বাংলাদেশ
দেশে করোনায় আরও ২ মৃত্যু
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃতু হয়েছে। এসময়ে নতুন ২১৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৫ এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১২ হাজার ১৬২ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬ লাখ ১৬ হাজার ৩১৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৬ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৬০ কোটি ৮০ লাখ ছাড়ল
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২১৪
কুয়েট ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) হয়েছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মোছাম্মদ রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভিসির নিয়োগ মেয়াদ হবে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
উল্লেখ্য, ১২ আগস্ট প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন কুয়েট ভিসি হিসেবে তার ৪ বছরের মেয়াদ শেষ করেন। ২১ আগস্ট কুয়েট ভিসি পদ শূন্য হাওয়ায় পরবর্তী ভিসি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলামকে কুয়েটের দৈনন্দিন প্রশাসনিক ও আর্থিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্বার্থে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত ভিসির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
কুয়েট শিক্ষক সেলিমের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে যে সম্ভাব্য পরিবর্তন ঘটবে তা মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশাল শ্রমশক্তি আছে, যা এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি হয়ে উঠতে তাদের হতে হবে প্রশিক্ষিত, শিক্ষিত ও বিকশিত।’
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ৪৩তম কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ, আঞ্চলিক সংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দক্ষতা উন্নয়নে কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। কারণ দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা খুবই জরুরি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্স গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলবে। দেশে তৈরি পোশাক খাতে ইতোমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খাতেও শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অর্থ পরিশোধে টান পড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ছে এবং একই সঙ্গে কাপড়ের মানও উন্নত হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা জরুরি। আমরা ইতোমধ্যে এখানে পরিবর্তন এনেছি।’
এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনশক্তিকে মানবসম্পদে পরিণত করতে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই: প্রতিমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: সহিদুর রহমানের জামিন আবেদন খারিজ
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। সহিদুর রহমান খান মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় রানার জামিন আপিলে বহাল
এর আগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তবর্তী জামিন বাতিল করেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ২৭ এপ্রিল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মুক্তিকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। পরে হাইকোর্ট চূড়ান্ত শুনানি করে আজ রুল খাজির করে রায় দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা: আলমগীরের জামিন স্থগিত
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন। তাদের অপর দুই ভাই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন ফের নামঞ্জুর
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: এমপি রানার জামিন নামঞ্জুর
চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের আদেশ বাতিল
চরদলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ রায়ের ফলে তারা আর চাকরিতে ফিরতে পারছেন না।
প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১ সেপ্টেম্বর (আজ) রায়ের জন্য দিন রাখেন। সে অনুযায়ী আজ রায় দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: আপিল বিভাগে ৪ বিচারপতি নিয়োগ
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়। জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ মামলা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। এসব আপিলের ওপর ২৮ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। আজ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল মঞ্জুর করে রায় দেয়া হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
অন্যদিকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, প্রবীর নিয়োগী, সালাহ উদ্দিন দোলন ও কামরুল হক সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল
লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
নৌযানের যাত্রীভাড়া হ্রাস করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১৫ পয়সা কমানো হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, নৌযানের যাত্রীভাড়া কমানোর ফলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ টাকা থেকে ১৫ পয়সা কমিয়ে ২ টাকা ৮৫ পয়সা এবং প্রথম ১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রীভাড়া ২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৫ পয়সা কমিয়ে ২টাকা ৪৫ পয়সাপুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
এছাড়া জনপ্রতি যাত্রীভাড়া সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা থেকে ৩ টাকা হ্রাস করে ৩০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত মাসে নৌযানে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণের ফলে বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য জনপ্রতি যাত্রীভাড়া প্রতি কিলোমিটারে রয়েছে ৩ টাকা।
১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া রয়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা।
জনপ্রতি যাত্রীভাড়া রয়েছে সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা।
২০২১ সালে নৌযানে যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া ছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা।
১০০ কিলোমিটারের অধিক দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারের যাত্রীভাড়া ছিল ২ টাকা।
জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ২৫ টাকা।
এর আগে ২০১৩ ও ২০১২ সালে নৌযানের যাত্রীভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে: সচিব
চাঁদপুরে নির্মাণ হবে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল
চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
কুমিল্লার চান্দিনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত আড়াইটায় চান্দিনা উপজেলা সদরের বাগানবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহির মিয়া (৩৮) চান্দিনা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড হারং এলাকার মৃত তমিজ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ চান্দিনা বাজার, বাগানবাড়ি ও ধানসিঁড়ি এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়েছে। বুধবার রাত আড়াইটায় বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভবনের ছাদ থেকে অন্য ছাদে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই জহির মিয়ার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, নিহতের লাশ তল্লাশি করে একটি ছুড়ি পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় মুরগির খামারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
নেত্রকোণায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৩০, আটক ১৩
নেত্রকোণায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির ১৩ জনকে আটক করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর শহরের ছোটবাজার এলাকায় বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:নেত্রকোণার এক যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের সময় সদরের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা সড়ক বন্ধ করে রাখে। এতে যানবাহনসহ জনগণের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ এসে সড়ক ফাঁকা করতে চাইলে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতা কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেলসহ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে
আরও পড়ুন:নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১৭
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, নিহত ১
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে ভূমিকা রাখছে।
আবহাওয়া অধিপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বুলেটিন অনুসারে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: ২৭ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের তাড়াশে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। যার একটি অংশ বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম দিকেও বিস্তৃত থাকবে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের কয়েক জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে, ডাকঘরকেও ডিজিটাল করতেই হবে। ডাকের দিন শেষ হয়নি, আরও বাড়ছে।তিনি বলেন, ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের পথ নকশা তৈরি সম্পন্ন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলা সদরে নির্মানাধীন প্রধান ডাকঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত প্রধান এ ডাক ভবনটি নির্মত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে। ডাক বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি করা এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সহসাই ডাকসেবা কাঙ্খিত মানে উন্নীত হবে।
ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্ত ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা পেরেছি।
আরও পড়ুন: 'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্যকোন প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই।
করোনাকালে কৃষকের ফল, সব্জি পরিবহন থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে ডাক সেবার অবদান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবার আওতায় ডাকঘর একদিনের জন্যও বন্ধ রাখা হয়নি।মন্ত্রী ডাক ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশে-বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছি।
ইতোমধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রেলে চিলিং বগি ও ডাকের অন্যান্য গাড়িতে চিলিং ভ্যান চালু করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় পোস্টমাস্টার জেনারেল ফরিদ আহমেদ, গাজীপুরের এডিসি জেনারেল নাসরিন পারভিন এবং ডাক অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী