বাংলাদেশ
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর বনানী ফুটওভার ব্রিজের নিচে দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানী ফুটওভার ব্রিজের নিচে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম জামিল আহমেদ শুভ (২৫)। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ ফেসবুকভিত্তিক বাইক রিভিউ ‘বাইকবিডি’র হোস্ট ছিলেন বলে তার বন্ধু চিন্ময় জানিয়েছেন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আজম মিয়া জানান, রাস্তায় চলাচলের সময় দ্রুতগামী এক যানবাহন ওই মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে শুভ রাস্তায় ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।
ওসি জানান, ময়নানতন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে সহস্রাধিক মানুষ
টিকে থাকার লড়াইয়ে ফের খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ নির্মাণে নেমেছেন স্থানীয় প্রায় দুই হাজার মানুষ। কিন্তু বার বারই ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। এর আগে একই স্থানে ১৮ জুলাই (সোমবার) দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ফের বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছায় এই কাজে অংশগ্রহণ করেছেন উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী জানান, গত ১৭ জুলাই (রবিবার) ভোর রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪/১ প্লোডারের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোড়া এলাকার বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ মিটার ভাটার টানে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরদিন ১৮ জুলাই (সোমবার) স্বেচ্ছাশ্রমে দুই হাজার মানুষ রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হন। কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলে ওই স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ না করায় গত রবিবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পুনরায় রিংবাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের লোনা পানি বিস্তীর্ণ জনপদে ডুকে পড়ে।
তারা জানান, নদী ভাঙনে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের অনেক পরিবার। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় ভেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত
বাঁধ নির্মাণে যোগ দেয়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁশ ও ব্যাগ স্বল্পতায় কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড যে সরঞ্জামাদি দিয়েছিল সেটা যথেষ্ট ছিল না। যথেষ্ট মানুষ থাকার পরেও বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন করতে পারিনি।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের আক্তারুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে আমার ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। বাঁধ না হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে কী করবো ভেবে পাচ্ছি না। সে কারণে বাঁধার কাজে নেমে পড়েছি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মাসুদ রানা বলেন, পানিতে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ১০ গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে তিন হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের এবং ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার মানুষ। ক্রমাগত ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত
এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের চরম গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এই ইউপি সদস্য।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, একই স্থানে বারবার ভাঙা দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই ভোগান্তি।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে ওই এলাকায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জনমনে স্বস্তি নেই। কারণ বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রার বেড়ি বাঁধ সংষ্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১৪২ কোটি ৫৮ লাখ আট হাজার টাকারও বেশি। অথচ সেইসব জোড়াতালিতেও লুটপাট বাঁধ সংস্কারের নামে যেটুকু কাজ হয়, সেখানেও রয়েছে আমলা, কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার মিলিয়ে সরকারি তথা জনগণের অর্থ লুটপাটের অসাধু চক্র।
এই নাগরিক নেতা বলেন, টেন্ডারে কাজ পেয়ে মূল ঠিকাদার নিজের লাভটা রেখে আরেক জনের কাছে কাজটা বিক্রি করে দেন। এভাবে হাতবদল হলে কাজের মান খারাপ হতে বাধ্য, এতদিন এটাই দেখে এসেছি। তাই এবার আর এমনটি চাই না।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত
তিনি বলেন, কয়রায় নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে রাস্তাঘাটে কিংবা পরের জমিতে আশ্রয় নেন। অনেকে আবার সর্বস্ব হারিয়ে ভাসমান কচুরিপানার মতো শহর ও বন্দরে পাড়ি দেন। যাদের প্রকৃত হিসাব সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। শুধু দক্ষিণ বেদকাশী নয়, উপকূলীয় এ উপজেলার প্রায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষকে নদীভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয়। একটি টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এতোদিন কয়রার মানুষ আন্দোলন করে আসছিল। এখন বরাদ্দ হয়েছে, এবার আন্দোলন সচ্ছতার সঙ্গে কাজটি বাস্তবায়নের বিষয়টি বুঝে নেয়ার।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ণের বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর) মো. মশিউল আবেদিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ভেঙে যাওয়া রিংবাঁধ মেরামতের মাধ্যমে পানি আটকানোর জন্য মানুষ কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বস্তা ও বাঁশ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। পানি আটকানোর পর মূল ক্লোজারে কাজ করা হবে।
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে।
এতে বলা হয়, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে।
দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি হলে প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ২ টাকা থেকে ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে নতুন ভাড়া আদায় কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধির জন্য লঞ্চ মালিকদের প্রস্তাবের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সমস্ত অংশীজনদের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে নতুন ভাড়ার সুপারিশ করার জন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর গত বছরের নভেম্বরেই লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল। নভেম্বরের আগে লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। তখন তা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছিল।
১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নভেম্বরের আগে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। তা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল দুই টাকা। আর লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল নভেম্বরে।
পড়ুন: লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে: সচিব
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডির তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি মঙ্গলবার সকালে প্রথামিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে। আগামী দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত ফাহিমা ও ঝর্ণার ভাই আফরান মন্ডলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান।
ওসি বলেন, ‘মামলায় বাদী ক্রেন অপারেটর এবং সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।’
এ দুর্ঘটনার জন্য ক্রেন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের অবহেলা দায়ী কি না তা পুলিশ তদন্ত করবে।
এর আগে সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ বৈধ
সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত বৈধ বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
এর আগে ২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০০৩ সালে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস।
রিট আবেদনে বলা হয়, লুই আই কানের মূল নকশা লঙ্ঘন করে সংসদ ভবন এলাকায় এসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট ওই রিট আবেদনের ওপর রায়ে বলেন, সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ কার্যক্রম অবৈধ। সেই সঙ্গে রায়ে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেন।
তবে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করলে তা মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করেন। অবশ্য হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকা অবস্থায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ শেষ হয়। ২০১৫ সালে আপিলের শুনানিকালে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে লুই আইকানের মূল নকশা দাখিল করতে বলেন। পরে মূল নকশা বিদেশ থেকে এনে তা দাখিল কর হয়।
অবশেষে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আজ মঞ্জুর করে রায় দেন আপিল বিভাগ। রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আজ হাইকোর্টের রায় (স্যাটাসাইড) বাতিল করেন।
পড়ুন: অর্থ পাচার নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য বিব্রতকর: হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকের কাছে তথ্য না চাওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল শুরু
দুই জেলার বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে সিলেট-ময়মনসিংহ সড়কে রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রবিবার বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জে হোটেল হাইওয়ে ইন-এ বৈঠক শেষে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত আসেন সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলার বাসা মালিক ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
আরও পড়ুন: মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব: ১৩ দিন সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহের ৭০টি বাস চলাচল করে। সম্প্রতি এই রুটে সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতি পাঁচটি নতুন বাস নামান। কিন্তু সিলেট জেলার বাসগুলো চলাচলে নিষেধ করে ময়মনসিংহ জেলা বাস মালিক সমিতি। এই নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ আগস্ট থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সিলেট, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে যাতায়াতকারীরা বিপাকে পড়েন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিআরটিসি বাস চলাচলে পরিবহন শ্রমিকদের বাধা
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম জানান, দুই জেলার বাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে দ্বন্দ্বের সমাধান হয় এবং এই রুটে উভয় জেলার বাস চলাচলের সিদ্ধান্তের ফলে সকল সমস্যার অবসান ঘটে।
বঙ্গবন্ধু জাতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছর সরকারে ছিলেন, কিন্তু জাতির পিতা হিসেবে এই সাড়ে তিন বছরে জাতিকে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে যা যা দরকার সবগুলো তিনি সমাধা করে গেছেন। আর সেই সাথে আমাদের দিকনির্দেশনাও দিয়ে গেছেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডস্থ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘জাতির ভিত্তি রচনার জন্য দরকার একটা শাষণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাত্র নয় মাসের মাথায় একটা অপূর্ব শাষণতন্ত্র আমাদের দিয়ে গেছেন। অথচ পাকিস্তানের শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে নয় বছর, আর আমেরিকার শাষণতন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে তেরো বছর।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কার্যকর নেতৃত্বের জন্যেই মাত্র দুই মাসের মাথায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সৈন্য ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কারণেই সাড়ে তিন বছরেই আমরা ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছি। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, প্রত্যকের সদস্যপদ এমনকি জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন করি। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের কারণে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ’ প্রতিপাদ্যের উক্ত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য শেখ কবির হোসেন।
স্মরণসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন আরও বলেন, পোয়েট অব পলিটিক্স খ্যাত বঙ্গবন্ধু কেবল এ দেশের নয়- তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের নেতা, দেশে দেশে নিপীড়িত জনতার সংগ্রামী চেতনার এক জীবন্ত কিংবদন্তি। আর তাই, বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বেদনা কেবল এ দেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে ধ্বনিত হয়, বিশ্বের নেতৃবৃন্দও শোকার্ত হন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য যা যা করার, আমি যতদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছি এই প্রচেষ্টা অবশ্যই চালিয়ে যাবো।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের একটি ফাউন্ডেশন আছে- বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল তাদেরও বিচারের আওতায় আনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আন্দোলন করে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ‘নন-এলাইন্ড ফরেন পলিসি’ গ্রহণ করেন। এটা যে আমাদের জন্যে কত মঙ্গলজনক, আমরা আজও তাঁর ফরেন পলিসি নিয়ে চলছি। বঙ্গবন্ধু সে সময়ে অনেক ধরনের চাপের মধ্যেও ‘নন-এলাইন্ড পলিসি’ অবলম্বন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন- পিস ইজ ইম্পারেটিভ ফর ডেভেলপমেন্ট। সে জন্য তিনি সবসময় শান্তির জয়গান গেয়েছেন। আমরা শান্তি চাই। শান্তি উন্নয়নের একটি বড় সহায়ক। আমরা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বঙ্গবন্ধুর এই শান্তির প্রচেষ্টাকে জোর দিতে চাই।’
‘বিশ্বব্যাপী যে সংঘাত, যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে আছে সেগুলো যাতে কমানো যায় সেজন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ করার সুযোগ আছে’ বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষকে সবচেয়ে ভালবেসেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন মানুষকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে কোন কিছুই দাবায়ে রাখতে পারে না।’
‘বঙ্গবন্ধু সবক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আর তার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছেন। এর ফলে আমরা বিশ্বে একটা বিশেষ অবস্থান অর্জন করেছি, একটা ‘রোল মডেল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। সম্প্রতি আমরা পদ্মা সেতুর মতো বিরাট সেতু নিজেদের পয়সায় তৈরি করেছি।’
ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে দেশে অভাব অনটন দূর করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তখনই কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে হয়তো আমরা বহু বছর আগেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতাম।’
পড়ুন: এটি খুবই অন্যায়: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শাবিপ্রবিতে শোকদিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস পালিত হয়েছে। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সোমবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শোক দিবসের অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ ও কালো ব্যাজ ধারণ শেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণের পর শোক র্যালির আয়োজন করা হয়। পুস্পস্তবক অর্পণে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা মিললেও শোকর্যালিতে বেশিরভাগ জুড়েই ছিল বিএনসিসির উপস্থিতি। অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দেখা যায়নি, ছিল না শিক্ষক নেতাদের একাংশ। শাবিপ্রবিতে মূলত জাতীয় শোক দিবস পালন করে থাকে আওয়ামী সমর্থিত দু’টি শিক্ষক প্যানেল। প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোকদিবস পালন করে থাকেন উভয় প্যানেলের শিক্ষকেরা। কিন্তু এ বছর জাতীয় শোক দিবসের শোক র্যালি ও শোকসভায় শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
আরও পড়ুন: ‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
দিবসটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চা ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ প্যানেলের শিক্ষকদের সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষক প্যানেল ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’ শিক্ষকদের অধিকাংশই ছিল অনুপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক র্যালি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পরিবর্তে যেমন বিএনসিসির দখলে ছিল ঠিক শোকসভায় শিক্ষক কর্মকর্তাদের পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়াম ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দখলে।
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রোগ্রামে (ম্যূরালে পুস্পস্তবক) অংশগ্রহণ করেছি এবং নিজেদের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।
শোকর্যালি ও শোকসভায় অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুপুরের ট্রেনে আমি ঢাকায় যাচ্ছি। এজন্য পুস্পস্তবকের পর সবাইকে বলে চলে আসা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মাঝে নানা রকমের ব্যাপার-ক্ষোভ আছে সেইসব বলাও যায় না। আমরা আমাদের মতো অবজার্ব করলাম।
দিবসটিতে প্রশাসন কর্তৃক জানানো হয়েছে কিনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে একটি চিঠি ইস্যু করে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। আমরা ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ নিজেদের প্রোগ্রাম নিজেরাই করি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র অধ্যাপক বলেন, শাবিপ্রবিতে দুই আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিযোগীতা সবসময় কাজ করে। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে দুই শিক্ষক গ্রুপ একসঙ্গে এই দিবসগুলো পালন করে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কাজে উপাচার্য ঢাকায় অবস্থান করায় জাতীয় শোক দিবসে একটি পক্ষ ম্যুরালে ফুল দিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতাগুলোতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে উচিৎ ছিল বঙ্গবন্ধু ইস্যুতে সবাই একত্রে এই দিবসটি পালন করা।
শাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হয়।
‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
সিলেটে হাবিব ব্যাংকের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে পাকিস্তানি ওই ব্যাংককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকালে শোক দিবসের এই ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকালে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো হাবিব ব্যাংকের সিলেট শাখায়ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে এতে জাতীয় পতাকায় খুঁটির পরিবর্তে ঝাড়ুর লাঠি এবং পতাকা অর্ধনমিত করে রাখা হয়নি।
সমালোচনার মুখে ঝাড়ু সঙ্গে টানানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে বিকালের দিকে ব্যাংকে নতুন একটি খুঁটির মধ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে লাগানো হয়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস পালন
এ ঘটনার সমালোনা করে সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'ঝাড়ুর মধ্যে জাতীয় পতাকা বেঁধে প্রদর্শন করে আমাদের আবেগের সর্বোচ্চ জায়গায় আঘাত করেছে। সিলেটের মাটিতে জাতীয় পতাকার এমন অবমাননা আমরা সহ্য করব না। প্রশাসনকে অবিলম্বে এই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।'
জাতীয় শোক দিবসে হাবিব ব্যাংকের সিলেট শাখা বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের সাথে আলাপ করা সম্ভব হয়নি।
ব্যাংকটির সিলেট শাখার ক্যাশ ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার দে বলেন, এটা ভুল হয়েছে। নিরাপত্তাকর্মীরা না বুঝে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে। নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পতাকা অবমাননার খবর পেয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি পতাকা উত্তোলকারী নিরাপত্তকর্মী ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবুর রহমান জানান, ঘটনাটি জানার পর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ ওই নিরাপত্তাকর্মীকে তলব করা হয়েছে।