বাংলাদেশ
নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি (ওএসবি) এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল।
রাজধানীর গুলশানে মঙ্গলবার অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ সম্পর্কিত এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
ওএসবি মহাসচিব অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
ওএসবি সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাফল্য এখন কারও কারও চক্ষুশূল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চক্ষু বিশেষজ্ঞদের সক্ষমতা বাড়াতে এ চুক্তির আওতায় একসঙ্গে কাজ করবে ওএসবি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং পাশাপাশি ওএসবি আগামী বছরের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ১১তম ফ্লাইং আই হসপিটাল ট্রেনিং প্রোগ্রামের (উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম) আয়োজনে নেতৃত্ব দেবে।
এছাড়া এ দু’টি সংস্থা অরবিস সাইবারসাইট রিসোর্স ব্যবহার করে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চক্ষুসেবার মান উন্নত করতে সহযোগিতামূলক নানা পদক্ষেপ নেবে এবং প্রশিক্ষণ, শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনার জন্য একাডেমিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবে।
ওএসবি নির্বাহী কমিটির পক্ষে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুক্তি রানী মিত্র।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন: সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক নাজনীন চৌধুরী, সহযোগী পরিচালক ড. লুৎফুল হোসেন ও ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মির্জা মনবীরা সুলতানা ও এস এম মনিরুল আহসান এবং কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্পেশালিস্ট সাহস মোস্তাফিজ।
সরকারি হিসাব বলছে, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪৮ হাজার শিশু অন্ধ। পাশাপাশি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ ছানি, প্রতিসরণ ত্রুটি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও কর্নিয়ার দাগ নিয়ে বসবাস করছে, যেগুলো নিবারণযোগ্য অন্ধত্বের সবচেয়ে বড় কারণ।
ওএসবি হলো চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি জাতীয় পর্যায়ের প্ল্যাটফর্ম, যেটি অন্ধত্ব প্রতিরোধে কাজ করছে। অন্যদিকে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যেটি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নিরারণযোগ্য অন্ধত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ দরকার’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণকারীরা আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বন্ধুপ্রতিম ১৭ টি দেশের ২৯ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ফলে বর্তমান বিশ্ব অনেক জটিল এবং পরস্পর সংযুক্ত।’
পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদেরকে সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার হবে আপনাদের কার্যপরিচালনার পথনির্দেশক।’
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভূমিকার প্রশংসা করে মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. কামরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরে, প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নারীর প্রতি সহিংসতা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং টেকসই উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা ব্যাপক এবং দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড – নারীর প্রতি সহিংসতা নানাভাবে ঘটছে। কিন্তু, এই সমস্যার মূলে রয়েছে কাঠামোগত অবিচার, যা গড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার কারণে।’
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূলে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো পুরুষতান্ত্রিক সংস্কৃতিই লালন করে চলেছি, যা নারীদের মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাখ্যান করে তাদের আরও ঝুঁকিতে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সহিংসতা ও অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশের সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সবাইকেই মূল্য দিতে হচ্ছে: আমাদের সমাজে শান্তি নেই, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়, আমাদের বিশ্বটা তুলনামূলক কম ন্যায়সঙ্গত। কিন্তু নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।’
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’।
বিশ্বজুড়ে নারীর অধিকার রক্ষাকে আরও সুসংহত করতে উপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারীর প্রতি অন্যায় প্রতিরোধ ও অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ জোরদার করতে হবে।
জাতিসংঘের প্রধান বলেন, বিশ্বের সর্বত্র ভূক্তভোগীর কথা শুনুন এবং দোষীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন। নারী অধিকারকর্মীদের পক্ষে দাড়ান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি স্তরে নারী নেতৃত্বের পক্ষে কথা বলুন।
তিনি বলেন, আসুন, আমরা একসঙ্গে নারীর পক্ষে দাড়াই, তাদের জন্য কথা বলি। আসুন আমরা এমন এক বিশ্ব গড়ে তুলি, যাতে যে কোনো জায়গায় নারীর প্রতি যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
পর্যটনশিল্পকে অবশ্যই নিরাপদ করতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘প্রাকৃতিক তন্তু’ সম্পর্কিত রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন 'ন্যাচারাল প্ল্যান্ট ফাইবারস অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' গ্রহণ করেছে।
পাট, তুলা ও সিসাল জাতীয় প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির প্রমাণ এই বিপুল সমর্থন।
বুধবার নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশন বলেছে, যুগান্তকারী উন্নয়ন হিসেবে দেখা রেজুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহারকে সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে।
এটি বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন, ব্যবহার ও ব্যবহারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সমর্থন, সম্পদ সংগ্রহ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
রেজুলেশনে প্রাকৃতিক তন্তুকে সিন্থেটিক ও প্লাস্টিক-ভিত্তিক পণ্যের একটি প্রশংসনীয় বিকল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রাকৃতিক তন্তুর উৎপাদন ও ব্যবহার ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনে অবদান রাখতে পারে।
২১ নভেম্বর রেজুলেশনটি উত্থাপনের সময় নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি এটি শক্তিশালীকরণ ও ঐকমত্য অর্জনে সক্রিয় সম্পৃক্ততা, নমনীয়তা ও অবদানের জন্য সকল প্রতিনিধি দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর পরিপূরক ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ প্রতিনিধি রেজুলেশনের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ২০১৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে প্রথম এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করে এবং তারপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো দ্বিবার্ষিকভাবে এই রেজুলেশনটি গ্রহণ করে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে: মুখপাত্র মিলার
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় দেশটিতে 'অবাধ ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচন দেখতে চাওয়ার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ২১ নভেম্বর ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে আমরা এটাই দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি, যেমনটা তিনি বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: শ্রম অধিকার রক্ষায় সরকার ও শ্রমিকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে যুক্ত তা তুলে ধরেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী: মুখপাত্র মিলার
মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র 'বিএনপি কর্তৃক পরিকল্পিত' রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি আমি আমার আগের উত্তরেই এর জবাব দিয়েছি।’
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি, তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলোর সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হবে তা তাদের ব্যাপার: মুখপাত্র
অধিকারকর্মী ও শ্রমিক সংগঠনে হামলাকারী-হুমকিদাতাদের জবাবদিহি করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৩ পালিত
৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ (স্থায়ী প্রতিনিধি) ও সামরিক উপদেষ্টাগণ (মিলিটারি এডভাইজর) অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখেরও বেশি নির্যাতিত নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
৬ষ্ঠ অবরোধ: সারা দেশে ২৩২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪৩২ টহল দল মোতায়েন
চলমান ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারা দেশে মোট ২৩২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হরতাল: সারা দেশে র্যাবের ৪৬০ টহল দল মোতায়েন
এদিকে, অবরোধ চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সারা দেশে র্যাবের ৪৩২টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া অবরোধ চলাকালে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের নিরাপত্তাও তদারকি করছে এলিট ফোর্স।
সহিংসতা ও নাশকতা রোধে বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও গোয়েন্দা দল নজরদারি করছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
হরতাল: সারা দেশে ২৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর এক দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার ডাকা অবরোধ সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল নিয়ে আজ বুধবার সকালে শুরু হয়েছে।
আজ সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে শুক্রবার সকাল ৬টায়।
উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কা সত্ত্বেও ঢাকার সড়কে গণপরিবহন ও যাত্রীদের উপস্থিতি আগের অবরোধগুলোর তুলনায় বেশিই বলে মনে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন
৩১ অক্টোবর থেকে এটি দেশব্যাপী ৬ষ্ঠ অবরোধ কর্মসূচি।
৪৮ ঘণ্টার হরতালের পর একদিনের বিরতি দিয়ে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে সারা দেশে আবারো ৪৮ ঘণ্টা সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিকরতেই এই অবরোধ।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে আবারও বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন: সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
হেলথ প্রমোশন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয় তুলে ধরতে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব হেলথ সায়েন্স, ওয়ার্ক ফর আ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টসহ ১৭টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে ‘হেলথ প্রমোশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল কনফারেন্সের আয়োজন করে।
কনফারেন্সে নীতিনির্ধারক, জনস্বাস্থ্যবিদ, ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে আলোচকরা জানান, বাংলাদেশে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে মোট মৃত্যুর প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী এসব অসংক্রামক রোগ। হেলথ প্রমোশন কার্যক্রমের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা ও চিকিৎসা নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে চিকিৎসায় সরকার ও ব্যক্তির ব্যয়ও কমে আসবে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিবন্ধী-বয়স্কদের সুযোগ প্রাপ্তির জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ দরকার’
তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে জানান, হেলথ প্রমোশন বা স্বাস্থ্য উন্নয়ন বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝানো হয় যার দ্বারা মানুষ নিজের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যের নির্ধারকসমূহের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং নিজ স্বাস্থ্যের উন্নতি লাভের সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
সাধারণভাবে, তামাকপণ্যের ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অ্যালকোহল গ্রহণ, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অভাব এবং বায়ু দূষণ প্রভৃতিকে অসংক্রামক রোগের মূল ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে এসব স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রায় সম্পূর্ণভাবে এড়ানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুকে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আয়োজনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ১১টি দেশ হেলথ প্রমোশন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তবে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন’ এবং ‘রোগ প্রতিরোধ’ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশে এখনও শুরু হয়নি।
সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ সংক্রান্ত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে কমিয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হেলথ প্রমোশন বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এসডিজিসহ সরকারের অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করবে।
কনফারেন্সে হেলথ প্রমোশনসহ দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে পাঁচ দফার একটি সম্মিলিত ঘোষণা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরডি পদে নির্বাচিত সায়মা ওয়াজেদ
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ঢালী গ্রেপ্তার: র্যাব
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ইউনিট ২।
মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে বসিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর থেকে ৬১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গত কয়েকদিন ধরে মোহাম্মদপুরে বিএনপির ব্যানারে আতাউর রহমান ঢালী ও তার সহযোগীদের দ্বারা সংগঠিত একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তার নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় মোহাম্মদপুর এলাকায় সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন হরতাল-অবরোধের কারণে যানবাহনে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও বিঘ্ন ঘটানো।
তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় ২৯ অক্টোবর পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শিহাব বলেন, এছাড়া আতাউরের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৬টিরও বেশি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার
মিরপুরে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ‘বিরোধী দলের’ ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব