বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেছেন, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে আমরা একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি যা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।’
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি হয়েছে কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে বিশ্বে গর্বিতভাবে অবস্থান করছে। অগ্রগতির এই যাত্রা যেন থেমে না যায়; এটাই আমার ইচ্ছা।’
দেশকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার যে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে তা নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে... এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করেছে এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
‘তাই বাংলাদেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিতে পারবে না। আমরা বাংলাদেশকে জাতির পিতার সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।’
আবেগ জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তার বাবা ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার বাবার মতো আপনাদের জন্য আমার জীবন দিতে দ্বিধা করব না। যত বাধাই আসুক না কেন, আমরা অবশ্যই এই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবো।’
তিনি বলেন, সবাই সুন্দর ও উন্নত জীবন পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আস্থা ও ভরসাই তাদের কল্যাণে সরকারের কাজ করার চালিকাশক্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৃহত্তর সৌদি বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে দেশের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
লিবিয়া থেকে শিগগিরই দেশে ফিরবেন বাংলাদেশি সাংবাদিক ও প্রকৌশলী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়াতে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিক জাহিদুর রহমান জাহিদ ও প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামকে উদ্ধারের পর বর্তমানে লিবিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন।
জাহিদুর রহমান বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির বিশেষ প্রতিবেদক। লিবিয়াতে বিনা অনুমতিতে ছবি তোলায় সেখানকার আইন অনুযায়ী তাকে আটক করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, লিবিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যস্থতায় লিবিয়া সরকার তাদের দেশে ফেরার সুযোগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ দেশের পরিবহন ও কৃষি উৎপাদন খরচকে প্রভাবিত করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র কার্যকরে সব দলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ নিয়ে আশাবাদী মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, ঢাকা ও কুয়ালালামপুর শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে তিনি আশাবাদী।
কসমস ফাউন্ডেশনের ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে তার মূল বক্তব্য দেয়ার সময় রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এফটিএ ছাড়াও ভবিষ্যতের সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো ‘অবশ্যই ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রের’ সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, দুই দেশের জন্য এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়ানো; কারণ তা পরবর্তী দশক বা তারও বেশি সময়ে সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমি আবারও আশা করি যে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি এফটিএ স্বাক্ষরিত হবে।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই সংলাপটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার হয়।
এতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়ার ভূমিকার প্রশংসা বক্তাদের
তৃতীয় এফএমসি: বিস্তৃত অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্মত ঢাকা ও সিউল
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ব্যাপক অংশীদারিত্বকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার উপায় খুঁজতে সম্মত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৃতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ (এফএমসি) এ তারা এ বিষয়ে সম্মত হয়। এ সময় দুই দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা, কৃষি, মৎস্য ও জৈবপ্রযুক্তি এবং অভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সহযোগিতা গভীরতর করতে সম্মত হয়েছে। এদের মধ্যে বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনও রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রথম ভাইস-মিনিস্টার চোই জং কুন আলোচনায় নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে এলডিসি থেকে উত্তরণসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে কোরিয়ার ভাইস-মিনিস্টার বাংলাদেশের অগ্রাধিকার খাতে তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিবন্ধন ছাড়া দ্বিতীয় দফা করোনার গণটিকাদান কর্মসূচির সময় আরও তিনদিন বাড়িয়ে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার ২০২০’ হস্তান্তরকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: করোনার টিকাকরণ ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে: জাতিসংঘ
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও পাঁচ কোটি টিকার মজুদ আছে এবং আরও ছয় কোটি ডোজ পাইপলাইনে রয়েছে। বাকি থাকা মানুষদের টিকার আওতায় আনতে গণটিকাদান কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলাসহ সব সরকারি হাসপাতালকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তত্ত্বাবধানে আনা হবে।
আরও পড়ুন: গণটিকার দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু
প্রতি বছর ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ এর ১০টি বিভাগে ৪৭টি পুরস্কার দেয়া হয়।
এ বছর ১০টি উপজেলা হাসপাতাল, পাঁচটি জেলা হাসপাতাল, তিনটি মেডিকেল কলেজ, দুটি বিশেষায়িত স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুরস্কার পেয়েছে।
আদালতে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া বরদাশত করা হবে না: প্রধান বিচারপতি
‘আদালত প্রাঙ্গণে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া কখনোই বরদাস্ত করা হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘আমি প্রত্যেক বিচারক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছি, সবার সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে। আদালত প্রাঙ্গণে মানুষের দুর্দশার সুযোগ নেয়া কখনোই বরদাস্ত করা হবে না।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২তলা ভবন ‘বিজয় ৭১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি জানেন, বার (আইনজীবী সমিতি) এবং বেঞ্চ (আদালত) জুডিসিয়ারি নামক একটি পাখির দুটি ডানা। একটি শক্তিশালী বার, শক্তিশালী জুডিসিয়ারির জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বর্তমান সংখ্যা ৯ হাজার ৩০২ জন। তাদের বসবার জায়গার সংকুলান বর্তমান বার বিল্ডিংগুলোতে একদমই অসম্ভব। তাদের বসবার এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। এজন্যও বারের নতুন ভবন তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আপনার গৃহীত পদক্ষেপ ও সুদৃঢ় অঙ্গীকার নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মের পথচলায় পাথেয় হয়ে থাকবে। ’
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’: প্রধান বিচারপতি
দেশের মুক্তি সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘অত্যাচারী শাসকশ্রেণির নিপীড়নে জর্জরিত জনতার সাম্য, গণতন্ত্র তথা ন্যায়বিচারের স্পৃহায় জেগে ওঠা উত্তাল আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয়েছিল আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের। মহান সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মানসে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ। আজ বলতে গর্ব হয়, যে সকল বিচারপতি, আইনজীবী ও গুণীজনের নিষ্ঠা, প্রয়াস ও পদস্পর্শে ঋদ্ধ হয়েছে এই আদালত প্রাঙ্গণ। তাদের অনেকে আইন অঙ্গনেই শুধু নয়, পুরো বাংলাদেশের ইতিহাসজুড়ে তাৎপর্যময় অবদানের মাধ্যমে সমুজ্জ্বল হয়ে আছেন। তাদের গড়ে যাওয়া দৃষ্টান্তের ওপর ভর করে আজ প্রাণ পেয়েছে সুবিচারের এই সৌধ। ’
প্রধান বিচারপতি বলেন,‘সম্মানিত বিচারকগণ নিয়েছেন সততা, সাহসিকতা ও সমবেদনার দীক্ষা। সেই সঙ্গে সমর্থ হয়েছেন অগণন আলোচিত জনগুরুত্বপূর্ণ রায় প্রদানে। বিচারকগণ সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তাদের সততা, মেধা ও শ্রম দিয়ে মামলার জট ছাড়িয়ে দুর্দশাগ্রস্ত বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণ হতে যতদ্রুত সম্ভব বাড়ি ফেরাতে।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
চার বছর আগে ২০১৮ সালের ৪ মার্চ একনেকে এই ভবনটি নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। ১৫৮ দশমিক ৫১৯ কোটি টাকা মূল্যের ভবনে থাকছে ৩২টি এজলাস তথা বিচার কক্ষ। বিচারপতিদের জন্য রয়েছে ৫৬টি চেম্বার। বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে ৫৬টি অফিস। থাকছে একটি করে ডে-কেয়ার সেন্টার, নামাজের স্থান ও গভীর নলকূপ। রয়েছে চারটি লিফট। ১২তলা এ ভবনে রয়েছে ১৬০০ কেভিএ সাবস্টেশন ও ৫০০ কেভিএ জেনারেটের। ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৪টি বিআরটিসি দোতলা বাস পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও দুটি স্টোররুম রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎ
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের আরেক মামলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সচিব মাহবুব হোসেন।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মামলা অনুসারে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তার ভাইয়ের মাধ্যমে দুই লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন।
অনন্ত কুমারের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
দুদক এখন মামলাটি তদন্ত করবে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় মুফতি ইজহারের ২ বছরের কারাদণ্ড
চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযান
বিটিএমসির পাটকল ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩,১৬৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে: পাটমন্ত্রী
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) আওতাধীন পাটকলগুলো ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন হাজার ১৬৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সময়ে পাটকলগুলো ৪৮৪ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় করেছে তিন হাজার ৬৫২ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা।
স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিটিএমসির অধীনে ২৫টি পাটকলের মধ্যে ২৪টি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং একটি ভাড়া দেয়া হয়েছে।
বন্ধ হওয়া ২৪টি মিলের মধ্যে দুটিতে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ঢাকা-১৮ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমানে (২০১৮ আদমশুমারি অনুযায়ী) দেশে ৫৮৯টি তাঁত কারখানা ও এক কোটি ১৬ হাজার ১১৭টি ইউনিট রয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁত শিল্প বছরে প্রায় ৪৭ দশমিক ৪৭ কোটি মিটার তাঁত কাপড় উৎপাদন করে যা দেশের বস্ত্র চাহিদার ২৮ শতাংশ পূরণ করে (পাওয়ার লুম বাদে)।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে তাঁতের সংখ্যা দুই লাখ ৯০ হাজার ২৮২টি।
সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন্নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের আট মাসে পাঁচ দশমিক ছয় লাখ টন কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক ৮৬ লাখ টন কাঁচা পাট এবং সাত দশমিক ৮২ লাখ টন পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: পাটমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজীবন কাজ করে যাব: পাটমন্ত্রী
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা বোঝা নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজের বোঝা নয় বরং ‘তাদের জন্য আমাদের গর্ববোধ করা উচিত’।
তিনি বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আমাদেরই একজন, এটা সবচেয়ে বড় কথা।’
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু চার জাতি শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা এই সমাজের অংশ, তাই তাদের বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, তারা আমাদের সন্তান; আমাদেরই তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
চূড়ান্ত ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ ভারতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে পাঁচ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের খেলাধুলার উদ্দেশ্যে ১০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি চ্যাম্পিয়ন দলের সকল খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্সআপ ভারতীয় দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুষলেন প্রধানমন্ত্রী
বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকার ‘রূপসী গার্মেন্টস’- নামের পোশাক কারখানার প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ শ্রমিক রাস্তায় নামেন।
এ সময় তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, পুলিশ সড়ক থেকে তাদের কর্মস্থলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কে চলাচলকারী কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ: মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট
তিনি বলেন, কয়েকজন শ্রমিক পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে প্রায় ১৫-২০ শ্রমিক আহত হয় বলে অভিযোগ শ্রমিকদের।
তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে দুপুর ২টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ
পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি