বাংলাদেশ
বারিধারায় ৬ তলা ভবনে আগুন
রাজধানীর বারিধারার জে ব্লকে একটি ছয়তলা ভবনে আগুন লেগেছে। রবিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটে ভবনটির চতুর্থ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করছে।
তিনি আরও জানান, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভাটারায় আগুনে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন, পুড়েছে ২৯ ঘর
চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় আগুন
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ওমিক্রন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গা দখল করছে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রবিবার দুপুরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে সংস্থাটির মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটছে। আমরা দেখছি, ওমিক্রমন একটু একটু করে ডেল্টার জায়গাগুলোকে দখল করে ফেলছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, এখন সিজনাল যে ফ্লু হচ্ছে তার সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। ওমিক্রনের যে উপসর্গগুলো আছে, শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষের নাক দিয়ে পানি ঝরছে। ৬৮ শতাংশ মানুষের মাথা ব্যথা করছে। ৬৪ শতাংশ রোগী অবসন্ন-ক্লান্তি অনুভব করছেন। সাত শতাংশ রোগী হাঁচি দিচ্ছেন। গলা ব্যথা হচ্ছে সাত শতাংশ রোগীর। ৪০ শতাংশ রোগীর কাশি হচ্ছে। এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিনই বাড়তে থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে আমরা যদি নিজের মতো করে চলতে থাকি তাহলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে, সেটি সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করবে। এই অতিমারিকে যদি আমরা পরাস্ত করতে চাই তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ২২ জানুয়ারি এসে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি রয়েছে। সপ্তাহের শুরু ১৬ জানুয়ারি যেটা ছিল ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।
হাসপালে রোগী বাড়ছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরু পর্যন্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগ্রহী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০০টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশে বেশি। আজ পর্যন্ত যে গড় আছে তা ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
করোনা উপসর্গে দিনাজপুরে মৃত্যু ৩, শনাক্ত ৫১.৫১ শতাংশ
করোনায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ১১ হাজার
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৯০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ২২৩ জনে। এছাড়া মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনে পৌঁছেছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৮৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭৮২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে মৃত্যু বাড়ছে
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজশাহী বিভাগে শনাক্ত ৪৪.১৯ শতাংশ
চট্টগ্রামে একদিনে করোনায় শনাক্ত এক হাজার ছাড়াল
কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের রৌশনাবাগ এলাকার আসমা প্রধান নামে এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিন নামার বলে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী আসমা প্রধান জানান, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল ভুয়া কাবিননামা করে আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর কোন নারী যেন সেবা নিতে গিয়ে নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার না হয় এজন্য তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিলন পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু জানান, প্রাপ্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল একসময় পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
কওমি মাদ্রাসাসহ দেশের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোকে একটি বোর্ডের অধীনে এনে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কওমি মাদ্রাসাসহ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সময়োপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা করা এবং সেগুলোকে সরকারের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১) এর তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ছয়টি পৃথকভাবে পরিচালিত বোর্ডের সমন্বয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং একটি একক কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনায় রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের রাজনীতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
দীপু মনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে এখন ১৯ হাজার ১৯৯টি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে।’
ডেঙ্গু: আরও ২ রোগী হাসপাতালে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন দুজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় এক জন ও ঢাকার বাইরে এক জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৫ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে সাত জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বিইরে ভর্তি আছে আট জন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১০৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: শূন্যের কোটায় ‘ডেঙ্গু’ আক্রান্ত
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
আরও পড়ুন: আরও ১৪ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিএমএসের পদে ডা. শান্তি বানসালের যোগদান
সম্প্রতি ডা. শান্তি বানসাল ইউনাইটেড হাসপাতালে ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিএমএস) হিসেবে যোগদান করেছেন। রবিবার হাসাপাতালের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডা. বানসাল ইউনাইটেড হাসপাতালে ডা. মাহবুব উদ্দিন আহমেদের স্থানে মেডিকেল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন। ডা. মাহবুব ইউনাইটেড গ্রুপের হেলথকেয়ার বিভাগের হোল্ডিং কোম্পানি ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের (ইউএইচএসএল) ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস হিসেবে নতুনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে প্রথম নারী জেলা প্রশাসকের যোগদান
