বাংলাদেশ
ফরিদপুরে বাসের চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুরের নগরকান্দায় যাত্রীবাহী একটি বাসের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপজেলার গজারিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সাবিত হোসেন (১৭) ও নড়াইলের লোহাগড়ার সৌরভ হোসেন (১৬)।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ শ্রমিকের প্রাণহানি: এসআরএস
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আরিফ বলেন, খুলনা থেকে ঢাকাগামী হামীম পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী সাবিত ঘটনাস্থলে মারা যান এবং সৌরভকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২
দেশে আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
বাংলাদেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আরও তিনজন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।
শুক্রবার গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটা (জিআইএসএআইডি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে বুধবার তিনজন ও মঙ্গলবার আরও দু’জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় শনাক্ত ৫১২, মৃত্যু ২
১১ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এ দিন জিম্বাবুয়ে ফেরত বাংলাদেশি দুই নারী ক্রিকেটার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন।
ঢাকার ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএসএইচআই) এর দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জিআইএসএআইডি এ ফলাফল পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ২৮ কোটি ৬৪ লাখ ছাড়ালো
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা শুক্রবার পদ্মা সেতুতে আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন যা দেশের উন্নয়নের ধারায় একটি মাইলফলক স্থাপন করেছে।
ইউএনবির মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৭টা ২৩ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর গাড়িতে চড়ে পদ্মা সেতুতে পৌঁছান এবং তার বোনকে নিয়ে ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নং পিলার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হেঁটে যান।
এরপরে তারা জাজিরা পয়েন্টে সার্ভিস এরিয়া-২ এ নাস্তা করেন। সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।
শেখ হাসিনার সফরকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল ও শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান ও পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদেরসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের প্রকল্প সেতুটির অগ্রগতি দেখে প্রধানমন্ত্রী খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে জুনে: ওবায়দুল কাদের
কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ শ্রমিকের প্রাণহানি: এসআরএস
গত এক বছরে সারাদেশে ৩৯৯টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। আগের ২০২০ সালে অনুরূপ ৩৭৩টি কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনায় মোট ৪৩২ জন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারি সংস্থা সেইফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) কর্তৃক পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। শুক্রবার সংস্থাটির প্রোগ্রাম অফিসার সিথী ঘোষ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়ে, করোনা মহামারির দ্বিতীয় বছরে গত এপ্রিল থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাধারণ ছুটিসহ বিধি-নিষেধের কারণে অনেক শ্রমিক কাজ করতে পারেনি, তারপরও কর্মদুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সবচেয়ে বড় কর্মদুর্ঘটনা ছিল রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, যেখানে ৫২ শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যায়। এছাড়া সোয়ারীঘাটে রোমানা রাবার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন ও বগুড়ার সান্তাহারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনে পুড়ে পাঁচজন শ্রমিক প্রাণ হারায়।
আরও পড়ুন: সেজান জুস অগ্নিকাণ্ড: বুধবার থেকে মরদেহ হস্তান্তর শুরু
মোট ২৬টি দৈনিক সংবাদপত্র (১৫টি জাতীয় এবং ১১টি স্থানীয়) পর্যবেক্ষণ করে বছর শেষে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। যেসকল শ্রমিক কর্মক্ষেত্রের বাহিরে অথবা কর্মক্ষেত্র থেকে আসা-যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা অন্য কোন কারণে মারা গিয়েছেন তাদের এই জরিপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কর্মক্ষেত্র দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিহত হয়েছে পরিবহন খাতে। এই খাতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা মোট ১৫০ জন। এর পরেই রয়েছে নির্মাণ খাত, এই খাতে নিহত হয়েছে ১৩৮ জন। এছাড়া কল-কারখানা ও অন্যান্য উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে ১১২ জন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে (যেমন- ওয়ার্কশপ, গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) ৮৬ জন এবং কৃষি খাতে ৫২ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫৬ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৮২ জন, আগুনে পুড়ে ৭২ জন, ছাদ, মাঁচা বা ওপর থেকে পড়ে মারা গেছে ৫৮ জন, বজ্রপাতে ৪৯ জন, শক্ত বা ভারী কোন বস্তুর দ্বারা আঘাত বা তার নিচে চাপা পড়ে ৩২ জন, রাসায়নিক দ্রব্য বা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা পানির ট্যাঙ্কের বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন, পাহার বা মাটি, ব্রিজ, ভবন বা ছাদ, দেয়াল ধসে ২৭ জন, বয়লার বিস্ফোরণে ২৩ জন। এছাড়া পানিতে ডুবে ৯ জন শ্রমিক নিহত হয়।
এসআরএস- এর নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, করোনার দ্বিতীয় বছরটিও শ্রমজীবীদের জন্য সুখের ছিল না। জীবন ও জীবিকা রক্ষায় তারা কাজ করতে বাধ্য। করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেও তাদের কাজ করতে হয়েছে। যদিও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক, বিশেষ করে পরিবহন, নির্মাণ শ্রমিকদের কোন কাজ কর্ম ছিল না। সবক্ষেত্রে একধরনের অচল অবস্থা বিরাজ করেছে, তবুও কর্মদুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি।
আরও পড়ুন: চকবাজারের আগুনে দগ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭১
তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের অবহেলা ও সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যথাযথ পরিদর্শনের ঘাটতি কর্মদুর্ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। টেকসই উন্নয়নের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের অন্যতম দায়িত্ব এবং এজন্য শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবীর জীবনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাদের সুরক্ষার জন্য শ্রমের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে আরও সচেতন হতে হবে এবং এক্ষেত্রে যেকোন ব্যয়কে বিনিয়োগ মনে করতে হবে।
জরিপের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অনিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থা, আইন প্রয়োগে বাধা, বেপোরোয়া যান চলাচল ইত্যাদি হল পরিবহন দুর্ঘটনার মূল কারণ। কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়েই বৈদ্যুতিক লাইন সংযোগ দেয়া যেমন-ভেজা হাতে মটর চালু করা, মাথার ওপরে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের লাইনের নিচে কাজ করা, ভবনের পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে লোহার রড ওঠানোকে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
সাম্প্রতিকালে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা না থাকা, কারখানায় ভবনে জরুরি বর্হিগমন পথ না থাকা, কারখানা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতি না নেয়া, সেইফটি বিষয়ে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ না দেয়া ইত্যাদি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সকলের যৌথ প্রচেষ্টাই পারে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা থেকে শ্রমিকের জীবন বাঁচাতে। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান, সেইফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব মালিকের। মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে কি না তা পরিদর্শন করার দায়িত্ব সরকারী প্রতিষ্ঠানের। সরকার ও মালিক উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কর্মদুর্ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৫ লাশ শনাক্ত
নড়াইলে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১
নড়াইলে বালুবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় ধান মাড়াই গাড়ির চালক নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদরের তুলারামপুর এলাকার নড়াইল-যশোর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শতদল হাওলাদার (৩০) সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের দুর্বাজুড়ি গ্রামের সম্পদ হাওলাদারের ছেলে। আহত সাবেক ইউপি সদস্য প্রবীর বিশ্বাস (৪৫) একই গ্রামের টিকেন বিশ্বাসের ছেলে।
এলাকাবাসী ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিহত শতদল হাওলাদার সদরের তুলারামপুর বাজার থেকে ধান মাড়াইয়ের গাড়ী চালিয়ে নিজ এলাকায় আসছিলেন। পথিমধ্যে তুলারামপুর বাজারের পাশের নির্মাণাধীন সেতুর পূর্ব পাশে আসলে পেছন থেকে একটি বালুবোঝাই ট্রাক ধাক্কা দিলে শতদল ও গাড়ীতে থাকা প্রবীর বিশ্বাস গুরুতর আহত হন। পরে সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক শতদল হাওলাদারকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রবীর বিশ্বাস এখনও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকটির চালক এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
পঁচাত্তরের পর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জাতির উপর সাম্প্রদায়িকতা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় সংস্কৃতি চর্চাও বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিশ্ব ভরা প্রাণ’ এর চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এসময় খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আমরা পরাজিত করেছিলাম ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, সেই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের ওপর বারবার আঘাত করেছে। এটা আমাদের মীমাংসিত একটি বিষয় ছিল, আর এই মীমাংসা করতে আমাদের ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে; আমাদের লাখ লাখ মা-বোনকে তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু এ মীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে আমদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি আমাদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন; সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর আমাদের উপর যে জিনিসটি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে তা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। মীমাংসিত বিষয়টিকে আবার চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় এটা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে শিক্ষা সংস্কৃতি সবক্ষেত্রে। এখন সে জায়গাটায় আমরা সবাই লড়াই করছি।
তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের কারণে একাত্তরে মীমাংসিত বিষয়গুলো আবার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তারা ধীরে ধীরে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিকে সাহসের সঙ্গে উচ্চারণ করতে পারি। বীরত্বগাঁথা রচনা করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে নিজেদের পরিচয় দেয়ার ক্ষেত্রে একটা ভীতিকর পরিবেশের মধ্যে ছিল। আজকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা গর্ব করে বলতে পারে আমি মুক্তিযোদ্ধা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সেই সম্মান দিয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যেটা পঁচাত্তর পরবর্তীতে ছিলনা।
তিনি আরও বলেন, যে জাতি তার নিজের সৃষ্টির ইতিহাসকে ভুলে যায়, সে জাতি অন্ধকারে তলিয়ে যায়। সে রকম একটি অন্ধকারে আমরা তলিয়ে যাচ্ছিলাম। সংস্কৃতি চর্চাও যেমন- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল চর্চা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বর্তমানে সরকার সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে, বরাদ্দ বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর নাম সংবাদপত্রে ছাপাতে বাধা দিয়েছিল জিয়া সরকার: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন খ্যাতিমান আবৃত্তিকার ও অভিনয় শিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কবি ইমরোজ সোহেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী, সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, নাট্যজন টুটুল চৌধুরী, সংগঠনের সভাপতি জাহান বশির, সাধারণ সম্পাদক নিপা মোনালিসা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আইনটি পর্যালোচনা ও সংস্কারে গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তার বক্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছে।’
একইসঙ্গে এই বক্তব্যের কার্যকর বাস্তবায়ন দেখতে আইনটি মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য গঠিত কমিটিতে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
এছাড়া সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুধু সাংবাদিক নয়, দেশের সাধারণ নাগরিকদেরকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার না করার দাবিও জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত দাবি টিআইবির
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, ‘আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন এবং বিশ্বের সেরা চর্চাসমূহ অনুসরণ করে আইনের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ভিন্নমতাবলম্বীদের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এমন ধারাগুলো পর্যালোচনা করে আইনটি সংশোধনের জন্য আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে সরকারের সদিচ্ছা ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকেই এই আইনটির বেশ কিছু ধারা বিশেষ করে ২৫ ও ৩১ নিয়ে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছিলো। মুক্ত চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এটি খড়গহস্ত হওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু সরকার কর্নপাত করেনি। এটির অপব্যবহার রোধে আইনমন্ত্রী যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটিরও বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়নি, বরং অল্প দিনেই আইনটি ভিন্নমত দমন ও ভয়ের পরিবেশ তৈরির কার্যকর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও সরকারের প্রশাসন যন্ত্রের কাছে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় আইনটির অপব্যবহার রোধে যে কোনো ধরনের সংশোধনে গঠিত কমিটিতে সকল অংশীজন, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। নয়তো নতুন উদ্যোগটিও ভেস্তে যাবার শঙ্কা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হবে না- এমন সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্যানুযায়ী, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২১ সালের এগারো মাসে মামলা হয়েছে ২২৫টি, যেখানে ৪শ’র বেশি মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬ জনকেই আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবার এসব মামলার বড় অংশই হয়েছে ক্ষমতাসীনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তির জন্য। অর্থাৎ আইনটি শুধু গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধই নয়, সাধারণ নাগরিকের ভিন্নচিন্তা ও সরকারের সমালোচনা রোধে ব্যবহারের সুস্পষ্ট নজির তৈরি করেছে। যার বড় উদহারণ এই আইনের করা মামলায় কারাগারে থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু। সুতরাং শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ নাগরিকের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের নীতি থেকে সরে আসতে হবে।’
একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার না করার যে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আলোচনার পর মৌখিকভাবে থানাগুলোতে জানানো হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে, তা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার ও সকলের জন্য সমানভাবে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার নিশ্চিতের আহ্বান টিআইবির
গীতিকার রাসেল ও’নিলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর নিজ বাসা থেকে রাসেল ও'নিল নামে পরিচিত বিশিষ্ট গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪৭ বছর।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগানের নিজ বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার খেয়ে রাসেল তার রুমে যায় এবং পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার পরিবারের লোকজন পুলিশকে ফোন করে জানায় রাসেল দরজা খুলছে না। পরে পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাসায় একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে যাতে বোঝা যায় এটি আত্মহত্যা। তবে পুলিশ বিষয়টি আরও তদন্ত করছে। শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল এবং সফল গীতিকার রাসেল ও'নিল দলছুট ব্যান্ডের অনেক জনপ্রিয় গান এবং গায়ক বাপ্পা মজুমদারের জন্যও গান লিখেছেন। যেমন 'মন ছুঁয়েছো', 'জোছনাবিহা‘, 'দিন বাড়ি যায়, 'সুর্য স্নানে চল' ইত্যাদি।
উল্লেখ্য সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন রাসেল। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপন শিল্পে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ২৬ হলে মুক্তি পেল ‘রাত জাগা ফুল’
সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার উন্নতি
শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী বেগম রাশিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারপতিগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন!
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ছলিমপুর এলাকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে ছোট সতীনের হাতে বড় সতীন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত শাহনাজ বেগম (৩০) ও অভিযুক্ত সুলতানার (২৭) স্বামী মোহাম্মদ আজিম। তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৬ বারখাইন ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানায়, জুমার নামাজের সময় ছলিমপুর কালুশাহ মাজার সংলগ্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতাল কলোনীর দ্বিতীয় তলায় চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে গেলে দেখতে পায় বাসার ছাদে আজিমের বড় স্ত্রীর জবাই করা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে নিজ ঘরে। এর আগে দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ধারালো বটি দিয়ে শাহনাজকে হত্যা করে ছোট সতীন সুলতানা। পরে এলাকাবাসী সুলতানাকে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) তৌহিদুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত নারীর ছোট সতীনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধ সিএমপির
চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মাস্টাররমাইন্ড গ্রেপ্তার