বাংলাদেশ
নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার
খুলনার পাইকগাছায় নিখোঁজের তিন দিন পর চিংড়ি ঘেরে ভাসমান অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ সানা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে সোলাদানা আমুরকাটা দীঘা সীমানায় প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন চিংড়ি ঘের থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এরপর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত বিশ্বজিৎ সানা সোলাদানা ইউনিয়নের আমুরকাটা গ্রামের মৃত মনোরঞ্জন সানার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পৃথক স্থান থেকে ২ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
পারিবারিক সূত্রের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, গত রবিবার রাতে তিনি নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তবে পরের দিন সকালে তাকে আর ঘরে দেখা যায়নি। সেই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার পর থেকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও পরিবারের লোকজন তার কোনো সন্ধান পায়নি।
সর্বশেষ বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত জানান, পঙ্কজ সরদারের চিংড়ি ঘেরে তার লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখে বিশ্বজিতের বলে শনাক্ত করলে থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাইকগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনজির হোসেন জানান, বিশ্বজিৎ সানা গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত বিশ্বজিতের হত্যার মোটিভ উদঘাটনে চুরি ও পরকীয়ার সূত্র ধরে তদন্তকাজ চলছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সংশোধন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন-২০২৩ করার সিদ্ধান্তের জন্যে বাংলাদেশ সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক।’
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই নতুন আইনে প্রস্তাবিত ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন ২০২৩’ এর বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। বিশেষ করে নতুন আইন যেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, ভিন্নমত, মুক্তচিন্তা চর্চা করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। আমরা আশা করব, সরকার নতুন প্রস্তাবিত আইন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সবার পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে প্রণয়ন করবে। এক্ষেত্রে আর্টিকেল নাইনটিন যে কোনো ধরনের সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
প্রসঙ্গত, আর্টিকেল নাইনটিন শুরু থেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ও দমনমূলক ধারাগুলোকে বিশেষ করে মানহানি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে এমন ধারাগুলোকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাতিল বা সংশোধন করার দাবি জানিয়ে আসছিল। এই উদ্দেশ্যে আর্টিকেল নাইনটিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পরপরই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের আলোকে এই আইনকে সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ করে আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে অ্যাডভোকেসি করে আসছিল।
উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ে ২০০৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন প্রণয়ন করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল টিআইবি
দুর্নীতি রোধের পদক্ষেপ হতে পারে নিষেধাজ্ঞা-সম্পদ জব্দ করা : মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ‘দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎখাত করতে’ দেশের অভ্যন্তরে ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে’ কাজ করতে উৎসাহিত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণভাবে বলতে গেলে, নিষেধাজ্ঞা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে।’
তিনি বলেন, তাদের কাছে অন্যান্য উপায়ও রয়েছে, যেমন সম্পদ জব্দ করা এবং অংশীদার দেশগুলোর তথ্য দেওয়া যাতে তারা মামলা করতে পারে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তারা বেশ কয়েকবার এটা পরিষ্কার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: সংঘাতজনিত বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রদূত মুহিতের
‘আমরা এটা সরাসরি পরিষ্কার করেছি। আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় এটি পরিষ্কার করেছি এবং আমাদের নীতি অব্যাহত থাকবে,’ বলেন তিনি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ, ৬ থেকে ৮ আগস্ট তার বাংলাদেশ সফরের সময় দুর্নীতি মোকাবিলায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একই কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ সফরকালে নেফিউ কীভাবে দুর্নীতির অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্র সচিবকে মার্কিন কর্মকর্তা
নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির উপর জোর দিয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এসব বিষয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রত্যাশিত ফলাফল পায় না।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে আটলান্টায় জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী ২০তম বার্ষিকীর সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ওই বৈঠকে অংশ নেবে যেখানে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দুর্নীতি মোকাবিলায় অংশগ্রহণকারী দেশ বা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি চাইবে।
আরও পড়ুন: সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে টুঙ্গিপাড়ায় ভারতীয় হাই কমিশনার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
বুধবার (৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সফর করে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও আদর্শ আগামী প্রজন্মের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রীর দৃঢ় বন্ধনকে অনুপ্রাণিত করবে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে, এই দুই দেশ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তাদের যৌথ আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করে যা তাদের বিশেষ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে।
সফরকালে হাই কমিশনার ওড়াকান্দিও পরিদর্শন করে মতুয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং শ্রীধাম ওড়াকান্দিতে মন্দিরে প্রার্থনা করেন।
মানুষে-মানুষে যোগাযোগ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব জোরদার করার জন্য ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি জাপানের মন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৪১
দেশে বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৪১ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৯০২ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনার নতুন ধরন ‘এরিস’, যুক্তরাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২০.৫ হারে আক্রান্ত বাড়ছে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩৯
গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের চেষ্টা করছে সরকার: জ্বালানি সচিব
বাংলাদেশ সরকার এক মাসের মধ্যে অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের পরিকল্পনা করেছে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
বুধবার (৯ আগস্ট) ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ উপলক্ষে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি সচিব বলেন, ‘গত সপ্তাহে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি নতুন মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) অনুমোদন করেছে। এখন আমরা এক মাসের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার অনুমান করছে এবার আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির (আইওসি) কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে কারণ মডেল পিএসসিকে আরও আকর্ষণীয় করে সংশোধন করা হয়েছে। ‘আমরা ইতোমধ্যে এই বিষয়ে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ শুরু
মজুমদার বলেন, সরকার জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং এর অংশ হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের জন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক এলাহী বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টি বাস্তবভিত্তিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস না পাওয়া পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় গ্যাসের রিজার্ভ নির্ধারণ করা অবাস্তব। বিভিন্ন স্থানে নতুন ১০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ) থাকার সম্ভাবনা শুধুমাত্র তত্ত্বীয় হতে পারে।
দেশে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা সম্পর্কে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের পরিসংখ্যানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা খনন করে এটি খুঁজে পাচ্ছি, ততক্ষণ আমাদের ১০ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা থাকার কথা বলা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ইলিশা-১ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র: নসরুল হামিদ
আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সরকার যদি ১৮টি নতুন কূপ খনন করে তাহলে সহজেই ৯ থেকে ১০ টিসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে কারণ দেশের খনন কাজের সাফল্যের অনুপাত ১:৩।
মোল্লা আমজাদ বলেন, কূপ খনন করা খুবই ব্যয়বহুল একটি বিষয়। তাই বিদেশি কোম্পানিগুলোকে এ ব্যাপারে নিয়োজিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, সরকার ডলার সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে এবং এখন এটি আইওসি, বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এবং এলএনজি সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদান করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার অনেক ভালো নীতিমালা করেছে। কিন্তু এগুলোর বাস্তবায়নে নানা সমস্যা এখন বর্তমান জ্বালানি সংকট তৈরি করেছে।
বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার আগামী ২ থেকে ৩ বছরে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন-পালন করেছেন এবং সন্তানদেরও একই মূল্যবোধে লালন-পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গমাতার মহান আত্মত্যাগ ও তার পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি উৎসর্গ স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।
পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরকাল বাঙালি নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনও আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও শক্তি দিয়ে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে খালেদা জিয়াকে
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার বিকালে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।
দলটির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই বিকালে ৫টার দিকে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তার কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে।
চেয়ারপার্সনের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি জ্বরে ভুগছেন এবং তার মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৩ জুন হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় একই হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া।
পরে তিনি হাসপাতালে তার মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যান এবং সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা নেন।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন।
আরও পড়ুন: নাইকো দুর্নীতি মামলা: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
৫ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সেশনজট কাটানোর কথা বলে একেক পর এক পরীক্ষাবিধি লঙ্ঘন যেন শিক্ষার্থীদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এক সঙ্গে একাধিক শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং এক শিক্ষাবর্ষের ফলপ্রকাশ না করেই পরের শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার রেওয়াজ যেন চালু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষের বদলে ব্যক্তিগত কাজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে সময় বেশি দেওয়ায় নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া ও ফলপ্রকাশ না করার জন্য এই অচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্র অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি; নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা; আইন ও বিচার; বাংলা এবং ফার্মেসিসহ পাঁচটি বিভাগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনিস্টিউটে ২০১৭-২০১৮ (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ না করেই ২৩ জুলাই থেকে স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা চলমান।
তৃতীয় বর্ষের ফল প্রকাশ না করে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, ‘আমার ইনিস্টিউটে শিক্ষক সংকট, তাই ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
এদিকে, আইন ও বিচার বিভাগের ২০১৬-২০১৭ (৪৬ ব্যাচ) এবং ২০১৭-২০১৮ (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২৫ জুলাই থেকে একই রুটিনে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা চলমান। ইতোপূর্বে তাদের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা একই সঙ্গে সম্পন্ন হয়।
স্নাতক পরীক্ষায় ৪৬ ব্যাচে ৯ জন ও ৪৭ ব্যাচে ৮ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। প্রচলিত নিয়মে মান উন্নয়ন পরীক্ষা না দিয়ে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা স্নাতক শেষ করে, কেন না একই সঙ্গে দু’টি ব্যাচ স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত।
উল্লেখ্য, বিশেষ পরীক্ষা জন্য গুনতে হয় ১৪ হাজার টাকা, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বহন করা কষ্টসাধ্য।
এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি এবং আইন ও বিচার অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা দুটো শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা একসঙ্গে নিচ্ছি। আমাদের বিভাগে ক্লাসরুম ও শিক্ষক সংকট থাকা সত্ত্বেও আমরা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য দ্রুত শিক্ষাজীবন শেষ করার লক্ষে পরীক্ষা নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও দুটো ব্যচের পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বিধিতে বলা নেই তবে উপ উপাচার্য (শিক্ষা) থেকে আমরা নিয়ম মেনে অনুমতি নিয়েছি।’
বিশেষ পরীক্ষার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার শিক্ষার্থীর কোনো ফি ছাড়াই বিশেষ পরীক্ষা দিয়েছে।’
কিন্তু আইন বিভাগের বিশেষ পরীক্ষার দেওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা নিজ খরচে পরীক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
উল্লেখ্য, আইন ও বিচার বিভাগ এবং জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে সমান সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত। তবে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করেছে কোনো রকম আইনের ব্যত্যয় ছাড়াই।
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ফল প্রকাশের দীর্ঘ্যসূত্রিতা দেখা দেয়, যার ফলে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পূর্বেই ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সম্পন্ন হয়।
এই বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিশা নূরী কাঁকন বলেন, আমার বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় শ্রেণিতে থিসিস থাকায় ফল প্রকাশ করতে দেরি হয়েছে। কেন না থিসিস মূল্যায়ন একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাবিধি ২০০৩ এর ২০(৩) ধারায় বলা হয়েছে, প্রতি ৫ খাতার জন্য ১ দিন হিসেবে মোট সময় (দিন) হিসাব করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে খাতা দেওয়া হবে। ২৬(৩) ধারায় বলা হয়েছে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবার ৭৫ দিনের মধ্যে অবশ্যই ফল প্রকাশ করতে হবে।
পরীক্ষাবিধির ৩০ ধারায় আছে, থিওরি (ব্যবহারিক) পরীক্ষা শেষ হবার ৩ মাসের মধ্যে অবশ্যই থিসিস জমা দিতে হবে।
এদিকে, ৪৫ ব্যাচের ১২ জন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তরে অংশ গ্রহণ করেছে। তবে তাদের থিওরি পরীক্ষা ২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শেষ হলেও ফল প্রকাশ হয়েছে ১০ মাস পরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে।
একই ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা দেখা গেছে বাংলা বিভাগে। যেখানে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ফলপ্রকাশ করার আগেই ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষায় শুরু হয়।
অন্যদিকে, ফার্মেসি বিভাগ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার শেষ হয় এবং ফল প্রকাশ করতে প্রায় দুই বছর সময় ব্যয় করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগের ফলাফলের কি অবস্থা তা জানার জন্য এবং সেশনজট কাটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, আইন অনুষদের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি মানবিক আচরণ করে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছি। তবে একসঙ্গে দুই শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। আমাদের শিক্ষকদের ৫টি খাতা মূল্যায়নের জন্য ১দিন করে সময় দেওয়া হয়, যা ৭৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার জন্য যথেষ্ট।
বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ব্যপারে তিনি বলেন, ‘নতুন শুরু হওয়া একটি বিভাগে এই ধরনের বিধি লঙ্ঘন করে পরীক্ষা নেওয়া কাম্য নয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজট মুক্ত করতে ছাত্র-শিক্ষক সকল অংশীজনের থেকে সহযোগিতা চাই।’
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণের ঘোষণা দেন।
১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হলো।
আরও পড়ুন: আরও ৩৯,৩৬৫টি গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘর-জমি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ১লাখ ১৫ হাজার মানুশের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।
১২৩টি উপজেলার মধ্যে রয়েছে- শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট; কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, নিকলী, হোসেনপুর, বাজিতপুর, মিঠামইন ও করিমগঞ্জ; টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, নাগরপুর, মির্জাপুর, কালিহাতী ও বাসাইল; মানিকগঞ্জের শিবালয়, হরিরামপুর ও সদর; মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ী; রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সদর; ফরিদপুরের বোয়ালমারী, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা ও সদর; ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, গফরগাঁও, মুক্তাগাছা ও সদর; শেরপুরের শ্রীবরদী ও সদর; জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ী; কক্সবাজারের পেকুয়া, উখিয়া ও টেকনাফ; চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও আনোয়ারা; চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া; নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ ও সদর; কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, বরুড়া, হোমনা, তিতাস, মেঘনা, মেঘনা ও বুড়িচং; ফেনীর দাগনভূঁইয়া, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী; রংপুরের বদরগঞ্জ; দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট ও সদর।
আরও পড়ুন: গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে