিনবে।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটি চায়না-বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামকে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেয়।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কনসোর্টিয়াম অব ইনভিশন এনার্জি, জিয়াংসু কোম্পানি লিমিটেড, চায়না, এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইন্ঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ ইনভিশন রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড, হংকং একটি বিশেষ যান প্রকল্পের (এসপিভি) আওতায় মোংলা গ্রিন পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করবে।
প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৬ দশমিক ৫৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিপিডিবি ওই পাওয়ার প্লান্ট থেকে ঘন্টায় প্রতি কিলোওয়াট ১৩ টাকা হারে কিনবে।
বিপিডিবি’র একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকার চুক্তির আওতায় বেসরকারি এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পুরো সময়ে দুই হাজার ৩৫ দশমিক ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করবে।
পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, চীনা-বাংলাদেশি কনসোর্র্টিয়াম টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে সর্বনিম্ন করদাতা ছিলেন।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) বলছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২০২০ সালে এক হাজার ১৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্য বাস্তবায়ন শুরু করে মোট ২ দশমিক ৯ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
এর আগে ২০১৫ সালের মার্চে বিপিডিবি কক্সবাজারের মহেশখালী নদীর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন খুরুসকুল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) প্রকল্প চুক্তি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ও পিএইচ-কনসাল্টিং গ্রুপ অব ডেনমার্ক এবং মাল্টিপল গ্রিন এনার্জি অব
বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে নেয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তিটি হয়।
কিন্তু গত পাঁচ বছরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় এই স্পন্সর।
বিপিডিবি’র মংলা প্রকল্পটিও ওই তিনটি প্রকল্পের মতোই একটি প্রকল্প।
কিন্তু এই পদক্ষেপটি দরদাতাদের বড় পরিসরে অংশগ্রহণ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
বিপিডিবি কর্মকতা বলেন, একমাত্র দরদাতা চাইনিজ ফার্ম ইনভিশন এনার্জি দরপত্রে অংশ নিয়ে দুটি স্থানের মধ্যে একটি স্থান মোংলাকে নির্ধারণ করে।
বিপিডিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. জহির আহমেদ বলেন, যে দরপত্রটি আহ্বান করা হয়েছিল তা জমাদানের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিপিডিবি দরপত্রটি ছেড়ে ছিল। এর আগে বিপিডিবি একটি ১০০ মেগাওয়াট অফশোর বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য দরপত্রের আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু ক্রেতা খুঁজে পায়নি।
বিপিডিবি ও শ্রেডা কর্মকর্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহযোগিতায় দেশের বায়ু বিদ্যুৎ
শক্তি নিয়ে বেশকিছু মূল্যায়ন গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআডি) আর্থিক সহযোগিতায় ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরি(এনআরইএল) সারাদেশের বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাই করে নয়টি স্থানকে নির্ধারণ করেছে।
স্থানগুলোর গড় বাতাসের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৫-৭ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৬০-৮০ মিটার। স্থানগুলো হলো নাটোরের লালপুর, চাঁদপুর, সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রামের পারকে বিচ, ময়মনসিংহের গৌড়িপুর, হবিগঞ্জের মধুপুর চা বাগান খুলনার মোংলা বন্দরের নিকটবর্তী এলাকা দাকোপ, কক্সবাজারের ইনানী বিচ এবং রংপুরের বদরগঞ্জ।
বিদ্যুৎ বিভাগে এনআরইএন এর জমা দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব যে সকল এলাকায় ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে প্রতি সেকেন্ডে বাতাসের গতি ৫ দশমিক ৭৫ থেকে ৭ দশমিক ৭৫ থাকে।
সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা আদায়ে তাদের সামনে জায়গা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বায়ু বিদ্যুতের নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরতে বাস্তবায়নকারী
সংস্থা ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পের বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৪৫) এক নারী নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের রেলস্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএমের মৃত্যু
রেল পুলিশ (জিআরপি) জানায়, ঢাকা থেকে আপ লাইন দিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের রেলস্টেশন অতিক্রামকালে অজ্ঞাত এক নারী রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থালে নিহত হয়।
খবর পেয়ে ফৌজদারহাট জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত বৃদ্ধার মৃত্যু
ফৌজদার হাট জিআরপি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহরাব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অজ্ঞাত এক নারী রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এছাড়া লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১