বাংলাদেশ
৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি, ইবির সেই কর্মকর্তাকে অব্যাহতি
অনুমোদন ছাড়াই স্টোর রুম থেকে কম্পিউটারসহ পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে দাপ্তরিক সকল দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টোরে রক্ষিত অব্যবহৃত মালামাল কম্পিউটার, সিপিইউ ও পুরোনো কাগজ বিক্রির বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার টিপু সুলতানকে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তার প্রদত্ত জবাব কর্তৃপক্ষের নিকট সন্তোষজনক না হওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে তার দাপ্তরিক দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হলো।
এর আগে গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো জিনিসের স্টোর রুম পরিষ্কারের কথা বলে এস্টেট অফিস প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) টিপু সুলতান ও তার সহযোগী উকিল উদ্দীন, বকুল হোসেন ও সাবু সেখানে থাকা পুরোনো জিনিসপত্র বিক্রি করেন। প্রায় একশ পুরোনো কম্পিউটার ৫০ টাকা দরে, ১০ থেকে ১২টি ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার, ১০ মণ রড, জানালার পুরোনো গ্রিল, ব্যবহারযোগ্য লোহার পাইপ এবং প্রায় সাড়ে চারশ কেজি কাগজ বিক্রি করেন।
পড়ুন: ইবিতে ৫০ টাকায় কম্পিউটার বিক্রি!
কুসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সকল দলের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে এবং এটি থাকবে। বিশ্বের অনেক দেশের নির্বাচনই উত্তেজনাপূর্ণ হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনাই আমরা চাই না।
আরও পড়ুন: নিম্নবিত্তের মানুষকে সাশ্রয় মূল্যে পানি দিন: ওয়াসাকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচনকালীন কমিশনের অধীন কাজ করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বাংলাদেশের নগর স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে কাজ করতে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। পরবর্তীতে যৌথভাবে নগর ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা হবে।
দ্বিপক্ষীয় ও অভ্যন্তরীণ সমসাময়িক সমস্যা সমাধানে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে অঙ্গীকার করেন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সেই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও নতুন উচ্চতায় নেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঋণের দিক দিয়ে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৩ কর্মকর্তা
পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৪৩ জন কর্মকর্তাকে উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত জারিকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাদের যোগদানের তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজিদের আইজিপি
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাক নৃশংসতা ছিল ‘ভয়ানক’: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মঙ্গলবার বলেছেন, নিঃসন্দেহে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তা ছিল ভয়ানক নৃশংসতা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে মার্কিন আইনের অধীনে গণহত্যা নির্ধারণের প্রশ্নটি খুব কঠিন আইনি প্রশ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেয়ার অবস্থানে আছে কি না জানতে চাইলে ‘ডিক্যাব টক’-এ তিনি এ মন্তব্য করেন।
মার্কিন সরকার সম্প্রতি নির্ধারণ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ গণহত্যা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে নির্বাসনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অত্যন্ত জটিল আইনি প্রক্রিয়া এবং এটি এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তারা বাংলাদেশের আগ্রহ সম্পর্কে অনেক সচেতন কিন্তু বর্তমানে তা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মানবাধিকার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোন ছাড় দেয় না’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
পূর্বের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি আবারও বলেন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার,সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমস্যাগুলোকে দেশটির পররাষ্ট্র নীতির কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সে বিষয়ে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ ডিক্যাব টকের আয়োজন করে।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ক্যাবল টিভি ‘সেট টপ বক্স’ স্থাপনের সিদ্ধান্তে ফের স্থগিতাদেশ
ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ক্যাবল টিভির গ্রাহকদের ডিজিটাল ‘সেট টপ বক্স’ বসানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করে সরকারের সিদ্ধান্ত আবারও স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গত ২৮ এপ্রিল সেট টপ বক্স স্থাপন করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দিয়েছেন।
রুলে কেবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরে গত ২৮ এপ্রিল সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘কোনো নীতিমালা না করে’ সরকার ওই প্রজ্ঞাপন জারি করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন কেবল নেটওয়ার্কের গ্রাহক ঢাকার গোরানের বাসিন্দা মো. আবুল কাউসার কল্পন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা।
রিটকারীর আইনজীবী খন্দকার মো. মুশফিকুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, সেট টপ বক্স লাগাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এ প্রজ্ঞাপন জারিকে কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংরক্ষণের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
গত ১ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভা করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ‘সেট টপ বক্স’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
ওই দিন সভা শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেট টপ বক্স বসাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্রাহকদের ২ মাস সময় দেয়া হবে। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ডিজিটাল সেট বক্স বসাতে হবে। যারা ডিজিটাল সেট টপ বক্স সেবা নেবেন না, তারা ৩১ মার্চের পরে অনেকগুলো সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। সব বিভাগীয় শহর ও মহানগরের গ্রাহকরা আরও ২ মাস সময় পাবেন। ৩০ মের মধ্যে তাদের ডিজিটাল সেট টপ বক্স বসাতে হবে।’
পরে গত ২৮ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এতে বলা হয়, ক. প্রথম ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম চলতি বছরের ৩১ মের মধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর করতে হবে। অর্থাৎ গ্রাহকরা নিজেদের টেলিভিশনের সঙ্গে সেট টপ বক্স সংযুক্ত করতে হবে।
খ. সেট টপ বক্স ব্যবহারে গ্রাহকদের আগ্রহী করার জন্য সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে এবং বিটিভি কর্তৃক নির্মিত টিভিসি বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো বারবার প্রচার করতে হবে।
গ. ক্যাবল নেটওয়ার্ক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন নীতিমামলা/গাইডলাইন প্রণয়নের জন্য ক্যাবল অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ/ ডিস্ট্রিবিউটররা এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ইনপুট মন্ত্রণালয় পাঠাবে।
নীতিমালা তৈরি করতে ‘ইনপুট’ চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রিটকারীর আইনজীবী খন্দকার মোহাম্মদ মুশফিকুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার মানে এ সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা নেই। প্রযুক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকার প্রস্তুত না। যেখানে নীতিমালা নেই, প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি যেখানে নেই, সেখানে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। যে কারণে বিজ্ঞপ্তিটি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে টিভি ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আসবে। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখা অব্যাহত রাখতে ডিশ ক্যাবল গ্রাহকদের এ সময়ের মধ্যে ক্যাবল বা ফিড অপারেটরের সহযোগিতায় এনালগ পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল সেট টপ বক্স স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায় আগামী ৩০ নভেম্বরের পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখা যাবে না।
ওই গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মো. সাহেদ কাওসার হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে প্রাথমিক শুনানির পর তখন ওই গণবিজ্ঞপ্তিটির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
পড়ুন: ডাটাবেজ থেকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য গায়েব, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরের মৃত্যু
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত কিশোর সিরাজ ইসলাম (১৬) নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গোসাইগঞ্জ গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চলতি বছরের ১৫ মার্চ সিরাজকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। গত ২৮ মে জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হলে একই দিন তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, কিশোর সিরাজ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, রক্তস্বল্পতা ও জণ্ডিসে ভুগছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় সে মারা যায়।
হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার রুবেল হাওলাদার বলেন, সিরাজের যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে। তার মা-বাবার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গায় গাছের ডাল ভেঙে কিশোরের মৃত্যু
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় সোমবার রাতে কাভার্ড ভ্যান চাপায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুবীর কুমার কর্মকার জানান, মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল এলাকা পার হওয়ার সময় শাহ সিমেন্টের একটি কাভার্ড ভ্যান শহিদুলকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
উত্তর প্রদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
ইতিহাসে জিয়া খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী
জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দুর্নীতি, লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর জিয়াউর রহমান ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। শুধু তাই নয় জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে।’
মঙ্গলবার (৩১ মে) রাজধানী শিল্পকলা একাডেমীতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস এসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে সেজন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, কিন্তু লক্ষ্য করবেন বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, এর পরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও দুই দফা ক্ষমতায় ছিল কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করে নাই।’
এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটোসাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করবো, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের একশ’ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির একশ’ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
কাতার চ্যারিটির সহায়তায় ৩১ শিশুর হার্ট অপারেশন
জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত ৩১ শিশুর অপারেশনে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা কাতার চ্যারিটি।
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার ফাতেমার নেতৃত্বে একটি টীম শিশুদের এই অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করে।
এসব শিশুর অভিভাবকরা প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। ল্যাবএইডের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার আবেদন পেয়ে কাতার চ্যারিটি সাড়া দেয় এবং চিকিৎসার সামগ্রিক ব্যয় বহন করে।
চিকিৎসক ও অভিভাবকরা কাতার চ্যারিটি থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে দাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
৩১ শিশুর অপরাশনে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশ অফিস।
আরও পড়ুন: ‘মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্লান্টের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’
৫ ভারতীয় নাগরিক ফের কুড়িগ্রাম কারাগারে
বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ৫ নাগরিককে দেশে পাঠানোর উদ্যোগ বাতিল হয়ে গেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র না পাওয়ার কথা জানিয়ে তাদেরকে নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পুনরায় কুড়িগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেল সুপার মো. ইসমাইল হোসেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকন জানান, মাদক বহন ও পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাত ভারতীয় নাগরিককে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। দীর্ঘ কারাভোগের পর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আসামি হস্তান্তরের জটিলতায় এদের কেউ কেউ ছয়মাস থেকে একবছর ধরে বিনা বিচারে কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম: অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৫ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ পাঁচ ভারতীয় নাগরিককে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। তবে কাগজপত্রের জটিলতার কারণে তাদেরকে চেকপোস্ট থেকে আবারও কুড়িগ্রাম কারাগারে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে এই ৫ নাগরিক ছাড়াও আরও ২ ভারতীয় নাগরিককে এখন সাজাভোগের পর বিনা অপরাধে কারাগারে সাজাভোগ করতে হবে।
বুড়িমারী চেকপোস্ট থেকে ফেরত প্রদানকারী ৫ ভারতীয় নাগরিক হলেন, কুচবিহার জেলার আলম মিয়া, আসামের ধুবরী জেলার মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ মাইনকারচর জেলার সেলিম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও মাহা আলম শেখ।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে ঝিনাইদহে আটক ১০