বাংলাদেশ
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১৬২
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫৭০ জনে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ১৬২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৮৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৩৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ হাজার ১৭৮ জন রোগী। এর মধ্যে এক হাজার ১০৯ জন ঢাকায় এবং ৩ হাজার ৬৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ৪ হাজার ৬৯৮ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫০ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৫৬
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯১৪
ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১২ শিক্ষার্থীর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের তুর্জো খান, সিয়াম ও শফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জিয়ন সরকার ও কবির হোসেন, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিজন রায়, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের মেজবাহ উদ্দিন এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের জাকির হোসেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল খেলার মাঠে একসঙ্গে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার জন্য বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে তারা একে অপরের উপর লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই উভয় গ্রুপের অন্তত ১২ জন আহত হয়। অন্য শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইবি প্রক্টরিয়াল বডির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১০
বগুড়ায় আ. লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের ওসিসহ আহত ৩১
জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তারেকের যোগাযোগের খবরে সংখ্যালঘু নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের উদ্বেগ
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন লন্ডনে বসবাসরত তারেক রহমান, ক্ষমতা ছাড়তে সরকারকে চাপ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
প্রতিবেদনে জামায়াতের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, তারেক রহমান বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, একটি পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সক্রিয় বিরোধিতাকারী এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতাকারী জামায়াতের সঙ্গে জোটের জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সমালোচনা বিবেচনা করে, বিএনপি বিগত কয়েক বছর ধরে ইসলামপন্থী দলটি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: জামায়াতের অর্থের ‘জোগানদাতা’ ডা. ফাতেমাকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার
এছাড়া, ২০২৩-২৪ সালে গণপরিবহন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগে বহু মানুষ নিহত হওয়ায় জামায়াত ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছিল। এরপর থেকেই জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছিল বিএনপি।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সর্বশেষ অবরোধে অনেক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় এবং একজন বাস হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) তথ্য অনুযায়ী, অবরোধের কারণে প্রতিদিন ৬৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোট একযোগে দফায় দফায় অবরোধ আরোপ করেছে।
তারেক এবং জামায়াত নেতাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতায় হতবাক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা এবং মানবাধিকার কর্মীরা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করেছেন।
তারা জামায়াতের সমাবেশগুলোর জন্য ‘সিস্টেমেটিক অ্যাডভোকেসি’ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে যুদ্ধাপরাধের এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থী শক্তির উপর কয়েক দশকের নির্মম হামলার কথা স্মরণ করেছেন।
বিএনপির মহাসমাবেশের আগে জামায়াতে ইসলামীর একজন প্রধান নেতার সঙ্গে মার্কিন কূটনীতিকের বৈঠকের নিন্দা করেছেন ২০০ জনেরও বেশি বিশিষ্ট নাগরিক।
এর আগে বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল জামায়াতের সমাবেশের অধিকারের পক্ষে একটি মার্কিন প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন: ‘যথাযথ সম্মানের সঙ্গে আমি গণমাধ্যম, পাকিস্তান সরকারের যোগাযোগ, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করতে চাই। বাংলাদেশের ৯ মাসের গণহত্যার সময় জামায়াতের ভূমিকা কী ছিল তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায়না... আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, ‘নাৎসি পার্টিকে জার্মানিতে কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা কি কেউ কল্পনাও করতে পারে!’
বাংলাদেশের বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্লেষণকারী ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে পলাতক, কিন্তু এখনও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তারেক দক্ষিণ এশিয়ায় সংগঠিত অপরাধের একটি প্রধান কারণ ডি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয় এবং পাকিস্তানের আইএসআই-এর সমর্থনপুষ্ট। তার কার্যালয় হাওয়া ভবন থেকে ওসামা বিন লাদেনের হুজিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আনার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’
ভারতীয় আউটলেট দ্য প্রিন্ট (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রবীণ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্তকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমার কাছে তথ্য আছে যে ভারতের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ২৬ আগস্ট সিঙ্গাপুরে বিএনপির শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুল ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষও বলেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার একটি প্রাথমিক শর্ত হবে তারেক রহমানকে দলের প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা এবং দলটি জামায়াতের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করবে।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ও জামায়াত একটি ভয়াবহ সহিংসতার আয়োজন করেছিল। তারা বাসে নির্বিচারে আগুন-বোমা, ৩২টি জেলায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করেছিল।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতে, সংখ্যালঘুরা বিএনপি-জামায়াত জোটের শেষ মেয়াদে অন্তত ২৮ হাজার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। জামায়াত নেতারা প্রকাশ্যে আহমদিয়া সম্প্রদায়সহ সংখ্যালঘুদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার হুমকি দিয়েছিল।
কয়েক মাস আগে, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলার পর, জামাত ও বিএনপি একই কথার প্রতিধ্বনি করেছিল।
তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামাতপন্থী অ্যাকাউন্টগুলো আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক প্রচারণা’ চালিয়ে তাদের বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
বিচারপতিকে নিয়ে কটূক্তি: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে ৫ মাসের কারাদণ্ড
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার জেরে আদালত অবমাননার মামলায় বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবকে পাঁচ মাসের কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার উপস্থিতিতে সাজার এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, হাবিবুর রহমান দেশের জনগণের কাছে ভুল মেসেজ দিয়েছেন। বিচার বিভাগকে তিনি হেয় করেছেন। এই অবস্থায় আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারেন না। কোর্টকে কবর দেওয়া মানে দেশকে কবর দেওয়া, বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আদালতে হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে আদালতে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় নারীর ৫ বছর কারাদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি। সাজা দিয়ে আদেশ ঘোষণার আগে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে তাকে হাইকোর্টে হাজির করে।
টকশোতে হাবিবুর রহমান হাবিব যে বক্তব্য দিয়েছিলেন শুনানির শুরুতে ল্যাপটপের মাধ্যমে তা আদালতকে দেখানো হয়।
এসময় আদালতের প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা বিএনপির এই সভাপতি আদালতকে বলেন, আমি শপথ করে বলছি আমি এই বক্তব্য দিয়েছি। আমি আদালতের কাছে কিছু কথা বলতে চাই। তখন হাইকোর্ট তাকে কথা বলার অনুমতি দেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন বিপন্ন। আমি তার জন্য আমার লিভার প্রয়োজনে দিয়ে দেব। খালেদা জিয়া এমন এক মহীয়শী নেত্রী। তিনি আমার মা। আমার মাকে যদি কেউ কটু কথা বলে সে মারা গেলেও তো তাকে ছাড়ব না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার ভক্ত। তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় জাগরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, আমার মমতাময়ী মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমার লিভার, কিডনি, এমনকি জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। আমার ১০০ বছরের সাজা হলেও আমি ভয় পাই না।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেন হাইকোর্ট।
৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
ওই আদেশ অনুযায়ী ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হননি তিনি। যে কারণে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তার বর্তমান অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য জানাতে বলা হয়।
৮ নভেম্বরও আদালতের তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবকে হাইকোর্টে হাজির করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে হাজির করতে পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯৯৯-এ ফোন: নোয়াখালীতে অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় পাইপগান ও অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বেগমগঞ্জ থানার কোয়ারিয়া আট নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে ডাকাতির বিষয়টি টের পেয়ে একজন কলার পুলিশের জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯- নম্বরে ফোন করেন।
ফোনে কলার বলেন, এলাকায় অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। অস্ত্রধারীরা যে বাড়িতে অবস্থান নেয় এলাকার লোকজন সেই বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। এ তথ্য জানিয়ে কলার দ্রুত পুলিশী সহায়তার অনুরোধ জানান।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মাসুদ রানা।
কনস্টেবল মাসুদ তাৎক্ষণিকভাবে বেগমগঞ্জ থানায় বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডেসপাচার এএসআই মিজানুর রহমান কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশী তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহাবুব বলেন, সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ থানার একটি দল ঘটনাস্থল গিয়ে দেশিয় অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার(২২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতু সুবোলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় তারা নিজ নিজ দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম দেশটি বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু।
তিনি বলেন, 'আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। উভয় দেশ অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময়ের মাধ্যমে আরও বেশি উপকৃত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জ হবে খেলাধুলার তীর্থস্থান: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া গ্যাস খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। ‘বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
নসরুল হামিদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রাথমিকভাবে ইন্দোনেশিয়া ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে এবং ধীরে ধীরে তা ৫০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা যেতে পারে।
এ সময় ট্রান্সমিশন, সাব-স্টেশন, অফ-শোর উইন্ড এবং পাওয়ার স্টোরেজ সিস্টেমে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পের্টামিনা জোহান কে নভেরিয়ানের হেড অব প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট জুহান কে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
চুয়াডাঙ্গায় মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মা জবেদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মুকুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার এ রায় দেন।
আসামি মুকুল হোসেনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বেলাল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় নিজেদের বাড়িতে জবেদা খাতুনকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে মুকুল হোসেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এ হত্যাকাণ্ড হয়।
এ ঘটনায় নিহত জবেদা খাতুনের ভাই মো. আলাউদ্দিন ঘটনার দিন রাতে মুকুল হোসেনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মামলার একমাত্র আসামি মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ছেলে মুকুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে আমাদের বই উৎসব হবে। উৎসব করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বিদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে না: দীপু মনি
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলায় মন্ত্রীর বাসবভনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের মনোনয়নবোর্ড যাকেই মনোনয়ন দেবে, দেশের যে এলাকায় দেবে, সেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।
তিনি জানান, তারা নৌকার বিজয় যেমন নিশ্চিত করবে এবং দলীয় ঐক্যকে আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। যাতে করে ভোটাররা আগামী দিনে দেশ পরিচালনার জন্য তাদের দল পছন্দ করতে পারে।
তিনি বলেন, এমনিতে আওয়ামী লীগ দেশের প্রাচীন বড় রাজনৈদিক দল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সবসময় নির্বাচন করেছে এবং করবে। যখন প্রয়োজন হয়েছে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জোট সবসময় আদর্শিক জোট হয়েছে। কখনো কখনো আমরা নির্বাচনী জোট করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন নির্ধারণ করার কাজ শেষে হলে বোঝা যাবে আমরা কি জোটবদ্ধ কিংবা জোট ছাড়া নির্বাচন করব। কারণ তখন বোঝা যাবে কোন দল বেশি শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যা: ২ আসামির যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরে জুলফিকার আলী মামুন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
নিহত জুলফিকার লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত সফি উল্যাহ পাটওয়ারীর ছেলে। তিনি ঢাকা শহরে পান বিক্রি করতেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন-নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও জামাতা রাকিব হোসেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে দুই আসামি জুলফিকারকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ২২ অক্টোবর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম। মামলায় নিহতের স্ত্রী শাহিনুর ও জামাতা রাকিব এবং সহযোগী হিসেবে শাহ আহাম্মদসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্ত করেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলায়েত উল্যাহ।
তিনি শাহিনুর ও রাকিবকে অভিযুক্ত করে ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন এবং ৩ নম্বর আসামি শাহ আহাম্মদকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবার মৃত্যু !
দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত: মন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত।
তিনি বলেন, খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে এ খাত থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে এ খাত।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) প্রকাশিত ‘এফএলজেএফ ভয়েসের’প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য রোগ মুক্ত গবাদিপশুর অঞ্চল তৈরি করে আমরা মাংস রপ্তানির প্রক্রিয়ায় রয়েছি।
তিনি বলেন, এভাবেই সাম্প্রতিককালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এ উন্নয়ন দৃশ্যমান উন্নয়ন, এ উন্নয়ন কথার ফুলঝুড়ি নয়, এ উন্নয়ন বাস্তবসম্মত উন্নয়ন। এ উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার গণমাধ্যমকর্মীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ার অনেক পথ ও পন্থা দেখিয়েছে গণমাধ্যম।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৮২ শতাংশ, এটি বিস্ময়কর। এক সময় বলা হতো মাছের আকাল, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ যেগুলো একসময় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল, সেগুলো এখন সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ৪৯ দশমিক ১৫ লাখ টন লাখ মেট্রিক টন, যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মোট উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি।
তিনি বলেন, মাছ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, চাষের মাছ উৎপাদনে পঞ্চম এবং ইলিশ আহরণে প্রথম স্থানে রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের খাবারের জন্য মাছ সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে এবং বিদেশে রপ্তানির মাছও নিরাপদ হবে। ফলে মাছ রপ্তানিতে মানসম্পন্ন জায়গায় আমরা পৌঁছুতে পেরেছি। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন, ২০১০ ও মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২০ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের টেকসই আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য নৌযান মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০টি আর্টিসনাল মৎস্য নৌযান ও ৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ খাতের অর্জন তুলে ধরে এসময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাংস ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দুধ উৎপাদনের পরিমাণও পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ৫ গুণ, ৭ গুণ এবং ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ সহায়তা প্রদান ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ দিচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রাণিচিকিৎসা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬১টি জেলার ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফলে অসুস্থ প্রাণিকে এখন হাসপাতালে নিতে হয় না, হাসপাতাল প্রাণির কাছে চলে যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের ফলে কোরবানির সময় এখন পাশ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভর থাকতে হয় না বরং উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কোরবানির হাটে গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকছে।
শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, দেশে চিড়িয়িাখানা পরিচালনার জন্য কোনো আইন ছিলনা। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আইন সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের চিড়িয়াখানার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। দেশে ডেইরি খাতের জন্য ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়: প্রধানমন্ত্রী