বাংলাদেশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করে প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগে রবিবার (১৩ আগস্ট) বহিষ্কৃত ছাত্র ও সংবাদকর্মী ইকবাল মনোয়ারের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে বহিষ্কারের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিহাব উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: কুবির হলের ডাইনিংয়ে নেই ভর্তুকি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
আদালতের আদেশের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল স্বাভাবিকভাবে তার একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ফ ম আবদুল মঈনের বক্তব্য বিকৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠে দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি ইকবালের বিরুদ্ধে। এর ফলে গত ২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর আগে গত ৯ আগস্ট ইকাবলের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃত করার কোনো প্রমাণ নেই এবং উপাচার্যের ব্যক্তিগত ক্রোধের কারণে ইকবালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী একটি শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও এ ধরনের বোর্ডের অস্তিত্ব নেই। সুতরাং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক জারি করা স্থগিতাদেশ অবৈধ এবং এর এখতিয়ারের বাইরে।
নোটিশে বলা হয়, ইকবাল পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
নোটিশে আরও বলা হয়, প্রতিবেদন নিয়ে ভিসির কোনো সমস্যা থাকলে প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার তার আছে, কিন্তু তা না করে উপাচার্য তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: রুমমেটের ফেসবুক পোস্টে মানসিক চাপে কুবি ছাত্রীর আত্মহত্যাচেষ্টা
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: মোমেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের তথ্য কেউ দিলে সরকার তাকে পুরস্কার দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের তথ্য দিতে পারেন তাহলে আপনাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।’
২১ বছর ধরে যারা খুনি ও খুনিদের পেছনের লোকজনকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘এই সমস্ত লোকের মুখোশ খুলে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত শক্তিশালী আইনের শাসনের দেশ হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের খুনিদের আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।
পলাতক থাকা পাঁচ খুনি হলেন- খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নুর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহউদ্দিন খান।
নুর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাদের শাস্তি বাস্তবায়ন করতে তাদের ফেরত চায় বাংলাদেশ।
মোমেন বলেন, সব খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা হলে সরকার খুব খুশি হবে। ‘কিন্তু আমরা এখনও এটা করতে পারিনি। আমরা যদি পারি, আমরা অনুভব করব যে এটি একটি বড় অর্জন।’
মোমেন বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারকে অনেক চিঠি লিখেছে যাতে খুনিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়; এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চিঠিও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দুই খুনিদের বাসভবনের সামনে নিয়মিত বিক্ষোভ করতে উৎসাহিত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শক্ত তথ্যসহ আরও গবেষণা-ভিত্তিক বই লেখার উপর জোর দেন যাতে তারা আরও তথ্য-প্রমাণ দিতে পারে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ পোস্টের সম্পাদক শরীফ শাহাবুদ্দিনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন সাংবাদিক সংঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল যা নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের মতো করার লক্ষ্য সরকারের। এ প্রকল্পে সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। বর্তমানে টানেলের ভেতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলসংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে টানেলে লাইট, পাম্প ও ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল হার
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
ইহসানুল বলেন, তারা উভয়েই চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ব্রিটেন বিশেষ করে বাংলাদেশের নারীদের শিক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
নতুন হাইকমিশনার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। যাতে প্রত্যাবাসনের পর তাদের কাজে লাগানো যায়।
কুক বলেন, তারা চান বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দীর্ঘ ২১ বছর (১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬) সংগ্রাম করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের স্বাগত: সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের পর, তারা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিজয় উদযাপন করেছে, শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং সারা দেশের বিভিন্ন গ্রাম লুট করেছে।
তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘আমরাই বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছি এবং গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করেছি।’
তিনি বলেন, এক সময় একটি মাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, কিন্তু এখন দেশে ৪০টির বেশি বেসরকারি চ্যানেল চলছে।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তর্জাতিক স্পটলাইটে থাকলে তাদের প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের ক্ষেত্রে কক্সবাজার অঞ্চলে সামাজিক সমস্যা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ চলতি বছরের মার্চ মাসে একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য: সারাহ কুক
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে হুমকির কোনো আশঙ্কা না থাকলেও সার্বিক বিবেচনায় ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ধানমন্ডি-৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের ভেতরে ও বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ ভিড় আগের বছরের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হতে পারে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও এর আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ পুলিশ আহত, আটক ৯০: ডিএমপি
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বর সড়কে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হবেন।
তিনি আরও বলেন, যদিও হুমকির বিষয়ে কোনো তথ্য নেই, তবুও সেদিনের বিশাল জনসমাগম সামাল দেওয়া পুলিশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
ডিএমপি কমিশনার সবাইকে ব্যাগ, ছুরি বা ধারালো কোনো জিনিস সঙ্গে না আনতে অনুরোধ করেন। এলাকায় প্রবেশের আগে সবাইকে চেক করা হবে।
ইতোমধ্যেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়েকে চেকপয়েন্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এছাড়া হোটেল ও অন্যান্য স্থানেও তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
ডিএমপি প্রধান আরও বলেন, পুলিশ নিয়মিত সাইবার স্পেস পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ডিবি ও সিটিটিসির সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকবালের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত হাইকোর্টের
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ইকবালের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে তার বহিষ্কারাদেশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান বলেন, হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে ইকবাল তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তিনি তার স্বাভাবিক শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
গত ৩১ জুলাই কুবি’র উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ২ আগস্ট ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন।
ইকবাল দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিক সমিতির অর্থসম্পাদক।
ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ৯ আগস্ট আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যসহ ৮ জনকে ইকবালের পক্ষে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছিল, তিন দিনের মধ্যে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে উচ্চ আদালতে যাবেন ইকবাল।
নোটিশে আরও বলা হয়, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া তার সংবাদে উল্লিখিত উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর থেকে প্রতীয়মান হয়, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।
এছাড়া গত ৬ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়ে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যের নিকট চিঠি দিয়েছেন ইকবাল। এখন পর্যন্ত সে চিঠির কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোন বোর্ড এবং বিধি তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় কুবি প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইকবাল তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন, যার সঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর কার্যক্রমের কোনো সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, কোনো সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে।
তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবুহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন করেছেন মর্মে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইকবালকে তার অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ইকবাল।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান সোমবার (১৪ আগস্ট) এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় রেদোয়ান আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন- এ অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে নুরুল ইসলাম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা রমনা থানায় মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেন ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ওই মামলায় সোম আদালত তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করলেন।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব থেকে ২০০২ সালের ১১ জুন তিনটি চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা তোলা হয়। ওই তিন চেকে সই করেন মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তৎকালীন চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ।
পরে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রেদোয়ান আহমেদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৪০ লাখ টাকা। সেই টাকা ফেরত চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরী চিঠি দিলেও রেদওয়ান আহমেদ টাকা ফেরত দেননি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে তখন রেদোয়ান আহমেদকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন।
এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে করা আরেকটি মামলা ঢাকার আদালত চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাচারকালে বিরল প্রজাতির হনুমান উদ্ধার, বাস চালকের কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন ২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে ২ সেপ্টেম্বর।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করবেন।
কাদের বলেন, উদ্বোধনের একদিন পরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপটি চালু হলে যানজট অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
ইতোমধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সেকশনের ৯৮ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশল কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে।
কর্তৃপক্ষ গতি সীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরবাইক এবং সাইকেল চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রকল্পের বিবরণ অনুসারে, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যালোচনা করা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ছিল ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য হল ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার, যার মধ্যে প্রধান এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাওলা, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত কভার করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগে সূচনা করবে নতুন যুগের
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রায় পথ চলা শুরু
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি করে মোট ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ একবছরে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ওভেন পোশাক থেকে আরএমজি রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই মাসে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার (১৩ আগস্ট) এক চিঠিতে জানিয়েছেন, একই সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানি বছরে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই বৃদ্ধি অবশ্যই চিত্তাকর্ষক। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি একটি বড় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
তাই বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ২০২৩ সালের বাকি সময়ের জন্য আমাদের সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, কারণ পোশাক এবং সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকসহ সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কে এই নীতি অনুসরণ করছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গোপন তথ্য’ কারা ফাঁস করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি: মোমেন
এসময় মোমেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পার্ক ইয়ং-সিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
মোমেন কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা করেন; যা এক প্রজন্মেরও কম সময়ে কোরিয়াকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করেছে।
এছাড়া এই মডেলটি বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস বলেও স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
মোমেন সম্প্রতি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।
তিনি একটি রপ্তানিমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে কোরিয়ার সঙ্গে আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
মোমেন রাষ্ট্রদূতকে তার বাংলাদেশে থাকাকালীন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন