বাংলাদেশ
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান
দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ওবায়দুল হাসান।
মঙ্গলবাল (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকিও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি অবসরে যাওয়ায় সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ওবায়দুল হাসান ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়।
আরও পড়ুন: শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পান তিনি।
তিনি ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ছায়াশী গ্রামে ড. আখলাকুল হোসেন আহমেদ ও বেগম হোসনে আরা হোসেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।
হাসানকে ২৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় এবং ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ১১টি রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
তার স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দম্পতির ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান।
ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোণা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ওবায়দুল হাসান প্রাথমিকভাবে আইন বিভাগে অধ্যয়নের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলা আদালতে একজন অনুশীলনকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এবং ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে নথিভুক্ত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন ওবায়দুল হাসান
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
৩ দিনের সফরে বুধবার নিজ জেলা পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনা যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন দিনের সফরে বুধবার বিকালে পাবনার উদ্দেশে রওনা হবেন।
আরও পড়ুন: আসিয়ান সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন
তিনি আরও বলেন, সেখানে বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ দেবেন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সফরকালে তিনি সাথিয়া উপজেলায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পর জনসভায় বক্তব্য রাখবেন এবং পাবনা মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
২৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের একটি সাইড ইভেন্টে ‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’ উদ্বোধন করেন।
‘ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের’ মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়।
গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ই-কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিটিবিটিও নির্বাহী সচিবের বৈঠক অনুষ্ঠিত
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরেন।
উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সকল স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বন্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জসমূহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পসমূহকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরও একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ সেশনটিতে অংশগ্রহণ করেন।
দেশ ও বিদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্যদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাইড ইভেন্ট এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্য-অপপ্রচার মোকাবিলা করতে প্রবাসীদের প্রতি মোমেনের আহ্বান
দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণমান নেতিবাচকে নামাল ফিচ
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা ফিচ রেটিংস বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) স্থিতিশীল থেকে নেতিবাচকে নামিয়ে এনেছে এবং আইডিআর ‘বিবি মাইনাসে’ (বিবি-) নিশ্চিত করেছে।
আইডিআর ইস্যুকারীর (যেমন কোনো সংস্থা বা সরকার) আর্থিক বাধ্যবাধকতাগুলো খেলাপি হওয়ার আপেক্ষিক সম্ভাবনার মূল্যায়নকে প্রতিনিধিত্ব করে। দীর্ঘমেয়াদী বৈদেশিক মুদ্রা আইডিআর দীর্ঘমেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রায় এর আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণের ক্ষমতা নির্দেশ করে।
ফিচের রেটিং অ্যাকশনের অর্থ হলো- খ্যাতনামা এই ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা নিয়ে বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন, যদিও পরিস্থিতি এখনও 'পরিচালনাযোগ্য'।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস এবং এর অপর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া রয়ে গেছে বলে এই পতনের একটি বড় অংশ চালিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
ফিচের ভাষ্যমতে, ‘নেতিবাচক আউটলুক বাহ্যিক বাফারগুলোর (অর্থনীতিতে অভিঘাত প্রশমনের মতো উপাদান) অবনতিকে প্রতিফলিত করে, যা অভিঘাতগুলো ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকেও প্রতিফলিত করে যে বিনিময় হার ব্যবস্থার পরিবর্তন ও বিদেশি ঋণদাতাদের অব্যাহত সমর্থনসহ দেশের ক্রমবর্ধমান নীতি প্রতিক্রিয়া বৈদেশিক রিজার্ভের পতন রোধ করতে এবং অভ্যন্তরীণ মার্কিন-ডলারের তারল্য চাপ সমাধানের জন্য অপর্যাপ্ত।’
তারা আরও বলেছে, ‘ক্রমবর্ধমান আমদানি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার হস্তক্ষেপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপের মধ্যে থাকবে বলে আমরা পূর্বাভাস দিচ্ছি। আমরা হিসাব করে দেখেছি, ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে মোট রিজার্ভ ১৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২৭ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দকৃত অংশ বাদ দিয়ে।’
২০২৫ সালের মধ্যে দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি আরো বড় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ফিচ। সংস্থাটি বলেছে, নিয়ন্ত্রিত বিনিময় হার, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও আমদানিতে বিধিনিষেধ শিথিলের মধ্যে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি এখন বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।
যাইহোক, আইডিআর নিশ্চিত করার সময় ফিচের আরও ভাল কিছু বলার আছে।
আরও পড়ুন: ৪.৫ মিলিয়ন সুদসহ ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বাংলাদেশকে পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা
তারা বলেছে, ‘রেটিংগুলোয় নিশ্চিত করা হয়েছে- যা বাংলাদেশের পরিচালনাযোগ্য বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের প্রোফাইল, এখনও অনুকূল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও সরকারি ঋণকে প্রতিফলিত করে। যা সমকক্ষদের চেয়ে কম। এটি নিম্ন সরকারি রাজস্ব ও মাথাপিছু আয়ের পাশাপাশি দুর্বল ব্যাংকিং খাত এবং দুর্বল শাসন সূচকদ্বারা ভারসাম্যপূর্ণ।’
নিম্ন বাহ্যিক বাফার সত্ত্বেও ফিচ বলেছে, বাংলাদেশের ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে বৈদেশিক ঋণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে সক্ষম হওয়া উচিৎ, যেহেতু বৈদেশিক ঋণ সেবা সমকক্ষদের তুলনায় কম রয়েছে।
বিশ্লেষক ও ব্যাংকাররা বলছেন, যদি কোনো দেশের আউটলুক নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হয়, তবে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে তহবিল সংগ্রহের সময় এটি উচ্চতর ঋণ ব্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে।
তারা বলেন, এতে দেশের সরকার ও ব্যবসায়ের জন্য আন্তর্জাতিক মূলধন প্রাপ্তি বা সংগ্রহ আরও ব্যয়বহুল করে তুলতে পারে।
আরেকটি প্রভাব বিদেশি বিনিয়োগের ওপর হতে পারে, কারণ নেতিবাচক ক্রেডিট রেটিং আউটলুকের অর্থ বিদেশিদের জন্য ক্রেডিট প্রোফাইলের অবনতিশীল দেশে বিনিয়োগের জন্য কম আগ্রহ হতে পারে।
আরও পড়ুন: জনশক্তি রপ্তানি বাড়লেও রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ জানতে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক সৌর জোটকে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান নসরুলের
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সদস্য দেশগুলোকে সৌরশক্তির প্রসারে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সৌর জোট ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়েন্সকে (আইএসএ) একটি কার্যকর কর্মসূচি নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার আইএসএ'র স্ট্যান্ডিং কমিটির ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌর বিদ্যুৎ সম্প্রসারণকে সমর্থন করার জন্য আইএসএ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কেন্দ্র হতে হবে।’
ভারতের বিদ্যুৎ ও নতুন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী আর কে সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান আইএসএ’র মহাপরিচালক ড. অজয় মাথুর ও সদস্য রাষ্ট্রের সমূহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও উপযুক্ত প্রতিনিধি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলপিজি ব্যবহারের জন্য সময়োপযোগী নীতি প্রয়োজন: নসরুল
নসরুল হামিদ বলেন, আইএসএ সদস্য দেশগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে সৌর প্রকল্পের কার্যকর উন্নয়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, সরকার সৌরবিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে সৌরবিদ্যুতের ক্ষমতা প্রায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। যার মধ্যে সোলার পার্ক থেকে ৪৬১ মেগাওয়াট এবং সোলার রুফটপ থেকে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে, বেশ কয়েকটি সোলার পার্ক নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে আবারও নৌকায় ভোট দিন: নসরুল হামিদ
শেষ কর্মদিবসে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে কথা বললেন প্রধান বিচারপতি
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, কারো দয়ায় নয়, রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় যারা বিরোধিতা করেছিল তারা এখনও বিরোধিতা করছে। সুতরাং আমরা এই ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো আমেরিকায় যাইনি। আমি ভবিষ্যতেও আর যাব না।’
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখুন: শেষ কার্যদিবসে প্রধান বিচারপতির আহ্বান
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে শেষ কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি প্রধান বিচারপতি থাকাকালে বিচার বিভাগের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করেছি। আমি কখনো নিজের বা আমার পরিবারের কথা ভাবিনি।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিদায়ী সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, “আমি সারা দেশের বিচারকদের মামলাজট নিরসনে উৎসাহিত ও নির্দেশনা দিয়েছি। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সারা দেশে আদালত প্রাঙ্গণে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন করেছি।”
তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলাজট কমাতে আমরা সুপ্রিম কোর্টে মধ্যস্থতা কেন্দ্র স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি একজন ডায়নামিক ব্যক্তিত্ব। আমি আশা করি তিনি দক্ষতার সঙ্গে বিচার বিভাগ পরিচালনা করবেন।’
আরও পড়ুন: হোম বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুল হাসানের শপথ গ্রহণ ২৬ সেপ্টেম্বর
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে একজনের পরীক্ষা আরেকজন দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফিরোজ উদ্দিন, লোকমান হোসেন, রাশিদুল ইসলাম সুজন, আশরাফুল ইসলাম, মজিবর রহমান, হাবিবুল্লা বেলালী ও এনামুল হক।
সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শিমুল আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ২০ তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির আহবায়ক মো. মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, মৌখিক পরীক্ষার সময় ওই প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় কৌশলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অন্যদের দিয়ে (প্রক্সি) লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার কথা নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত সদস্যদের সামনে তারা লিখিত স্বীকারোক্তি দেন। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার মাধ্যমে অপরের পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে সাত ভুয়া পরিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলায় রবিবার রাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েচে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ১
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির প্রস্তুতি: বরিশালে গ্রেপ্তার ৩
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারতে গেল ১১৮ টন ইলিশ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে সরকারের বিশেষ অনুমতির ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গত দুই দিনে ১১৭ মেট্রিক টন ৯০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
পূজার আগে পদ্মার ইলিশ পেয়ে ভারতীয়রা খুশি হলেও রপ্তানিতে দেশে ইলিশের সংকট দেখিয়ে দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। বর্তমানে দেশীয় বাজারে কেজিতে ইলিশের দাম বেড়েছে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০ অক্টোবর শুরু হচ্ছে পূজা উৎসব। আর এ পূজা উৎসবে পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় এপারের পদ্মার ইলিশ। সারা বছর ধরে তারা অপেক্ষায় থাকে পূজার সময় বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে, আর তারা অতিথিদের আপ্যায়নে ইলিশ তুলে দিবেন প্লেটে।
তবে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে। এতে ছয় বছর ধরে ইলিশ ছাড়ায় পূজা পার করে পশ্চিম বাংলার মানুষ। অবশেষে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আর দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০১৯ সাল থেকে পূজার উপলক্ষে আবারও নির্দিষ্ট হারে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে।
এবছর পূজায় ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতিতে গত ২ দিনে ১১৭ মোট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজার আগে ভারতে ৩৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন
ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক হেলথকেয়ার মেলা
চিকিৎসকদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ে জ্ঞান ও নতুন ধারণা বিনিময়ের লক্ষ্যে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো ২০২৩’ শুরু হচ্ছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ছয় দেশের ৩০টির বেশি দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এই মেলা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপোর আয়োজক মুরাদ হোসাইন।
এসময় তিনি বলেন, আগামী ২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহবাগের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশন হলে বৃহত্তর পরিসরে ভিন্নধর্মী এক ইন্টারন্যাশনাল হেলথকেয়ার এক্সপো শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশসহ ভারত, ইরান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া মোট ছয় দেশের তিরিশোধিক দেশি-বিদেশি হাসপাতাল ও হেলথকেয়ার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে।
মুরাদ হোসাইন বলেন, এটি কোনো গতানুগতিক হেলথ কেয়ার মেলা নয় বরং এই এক্সপোতে অগ্রগামী বিদেশি হেলথকেয়ার সেক্টরের সঙ্গে এদেশের হেলথ কেয়ার সেক্টরের উম্মোচিত হবে পারষ্পরিক সহযোগীতা, সংযোগ ও বন্ধনের এক নতুন দিগন্ত।
আরও পড়ুন: এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ওয়ার্ল্ড হেলথ সার্ভে প্লাস
তিনি বলেন, তিন দিনের এই যুগান্তুকরী এক্সপোতে অনুষ্ঠিত হবে অন্তত ১০টি স্বাস্থ্য বিষয়ক ইন্টার্যাক্টিভ ওয়ার্কশপ, প্যানেল ডিস্কাশন। এতে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন স্পেশালিটির দেশি- বিদেশি প্রথিতযশা চিকিৎসক, চিকিৎসা বিজ্ঞানী, গবেষকেরা।
তিনি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসা খাতে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্যাতনামা চিকিৎসকদেরকে সম্মাননা ও রিওয়ার্ড দেওয়া হবে।
হেলথ এক্সপোর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে হেলথ এক্সপোর অন্যতম আয়োজক ও এমপ্যাথি সলিউশনের (ইন্ডিয়া) ডিরেক্টর দালিপ কুমার চোপড়া বলেন, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় হাসপাতাল, ওয়েলনেস সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যালস ও তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, পণ্য প্রদর্শিত হবে। এর পাশাপাশি টেলিমেডিসিনে অগ্রগামী হেলথ সেক্টরের বৈপ্লবিক অগ্রগতিও অংশগ্রহণকারী ও ভিজিটররা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন, সেইসাথে সুযোগ থাকবে নিজেদের পেশাগত দক্ষতা তুলে ধরার একই সঙ্গে নিজেদের অধিকতর সমৃদ্ধ করার।
তিনি বলেন, আমরা চাই এক্সপোর মাধ্যমে একে অন্যের সঙ্গে অবারিত মত বিনিময়ের, নলেজ শেয়ারিং, নলেজ এক্সচেঞ্জ, টেকনোলজি ট্রান্সফার, এমনকি বেস্ট প্রাক্টিস এক্সচেঞ্জেরও সুযোগ থাকবে। মোটকথা দেশের স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো টেকসই ও আরও মজবুতের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবায় গ্লোবাল লেটেস্ট ইনোভেশনের সঙ্গে আমাদের হেলথ সেক্টরের সম্মিলন ও উন্নয়নের মতো অতি উচ্চাকাঙ্খী পথে এগোনোর এই এক্সপো একটি প্রথম পদক্ষেপ।
এক্সপোর আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী হিসেবে রয়েছেন, ফাউন্ডেশন অব হেলথকেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস প্রমোশন, হেলথ ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সেন্টার অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং সার্ভিস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: চবির সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের সঙ্গে এভারকেয়ার ও এপিক হেলথ কেয়ারের চুক্তি
প্রাভা হেলথ কেয়ারের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