নতুন ডিএমএস ডা. শান্তি বানসাল একজন দক্ষ হেলথকেয়ার প্রফেশনাল, তিনি ভারতে ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে মেডিকেল সার্ভিসেস ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইউনাইটেড হসপিটালে যোগদানের আগে, তিনি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গুজরাটের হারিয়া এলজি রোটারি হাসপাতালের সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৮ সালের মে মাসে তিনি ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করেন। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে তিনি সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেবা প্রদান করেছেন। তার বিভিন্ন জেসিআই, আইএসও, সিএপি, এনএবিএইচ, এনএবিএল স্বীকৃত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি, একজনকে যোগদানের অনুমতি
ডা. শান্তি বানসালএপি সিং ইউনিভার্সিটি, রেওয়া থেকে ১৯৯১ সালে অ্যানেস্থেসিওলজিতে ও ১৯৯৪ সালে এমবিবিএস ও এমডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১৩ সালে মেডিকেল সার্ভিসেস বিষয়ে সিকিম মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে হসপিটাল ও হেলথ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ের ওপর তার স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যৌন নির্যাতন: ৩ আসামি গ্রেপ্তার
আলোচিত ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআকে যৌন নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও তার সহযোগী তথাকথিত নারী আরজে সায়মা সিকদারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্স।
র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্র্যান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগারকে হত্যাচেষ্টা
এর আগে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সাদ মুআ শুক্রবার রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেছেন। এছাড়াও ঘটনার বিবরণ পোস্ট করেছেন তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
সাদ মুআ তিনজন অপরাধীর মধ্যে দুজনের ছবি প্রকাশ করে লেখেন, ‘তিনজনের এই হচ্ছে দুইজন, যারা আমাকে আটকে রেখে আমাকে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার নিরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিলো। আর ওয়াকিটকি তে রাফাত বিন নুর স্যার এর সঙ্গে কথা বলছিলো আমাকে পাচার করে দেয়ার জন্য। পরে জানলাম সে যেই রাফাত এর কথা বলছিলো, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন; আর সে এখন মিশনে দেশের বাইরে আছে। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিলো এবং কোনো কারণ বশত ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থ সাউথে পড়ে আর মেয়ে টা পরে ড্যাফোডিল এ। অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরা তে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেয়া। সব জায়গাতে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মাঝে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি এদের বাসা আছে।’
উল্লেখ্য, সাদ মুআ বিউটি ব্লগার হিসেবে পরিচিত। মেকআপ টিউটোরিয়ালসহ বিউটি কেয়ারের নানা ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত তিনি।
দুই সন্তান জাপানি মায়ের কাছে থাকবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবেন বলে আপিল বিভাগ জানিয়েছে। রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবেন তারা। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মারুফুল ইসলাম।
আপিল বিভাগ শুনানিকালে বলেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আমরা এই মামলা শুনব। পরে আদালত শুনানির জন্য ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। আদালত বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগের আদেশ বহাল থাকবে।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা তাদের মা নাকানো এরিকোর সঙ্গে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বারিধারার হোটেল ইসকর্ট প্যালেসে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯ থেকে রাত ৯টার মধ্যে যেকোনো সময় শিশুদের সঙ্গে তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফ দেখা করতে পারবেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হয়রানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা করেছে জাপানি নারী!
গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ আদেশে বলেন, দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। তবে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে যেকোন সময় বাবা ইমরান শরীফ শিশুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।
গত ৫ ডিসেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিজের জিম্মায় নিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন জাপানি মা নাকানো এরিকো।
এর আগে, ২১ নভেম্বর দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: দুই শিশুকে আগামী ২ দিন জাপানি মায়ের জিম্মায় দিতে নির্দেশ
বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ। ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০ জনের করোনা শনাক্ত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
রবিবার পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১২৫ জন এবং মারা গেছে ১৪৪ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬ হাজার ৯৩৫ জন। এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
আরও পড়ুন: একদিনে খুলনায় করোনায় ২ মৃত্যু
বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার শতকরা ৫০ শতাংশ। জোরদার করা হয়েছে ভ্যাকসিন কার্যক্রম। এ পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে শতকরা ৬৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফোন দিলেই করোনা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এ পর্যন্ত বাগেরহাটে ১১ লাখ ২২ হাজার ২৬৯ জনকে প্রথম ডোজ, সাত লাখ ৩০ হাজার ৬২৪ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ও ২০ হাজার ৯০৫ জনকে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১২ থেকে ১৭ বছর বয়স্ক শিক্ষার্থীদের এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৬১ জনকে প্রথম ডোজ ও ৪৬ হাজার ৪৩৭ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।