বাংলাদেশ
শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
আলোচনায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তৈরি ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড এডুকেশনাল মাস্টার প্ল্যান (২০২২-২০৩১) এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশগ্রহন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সেশনে শিক্ষাক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জোরদার করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তাঁর সঙ্গে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন কানাডার উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্পমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া ফিলিপ শাম্পান, সুইডেনের অর্থমন্ত্রী মিকায়েল ড্যামবার্গ এবং নেদারল্যান্ড এর বুর্টজর্গ নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ইয়স ডি ব্লক। আলোচনায় মডারেটর ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডেপুটি ম্যানেজিং এডিটর রেবেকা ব্লুমেনস্ট্যাইন।
আলোচনায় ডা.দীপু মনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী যে মানব সম্পদ তৈরীর কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, সমতা, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক যেসকল নীতি গৃহীত হচ্ছে সেসকল বিষয় তুলে ধরেন।
এছাড়াও তিনি বিশাল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিনত করা, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন কর্মসুযোগ তৈরী,নারীর ক্ষমাতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার মানের উন্নয়ন না হলে কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না: শিক্ষামন্ত্রী
সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত সুবোলো
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে দুই দেশের জাতীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনার’ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো।
বাংলাদেশে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুবোলো বলেন, এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ‘অনেক বেশি বিস্তৃত’।
বুধবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে মূলত নিজেদের অন্যতম বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে দেখতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে একসঙ্গে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
দুই দেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশকে আরও গভীর করা, জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে বিনিয়োগ এবং জনগণকে তাদের ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও নেতৃস্থানীয় শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপটির আয়োজন করা হয়।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেন।
সেশনে আরও বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
৫৫ বছর বয়সে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বেলায়েত
বয়সের বাঁধা পেরিয়ে আর মানুষের টীকাটিপ্পনী এড়িয়ে শিক্ষা জীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য বেলায়েত হোসেন। এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ৫৫ বছর বয়সে তিনি এখন ভর্তি হতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করে স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকতা থেকে নিজেকে আরও মেলে ধরতে চান।
চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।
আগামী ২৯ জুন ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অংশ নিতে তিনি রীতিমতো ভর্তির কোচিং ক্লাস করছেন।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার বেলায়েত হোসেন এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রথমবার প্রস্তুতি নেন ১৯৮৩ সালে। অর্থাভাবে সেবার প্রস্তুতি নিয়েও ফরম ফিলাপ করতে পারেননি। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি আবারও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু সে বছর সারাদেশে বন্যার কারণে তার পরীক্ষা দেয়া হয়ে ওঠেনি। এরপর তিনি ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সংবাদপত্রের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
দুই ছেলে এক মেয়ের জনক বেলায়েত কর্মজীবন শুরু করেও লেখাপড়ায় হাল ছাড়েননি। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় তেমন একটা এগিয়ে যেতে আগ্রহী নন। ছেলেমেয়েরা তার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হলে নিজেকে নিয়েই আবার শিক্ষা জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে নিজেই আবার লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর ২০১৯ সালে একটি মাদরাসা থেকে এসএসসি এবং ২০২১ সালে কারিগরি বোর্ড থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
যে বছরে তিনি এইচএসসি পাশ করেছেন একই বছর তার ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার ইচ্ছে শিক্ষাজীবনে আরও বহুদূর এগিয়ে যাওয়া। লেখাপড়া করে এই দুটি ধাপ পেরোনোর পথ তার কাছে খুব একটা মসৃণ ছিল না।
পড়ুন: বন্যায় দুর্ভোগ কমাতে ক্লাস-পরীক্ষায় সহনশীল শাবিপ্রবি প্রশাসন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ডিএসএ নিয়ে উদ্বেগ স্পষ্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্র।’
মঙ্গলবার রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) সাম্প্রতিক বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকের উল্লেখ করেন যেখানে আগের বছরের তুলনায় ১০ ধাপ অবনতি হয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের এত কম স্কোর করার একটি কারণ হল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনের একটি।’
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের খসড়া ‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া ও ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মের জন্য রেগুলেশন’ এবং খসড়া ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়েও উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, ‘যদিও কোনো খসড়াই চূড়ান্ত হয়নি। আমরা আশঙ্কা করি এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিক ও নিজেকে প্রকাশ করতে আগ্রহীদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘স্বাধীন সংবাদপত্রকে রক্ষা করা এবং সাংবাদিকদের ভয়, হয়রানি বা সেন্সরশিপ ছাড়াই সত্য অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। মুক্ত গণমাধ্যম বৈধ ও মুক্ত গণতন্ত্রের মূল উপাদান।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের- বা সেই বিষয়ে যে কোনো জায়গায়- বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এই যে দেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সরকার বেছে নেয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চায় ঢাকা
ইউএস জেফারসন মিডিয়া ফেলো ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মূল বক্তব্য দেন।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ও ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলও আলোচনায় বক্তব্য দেন।
ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক একটি সংলাপ বুধবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার হবে।
কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো মূল বক্তব্য দেবেন।
এই সংলাপটি কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’ এর অংশ।
আরও পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখবেন।
বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া এ বছর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
ঋণের দিক দিয়ে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে ভালো: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ঋণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণ আমাদের। আমরা কখনো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইনি। সেজন্য বিশ্বব্যাংক আমাদের দেশকে আরও বেশি ঋণ দিতে চায়। আমরা অর্থায়ন সেই খাতে নেবো যেখানে বিনিয়োগের ফলে অর্থনীতির গ্রোউথ হবে। আমরা ঋণ বুঝে শুনেই নিবো।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষ মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত বিচার বিশ্লেষণ করে বিদেশি বিনিয়োগগুলো গ্রহণ করছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক তো আসলে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা অত্যন্ত স্থিতিশীল ও উর্ধ্বমুখী। এ বিষয়ে তারা আজ উল্লেখ করেছে যে বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি না। বাংলাদেশ এখন উদীয়মান শক্তিশালী দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে অনেক ভালো।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঢাকাসহ সকল শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নের ব্যাপারে পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সেনিটেশন, ওয়াটার সাপ্লাই, গ্রামীণ কমিউনিকেশন ডেভলপমেন্ট, ব্রিজ, রাস্তাঘাট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তারা সম্ভব্যভাবে সবক্ষেত্র অর্থায়নের কথা বলেছে। আজকের মিটিংয়ের প্রেক্ষাপটে তারা তাদের হেডকোয়ার্টারে কিছু প্রোপজাল পাঠাবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বর্তমানে তাদের ২.৮৭ বিলিয়ন ডলারের মতো অর্থায়নের প্রকল্প কাজ চলমান আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে একটি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের এবং আরেকটি ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট ইতোমধ্যেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তারা প্রায় একশ’ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের অর্থায়নে চলমান প্রকল্পের বিষয়ে তারা অনেক ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘যে বিনিয়োগগুলো আমাদের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার সার্বিক উন্নয়ন হবে সেসমস্ত বিনিয়োগগুলোকে উৎসাহিত করা এবং নেয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আমরা সতর্ক আছি। বিশ্বব্যাংক সারাবিশ্বে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় আমাদের তুলনায় তাদের অভিজ্ঞতা বেশি আছে। সেজন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।
পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এখন অপেক্ষায়। বিশ্বব্যাংক নিজেই এখন স্বীকার করে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশ তাদের সক্ষমতা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একটি দুষ্ট চক্র দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
ফজলি আমের স্বত্ব রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের
ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে শুনানি শেষে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে নতুন করে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন।
আগামী রবিবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে।
তবে এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কেউ আদালতের আশ্রয় না নিলে আগামী দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জিআই স্বীকৃতি পেল রাজশাহীর ফজলি আম
জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর আমটির ভৌগোলিক নির্দেশক নাম হয়েছে (জিআই) ‘রাজশাহীর ফজলি আম’। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩–এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করেছে।
এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল।
কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গত নভেম্বরে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে রাজশাহীর জিআইয়ের বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর এ শুনানির আয়োজন করে।
মঙ্গলবার রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম।
বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বাহারি আম এবং তাদের উৎপাদনকারী অঞ্চল
দেশে প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো শুরু ২ জুন
আগামী ২ জুন থেকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হচ্ছে প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২। যুক্তরাজ্য , জার্মানি , ইটালি ,তুরস্ক ,জাপান, আরব আমিরাত , থাইল্যান্ড, চীন ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৯ টি দেশের ৬০ টি ব্র্যান্ড একই ছাদের নিচে অংশ নিচ্ছে তিনদিনব্যাপী এ মেলায়। দেশের অন্যতম ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের আয়োজনে মেলার স্ট্রাটেজিক পার্টনার রিহ্যাব ও সহযোগিতায় রয়েছে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েম বাংলাদেশের পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোঃ আরিফ ও মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষকতাকারি প্রতিষ্ঠান মাই কিচেনের হেড অব অপারেশন শওকত ইমরান খান।
আরও পড়ুন: দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২ জুন আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ , এমপি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে ।
ওয়েম বাংলাদেশের পরিচালক মার্কেটিং নাসিমুর রহমান বলেন , প্রস্তুতকারক, রফতানিকারক এবং সরবরাহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন এ এক্সপোতে। সেই সঙ্গে থাকবে স্পট অর্ডারের সুযোগ।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছে মাই কিচেন , প্লাটিনাম স্পন্সর ভেলোরি অ্যান্ড বোর্চ, ব্যাগনো ডিজাইন ও সুইস প্লাস এবং গোল্ড স্পন্সর আর এ কে সিরামিকস, নল্টে, নাদিয়া ফার্নিচার ও গানি মার্বেল টাইলস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ,পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি তিনদিন ব্যাপী এই এক্সপোতে স্টুডেন্ট ডিজাইন কম্পিটিশন , ওয়ার্কশপ , বায়ার সেলার মিটিং , ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ ও জব সার্চ।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফুল করিম বলেন , ওয়েম বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে দেশি -বিদেশি ইভেন্ট আয়োজন করে আসছে। সবসময় ওয়েম নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশে প্রথম হেলথ অ্যান্ড বিউটি , সিরামিক , ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটিস মেলার সফল আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২ আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কিচেন অ্যান্ড বাথ এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২ এ মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে চ্যানেল আই, দৈনিক যুগান্তর ও বাংলানিউজ ২৪, ম্যাগাজিন পার্টনার শোকেজ ও ইভেন্ট ম্যানেজার কান্ট্রি কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে চায় এক্সপো ফোম
পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল অন্ধকারে ঢিল ছুড়ছেন বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, জুনে উদ্বোধন হবে। পদ্মাসেতু নিয়ে সারা বাংলার মানুষ যখন আনন্দে উচ্ছাসিত সে সময় শুধুমাত্র বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের বুকে ব্যথা বিষ জ্বালা ছড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গামাটির জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিজয় ধরে রাখতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিরোধী পক্ষকে দমন ও পীড়নের রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ে এখনও হানাহানি মারামারি রক্তপাত চলছে, তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার শান্তি চুক্তির প্রতিশব্দ ও ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করবে। ভূমি জটিলতা সমস্যা ছাড়া পাহাড়ি এলাকার সব সমাধান করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গণে রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন এমপি, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা নেতারা বক্তব্য দেন।
এর আগে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ সূচনা করা হয়।
এদিকে বিকালে সম্মেলনকে ঘিরে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এবারের জেলা কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কাউন্সিলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি দীপংকর তালুকদার এবং তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতার করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সহ-সভাপতি হাজী মো. কামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীদের তালিকায় তারেক শীর্ষে: ওবায়দুল কাদের
এডিস নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: শেখ তাপস
এডিস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ১০টি অঞ্চলে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা মনে করি যে আমাদের আরও করণীয় রয়েছে এবং সেভাবেই আমরা এবারের কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছি। কর্মপরিকল্পনার আলোকে ১৫ জুন থেকেই আমদের কার্যক্রম আমরা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু করব। ১০টি অঞ্চলে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য আমরা এরই মাঝে নিবেদন করেছি। আশা করছি আমরা অচিরেই পেয়ে যাবো। সেই প্রেক্ষিতে তাদের নেতৃত্বে ১০টি অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। এছাড়াও আমাদের চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের চতুর্দশ বোর্ড সভায় শেখ তাপস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছরের মধ্যে ঘাটারচর হতে কাঁচপুর পাইলটিং শেষ হবে: তাপস
ডিএসসিসি মেয়র বলেন,গতবারের তুলনায় এবার বেশি সময় ধরে চিরুনি অভিযান তদারকি করা হবে। গতবার আমরা এক মাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা করেছিলাম। এবার সেটা আমরা দুই মাস ধরে পরিচালনা করব এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে আমরা চিরুনি অভিযানগুলো তদারকি করব।
এ সময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা যারা বাসাবাড়ির মালিক, স্থাপনার মালিক এটা আপনাদেরই দায়িত্ব যে, আপনার আঙ্গিনায়, ছাদে, টবে, পরিত্যক্ত মালামালের মধ্যে যাতে কোনো পানি না জমে। বৃষ্টি হলে কোথাও পানি জমেছে কিনা সেটা খেয়াল রাখবেন। পানি জমে থাকলে সেটা ফেলে দিন। তিন দিনের জন্য অপেক্ষা না করে --নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিতে হবে: তাপস
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে তুলনামূলক সফলতার জন্য মেয়র বোর্ড সভায় কাউন্সিলরদের ধন্যবাদ জানিয়ে এবার আরও বেশি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।