বাংলাদেশ
বাথরুমে ঝুলছিল স্কুলছাত্রের লাশ
সিলেটে এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভাঙাটিকর দারোগা বাড়ির নিজ ঘরের বাথরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাছুম আহমদ (১৮) জেলার কুয়ারপাড় ভাঙাটিকর এলাকার রুসেল মিয়ার ছেলে ও আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী মাহমুদ জানান, সন্ধ্যার দিকে বাসার বাথরুমের গ্রিলের সঙ্গে মাছুমের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলে স্বজনরা লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। পরে ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) রমাকান্ত অন্যান্য পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, মরদেহের সুরতহাল অনুযায়ী স্কুল পড়ুয়া তরুণ আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের লোকজনও বলতে পারছে না মাছুম কি কারণে আত্মহত্যা করল। তবে এর পেছনের কারণ খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
আরও পড়ুন: বরিশালে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে যুবকের ঝুলন্ত লাশ
সিরাজগঞ্জে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ইউএনসিওপিএস’এ যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ চিফস অব পুলিশ সামিটে (ইউএনসিওপিএ) যোগ দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল নিউইয়র্কে পৌঁছেছে।
শীর্ষ সৈন্য ও পুলিশ যোগানদাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্থাপত্যকে শক্তিশালী করার বিষয়ে অবদান রাখতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদও সামিটে যোগ দেবেন।
সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ঢাকা শহরকে সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে একটি সময়সূচি উপস্থাপন করেছি এবং আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর করতে চাই। সেখানে দোকান-পাট, বিপণি বিতান, কাঁচা বাজার, রেস্তোরাঁর রান্নাঘর ও খাবার সরবরাহ, চিত্ত-বিনোদনসহ প্রেক্ষাগৃহ ইত্যাদির জন্য সমসয়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ওষুধের দোকানগুলোর জন্য বিশেষভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাড়া-মহল্লার ওষুধের দোকানের জন্য আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি এবং হাসপাতালের সঙ্গে যে ওষুধের দোকানগুলো রয়েছে সেগুলোকে রাত ২টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর বাইরে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায়, তাহলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। আমরা সেটা বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রমকে বর্ধিত সময় দেবো। কিন্তু ঢাকা শহরকে একটি সুনির্দিষ্ট সময়সূচির মধ্যে আনতেই হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
মঙ্গলবার বিকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ষোড়শ করপোরেশন সভার সূচনা বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে বিচ্ছিন্নভাবে নানা মাধ্যমে আলোচনা হলেও করপোরেশন এখনো কোনো পক্ষ বা ব্যক্তি হতে কোনো আবেদন পায়নি জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঘোষিত গণবিজ্ঞপ্তির সময়সূচি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। শুধুমাত্র হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট ওষুধের দোকানগুলো খোলা রাখার বিষয়ে বিভিন্নভাবে বলা হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অংশীজন যারা আছেন, তারা কিন্তু আমাদের কাছে কোনো লিখিত আবেদন করেননি।
পর্যাপ্ত চিকিৎসক নিশ্চিত না করে ২৪ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সংযুক্ত ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার যৌক্তিকতা আমরা দেখি না। কারণ, যেখানে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারে সুনির্দিষ্ট সময়ের পর, শুক্র-শনিবার এবং রাতের বেলা চিকিৎসকই পাওয়া যায় না, সেখানে ওষুধের দোকান কেন খোলা রাখা হবে? আগে তো চিকিৎসক নিশ্চিত করতে হবে। তারপরই তো চিকিৎসা সেবার জন্য ওষুধের দোকান খোলা রাখতে হবে। তারপরও কোনো হাসপাতাল থেকে যদি লিখিত কোনো আবেদন আসে, আমরা অবশ্যই সেটা বিবেচনা করব।
ঘোষিত সময়সূচি বাস্তবায়নে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা প্রদান করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আপনারা অবশ্যই এই সময়সূচি নিশ্চিত করবেন। এলাকা, পাড়া-মহল্লায় যাতে সকলেই সূচি মেনে যেন কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করে, সেটি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় হলে আমরা আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেবো। সেলক্ষ্যে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলবে: মেয়র তাপস
সময়সূচির সঙ্গে করপোরেশনের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম ও শহরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, শুধু অবকাঠামো উন্নয়নেই একটি শহরকে পরিচালনা করা যায় না। তার সাথে সাথে আনুষঙ্গিক যত বিষয় রয়েছে সেগুলোরও সংযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট সময়সূচির সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা জড়িত। যখন সবকিছু একটি সূচির আওতায় আসবে তখন আমরা কার্যক্রমগুলো আরও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারব। ঢাকাবাসীকে ফলপ্রসূ ও কার্যকর সেবা দেয়ার পাশাপাশি একটি উন্নত ঢাকা উপহার দিতে পারব।
শেরপুরে ট্রলিচাপায় বিধবা নারী নিহত
শেরপুরে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি চাপায় ফিরোজা খাতুন (৫০) নামে এক বিধবা নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের দমদমা কালীগঞ্জ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ফিরোজা স্থানীয় মৃত আব্বাস আলীর স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শেরপুর শহরের দমদমা কালীগঞ্জ উত্তরপাড়ায় সেলিম তরফদার সুজনের পরিচালনাধীন একটি ইটের ভাটা রয়েছে। ওই ইটভাটার স্যালোইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলি মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ভাটা থেকে জেলা কারাগার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। পথে স্থানীয় আব্বাস আলীর বাড়ির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ওই ট্রলি ফিরোজা খাতুনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ট্রলিটির চালকও এসময় নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রলিটি রাস্তার পাশের পুকুরে উল্টে পড়লে চালক দ্রæত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ট্রলিচাপায় বিধবা নারী নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। নিহতের লাশটি থানায় রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হবে।
ওসি আরও জানান, সেলিম তরফদার সুজন তাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, তাদের ভাটা থেকে ইটের ভাড়া মারলেও ট্রলিটি তার নিজের নয়।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, একটি দেশের ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য রেল খাতের উন্নয়ন জরুরি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেয়ার পরে আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
মঙ্গলবার রেলভবনে পাঁচটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচল শুরু জুনে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদেশিরা যেভাবে রেল থেকে আয় করে থাকে, বাংলাদেশ রেলওয়েও বহুমুখী আয়ের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। রেলের অপটিক্যাল ফাইবার লিজ প্রদান রেলের আয় বৃদ্ধি কার্যক্রমের একটি অংশ।
মন্ত্রী বলেন, রেল জনগণের বাহন। জনগণকে জানানোর উদ্দেশ্যে, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য আমরা প্রকাশ্যে চুক্তি করছি। তিনি বলেন, রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি ভর্তুকি দিয়ে চলছে। রেলের অনেক সম্পদ আছে। আমরা সেখান থেকে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় রেলখাত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু রেলকে পুনর্গঠন করেন। ৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো রেলের কোন উন্নয়ন করেনি। ১০ হাজার রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীকে হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে বিদায় করেছে। আমরা ভবিষ্যতে রেলের জমিসহ পণ্য পরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
আরও পড়ুন: টিটিই বরখাস্ত: স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে বিব্রত রেলমন্ত্রী
পর্যায়ক্রমে সকল রেল ব্যবস্থাকে ব্রডগেজে রূপান্তর করছি: রেলমন্ত্রী
বিশ্বরেকর্ড গড়া হলো না ক্ষিতীন্দ্রের
একুশে পদক পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্যকে অবশেষে হার মানতে হল অসুস্থতার কাছে।
বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দূরে ভৈরবে পৌঁছার লক্ষ্য নিয়ে সাঁতার শুরু করেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সুনামগঞ্জ থানার রঙ্গারচর ইউনিয়নের হরিপাটি নামক স্থানের পাশের সুরমা নদীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে নৌকায় তোলা হয় এবং যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সাঁতার শুরু করেছেন ৭০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র
সাঁতার প্রতিযোগিতায় নেমে পানিতে ডুবে কমিশনারের মৃত্যু
মঙ্গলবার তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর সেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা জানান, যেহেতু বৃষ্টি হয়েছিল আর নদীর পানি প্রচুর ঠাণ্ডা তাই আজ সকাল থেকেই উনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, আমরা বার বার অনুরোধ করলেও উনি উনার গন্তব্যে যাওয়ার প্রত্যয়ে সাঁতার চালিয়ে গেলেও অবশেষে শরীরের কাছে হার মানতে হয়েছে। উনি প্রায় ৩৩ ঘণ্টা সাঁতার কেটে ৮৩ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দিয়েছেন।
এর আগে বিশ্বরেকর্ড গড়তে সোমবার সকালে সিলেট থেকে সাঁতার শুরু করেছিলেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। নগরীর সুরমা কিনব্রিজ পয়েন্ট সংলগ্ন চাঁদনিঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।
তার ২৮৫ কিলোমিটার সাঁতরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ফেরিঘাটে পৌঁছানোর কথা ছিল। এতে প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে তার ধারণা ছিল। এইটুকু পথ সাঁতরে যেতে পারলে টানা সাঁতারের বিশ্বরেকর্ড হবে বলেও জানিয়েছিলেন ক্ষিতীন্দ্র।
তার এই সাঁতারে সার্বিক সহযোগিতায় থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া সাঁতারু আ. মালেককে কেউ মনে রাখেনি
বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিলেন ৪০ সাঁতারু
সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তলাবিহীন ও ভিক্ষুকের দেশ খ্যাত বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।
আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের নৃসংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না।
এছাড়া ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।
তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময় চরমশত্রু মনে করতো এবং তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য নেন।
আরও পড়ুন: জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
আ.লীগ জনগণের দল, আমাদের শক্তি জনগণের শক্তি: আইনমন্ত্রী
কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে: ফরিদ আহাম্মদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কাঁচা বাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ঢাকা সাউথ সিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ফুড সিস্টেম’ এর ১১তম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা একটা প্রবিধান করেছি। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যথাযথভাবে এড্রেস করব। আমরা আশাবাদী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত একটি প্রবিধান পেয়ে যাবো। এরপরে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কাঁচা বাজারগুলোয় শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাঁচাবাজার ও সুপারশপ বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে: ডিএমপি
প্রবিধানের অভাবে এতদিন ঢাকা শহরের অধিকাংশ কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কষ্টসাধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে কাঁচা বাজারের সংখ্যা চার শতাধিক। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজারের সংখ্যা খুবই কম। এটা পঞ্চাশেরও নিচে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী এটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখানে বলা হয়েছে যে, প্রবিধান দ্বারা আমরা এই কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করব। এর আগে এই প্রবিধান করা হয়নি বলে বেসরকারি বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা সহজ ছিল না। কিন্তু প্রবিধান চূড়ান্ত হলে এই কার্যক্রম সহজতর হবে।
করপোরেশন কেবল এককভাবে নয়, সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি জানান, বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের একটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। কিন্তু এককভাবে এই কমিটি তা পারবে না। আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমাদের স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আমাদের স্যনিটারি পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট এনজিগুলোর সমন্বয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি সকলে মিলে ঢাকার কাঁচা বাজারগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।
এছাড়াও বৈঠকে অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৯ নম্বর আসনের শেফালী আক্তার ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খাঁন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা ও ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট (আইপিটিএম) এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে: দেবপ্রিয়
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং তারপর লিটারে মাত্র ৫ টাকা কমানো হল অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ৫ টাকা কমানো প্রতারণা।
তিনি আরও বলেন, দক্ষতার অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ইআরএফ ডায়ালগ-এ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা বৈদেশিক লেনদেনে নয়, বরং দেশীয় আর্থিক খাতের দুর্বলতা।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মন্দা ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এর বিরূপ প্রভাব কমানো যেতে পারে।
তিনি অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে চারটি বিচ্যুতিও চিহ্নিত করেছেন, যা বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই বিচ্যুতিগুলো হলো- বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না পাওয়া, রাজস্ব উৎপাদনে দুর্বলতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগের অভাব এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচিতে বৈষম্য।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন সরকারি বিনিয়োগ দ্বারা চালিত হচ্ছে কারণ জিডিপিতে ব্যক্তিগত বিনিয়োগের অনুপাত কয়েক বছর ধরে বাড়েনি এবং এখনও জিডিপির ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সিডিপিতে পুনর্নিযুক্ত হলেন ড.দেবপ্রিয়
অন্যদিকে, জিডিপিতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৫ থেকে ৬ শতাংশ থেকে ৭ থেকে ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরকম কোনো বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ হয়নি কারণ এফডিআই এখনও জিডিপির এক শতাংশের নিচে যা একটি গতিশীল অর্থনীতির জন্য যথেষ্ট নয়’।
গত ১০ বছরে গড়ে ৫ থেকে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি ইঙ্গিত দেয় যে আয় বাড়ছে। ‘তাহলে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না কেন... হিসেব-নিকেশে কোনো গরমিল আছে কি?’
তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, রাজস্ব আহরণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সরকার খাদ্যশস্য আমদানি করতে পারছে না, পাশাপাশি খাদ্য সহায়তার আওতা বাড়ানোও সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার শুল্ক ও মাসুল কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে, যার জন্য তারা রাজস্ব সংগ্রহের জন্য পরোক্ষ করের ওপর প্রচুর নির্ভর করে; যা সাধারণ মানুষকে চাপে ফেলেছে।’
দেবপ্রিয় অভিযোগ করেন, ভৌত অবকাঠামো খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ হলেও স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ২০টি মেগা প্রকল্পে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে, যেখানে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ জিডিপির এক শতাংশ।
তিনি জানান, রাজনৈতিক শক্তি রাজনৈতিক ঘাটতি পূরণের জন্য দ্রুত গতিতে দৃশ্যমান ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সামাজিক সুরক্ষা নেট ভাতা বিতরণে বড় আকারের বৈষম্য হয়েছে। কারণ তখন প্রমাণিত হয়েছিল যে দুর্বল লোকদের জন্য সরকারি পরিষেবাগুলো পাওয়া সহজ ছিল না।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মহল নীতিনির্ধারকদের প্রশংসা পাচ্ছেন, যার জন্য মেধাভিত্তিক ও আন্তর্জাতিক মানের মানবসম্পদ উন্নয়নের অপর্যাপ্ত বিকাশ ঘটেছে।
ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশের রপ্তানি, সরকারি ব্যয় কমে যাওয়াটা বড় উদ্বেগের: সিপিডি
২০টি মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রয়োজন: দেবপ্রিয়
আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের কৃত্রিম সংকট ও কারসাজি রোধে সারা দেশে চলতি আগস্ট মাসে ৩৮৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ৩৮৩জন ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীকে ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
যশোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ৬০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহে ৩৫টি, নওগাঁয় ৩১টি, ঠাকুরগাঁও ও নড়াইলে ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে যারা অনিয়ম করেছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য। লাইসেন্স দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমরা তাদের কাছে সুপারিশ পাঠাচ্ছি, তারা এটা পরীক্ষা করবে এবং অনেক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল হবে বলে আমরা মনে করতেছি।
আরও পড়ুন: কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্থানীয়ভাবে দাম বাড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করেছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন চাষীরা ধান লাগানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। তাদের সারও কিনতে হয়। হয়তো ডিলার বলতেছে গাড়ি আসেনি বা কোন কারণে আজকে সার নেই, কাল আসেন। কৃষক হয়তো বলে না থাকলেও কিছু দাও, তখন চালাকি করে কারসাজি করে দাম বেশি নিচ্ছে। ডিসি, এসপি, কৃষি কর্মকর্তাদের টেলিফোন করি, সবাই বলে আমাদের এখানে সারের কোন সমস্যা নেই। আমাদের গুদামে সারের সংকট নেই, গত বছরের চেয়ে এবার বেশি সার দিচ্ছি। তারপরও কেন দাম বাড়বে। এখানে আমাদের প্রশাসনের কিছুটা ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে। দাম বাড়ার তো কোন কারণ নেই। সংকট নেই।
প্রশাসনের ব্যর্থতার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের লোক থাকতে পারে, সেটাও আমরা দেখছি। খুব শক্তভাবে, কঠোরভাবে আমরা এটা করার চেষ্টা করছি। রংপুর ও বগুড়ায় এটা বেশি হয়েছে, আমরা এগুলো তদন্ত করছি।
আগস্টে আজকে পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে আমদানি করা এক লাখ ৮০ হাজার টন এমওপি সার দেশে পৌঁছেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এক লাখ ১৬ হাজার টন সার দেশে পৌঁছবে। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার টন ও অক্টোবর ৭০ হাজার টন এমওপি সারের চাহিদা রয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে মজুদ অনেক বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী