বাংলাদেশ
শিশুদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ২১০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন
বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স (বিইআইবিইই) প্রকল্পের জন্য ২১ ০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদ।
বুধবার(১ নভেম্বর) বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টির উন্নয়নে নগদ অর্থ স্থানান্তর ও পরামর্শ সেবা প্রদান এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের প্রায় ১৭ লাখ গর্ভবতী নারী এবং ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের মায়েদের সরাসরি উপকৃত করা।
বাংলাদেশ-ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলাই সেক বলেন, 'বর্তমান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী একটি শিশু সম্ভাব্য ৪৬ শতাংশ উৎপাদনশীল হতে পারে।
তিনি বলেন,‘এটা পরিবর্তন করা যেতে পারে। প্রসবপূর্ব এবং জীবনের প্রথম এক হাজার দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং শৈশবজুড়ে প্রতিক্রিয়াশীল যত্ন নেওয়া, একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যকে সর্বাধিক করতে সহায়তা করে। এটি তাদের আরও উৎপাদনশীল হতে এবং বড় হওয়ার পরে আরও উপার্জন করতে সক্ষম করে। প্রকল্পটি দরিদ্র মায়েদের তাদের সন্তানদের জন্য সময়মত এবং যথাযথ যত্ন সম্পর্কে অবহিত করতে সহায়তা করবে এবং তাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতির জন্য সেই শিক্ষার উপর কাজ করার জন্য আয় সহায়তা সরবরাহ করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২০২৪ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমাল বিশ্বব্যাংক
মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও, শিশুদের মধ্যে দুর্বল পুষ্টি এবং শেখার দারিদ্র্য বাংলাদেশে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে রয়ে গেছে এবং কোভিড লকডাউনের সময় এটি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
এটি শিশুদের জ্ঞানের বিকাশ এবং তাদের ভবিষ্যতের উৎপাদনশীলতার উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।
প্রকল্পটি সরকারের বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, মা ও শিশু বেনিফিট প্রোগ্রাম (এমসিবিপি) সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণে সহায়তা করে প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়নে অবদান রাখবে।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘দারিদ্র্য, পিতামাতার দুর্দশা এবং বয়স-উপযোগী সম্পৃক্ততা ও উদ্দীপনার অভাব শিশুদের সর্বোত্তম বিকাশকে বিপন্ন করে তোলে।’
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
তিনি বলেন, ‘গর্ভবতী নারীদের জন্য যথাযথ পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুদের সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও জনতাত্ত্বিক সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে। একটি শিশুর জীবনের প্রথম দিকে বিনিয়োগ করা, বিশেষত তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিকাশের বছরগুলোতে, সমগ্র জাতির জন্য উল্লেখযোগ্য উপকার করতে পারে।’
প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়, যা ছাড়ের অর্থায়ন সরবরাহ করে এবং ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদ রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম। স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার অনুদান, সুদমুক্ত ও ছাড়মূলক ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৫৭টি চলমান প্রকল্পে ১৬ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম আইডিএ কর্মসূচি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে: বিশ্বব্যাংক
ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল শুরু করেছে বাংলালিংক ও টেলিটক
বাংলালিংক এবং টেলিটক একটি অগ্রণী উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
এই ফিল্ড ট্রায়ালের মাধ্যমে উভয় অপারেটর তাদের অপেক্ষাকৃত কম নেটওয়ার্ক কাভারেজের এলাকায় নির্বিঘ্নে একে অপরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাবে।
প্রথম পর্যায়ে দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় পোস্ট-পেইড ভয়েস এবং এসএমএস সেবা পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তী পর্যায়ে প্রিপেইড সেবা ও ডেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব দেশব্যাপী টেলিটক ও বাংলালিংক গ্রাহকদের মোবাইল সংযোগের পরিসর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অপারেটর দুইটির মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ে ভূমিকা রাখবে।
ফিল্ড ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে সেবাটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। এর ফলে গ্রাহকরা দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক কাভারেজের মাধ্যমে ভয়েস, এসএমএস ও ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
এই উদ্যোগ দেশে শক্তি সংরক্ষণ ও পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণকেও উৎসাহিত করবে। এই পরিষেবাটি বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, এবং যুক্তরাজ্য সহ অন্যান্য ২২টি দেশে চালু আছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় রোমিং ফিল্ড ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, আমি টেলিটক এবং বাংলালিংক-এর মধ্যে এই পার্টনারশিপ দেখে আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের টেলিকম অপারেটরদের মধ্যে নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এটি উভয় অপারেটরের জন্যই ইতিবাচক, কারণ এর মাধ্যমে তারা একে অপরের অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে টেলিটক সারা দেশে বাংলালিংক-এর ১৫ হাজারেরও বেশি সাইট ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সম্প্রসারণ করার সুযোগ পাবে। আমি অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের বাণিজ্যিক সূচনার প্রত্যাশা করছি। এটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি অনুসরণীয় উদ্ভাবনী পদক্ষেপ বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি সবসময় টেলিকম খাতে ইন্ট্রা-ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে এবং সমর্থন করে। ন্যাশনাল রোমিং ফিল্ড ট্রায়াল এই ধরনের সহযোগিতার একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। আমরা টেলিটক এবং বাংলালিংকের এই ট্রায়াল প্রক্রিয়াটিতে সহযোগিতা প্রদান করছি এবং আশা করি গ্রাহকদের জন্য এই উদ্যোগটি শীঘ্রই বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই ফিল্ড ট্রায়াল থেকে অর্জিত ফলাফল আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ভিশনে বিশেষ অবদান রাখবে।’
বাংলালিংক-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এরিক অস বলেন, ‘টেলিকম অবকাঠামো শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে আরেকটি অগ্রণী পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে টেলিটক-এর সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ নিতে পেরে বাংলালিংক গর্বিত। বাংলাদেশে এই ধরনের প্রথম উদ্যোগ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে এটি উভয় অপারেটরের গ্রাহকদেরকে দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ মানের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দেবে। এই ফিল্ড ট্রায়ালের সফল বাস্তবায়ন শুধু আমাদের সেবাগুলিকে উন্নত করবে না, বরং ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব ও নানা ধরনের সুযোগের পথ প্রশস্ত করবে।’
টেলিটক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ন্যাশনাল রোমিং বাণিজ্যিকভাবে চালু হলে তা হবে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ইতিহাসে একটি বিশেষ মাইলফলক। ন্যাশনাল রোমিং এর যৌথ ফিল্ড ট্রায়ালে যুক্ত থাকতে পেরে টেলিটক গর্বিত। আশাকরি সফলভাবে ফিল্ড ট্রায়াল শেষে রোমিং চালু করা হলে তা উভয় অপারেটরের গ্রাহকদের উন্নত নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করবে।’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, টেলিটক ও বাংলালিংক-এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই উদ্ভাবনী ফিল্ড ট্রায়ালের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট চার্জ ছাড়াই উপায় অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা
দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি নিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলালিংক
সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২১ অগ্নিসংযোগের ঘটনা: ফায়ার সার্ভিস
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ চলাকালে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে অন্তত ২১টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সারাদেশে ২১টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ ট্রেন দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার (মিডিয়া সেল) তানহা বিন জসিম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকাণ্ডের খবর পৌঁছায়।
এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে পাঁচটি, ঢাকা বিভাগে সাতটি (সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ), চট্টগ্রাম (কর্ণফুলী, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ড) এবং রাজশাহী (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও রংপুর) বিভাগে চারটি করে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
সারাদেশে ১০টি বাস, তিনটি কাভার্ডভ্যান, তিনটি ট্রাক, একটি পিকআপ, একটি মোটরসাইকেল, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম ও একটি পুলিশ বক্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপ দিতে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৭ ঘণ্টায় ১৬টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
১ লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানি করা হবে
এক লাখ ১৫ হাজার টন সার আমদানিসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিপি)।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আজ মুস্তফা কামালের প্রথম বাজেট
শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ৬০ হাজার টন সার কিনবে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরবভিত্তিক এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩ লাখ টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে আরও ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া আমদানি করা হবে।
কৃষিমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী, এর অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ২৫ হাজার টন এবং রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
সহিংসতা বর্জন করে সংযম বজায় রাখার আহ্বান ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সারাহ কুকের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক 'অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ' নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টিতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন, সহিংসতা পরিহার এবং একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গত ২৮ অক্টোবরের সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় যুক্তরাজ্যের গভীর উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বুধবার(১ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কুক। আসন্ন নির্বাচন ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বিস্তৃত আলোচনায় যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের শক্তিশালী আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরাতে এসওপি হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
হাইকমিশনার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে উভয় পক্ষের অঙ্গীকারের সঙ্গতি রেখে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিপক্ষীয় অভিবাসন ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম আলোচনা করতে উভয়েই সম্মত হন।
তারা অ্যাকসেস টু জাস্টিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন অবদান নিয়েও আলোচনা করেন। এটি প্যারালিগ্যাল সেবার মাধ্যমে দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বিচার ব্যবস্থায় আরও ভাল সুবিধা পেতে সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই সংলাপে উৎসাহ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিসর অনেক বাড়িয়েছে। এ কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) নওগাঁর পোরশায় নিতপুর ডাকবাংলোয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক পথচলা বাধাগ্রস্ত করলে জনগণ তা প্রতিহত করবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় নানারকম ভাতা দিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা, স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র মায়ের মাতৃত্বকালীন ভাতা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানি ভাতা, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ভাতা রয়েছে। এ ছাড়া কৃষি প্রণোদনা পাচ্ছে কৃষক। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে অভিভাবকদের মোবাইলে।
বিএনপির সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন করতে চায় না। জ্বালাও পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আন্দোলনের নামে তারা পুলিশ হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল লিটারেসির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সম্পাদকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
একইসঙ্গে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলার পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চলছে এবং গত ২৮ অক্টোবর ঢাকা শহরে বিএনপির সমাবেশের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। কার্যত রাষ্ট্রের উপর হামলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, হাসপাতালে, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা আগে কখনো ঘটেনি। রাষ্ট্রের উপর এই হামলাকারীরা চিহ্নিত, তারা বিএনপি জামাতের নেতা-কর্মী। এটাকে নিছক রাজনীতি বলে এর দায় আমরা এড়াতে পারব না, ঐতিহাসিকভাবে ভুল হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
হাছান বলেন, ‘বিএনপির হামলায় ৩০ জনের বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছে এবং তাদের ওপর হামলার ভয়াবহতা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা কি রকম ছিল সেটি সারাদেশের জনগণ জানে না। এটা জানানোর দায়িত্ব আপনাদের। এর ওপর প্রত্যেকটি পত্রিকায় রিপোর্টিং হওয়া দরকার যে এতজন সাংবাদিক এই ভাবে নির্যাতিত হয়েছে। পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে এটা হারিয়ে গেছে। সে কারণে এই রিপোটিংটা ধারাবাহিকভাবে হওয়া দরকার।’
তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি যে, কথায় কথায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়, এখন তাদের কোনো বিবৃতি দেখি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের সম্মিলিতভাবে চিঠি লেখা দরকার- তোমরা এখন নিশ্চুপ কেন। সেই চিঠি আবার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা দরকার।’
হাছান এ সময় বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছে, যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে হয়, সংশ্লিষ্ট হাউজ থেকে মামলা করতে হবে। পাশাপাশি কোনো হাউজ যদি চায়, আহত সাংবাদিকদের তালিকা দিলে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে আমরা চিকিৎসার জন্য সহায়তা করব।’
তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর মতো পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানোর পর অ্যাম্বুলেন্সসহ মোট ১৯টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
হামলার সময় ডেমরায় ঘুমন্ত বাসের হেলপারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় বিএনপির সমালোচনা করেন তিনি।
সভায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, কালের কন্ঠের সম্পাদক শাহেদ মোহম্মদ আলীসহ অন্যান্য দৈনিকের সম্পাদকেরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং রাজনীতির নামে সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর বিরুদ্ধে তাদের লেখনি অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউ: তথ্যমন্ত্রী
‘বাইডেনের উপদেষ্টা’ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি ইসরাইলের এজেন্ট: তথ্যমন্ত্রী
দেশে ফিরলেন রাষ্ট্রপতি
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানটি ফ্লাইট বিজি-৫৮৫ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের কনসাল শিলা পিল্লাইসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে ১ নভেম্বর দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
গত ১৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
সার্জারি পরবর্তী ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ডাক্তারের নিবিড় পরিচর্যায় থাকার পর রাষ্ট্রপতিকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ২৫ অক্টোবর হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফেরেন রাষ্ট্রপতি। হোটেলে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাঁটাচলা ও স্বাভাবিক কাজকর্মের পাশাপাশি দাপ্তরিক কার্যক্রমও সম্পন্ন করেন।
সার্জারি পরবর্তী রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত চিকিৎসকদের বোর্ড সভায় বিভিন্ন রিপোর্ট ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতি পহেলা নভেম্বরের মধ্যেই বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে মত প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দেশে ফিরলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর থেকে বুধবার দেশে ফিরছেন রাষ্ট্রপতি
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯০৩
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ জনে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৯০৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮১৮
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৫১৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ হাজার ৩৪৬ জন রোগী। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০৮ জন ঢাকায় এবং ৪ হাজার ৬৩৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭৮৭
ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৭০৮
দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ৭ জন, মৃত্যু নেই
দেশে বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৪০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৩ জন, মৃত্যু নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৬২৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৫ জন, মৃত্যু নেই
দেশে করোনায়া আক্রান্ত আরও ৫ জন, মৃত্যু নেই