বাংলাদেশ
ডিসেম্বরে পেঁয়াজ-আলুর দাম কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নিজেদের উৎপাদন শুরু হলে আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজ ও আলু কম দামে পাওয়া যাবে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি মনিটরিং ও রিভিউ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আমদানি ও বাজার মনিটরিং নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আলু ও ডিম আমদানি করতে হলে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। আমরা সেই অনুমতি নিয়ে দুই মাস আগে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। যদি পেছনের সমর্থন না পাই, তাহলে আমরা অনেক সময় করতে পারি না। সংকট যখন প্রকট হয়ে যায়, তখন তারা মেনে নেন, কিন্তু তখন আবার অনেক দেরি হয়ে যায়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরবরাহ যদি ভালো থাকে, তাহলে সমস্যা হয় না। আবার আলু যদি অতিরিক্ত থেকে যায়, তখন প্রশ্ন করা হয়, কৃষকরা আলুর দাম পাচ্ছেন না, আপনি কী ব্যবস্থা করেছেন? দুইভাবেই সমস্যা। উৎপাদন যাতে বাড়ে, সেই প্রচারটা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একটা হলো আমাদের দেশের উৎপাদন, আরেকটি আমদানি করে আনা হয়। বিভিন্ন জিনিসের বিভিন্ন রকম অবস্থা। পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এটা আমরা সবাই বুঝি যে যখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠবে, কৃষক যখন ফসল ঘরে তুলবে। হয়ত আগামী মাসে মুড়িকাটা পেঁয়াজটা বাজারে উঠবে, তখন হয়ত পেঁয়াজের দাম কমবে। আবার আলু যেমন ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাজারে উঠতে শুরু করবে, তখন দাম কমবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ভারতীয় বাজারে ৮০ রুপি প্রতি কেজি পেঁয়াজ, যা আমাদের টাকায় ১০৫ বা ১১০ টাকা করে। পেঁয়াজের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারত ৮০০ ডলার। ওই টাকায় আমরা আমদানি করলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ কিংবা ১২৫ টাকা পড়ে যাবে। এজন্য আমাদের নিজেদের উৎপাদনের ওপর নির্ভর করতে হবে।
তিনি বলেন,‘একইভাবে আলু আমাদের যা আছে কোল্ড স্টোরেজগুলোতে, তা প্রয়োজন অনুসারে ভীষণ টাইট অবস্থা। ডিসেম্বরের শেষের দিকে আলু উঠতে শুরু করবে। তখন দাম কিছুটা কমবে। আমদানিও শুরু হয়েছে, বাজারে সেটার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, আমদানিটা ভালোভাবে এলে দাম কিছুটা সাশ্রয় হবে। ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি, বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে। এরইমধ্যে প্রথম চালান এসেছে।
টিপু মুনশি বলেন,‘যখন মুদ্রাস্ফীতি থাকে, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। দামের ওপর মূল্যস্ফীতি একটা বড় প্রভাব বিস্তার করে। এখন প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশের ওপরে মূল্যস্ফীতি। সেটার সমাধান করতে না পারলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা অন্য কেউ খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯১২
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৩২ জনে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৯১২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭৯৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৯ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫৫৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ হাজার ৪১৩ জন রোগী। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৭৫ জন ঢাকায় এবং ৪ হাজার ৭৩৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৫ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৬০ জন।
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৯৫
দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ৫ জন, মৃত্যু নেই
দেশে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৩ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৪ জন, মৃত্যু নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬৬৭ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৪ জন, মৃত্যু নেই
দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৬ জন, মৃত্যু নেই
রাষ্ট্রদূতদের ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা অতীতে কিছু কিছু রাষ্ট্রদূতকে এককভাবে ডেকে তাদের কার্যপরিধির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। নির্বাচনের আগে তারা সতর্ক থাকবেন কারণ, অতীতে (৬ মাস আগে) যা বলেছেন এখন তার প্রভাবটা অনেক বেশি।
তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সীমার বিষয়ে তলব করা হবে কি না- বুধবার (৮ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যারা আন্দোলন করছেন তাদের ভাষায় তারা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন। আমি মনে করি না, তাদের তলবের প্রয়োজন হবে। যদি প্রয়োজন হয় তবে তা হবে দুঃখজনক।
শাহরিয়ার বলেন, আমরা যা সঠিক মনে করি তা করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অধিকারের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আদালতে রিভিউ বিচারাধীন। নবায়নের জন্য আদালতে তারা একটি পিটিশন দিয়েছিলেন সেটিও খারিজ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির এক দফা দাবি সংবিধানের পরিপন্থী: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, কোনো মানবাধিকার সংস্থা যদি অধিকারের বরাতে কোনো তথ্য উপস্থাপন করে, তাহলে সেটি আমরা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করব এবং সেটির উত্তর দিতে আমরা বাধ্য নই। কিন্তু তারা একই জিনিস অন্যের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারে। সেটিকে আমরা ভালোভাবে নেব যদি সেটি আমাদের সংবিধানের আলোকে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আছে তার আলোকে যদি হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তা আমলে নেব।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সারাদিনের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে প্রতিফলিত করেনা: শাহরিয়ার
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিল
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবির) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মো. শহীদুর রহমান খানের ছেলে-মেয়েসহ ৬ স্বজনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
এর মধ্যে সাবেক উপাচার্যের মেয়ে শিক্ষক এবং অন্যরা কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ত্রুটি থাকায় ২৪ শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে এবং বাতিল করা হয়েছে এক শিক্ষকের পদোন্নতিও।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম দিনের মতো শিক্ষকদের কর্মবিরতি
প্রাক্তন উপাচার্যের ছাত্র আশিকুল আলমকে সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জন শিক্ষক ও তিন কর্মচারীর নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেনসহ গুরুতর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট ৭৩ জন শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরবর্তী সময়ে শিক্ষকরা আবেদন করায় মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২৪ মার্চ পুনর্মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে। গত ২৩ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া শহীদুর রহমান খানের মেয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ইশরাত খান, ছেলে সহকারী রেজিস্ট্রার শফিউর রহমান খান, শ্যালক শাখা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, তিন ভাতিজা কম্পিউটার অপারেটর মো. নিজাম উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান ও ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. ইমরান হোসেনের নিয়োগ বাতিল হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্টিকেলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কমপক্ষে একটি আর্টিকেল প্রথম লেখক হিসেবে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে প্রকাশ না করা পর্যন্ত ২০ জন প্রভাষক ও চারজন সহকারী অধ্যাপকের পদোন্নতি স্থগিত থাকবে।
প্রভাষকরা হলেন- হর্টিকালচার বিভাগের মো. মোর্শেদুল ইসলাম, আফসানা ইয়াসমিন, সয়েল সায়েন্স বিভাগের নুসরাত জাহান মুমু ও নাহিদ হোসেন, এগ্রিকালচারাল কেমিস্ট্রি বিভাগের রাকিবুল হাসান মো. রাব্বি, তুষার কান্তি রায়।
বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের রোমানা জাহান মুন, লাইভস্টক প্রোডাকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মুস্তাসিম ফেমাস, অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সবুজকান্তি নাথ ও শাওলিন ফেরদৌস।
অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের ফাতেমা জাহান, বাবলী আকতার, মো. জাহিদ হোসেন, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগের রাবেয়া আক্তার, ফিশারিজ রিসোর্সেস কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মো. আসাদুর রহমান।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়ম: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
ফার্মস্ট্রাকচার বিভাগের ফাহমিদা আক্তার, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের তানজিনা আক্তার তামান্না, এগ্রিকালচারাল ফাইন্যান্স কো-অপারেটিভ অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মাহবুবা আখতার মিশু ও এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস বিভাগের রোমানা বিশ্বাস।
সহকারী অধ্যাপকরা হলেন- মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের নাহিদ রহমান, ফিজিওলজি বিভাগের ড. এম এ হান্নান, অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের ড. মো. তসলিম হোসেন এবং ফার্ম স্ট্রাকচার বিভাগের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এ ছাড়া প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ফিশারিজ রিসোর্সেস কনজারভেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. মো. মেহেদী আলমের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের মোহাম্মদ আশিকুল আলমকে সহকারী অধ্যাপকের পরিবর্তে নিয়োগকাল থেকে প্রভাষক হিসেবে পদাবনতি করা হলো।
এ ছাড়া উপাচার্যের মেয়ের চাইতে আশিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা তার ছিল না। পদও ছিল একটি।
এতে একক ক্ষমতায় দু’জনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশিকুল আলম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা নিয়ে তারা জরুরি বৈঠক করছেন। পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের বিষয়ে জানতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
ইএমকে সেন্টারে শিক্ষা মেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশ
এডুকেশনইউএসএ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজধানীর গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ইএমকে সেন্টারের নতুন কার্যালয়ের এডপ্রোগ্রামসের সঙ্গে যৌথভাবে ইউএস ইউনিভার্সিটি ফেয়ারের আয়োজন করেছে মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবার(৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বিশেষ শিক্ষাবিষয়ক কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দক্ষতাও অর্জন করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো শিকাগো স্কুল, প্যাসিফিক ওকস কলেজ, ডিপাউ বিশ্ববিদ্যালয়, এমব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটি, স্লিপাররক ইউনিভার্সিটি, আইওডব্লিউএ স্টেট ইউনিভার্সিটি, ভার্জিনিয়া টেক, ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, পেস ইউনিভার্সিটি, মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটি, জিডব্লিউ ইঞ্জিনিয়ারিং, নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দি ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনা, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ডাকোটা এবং ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি, নক্সভিল।
অনুষ্ঠানে মার্কিন দূতাবাস ও এডুকেশনইউএসএ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা, পাবলিক এনগেজমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ব্রেনান ফ্ল্যানিগান ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিফেন এফ আইবেলি উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেনান ফ্ল্যানিগান বলেন, ‘মেলায় অংশগ্রহণকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানাই, যাদের মধ্যে কয়েকটি প্রথমবারের মতো এই ধরনের ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ হাজারেরও বেশি স্বীকৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের পাঠদান করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন দূতাবাস ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ অবশ্যই কৃতজ্ঞ যে, বাংলাদেশের অনেক স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
যথাযথভাবে আবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ পাওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্যের পাশাপাশি বৃত্তির সম্ভাবনা এবং ভর্তির মান সম্পর্কে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান রাজনৈতিক সংকটে উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা
পিএইচডি করতে আগ্রহী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত গন্তব্য ও প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করার সময় আমরা প্রায়শই অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগ ও চাপে ভুগে থাকি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই ধরনের মেলা আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ ও সহায়তা করতে পারে।’
এনওয়াইইউ ট্যান্ডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাডমিশন অ্যাম্বাসেডর অভ্যুদয় পাই ইউএনবিকে বলেন, ‘এই মেলায় একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, কারণ আমরা অনেক উৎসাহী ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছি। ‘বর্তমান সময় হলো প্রযুক্তির স্বর্ণযুগ, তাই এই মেলায় যোগদানকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থী উভয়ই সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।’
এডুকেশনইউএসএ হলো মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের একটি নেটওয়ার্ক, যা ১৭৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ৪৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পরামর্শ কেন্দ্র রয়েছে। নেটওয়ার্কটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের সুযোগ সম্পর্কে সঠিক, বিস্তৃত ও বর্তমান তথ্য সরবরাহ করে বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষাকে তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
বিএসআরএফকে ৩টি কম্পিউটার দিল 'কম্পিউটার সলিউশন'
সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামকে (বিএসআরএফ) তিনটি কম্পিউটার দিয়েছে 'কম্পিউটার সলিউশন'।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েছে বিএসআরএফ’র নতুন কমিটি
বুধবার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ নেতাদের কাছে কম্পিউটার সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সোহেল মিয়ার পক্ষ থেকে তিনটি কম্পিউটার হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ'র সদস্যদের ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিলো জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সহসভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন (রাকিব), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুর রহমান (পঞ্চায়েত হাবিব) প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র জন্য রক্তদাতার ব্যবস্থা করবে ‘ব্লাডম্যান’
সহিংসতা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে বৈশ্বিক সমর্থনের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহিংসতা ও ভুল তথ্যকে দু’টি প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা।
তারা সহিংসতা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ে বিশ্ব বন্ধুদের আন্তরিক সমর্থন কামনা করেন।
৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে তারা অভিমত দেন, টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তখনই সম্ভব, যখন সহিংসতা ও ভুল তথ্যের অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূর করা হবে।
পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ওয়েবিনারের প্যানেলিস্টরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৫ বছরের ধারাবাহিকতার পূর্ণ কৃতিত্ব দেন।
'ভায়োলেন্স অ্যান্ড মিসইনফরমেশন: ব্যারিয়ারস টু ইকোনমিক প্রসপারিটি ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলম্যান, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট লেখক ড. নুরুন নবী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিন, এসডিজি অর্জন করুন: বক্তারা
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্যানেলিস্টরা হলেন- অধ্যাপক আবদুর চৌধুরী, অধ্যাপক এবিএম নাসির, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সেথ ওল্ডমিক্সন এবং জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. মাজহারুল ইসলাম রানা।
বক্তারা লাখ লাখ বাংলাদেশিকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী, বিধবা ও স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়া নারীদের জন্য ভাতা প্রবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরেন।
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল যদি এই সময়ের মধ্যে 'নৈরাজ্য ও সহিংসতা' না করে, তাহলে বাংলাদেশ আরও অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।
এ প্রসঙ্গে প্যানেলিস্টরা ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল যেদিন উদ্বোধন করেন, সেদিন তারা রাজধানীতে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন ও হাসপাতালে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আহত করেন।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির বিষয়ে বক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, দলগুলো কেন অসাংবিধানিক কিছু দাবি করছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতভেদ নিরসন করা উচিত: নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদগণ
তারা সংবিধানের কথা উল্লেখ করে মনে করিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে হতে হবে।
অধ্যাপক আবদুর চৌধুরী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বিশ্বের পরবর্তী শীর্ষ ১০টি উদীয়মান অর্থনীতির একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং যা ১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা থেকে দেশটির অসাধারণ অগ্রগতি।
তবে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মতো বর্তমান বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে মত দেন।
ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন তার বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সাম্প্রতিক একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বর্তমান সব অর্থনৈতিক সমস্যা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭০ শতাংশ অনুমোদনের রেটিং রয়েছে।
ব্ল্যাকবার্ন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন 'অনলাইনে একচেটিয়া ভুল তথ্য' বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রকৃত প্রভাব ফেলে। তাই ইউরোপীয় ও আমেরিকান উভয় অংশীদারদেরই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগিয়ে আসা উচিৎ।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষতি করছে এবং বিএনপি অগ্নিসংযোগ ও গুজব ছড়ানো চালিয়ে যাচ্ছে।
ড. মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ক্রমাগত ভুল তথ্য, গুজব ছড়িয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার চক্রান্ত সৃষ্টি করেছিল এবং একই শক্তি এখনো সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমান, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও জামায়াতের নির্দেশনায় সক্রিয় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক নিয়ে কসমস ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনার বৃহস্পতিবার
অধ্যাপক এবিএম নাসির ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান প্রতিহত করতে এবং প্রগতিশীল গণতন্ত্রের উদাহরণ ও একটি মডেল মধ্যপন্থী মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান।
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই ধারাবাহিক সহিংসতার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের ৫ বছরের দুঃশাসন ছিল দেশের ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা ২০১৩-২০১৫ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতা-কর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং প্রগতিশীল ব্লগারদের ওপর হামলা চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে একই ধরনের সহিংসতা পুনরায় দেখা দিয়েছে।
অধ্যাপক নাসির যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান, একটি টেকসই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কেবল তখনই কার্যকর হবে যখন সহিংসতা ও ভুল তথ্যের অপরাধীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে দূর করা হবে। অন্যথায় এটি আফগানিস্তানের মতো বিপর্যয়ে পরিণত হবে।
সেথ ওল্ডমিক্সন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে সতর্ক করে বলেন, সহিংস চরমপন্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষকে নিযুক্ত করতে এবং বাংলাদেশে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার জন্য বেশ সক্রিয়। এই ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে তিনি ইতিবাচক তথ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ন্যায়বিচার ও প্রতিকারের দাবিকে দুর্বল করে: ওয়েবিনারে বক্তা
২৭ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে টাইগার নিউ এনার্জি
টাইগার নিউ এনার্জি সফলভাবে ২৭ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে। যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সিড রাউন্ডে বিনিয়োগ হিসেবে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।
এই রাউন্ডের নেতৃত্বে থাকা ওয়েভমেকার পার্টনারস একটি নেতৃস্থানীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম। যার টেকসই ও উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলোকে সমর্থন করার একটি শক্তিশালী ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।
বিষয়টি এমন সময়ে হলো যখন বিশ্বব্যাপী বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিপ্লবকে আলিঙ্গন করতে শুরু করেছে এবং বাংলাদেশ একটি উদ্ভাবনীয় পদ্ধতির নেতৃত্ব দিচ্ছে।
প্রতিদিন ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন বৈদ্যুতিক যানবাহন দেশের রাস্তায় চলাচল করে। কিন্তু এগুলো সাধারণ গাড়ি নয়। এগুলো ৩ চাকার বৈদ্যুতিক যান, যা বাংলাদেশের নগর পরিবহনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। উদ্ভাবন এবং প্রতিশ্রুতির শক্তি প্রদর্শন করে ব্যাপক সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই এটি সম্ভব হয়েছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন গ্রাজুয়েট নিকোল মাও ও ইউয়ে ঝু বাংলাদেশে ৩ চাকার ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী এক উদ্ভাবন।
টাইগার নিউ এনার্জি নামক কোম্পানির মাধ্যমে তারা শপথ করেছেন দেশজুড়ে পরিবেশবান্ধব যাতায়াত ব্যবস্থা ছড়িয়ে দেওয়ার। তাদের উদ্ভাবন হচ্ছে- লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বিনিময় করার স্টেশন।
৩ চাকার ব্যাটারি চালিত যানবাহনগুলোয় সাধারণত ব্যবহৃত হয় লেড এসিড ব্যাটারি, যার আয়ুষ্কাল কম এবং চার্জ দেওয়ার সময় অনেক বেশি। তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের যানবাহনের জন্য লেড এসিড ব্যাটারির ব্যবহারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা আছে। একটি ব্যাটারি চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা।
স্বল্প আয়ের চালকদের বিপুল সময় এবং উপার্জন নষ্ট হয় ব্যাটারি পুনরায় চার্জ দিতে যেয়ে। এছাড়া একবার এই ব্যাটারি পরিবর্তনের খরচও অনেক বেশি। লেড এসিড ব্যাটারির তুলনায় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। তাই টাইগার নিউ এনার্জির স্টেশনগুলো ব্যবহার করে চালকরা কয়েক মিনিটের মাঝেই নিজের ব্যাটারিটা পরিবর্তন করে নতুন একটি চার্জ করা ব্যাটারি নিতে পারবেন।
তাছাড়া তাদের ব্যাটারি পরিবর্তনের এককালীন খরচ দেওয়া লাগবে না। মাত্র কয়েকশ’ টাকা খরচ করেই, চালকরা সম্পূর্ণভাবে চার্জ করা ব্যাটারি পেয়ে যেতে পারবেন।
যুগান্তকারী এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য হার্ভার্ডের দুই উদ্যোক্তা বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকেই। নিজেদের দেশ না হলেও, বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির কারণে তারা এই দেশে টেকসই বিদ্যুৎ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা দেখতে পান।
তারা প্রমাণ করতে চান, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের জনগণ পরিবেশবান্ধব ও সময়োপযোগী সমাধান নিয়ে সচেতন। পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ দেশের মাঝে একটি হওয়ায় বাংলাদেশের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব করে তোলাটা দুরূহ কাজ। বেশিরভাগ যানবাহনই এখনো তেল বা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৯০০ কোটি ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান
সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামে' যোগদান এবং ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ফ্লাইটটি বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
৫ নভেম্বর ৩ দিনের সফরে সৌদি আরবে যান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন তিনি মদিনায় মসজিদে নববীতে আছর নামাজের পর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন এবং ফাতেহা পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে আজ রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী
এরপর তিনি মক্কার উদ্দেশে রওনা হন এবং একই দিনে এশার নামাজের পর মসজিদুল হারামে (কাবা শরীফ) পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেন এবং ভাষণ দেন।
সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) ও সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি উইমেন ইন ইসলাম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন।
ওআইসি’র সাধারণ সচিবালয়ের সহযোগিতায় সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: মক্কায় ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে মদিনা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী