বাংলাদেশ
কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম কমেছে ভোজ্যতেলের। মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডলারের দাম যদি আর না বাড়ে এবং কমের দিকে যায়, তাহলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়বে। এছাড়া ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) বৈঠকে বসবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ের অনুরোধ ক্যাবের
সামনে ভোজ্যতেলের দাম কমবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আমরা অনেক বার বাড়িয়েছি। আবার এ পর্যন্ত তিনবার কমিয়েছি। আপনারা লক্ষ্য করবেন ৬ বা ৭ টাকা সয়াবিনে বাড়ানো হয়েছে, আবার ৭ টাকা পাম অয়েলে কমেছে।
তিনি বলেন, ইন্টারেস্টিং একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় আমাদের সয়াবিন তেল কিন্তু ৩৫ শতাংশের মতো ইমপোর্ট হয়। ৬৫ শতাংশ ইমপোর্ট হয় পাম অয়েল। অতএব সার্বিক ইমপ্যাক্টটা ভালো হয়েছে। আমরা আবারও বসবো খুব শিগগিরই। সময় হয়ে গেছে, হয়তো প্রথম সপ্তাহেই আমরা বসবো। এ সময় আমরা দেখে ঠিক করবো কি হওয়া উচিত। একটা ক্যালকুলেশন সিস্টেম আছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান বাড়বে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযানে খালি জরিমানা করেছে। আমি বলেছি টাকা-টুকা জরিমানা বাদ, মামলা করেন অন্যায় যারা করে তাদের বিরুদ্ধে। কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে তারা সঠিক না ভুল। দুই লাখ লাভ করলো, ৫০ হাজার জরিমানা করলে, সে তো মনের আনন্দে আছে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ ভোজ্যতেল শোধনাগারের বিরুদ্ধে বিসিসির মামলা
ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয়ে শিগগিরই ট্যারিফ কমিশন বসবে: মন্ত্রী
আমরা ব্যাচেলেটের সফরের মাধ্যমে কিছু লোকের মুখোশ খুলে দিয়েছি: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের সাম্প্রতিক সফরের মাধ্যমে সরকার সুশীল সমাজের একটি অংশসহ কিছু লোকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মুখোশ খুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কাজে বিশ্বাস করি। আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও আমাদের যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে (মানবাধিকার বিষয়গুলো দেখার জন্য)। আমরা এটা প্রমাণ করতেও পারি।’
তিনি বলেন, কিছু লোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছিল, এটা খুবই ‘নিচু ও নোংরা’ কাজ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সফরকালীন সময়ে তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, তারা আসলে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফর্মকে (বিএনপি-জামায়াত) সহায়তা করছেন। ‘এটি সরকারকে অপমান করার একটি অশুভ প্রচেষ্টা।’
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত তাদের লোকজন নিয়ে দেশে-বিদেশে ক্রমাগত ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।
কিছু মানুষ জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের আলোচনার বাইরে গিয়ে কিছু বিষয় উত্থাপন করায় প্রতিমন্ত্রী তার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, জাতিসংঘের কার্যপ্রণালী কিভাবে চলে সে সম্পর্কেও তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই।
শাহরিয়ার বলেন, সুশীল সমাজের একটি অংশের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যাচেলেট স্পষ্ট করে বলেছেন যে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত দাবিগুলো সমাধান করা তার আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে নেই।
তিনি এই ধরনের প্রচেষ্টাকে ‘আপত্তিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর চর্চা নয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শাহরিয়ার বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বুঝতে পেরেছেন এই মানুষগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য কী।
তিনি অবশ্য বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার জন্য সরকার সুশীল সমাজের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তবে এর একটি অংশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।
শাহরিয়ার বলেন, তথাকথিত বিরোধী দলগুলোর একটি বড় ‘ভুল ও ভ্রান্ত ধারণা’ রয়েছে যে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে তাদের অনেক দাবি পূরণ হবে। ‘তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাচেলেট নিজে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি তবে তার সহকর্মীকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে নিযুক্ত করেন।
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারকে আমন্ত্রণ জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার এই সফর জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা গড়ে তুলবে এবং বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।
ঢাকায় ব্যাচেলেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন ও শিক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সম্ভাবনা নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেছেন ইউএনডিপির নতুন আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে তার পরিচয়পত্র উপস্থাপন করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান লিলারকে স্বাগত জানান এবং ইউএনডিপি’র অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আকিম স্টেইনার কর্তৃক প্রদত্ত নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে স্টেফান লিলার বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধভাবে অপপ্রচারের মোকাবিলা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে স্টেফান লিলার বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরন, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইউএনডিপি'র পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন।
সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং কাউকে পেছনে ফেলে না যাওয়ার চেতনায় বাংলাদেশে ইউএনডিপি'র কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন, বৈষম্য হ্রাস, যুব কর্মসংস্থান, জলবায়ু কার্যক্রম, পরিবেশ সুরক্ষা ও জ্বালানি সক্ষমতার মত বিষয়কে গুরুত্ব দেয়।
স্টেফান লিলার সুইডেনের একজন নাগরিক। তিনি একজন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। তার সংঘাত, সংঘাত-পরবর্তী, নিম্ন, মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশের প্রেক্ষাপটে কাজ করার প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, লিঙ্গ, উন্নয়ন অর্থায়ন, জ্বালানি ও পরিবেশ, সুশাসন ও আইনের শাসনে তাঁর নীতিগত ও বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বাংলাদেশে তার বর্তমান দায়িত্ব গ্রহণের আগে, তিনি উরুগুয়েতে ইউএনডিপি আবাসিক প্রতিনিধি হিসাবে এবং এর আগে মলদোভায় ইউএনডিপি ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব লজ এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ইকোনমিক্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশার বাণী শুনালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে মন্তব্যহীন দিল্লি
শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কখনও শ্রীলঙ্কার মতো হবে না। কারণ আমাদের সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা অভিযোগ করে লাভ নাই। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না, হতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারকে হত্যা, শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তার সরকার পরিকল্পিতভাবে বাজেট প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে দেশকে লাভবান করতে গ্রহণ করা হয়েছে।
পড়ুন:আ.লীগ নেতা নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণের আগে আমরা চিন্তা করেছি দেশ ও দেশের মানুষ এটি থেকে কিভাবে লাভবান হতে পারবে। একটি বড় প্রকল্প থেকে মোটা অংকের কমিশন নিতে সর্বোপরি আমরা কখনও চিন্তা করিনি।’ ‘শেখ হাসিনা কোন প্রকল্প থেকে এভাবে (টাকা কামাই করতে) চিন্তা করেনি,’ তিনি যোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সময়মতো বিদেশি বিনিয়োগের ব্যয় পরিশোধ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ধারের টাকায় ঘি খাই না। আমাদের ঋণের পরিমাণ খুব বেশি নয় যে আমরা কোন প্রকার ঋণের ফাঁদে পড়ে যাবো।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সহ-সভাপতি সাদেক খান এমপি এবং এমএ কাদের খান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি শহীদ সেরনিয়াবাত এবং নূরুল আমিন রুহুল এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই: প্রতিমন্ত্রী
দেশে করোনায় একদিনে ১৭২ রোগী শনাক্ত
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। এসময়ে নতুন ১৭২ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৩২৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ১১ হাজার ৭৩২ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার চার দশমিক ০৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ২০১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনায় বন্ধ হওয়া ৬ ট্রেন চালু হয়নি, দুর্ভোগে যাত্রীরা
দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ২৪৩
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ২৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদের মধ্যে ১৯৬ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৪১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: একদিনে আরও ২০১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৬০১ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট পাঁচ হাজার ৯৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় চার হাজার ৮৮৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে পাঁচ হাজার ১৯৮ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে চার হাজার ২৭৮ জন ঢাকার এবং বাকি ৯২০ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৩১ জন হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু: একদিনে আরও ১৭৬ জন হাসপাতালে ভর্তি
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
বরিশালে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের উজিরপুর বামরাইল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মাইদুল ইসলামকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার বরিশালের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রীর করা মামলায় স্বামীর ৭ বছর কারাদণ্ড
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল গ্রামীন ব্যাংক কেন্দ্রে ম্যানেজার থাকাকালীন ২০০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার মাধ্যমে ১৭ জন গ্রাহকের এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেন মাইদুল ইসলাম। এই ঘটনায় বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারি পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২ জুলাই মামলা করেন।
২০১৭ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসান মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।
আদালত সাত জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় গোয়ালঘর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১২টার পরে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।
শরিফুল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমারখালীসহ বিভিন্ন থানায়, ডাকাতি, চুরি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আকিবুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ফিলিং স্টেশনে আগুন, নিহত ২
তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২ টার পরে পান্টি ইউনিয়নের শরিফুল ইসলামের গোয়ালঘরে অভিযান চালিয়ে গোয়ালঘরের ভেতর একটি পরিত্যাক্ত ব্যাগ থেকে একটি শুটারগান ও ৭ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সেগুলো জব্দ করা হয়।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, রাতে মাদক ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে গোয়ালঘর থেকে গুলিসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যুবক কারাগারে
কুষ্টিয়ায় বয়লার মেশিন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জৈন্তাপুরে নৌকা দিয়ে বালু শ্রমিকদের ব্যতিক্রমী অবরোধ!
সিলেটের জৈন্তাপুরের বড় নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু, পাথর উত্তোলন বন্ধ, বোল্ট গেট দিয়ে বালু-পাথর পরিবহন বন্ধ এবং নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরকারি রয়েলটি আদায়ের দাবিতে নৌকা দিয়ে নদীপথ বন্ধ করে অবরোধ পালন করেছে বালু শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সারী নদীর ইন্দারজু এলাকায় নৌকা বন্ধন করে শ্রমিকরা নদীপথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়৷
অবরোধ পালনকারী সারী নদী নৌকা শ্রমিকের সভাপতি আমির আলীর সহ-সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সম্প্রতি সারী নদীর তৃতীয় অংশের মামলাভুক্ত এলাকা ছাড়া বাকি দাগগুলো ইজারা দেয় সরকার। কিন্তু উল্লেখিত দাগগুলোতে বালু-পাথর না থাকায় মামলাভুক্ত দাগ থেকে অবৈধ ভাবে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ও স্থানীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় অবৈধভাবে ড্রেজার ব্যবহার এবং বোল্ট গেট নৌকা ব্যবহার করে বালু-পাথর পরিবহন করা এবং স্থানীয় নৌকা শ্রমিকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে তারা এই অবরোধ পালন করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিনি চা বাগান
বিবৃতিটি কোনো বৈশ্বিক প্রতিবেদন ছিল না: জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে, সম্প্রতি জেনেভায় বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের দেয়া প্রতিবেদনের শেষ বিবৃতির ভুল তথ্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই বিবৃতিটি কোনো ‘বৈশ্বিক প্রতিবেদন’ ছিল না।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি ওই বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ভুল তথ্যের জন্য দুঃখিত। এটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য ছিল না।’
তিনি বলেন, যেহেতু হাইকমিশনার হিসেবে তিনি ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়গুলোতে অনেক কিছু জেনেছেন, তাই তিনি জেনেভায় তার ২৫ আগস্টের শেষের ম্যান্ডেটের বিবৃতিকে বৈশ্বিক সমস্যাগুলোতে (জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, অর্থ সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদির ওপর ফোকাস করতে বেছে নিয়েছেন।)
মুখপাত্র বলেন, কেননা এই বিষয়গুলো বাংলাদেশ সহ সব দেশকে প্রভাবিত করছে এবং সেদিনই ছিল রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পঞ্চম বার্ষিকী।
রাভিনা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি, আর্থিক সংকট, নাগরিক স্থান ইত্যাদিসহ বৈশ্বিক ইস্যুতে হাইকমিশনারের বক্তব্য বাংলাদেশের রোহিঙ্গা বর্ষপূর্তিসহ সকল দেশকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সহিংসতা বন্ধে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের
তিনি আরও বলেন, আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন যে হাইকমিশনার ঢাকায় সরকার, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য সংলাপে তার বৈঠক এবং ঢাকায় তার মিশন শেষের বিবৃতিতে বিস্তৃত মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে তার উদ্বেগ ব্যাপকভাবে আলোচনা করেছেন।
ঢাকায় দেয়া তার বিবৃতিতে হাইকমিশনার বলেন, ‘সমস্যাগুলো স্বীকার করে নেয়া সমাধানের প্রথম ধাপ।’ এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় হাইকমিশনারের সুপারিশ অনুসারে বাংলাদেশে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা এবং অন্যান্য সহায়তা করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক