বাংলাদেশ
কুষ্টিয়ায় গোয়ালঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১২টার পরে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।
শরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমারখালীসহ বিভিন্ন থানায়, ডাকাতি, চুরি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আকিবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ২
তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২ টার পরে পান্টি ইউনিয়নের শরিফুল ইসলামের গোয়ালঘরে অভিযান চালিয়ে গোয়ালঘরের ভেতর একটি পরিত্যাক্ত ব্যাগ থেকে একটি শুটারগান ও ৭ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেগুলো জব্দ করা হয়।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, রাতে মাদক ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে গোয়ালঘর থেকে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
কুষ্টিয়ায় বয়লার মেশিন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জৈন্তাপুরে নৌকা দিয়ে বালু শ্রমিকদের ব্যতিক্রমী অবরোধ!
সিলেটের জৈন্তাপুরের বড় নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু, পাথর উত্তোলন বন্ধ, বোল্ট গেট দিয়ে বালু-পাথর পরিবহন বন্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরকারি রয়েলটি আদায়ের দাবিতে নৌকা দিয়ে নদীপথ বন্ধ করে অবরোধ পালন করেছে বালু শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সারী নদীর ইন্দারজু এলাকায় নৌকা বন্ধন করে শ্রমিকরা নদীপথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়৷
অবরোধ পালনকারী সারী নদী নৌকা শ্রমিকের সভাপতি আমির আলীর সহ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সম্প্রতি সারী নদীর তৃতীয় অংশের মামলাভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি দাগগুলো ইজারা দেয় সরকার। কিন্তু উল্লেখিত দাগগুলোতে বালু-পাথর না থাকায় মামলাভুক্ত দাগ থেকে অবৈধ ভাবে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও স্থানীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবহার এবং বোল্ট গেট নৌকা ব্যবহার করে বালু-পাথর পরিবহন করা এবং স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে তারা এই অবরোধ পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি চা বাগান
বিবৃতিটি কোনো বৈশ্বিক প্রতিবেদন ছিল না: জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে, সম্প্রতি জেনেভায় বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের দেয়া প্রতিবেদনের শেষ বিবৃতির ভুল তথ্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই বিবৃতিটি কোনো ‘বৈশ্বিক প্রতিবেদন’ ছিল না।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্যের জন্য দুঃখিত। এটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ছিল না।’
তিনি বলেন, যেহেতু হাইকমিশনার হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়গুলোতে অনেক কিছু জেনেছেন, তাই তিনি জেনেভায় তার ২৫ আগস্টের শেষের ম্যান্ডেটের বিবৃতিকে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোতে (জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, অর্থ সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদির ওপর ফোকাস করতে বেছে নিয়েছেন।)
মুখপাত্র বলেন, কেননা এই বিষয়গুলো বাংলাদেশ সহ সব দেশকে প্রভাবিত করছে এবং সেদিনই ছিল রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পঞ্চম বার্ষিকী।
রাভিনা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, আর্থিক সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদিসহ বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের বক্তব্য বাংলাদেশের রোহিঙ্গা বর্ষপূর্তিসহ সকল দেশকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
তিনি আরও বলেন, আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে হাইকমিশনার ঢাকায় সরকার, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য সংলাপে তার বৈঠক এবং ঢাকায় তার মিশন শেষের বিবৃতিতে বিস্তৃত মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে তার উদ্বেগ ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন।
ঢাকায় দেয়া তার বিবৃতিতে হাইকমিশনার বলেন, ‘সমস্যাগুলো স্বীকার করে নেয়া সমাধানের প্রথম ধাপ।’ এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হাইকমিশনারের সুপারিশ অনুসারে বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা এবং অন্যান্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু: খাদ্যমন্ত্রী
সারাদেশে এক যোগে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সারা দেশের ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে চাল ও আটা বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ পরিমাণ চালের মজুদ রয়েছে। তারপরেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য চাল আমদানি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দেশে আমন আবাদ কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বেই খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। চালের এ মজুত এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংগ্রহ অভিযান আরও দুই দিন (মঙ্গলবার ও বুধবার) চলবে। এই দিনে লক্ষ্যমাত্রার বাকি ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ হয়ে যাবে। বাজারে কৃষকেরা এবার ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক পূরণ হয়েছে। সরকারিভাবে ধান সংগ্রহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকেরা যাতে বাজারে ধানের ভালো দাম পায়। সেই লক্ষ্যও আমাদের পূর্ণ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের অভাব হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, শুধু চাল মজুদ নয়, অন্যান্য খাদ্য মজুদের ক্ষেত্রেও ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গম মজুদের ক্ষেত্রে একটা সমস্যা ছিল, সেটাও কেটে গেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ইতোমধ্যে গম আমদানির ব্যবস্থা হয়ে গেছে।
মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য ওএমএসের ডিলার প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের হিসাবের বাইরে হঠাৎ করে চালের দাম পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে যায়। এতে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। মানুষের এ কষ্ট লাঘবের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে এক যোগে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকবে। আগে সারা দেশে ৮১৩টি ওএমএস কেন্দ্র চালু ছিল। এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ২ হাজার ৩৬৩টি করা হয়েছে। আগে ওএমএসের একজন ডিলার এক টন চালের বরাদ্দ পেতেন। এখন প্রত্যেক ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন। এছাড়া সিটি শহরগুলোতে ট্রাকে বিক্রিতে সাড়ে তিন মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাবেন। ওএমএসের মাধ্যমে বিতরণ করা প্রতি কেজি চালের মূল্য হবে ৩০ টাকা। ওএমএস কেন্দ্রে টিসিবি কার্ডধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টিসিবি কার্ডধারীরা কার্ড দেখিয়ে এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে মাসে দুই বার ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। এক ব্যক্তি যাতে বার বার চাল কিনতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করা হবে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সারা দেশে ৫০ লাখ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। প্রতিটি পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে একবার ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবে। লক্ষ্যমাত্রার ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৮০ শতাংশ যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে বাকি ২০ শতাংশ পরিবারের যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হবে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে সুবিধাভোগী প্রত্যেক পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে। এর ফলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতেও কোনো অনিয়মের সুযোগ থাকবে না।
আরও পড়ুন: ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
চালের আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে ইতোমধ্যে চালের দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তেলের দাম কমানো, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালুর ফলে কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে চালের দাম সহনীয় মাত্রায় চলে আসবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. শহিদুজ্জামান, নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানাসহখাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানি শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত: খাদ্যমন্ত্রী
লক্ষ্মীপুরে শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, সৎ মা আটক
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চার বছরের শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির সৎ মা কহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আহম্মদ শাহ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়া নগর গ্রামের হাবীবুল্লাহ ছেলে। গত তিনদিন ধরে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অভিযুক্ত কহিনুর হাবীবুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে ছেলেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে কহিনুর। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২৬ আগস্ট কহিনুর তার বাবার ঘরে শিশু আহম্মদকে হত্যা করে খাটের নিচে মাটিচাপা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ বলে প্রচারণা চালায়। সোমবার বিকালে শিশুটির নানার ঘরের খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে । মঙ্গলবার সকালে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কহিনুর নামে শিশুটির সৎ মাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ৪ কিশোরী
লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জব্দ করা মালামাল সংরক্ষণের তথ্য জানাতে আইজিপিকে নির্দেশ
জব্দকৃত মালামাল থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে বা কীভাবে রাখা হয়েছে হয়েছে মঙ্গলবার তার বিস্তারিত প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথ সংরক্ষণ না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে ২৮ আগস্ট থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। একটা ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সিলেট জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন তা হচ্ছে সচেতনতা। দেশে খাদ্যের মান যাচাইয়ের জন্য বিএসটিআই আছে। তবে খাদ্যের প্যাকেটের ওপরে লেভেল লাগিয়ে দেয়ার মধ্যেই যেন তা সীমাবদ্ধ না থাকে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিৎ খাদ্যের মান যাচাই করে তা বাজারকরণ করা।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
উপাচার্য বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে একটি বিভাগ আছে। তারা দেশ ও বিদেশে খাদ্য নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছে। আমাদের দেশে খাদ্য সামগ্রীতে যে বিষাক্ত কেমিকেল মিশানো হতো তা থেকে আমরা অনেকটা বেরিয়ে এসেছি। আশাকরি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ভেজালমুক্ত খাবারের ক্ষেত্রে আরও বেশি নজরদারি বাড়াবে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি ২০১৯ সালেই বৃদ্ধি করা উচিৎ ছিল: গবেষক আশ্রাফুল
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্মসচিব মো.রেজাউল করিম এনডিসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, পরিচালক ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা অধ্যাপক আমিনা পারভীন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব আব্দুন নাসের খান।
চাল-গমের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, ভোজ্যতেলের মতো চাল, গম (আটা-ময়দা), চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, রড ও সিমেন্টসহ নয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
এই নয়টি পণ্য হলো- চাল, গম (আটা ও ময়দা), ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম অয়েল), পরিশোধিত চিনি, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, এম এস পণ্য (রড) ও সিমেন্ট।
তিনি জানান, ট্যারিফ কমিশন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পণ্যের যৌক্তিক মূল্য বের করবে। কেউ নির্ধারিত মূল্যের বেশি নিলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া অন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের উচ্চ মূল্য ও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের সুযোগ নেয়া সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
সাধারণত আমাদের ট্রারিফ কমিশন ভোজ্যতেলের দাম টাইম টু টাইম বসে ঠিক করে দেয়। কখনো বাড়ানোর দরকার হলে সঙ্গে বসে বাড়ায়। আবার যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে সেটা কমিয়ে দেয়।
তিনি জানান, আমরা লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন আইটেমের দাম বেড়েছে, যেটা গ্রহণযোগ্য না। যদিও সবগুলো আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখার কথা ছিলো এমনটা নয়। কৃষি পণ্যের ব্যাপার রয়েছে, চাল রয়েছে, যেটা খাদ্য মন্ত্রণালয় বা কৃষি মন্ত্রণালয় তারা দেখবেন। তারপর ডিমের কথা আসছে। মাঝখানে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিমের কথা কোনোদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিবেচনায় আনেনি বা আমাদের দেখার ব্যাপারও ছিলো না। তারপরও প্রশ্ন আসার পর আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল।
আর পড়ুন: ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চালের ওপর যে ট্যাক্স ছিলো সেটা কমিয়ে দিয়েছে। যাতে করে অন্তত পক্ষে আমদানি করতে আট টাকার মতো খরচ কম পড়বে। এমনি করে কোনো কোনো পণ্য আমরা মনে করি দাম বাড়া উচিত, তার থেকেও বেশি তারা বাড়িয়েছে। যার জন্য আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া ট্যারিফ কমিশন এখন থেকে এসব পণ্যের দাম যেটা হওয়া উচিত, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে ঠিক করবে এবং সেটা ঘোষণা দেয়া হবে। বাজারে এই দামে বিক্রি হতে হবে। এর থেকে বেশি যদি কেউ নেয়, সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা শুধু নয়, আমরা ঠিক করেছি সোজাসুজি আমরা মামলাতে চলে যাবো। আইন আছে তিন বছরের জেল বা জরিমানা। সেই পদক্ষেপ আমরা নিতে যাবো। যা যা আমাদের ক্ষমতা আছে, যারা অনৈতিকভাবে বাড়াবেন..সেটা শুরু হবে ইমিডিয়েটলি। বলে দেয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে আইটেমগুলো ক্যালকুলেশন করে বাজারে ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, যদি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর আমাদের ডিপেন্ড করতে হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারের দাম উঠলে এখানে দাম বৃদ্ধি পাবে। সেটাও কতোটুকু বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, সেটা ঠিক করে দেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে কথা আসছে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসের দাম কমেছে। হ্যাঁ সত্যি কথা, কমেছে। আমরা সয়াবিন তেলের দাম বা পাম অয়েলের দাম কমিয়ে রেখেছি। পাশাপাশি যেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য যে ডলারের দাম বেড়ে গেছে। যার জন্য হিসাব করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে সুফলটা আমরা পেতে পারতাম, সেটা পাচ্ছি না। যাই হোক আমরা ক্লোজ মনিটরিং করে দেখবো হোয়াট সুড বি দ্যা রাইট প্রাইস। সেটাই আমরা ডিক্লেয়ার করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার জ্বালানি তেলের দাম গতকাল কমিয়ে দিয়েছে, এটার প্রভাব কি পড়ে তা আমরা দেখবো। আজকের যে অবস্থা বাজারের বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কমছে, ডলারে দাম অস্থির হয়ে রয়েছে, সবগুলো সমন্বয় করা কঠিন। কিন্তু আমরা সিরিয়াসলি সবগুলো ধরবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
বৈঠকে কি কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র তেল নয় সবগুলো পণ্যের যৌক্তিক দাম সেটা বের করা। যারা কনসার্ন পিপল তাদেরকে নিয়ে এটা করা হবে। যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এছাড়া দ্বিতীয়টা হলো, আমরা যদি কোথাও মনে করি ডিউটি কমানো দরাকর, যেমন করে চালেরটা কমিয়ে দেয়া হয়েছে, এই সব পণ্যের ডিউটি কমিয়ে দেবে। যাতে কেউ মনোপলি সুবিধা নিতে না পারে।
আরও পড়ুন: দেশের ৪৫ ভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেশ ভালো: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
সুইস রাষ্ট্রদূতের এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দাখিল করা এফিডেভিট ইন কমপ্লাইয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত করা এক পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে কারও কোন নাম, ঠিকানা ও পদবি না থাকায় বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তলব আদেশ দেন। বুধবার সকাল ১১ টায় আদালতে হাজির হয়ে মাসুদ বিশ্বাসকে এবিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদেশ প্রদানকালে আদালত বলেন, ‘নাম পদবি ছাড়া এভাবে প্রতিবেদন দেয়াটা যেন ‘ধরি মাছ না ছুই পানি’র মত একটা বিষয়। এত ভয় কেন? নাম পদবি দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে সেটি প্রোপার ওয়েতে দাখিল করা হয়নি। কমপ্লায়েন্সের মধ্যে কারও কোন স্বাক্ষর নেই, কে দাখিল করেছে তা উল্লেখ নেই। এ কারণে আদালত অত্যন্ত মনোক্ষুন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। আমি বলেছি এটি বিএফআইইউ’র উদাসীনতা। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে বিএফআইইউ’র প্রধানকে তলব করেছেন।’
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
এর আগে গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই সুইজারল্যান্ডে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।
এরপর ১১ আগস্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সুই ব্যাংকের কাছে পাচারকারীদেও তথ্য চাওয়া হয়েছিল কিনা সে ব্যাপাওে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে পদক্ষেপ জানতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগস্ট বিএফআইইউকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গত রবিবার সকালে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১৭ জুন এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ অন্যান্য দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)।
২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউ’র সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ। ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর ওই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে অনুরোধ জানানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৩ বার তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
শুনানিকালে দেখা যায় এফিডেভিটের ভেতরে একটি প্রতিবেদনে কারও নাম, স্বাক্ষর, ঠিকানা কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
সন্তানদের জবানবন্দি রেকর্ড: বাবুলের ভাই ও মাগুরার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের তলব
সুনামগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই সহোদরের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার শালদিঘা হাওরে সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খোকন মিয়া ও ঝিলন মিয়া (৩২)। তারা ওই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেখইজুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:নাটোরে পৃথক বজ্রপাতে নিহত ২, আহত ৭
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে নৌকা ও বাঁশের ছাই নিয়ে হাওরে মাছ ধরতে যান তিন ভাই। একপর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই খোকন মিয়া ও ঝিলন মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় আহত হন তাদের অপর ভাই। পরে স্থানীয় লোকজন লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে বজ্রপাতে নিহত ২