বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের ভুলে যাবেন না: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সৃষ্ট সংকট সমাধানে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা ও তাদের প্রত্যাবাসন বিষয় এজেন্ডার শীর্ষে রাখতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে 'হ্যাভ দে ফরগটেন আস?' এবং মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈশ্বিক সংহতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের জীবনধারণের জন্য আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।’
তিনি আরও বলুন, ‘এই জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত, নিয়মে পরিণত করা ও ঘৃণ্য নৃশংসতাকারী অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য চলমান ও প্রচলিত আইনি এবং বহুপক্ষীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।’
তিনি স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকে সবচেয়ে কার্যকর করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে সমন্বিত প্রচেষ্টা বহুগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: 'উষ্ণ আতিথেয়তার' জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল
বাংলাদেশসহ কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু এখন স্থবিরতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ৬ বছরে বাস্তুচ্যুত একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের দীর্ঘদিনের উপস্থিতি শুধু তাদেরকে হতাশার দিকে ঠেলে দিচ্ছে না; এটি কক্সবাজারের পরিস্থিতিকেও অনিশ্চিত করে তুলছে। আশ্রয়দাতা সম্প্রদায় আজ তাদের উদারতার শিকারে পরিণত হয়েছে।’
সর্বোপরি, তিনি বলেন, তাদের চাহিদার প্রতি বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এটি মানবিক সহায়তা পরিকল্পনায় ক্রমবর্ধমান অর্থায়নের অভাব স্পষ্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, সমগ্র বিশ্ব অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য অনেক কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা যে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় পৌঁছেছে, সে বিষয়ে তারা অবগত আছেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব রোহিঙ্গাদের ভুলে যেতে পারে না কেননা ২০১৭ সালে তাদের দেশত্যাগ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না এবং তারা কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নিপীড়ন ও বিতাড়িত হওয়ার শিকার হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, তাদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিকারে এগিয়ে আসতে সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভরণপোষণের জন্য মানবিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটিই সব কিছু নয়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
'উষ্ণ আতিথেয়তার' জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কন্যা পুতুল
প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তোলা একটি ছবি এক্সে (সাবেক টুইট) শেয়ার করেছেন।
পুতুল এক্সে লেখেন, ‘ধন্যবাদ। আপনার আতিথেয়তা সর্বদা উষ্ণ এবং স্বাগত জানায়। আমরা একটি সুন্দর সময় কাটিয়েছি।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে লাগেজ ভর্তি লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় থেকে লাগেজ ভর্তি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা ঝোঁপের ভেতর পড়ে থাকা লাগেজের ভেতর থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ টুকরো করে লাগেজে ভরে এখানে এনে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
ঘটনা নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, লাগেজে লাশের আটটি টুকরো পাওয়া গেছে। শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তবে লাগেজে শরীরের অন্যান্য অংশ থাকলেও মাথা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে লাগেজে ভরে ফেলে গেছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, যে স্থানে লাগেজটি ফেলে রাখা হয়েছিল সেটি মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে সরু গলিতে। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর নিহত ব্যক্তির শার্ট এবং লুঙ্গিও রয়েছে। আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার, ফার্মেসির মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
পরে তাদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির (মিরপুর) উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
শুক্রবার ইউএনজিএ-তে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে শুক্রবার ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ১৭তম বারের মতো ভাষণ দেবেন তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিগত বছরের মতো এবারও তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে ইউএনজিএ-তে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য 'আস্থা পুনর্গঠন ও বৈশ্বিক সংহতি পুনরুজ্জীবিত করা: সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থায়িত্বের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ওপর পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা'।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএ-তে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেন ১৭ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক অংশীদাররা দেশের সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাদের সহায়তা প্রসারিত করতে পারে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি)’ বিষয়ক ইউএনজেএ’র উচ্চ পর্যায়ের সভায় দেওয়া বক্তেব্যে এই পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি প্রথম যে ক্ষেত্রটি উল্লেখ করেছেন তা হলো- শিশু, মা এবং কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের জন্য টেকসই উন্নয়ন সহায়তা এবং অভিবাসীদের স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু-স্বাস্থ্য সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।
তার দ্বিতীয় পরামর্শটি ছিল সকলের জন্য স্বাস্থ্য আইডিসহ একটি আন্তঃ-পরিচালন পদ্ধতি, ডেটা-চালিত স্বাস্থ্য তথ্য সিস্টেম বিকাশে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়া।
তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপযোগী একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প গড়ে তুলতে সহায়তা কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ আহ্বানটি ছিল দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্ট আপ সহ স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
তার পঞ্চম প্রস্তাবে তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য পেটেন্ট প্রকাশ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের বিষয়ে টিআরআইপি বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রজন্ম ইউএইচসি প্রচার করে ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে। আসুন আমরা সকলে এটি সম্ভব করার জন্য হাত একতাবদ্ধ হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী অথচ এসডিজি’র অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিশেষায়িত মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত একটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা তৃণমূলে বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।’
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য খাতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ লভ্যাংশ দিচ্ছে। সরকার মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখ জীবিত জন্মে ১৬৩ জনে নামিয়ে এনেছে। নবজাতকের মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ১৫ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুহার ২৮ জনে নেমেছে।
অধিবেশনে তিনি বলেন,‘শিশুদের টিকাদানের উপর আমাদের জোর প্রচেষ্টায় সার্বজনীন কভারেজ অর্জন করেছে। আমাদের গড় আয়ু এখন ৭৩ বছরের কাছাকাছি।’
শেখ হাসিনা আরও জানান, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাই অ্যালার্টে কাজ করছি।’ সরকার ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের জন্য উন্নত চিকিৎসা চালু করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মান নির্ধারণ করেছে।’
মানসিক স্বাস্থ্য এবং স্নায়বিক রোগের বিষয়ে সরকারের নীতি ও হস্তক্ষেপ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে বলে উল্লেখ কর তিনি বলেন, এটি সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে।
তিনি বলেন, সরকার অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিতে 'ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ' প্রচার করছে।
তিনি আরও বলেন,‘আমরা পুষ্টি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা এবং ডুবে যাওয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য সুবিধা শূন্য বা সর্বনিম্ন খরচে সেবা প্রদান করে, যা জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশকে কভার করে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি স্বাস্থ্য ব্যয়ের জন্য কেউ কষ্ট পাবে না। একটি প্রশিক্ষিত কর্মী বাহিনী দিয়ে তাদের পরিষেবার গুণমান উন্নত করার দিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে।’
তিনি বলেন, তার সরকারের পরবর্তী টার্গেট হলো খরচ পরিশোধের জন্য একটি কার্যকর অর্থায়ন মডেল তৈরি করা।
বাংলাদেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মাধ্যমে পূরণ করা হয় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারের লক্ষ্যে বিবিএনজে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ
নতুন টাকা ছাপবেন না: বিবিকে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের পরামর্শ
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ও মার্কিন ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিলেও আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ: বিবিএস
মুখপাত্র বলেছেন, গভর্নর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন,‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাক বা না পাঠাক নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এটাকে অতি সরলীকরণ করে কোনো উপসংহারে আসার সুযোগ নেই।
শাহরিয়ার বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইইউ'র পক্ষ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।
আরও পড়ুন: ‘বাজেট স্বল্পতা’র কারণে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না ইইউ: ইসি সচিব
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের কাছ থেকে যে তথ্য পেয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করবে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এটি পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইইউর একটি শর্ত ছিল বলে আমরা আগে থেকে জানি।
এর আগে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বাজেট স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে পাঠাবে না।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটি ইমেল পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইইউ জানিয়েছে, তারা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। তারা আমাদের দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে। নির্বাচনের সময় তাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। কিন্তু দেশে এখন একটি ছোট দল রয়েছে। আমাদের দেশে ইইউ’র যারা আছে তারা এটি করবে কি না সে সম্পর্কে কিছু বলেনি।’
আলম আরও বলেন, ইইউ নির্বাচন নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। তারা সিইসির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের (এক্সএম) সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের ফলোআপ হিসেবে একটি চিঠি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন নির্বাচন কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে।
ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল।
ঢাকায় ইইউ মিশনের মতে, নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শ, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা’ মূল্যায়ন করা।
এই মিশনের কাজ ছিল প্রধান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের পরিধি, পরিকল্পনা, বরাদ্দ, রসদ ও নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা।
ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে অবস্থানকালে সরকারি প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ভিসা অব্যাহতি সমঝোতা স্মারক পুনর্বহাল
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে আলু আমদানি করা হবে: ভোক্তা অধিকারের ডিজি
দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে আলু আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘দুই-তিন দিনের মধ্যে দাম স্থিতিশীল না হলে আমরা আলু আমদানির সুপারিশ করব, যা কারো জন্য ভালো হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় আগামী বছর দেড় থেকে ২ লাখ টন আলু রপ্তানি হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত আলুর মজুদ আছে, কিন্তু হিমাগার মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না করে বেশি দামে আলু বিক্রি করছেন। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম বাড়ছে। কিন্তু এটা সমর্থন করা যায় না।’
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো. গোলাম সবুর, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বকর সাইফুল ইসলাম, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এসএম সফিকুল আলম ডাবলু, নীলফামারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববি প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রতিটি হিমাগারে সরকার নির্ধারিত মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আলু, পেঁয়াজ, চিনি, সয়াবিন ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার
৪৫.৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে পৌঁছেছে
বৃহস্পতিবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৪৫ দশমিক ৮০০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইলিশ বহনকারী মোট ১২টি ট্রাক ভারতের পেট্রোপল ল্যান্ডপোর্টে পৌঁছেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ এবং প্যাসিফিক সিফুড।
আরও পড়ুন: ৫০৭ টাকা কেজি দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু
ভারতীয় আমদানিকারক হলো- এসআর ইন্টারন্যাশনাল নাজ ইমপ্লেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বরখা বিকাশ ফিশ এজেন্সি।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমি এন্টারপ্রাইজ ও গনি অ্যান্ড সন্স চালানটি মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ ডলার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, রপ্তানিকারকদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি করতে হবে।
এর আগে বুধবার হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭৯ রপ্তানিকারককে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তারা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত বছর সরকার ২ হাজার ৯০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ টন।
২০১২ সাল থেকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করে আসছে বাংলাদেশ।