বাংলাদেশ
এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রিসভায় আরটিএ নীতি অনুমোদন
এলডিসি পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের রপ্তানি বাজার রক্ষা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা সোমবার আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) নীতি, ২০২২-এর বাংলা ও ইংরেজি সংস্করণের খসড়া অনুমোদন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হয়েছে, তাই অনেক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি বাজারগুলোকে রক্ষা এবং প্রসারিত করার পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আমাদের পণ্যগুলোর জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে, আমরা আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। তাই, এর জন্য নীতি নেয়া হয়েছে (আরটিএ স্বাক্ষর করা)।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা পাবে: অস্ট্রেলিয়া
এছাড়া বৈঠকে বিসিকের আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন, ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
প্রস্তাবিত আইনটি বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করবে কারণ বিদ্যমান আইন-বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন, ১৯৫৭-একটি পুরানো আইন, যাতে সঠিকভাবে নারীদের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
মন্ত্রিসভা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অধীনে একটি ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
ভাষা গবেষণা ও উন্নয়নে ট্রাস্টের স্থায়ী তহবিল থেকে বৃত্তি ও ফেলোশিপ দেয়া হবে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এর নাম হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা গবেষণা ট্রাস্ট’।
বৈঠকে কূটনৈতিক, অফিসিয়াল, বিশেষ বা সার্ভিস পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অনুমোদনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল-মোটর ভেহিকেল এগ্রিমেন্টের (বিবিআইএন-এমভিএ) অধীনে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রানজিট কার্গো পরিবহনের অপারেটিং মোডালিটিস সংক্রান্ত পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
জমকালো আয়োজনে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে ‘সুপার গর্জিয়াস’ কারণ একই সঙ্গে দেশের ৬৪টি জেলায় মূল উৎসবের প্রতিলিপি হবে।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ নিয়ে পোশাক মালিকরা উদ্বিগ্ন নন: বিজিএমইএ সভাপতি
এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বার্লিনের সমর্থন চায় ঢাকা
দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
নরসিংদীতে তরুণীকে হেনস্তা: অভিযুক্ত নারী ৩ দিনের রিমান্ডে
আধুনিক পোশাক পড়াকে কেন্দ্র করে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এক তরুণীকে হেনস্তার ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা আক্তার সায়মাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক (প্রথম আদালত) দেলোয়ার হোসেন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীকে হেনস্তা, মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হেনস্তাকারী মার্জিয়া আক্তার ওরফে শিলা আক্তার সায়মাকে গ্রেপ্তারের পর রেলওয়ে পুলিশে হস্তান্তর করে র্যাব। পরে তাকে আদালতে তোলা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভৈরব থানার উপপরিদর্শক হারুনুজ্জামান রুমেল আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
আরও পড়ুন: নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ৩ শিক্ষার্থী রিমান্ডে
নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী রিমান্ডে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংরক্ষণের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ভর্তি ও পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসিকে) এ তথ্য জানাতে হবে।
পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, সে তথ্যও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শতাংশ গরিব, মেধাবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগের বিধান বাস্তবায়ন না করায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ইউজিসি’র চেয়ারম্যানসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাটাবেজ থেকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য গায়েব, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের ৯ এর ৪ উপধারা অনুযায়ী প্রতিবছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং মেধাবীদের জন্য ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার কথা। সেটি করা হচ্ছে না। আইনের ৯ ধারার ৬ উপধারা অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে নির্ধারিত একটি সুনির্দিষ্ট অংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণার জন্য রাখার কথা। এই হিসাবগুলো পাঠাতে হবে ইউসিজির কাছে। ইউজিসি পরে এই রিপোর্ট পাঠাবে মন্ত্রণালয়ের কাছে। পরে মন্ত্রণালয় পাঠাবে সংসদীয় কমিটির কাছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমরা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেটি জানার জন্য চেষ্টা করেছি। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কোটা সংরক্ষণের ও গবেষণার কাজে টাকা বরাদ্দের শর্ত পূরণ করেনি।
একই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারের কর্তব্য হচ্ছে আইন ভঙ্গ হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল এবং সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবে। ধারা ৪৯ এ বলা হয়েছে এগুলো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা আছে। বিগত বছরগুলোতে এসব কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও আমরা শুনিনি। এ কারণে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
ই-কমার্সের মাধ্যমে কত টাকা পাচার ও পাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট আগামী ৯ জুন ২০২২ সংসদে পেশ করা হবে। জাতীয় বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় দশমিক ৭৭ ট্রিলিয়ন টাকা (৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা) যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক চার শতাংশ।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) একটি শাখা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাধারণত সরকারের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করে। আসন্ন বাজেটে চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি এবং জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর
সরকার এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ালেও, গত কয়েক অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারার হার বাড়ছে। কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, বন্ধুত্বপূর্ণ রাজস্ব সংগ্রহের পদ্ধতি এবং ব্যাকডেটেড প্রযুক্তি রাজস্ব বোর্ডের জন্য বাধা।
হিসাব অনুযায়ী, বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেবে।
দেশীয় ঋণের মধ্যে ৯৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে এবং ৩৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
পর্যটন খাতে রাজস্ব বাড়াতে আইন সংশোধিত হচ্ছে
কৃত্রিম সংকট তৈরি না হলে দেশে খাদ্য সংকট হবে না: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশের মাটিতে সোনা ফলে। কৃষকের ঘরে ধারাবাহিকভাবে এখানে বোরো, আউশ ও আমন ধান ওঠে। কৃত্রিম সংকট তৈরি করা না হলে এদেশে খাদ্য সংকট হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে ‘বোরো ২০২২ মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যা করণীয় তার সবই করা হবে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করে ভোক্তাকে স্বস্তিতে রাখা হবে। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত প্রফিট না করে ভোক্তাদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। জুনের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। যে সকল মিল মালিক চুক্তিবদ্ধ চাল আগে পরিশোধ করবে প্রয়োজনে তাদের আরো বরাদ্দ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস বাজার থেকে ধান চাল কেনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা কৃত্রিম কোন সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বলেন মন্ত্রী। ভোক্তা যেন আতংকিত না হয় সে জন্য সচেতনতা তৈরি করার পাশাপাশি ধান চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ধান ও চাল সংগ্রহকালে কোন কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন কোনভাবে হয়রানি না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ময়েশ্চার মিটার দিয়ে কৃষকের ধানের ময়েশ্চার পরীক্ষা করে কৃষককে সহযোগিতা করতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের বাড়িতে গিয়ে ময়েশ্চার পরীক্ষা করে ধানসহ কৃষককে গুদামে পাঠালে তাদের ভোগান্তি কমবে। বেশি ময়েশ্চার বা ভেজা ধান ফেরত নিয়ে গুদাম থেকে মন খারাপ করে ফিরতে হবে না।
মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোয়ালিটির মানদণ্ডে উত্তীর্ণ না হলে সে চাল গুদামে পাঠাবেন না। চালের কোয়ালিটির সাথে কোন আপস হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো: মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
পড়ুন: চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
স্ত্রীকে হত্যা করে পাহাড়ে আত্মগোপন, অবশেষে স্বামী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে স্ত্রীকে খুন করে রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ে আত্মগোপন করা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার এস এস আবদুস সাত্তার (৭০) চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ার পাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।
জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রেজিয়া বেগমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দীর্ঘ ২৩ দিন রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন রিকশাচালক সাত্তার।
পুলিশ জানায়, গত ৭ মে পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় স্বামী। গুরুতর আহতাবস্থায় স্ত্রী রেজিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার অবস্থা গুরুতর দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই রেজিয়া বেগম মারা যান।
পর দিন মায়ের হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তাদের মেয়ে কামরুন নাহার রুমা।
সোমবার সকালে আসামির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া রিকশাচালক স্বামী এস এস আবদুস সাত্তারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
বাগেরহাটে ধর্ষণ ও ২ শিশু হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দাদিকে ধর্ষণ ও দুই নাতিকে হত্যা মামলায় বাচ্চু মৃধা (৫৮) নামের এক আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামিরা উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
এছাড়া এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খোকন খানকে বেসকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত বাচ্চু মৃধা মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা এলাকার মৃত বাকের মৃধার ছেলে। খালাসপ্রাপ্ত খোকন খান একই উপজেলার সমাদ্দারখালী এলাকার মৃত আছমত খানের ছেলে।
হত্যার শিকার মিরাজুল (৯) ও মো. ইমন ওরফে রিয়াজুল ইসলাম (৭) মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের লোকমান হোসেন বাবুর ছেলে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ১১ সেপ্টম্বর রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পায়লাতলা গ্রামের ফরহাদ মৃধার বসত ঘরের বারান্দায় দাদির সঙ্গে মিরাজুল ও রিয়াজুল ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১১টার দিকে বাচ্চু মৃধাসহ কয়েকজন এসে তাদের দাদিকে ধর্ষণ করেন। আসামিদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বিষয়টি টের পেয়ে মিরাজুল ও রিয়াজুলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দাদিকে মেরে ফেলছে বলে চিৎকার করে তারা। তখন আসামিরা মিরাজুল ও রিয়াজুলকে মেরে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয়। তাদের দাদিকেও মারধর করে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় হত্যাকারীরা। পরের দিন হত্যার মৃত দুই শিশুর বাবা লোকমান হোসেন বাবু বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১০ জুলাই মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। পরবর্তীতে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্য প্রমাণের বিরুদ্ধে আদালত এই মামলায় বাচ্চু মৃধাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামি খোকন খানকে খালাস প্রদান করেন।
এদিকে খোকনকে খালাস প্রদানের ফলে আদালতের রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী লোকমান হোসেন বাবু।
তিনি বলেন, বাচ্চুর সাথে খোকনও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। খোকনকে কেন আদালত খালাস দিল আমি জানি না। খোকনের শাস্তির জন্য উচ্চাদালতে আপিল করার কথা বলেন তিনি।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখ মনিরুজ্জামান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রনজিৎ কুমার মন্ডল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রনজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এই রায়ে খুশি।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুলছাত্র হত্যায় ১৭ আসামির ৭ বছর করে কারাদণ্ড
ছোট ভাইকে হত্যার দায়ে বড় ভাইয়ের ৭ বছরের কারাদণ্ড
চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ফসল কাটার মৌসুমে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সোমবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈঠকে দেশের ভোজ্যতেল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে চালানো সাম্প্রতিক অভিযানের মতো অবৈধ চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অননুমোদিতভাবে ব্যবসা এবং চাল মজুদ করে থাকে তাহলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল বলেন, ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বেড়েছে এবং চাল মজুদ করা হচ্ছে কি না এবং কেউ অবৈধভাবে চালের ব্যবসায় জড়িত কি না তা জানতে বাজার সার্ভে করার পর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এমন তথ্য রয়েছে যে কিছু (ব্যবসায়ী বা কোম্পানি) সমিতির স্মারকলিপি ভেঙে চালের ব্যবসায় জড়িত হতে পারে। তাই, বৈঠকে চালের বাজার জোরালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বলা হয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে কারণ জানতে বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্য সচিব, খাদ্য সচিব এবং কৃষি সচিবকে শিগগিরিই মার্কেট সার্ভে পরিচালনার জন্য বৈঠকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
রেলওয়ে এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান: প্রধানমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়ে নয়াদিল্লির পরামর্শ চায় ঢাকা
ভারত কীভাবে রাশিয়া থেকে তাদের তেল কেনার বিষয়টি পরিচালনা করছেন সে বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়ার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জ্বালানি সমস্যা বাংলাদেশের জন্যও একটি সত্যিকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এনার্জির (আমদানি) ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া আমাদের এনার্জি ও গম অফার করেছে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে উঠেছে। আমরা এতে (শক্তি সংকট) ভীত। আমরা তাদের (ভারত) পরামর্শ চেয়েছি, কীভাবে তারা এটা করছে। এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ২৮-২৯ মে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দুই দিনের নদী সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত সরকার রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বিষয়টির স্বপক্ষে বলেছে (ভারত) এক মাসে রাশিয়া থেকে যা কিনেছে, একদিন বিকালেই ইউরোপ রাশিয়া থেকে থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি কিনেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতকে মস্কো থেকে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান অব্যাহত থাকার পরও রাশিয়ার কাছ থেকে (ভারতের) তেল কেনা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা চুক্তি ১১ বছর ধরে ঝুলে থাকা ‘লজ্জাজনক’: মোমেন
ভারত এমন এক সময়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর জন্য মূল্য ছাড়ের সুযোগ নিয়েছে, যখন বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বাড়ছে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে মোমেন বলেন, ‘আপনারা দেখছেন যে তারা আমাদের ওপর বসগিরি করছে এবং আপনারা (সাংবাদিকরাও) তাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। প্রতিদিনই তারা নতুন নতুন সমস্যা নিয়ে হাজির হয়। তাদেরকে আমরা উন্নয়ন সহযোগী বলতাম। তারা উন্নয়নের জন্য অর্থ দেয় না কিন্তু পরামর্শ দিতে থাকে।’
মোমেন আরও বলেন,‘উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য তারা অনেক কিছু সামনে রেখে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য নানা শর্ত যোগ করে। ‘এগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় দেশ হওয়ায় বিশ্বের স্থিতিশীলতাকে সব সময় স্বাগত জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই আন্তঃনির্ভরশীল।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানির দুই বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অস্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা থাকলে বাংলাদেশের রেমিটেন্স অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।
মোমেন বলেন, ‘তাই আমরা কোনো সমস্যায় পড়তে চাই না। আমরা বিশ্বে শান্তি চাই।’
তিনি বলেন, ‘ধনী দেশগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ শেষ করা সবার জন্য মঙ্গলজনক।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যে কীভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা যায়।
তিনি অবশ্য বলেন, বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতার দুর্বল হয়ে পড়া দেখতে চায় না। ‘আমরা বহুপাক্ষিকতার একটি বড় সমর্থক।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
গুয়াহাটিতে শনিবার নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মোমেন ও জয়শঙ্কর
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত সবাই ঢাকা বিভাগের।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৫১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে একজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৮৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ৩৪ শনাক্ত, মৃত্যু এক