বাংলাদেশ
জ্বালানি খাতের জন্য আগামী ২ বছর ঝুঁকিপূর্ণ: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশের জ্বালানি খাতের জন্য আগামী দুই বছর ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমাদের প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে এবং এ কাজে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে।’
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ভবনে ‘বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: বঙ্গবন্ধুর দর্শন’- শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।
আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশ গ্যাস সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোলা থেকে অব্যবহৃত গ্যাস ঢাকায় নিয়ে আসব এবং বিশাল ভূগর্ভস্থ গ্যাস পাইপলাইনগুলোকে প্রতিস্থাপন করব।’
তিনি আরও বলেন, পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে।
বিদ্যুৎ খাত সম্পর্কে নসরুল হামিদ বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়নের পর এখন সরকারের লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।
প্রতিমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি করে জ্বালানি সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে শিল্পক্ষেত্রে আর গ্যাস সংকট থাকবে না।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জৈব জ্বালানি বাড়াতে উৎসাহিত করে: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কাতার ও ওমানের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছি এবং আরও তিনটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সইয়ের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, সেইসঙ্গে স্টোরেজ ও আনলোডিং ক্ষমতা বাড়াতে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের জন্য আরও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। অথচ দেশে ব্যাপক গ্যাস সংকট চলছে।
তিনি বলেন, বর্তমান গ্যাস সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধান বাড়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে অনুসন্ধান কাজ যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, অবিলম্বে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সারাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি দেওয়ান সুলতান আহমেদ বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবৈধ গ্যাস সংযোগ অপসারণে তৎপর হয়। কিন্তু কোনো অর্থ ছাড়াই কতদিন ধরে এই অবৈধ গ্রাহকরা এ ধরনের গ্যাস ব্যবহার করছেন তা তারা কখনই প্রকাশ করে না।
এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা আবদুল হক বলেন, বিভিন্ন উদ্যোগের পরও গ্যাস অনুসন্ধানে বড় কোনো অগ্রগতি নেই। তাই কী কী শূন্যতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে।
ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে অনেক ব্যবসায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের ফাইল মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। কিন্তু ফাইলগুলো যথাযথ গতিতে চলে না। এমনকি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো কোনো ফাইল এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পাইপলাইনে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৯৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন: নসরুল
বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দিনে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হলে এখন কি হতো: নসরুল
৬ মাসে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩১: এসসিআরএফ
চলতি বছরের (২০২৩ সালের) প্রথম ৬ মাসে ১৩৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১১০ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে কম ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক ৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
এসসিআরএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া এপ্রিলে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০ জন এবং আহত হয়েছেন আর ৬৯ জন।
এদিকে মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। এতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১১৩: জিসিবি ও জাতীয় কমিটির যৌথ প্রতিবেদন
অপরদিকে, জুন মাসে ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেনে ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩।
এসসিআরএফ জানায়, রেলপথ দুর্ঘটনার উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ।
আরও পড়ুন: রেল কর্মীদের অবরোধ: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দুর্ঘটনার ৯টি কারণ হলো-
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, ইঞ্জিনের সক্ষমতার অতিরিক্ত বগি সংযোজন, রেললাইনে পাথরের স্বল্পতা, ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, জনবল সংকট এবং নড়বড়ে ট্র্যাক তথা রেললাইনে নিম্নমানের স্লিপার ও ফিশপ্লেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়-
সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
রেলপথ বাড়লেও দীর্ঘদিনের পুরোনো লাইনগুলো ঠিকমতো সংস্কার না করায় দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বেসরকারি খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।’
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের ছেলে-মেয়েরা যাতে খেলাধুলায় আরও আগ্রহী হতে পারে তাই প্রতি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান জাতি চিরকাল মনে রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন ও হকির মতো বিভিন্ন খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের ফুটবল খেলার উৎকর্ষ সাধনে শেখ কামাল বিশেষভাবে অবদান রেখেছেন।
শেখ হাসিনা জানান, তার ভাই কামাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন।
কামাল স্পন্দন ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি জানান, তার ভাই ইলেকট্রিক অর্গানের মতো আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন লোকগানকে জনপ্রিয় করেছেন।
কামালের অভিনয় দক্ষতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি নাটকেও ভালো অভিনয় করতেন।
কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা অত্যন্ত শক্তিশালী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তবে তার নেতা হওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না।’
ছোটবেলা থেকেই শেখ কামাল দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার ভাই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আজ শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো আমাকে এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না!
তিনি বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়রা সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য গৌরব ও সুনাম বয়ে আনছে।
আরও পড়ুন: শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বেসরকারি খাত পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, তার সরকার অন্যান্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বেসরকারি খাতকে স্থানীয় প্রতিভার সন্ধান করতে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন এরাই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের গৌরব ও সুনাম বৃদ্ধি করবে।’
এসময় ‘শেখ কামাল: ক্ষণজন্মা এক নক্ষত্র’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া বৃত্তি’ বিতরণ করেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন এই বৃত্তি দিচ্ছে।
মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ১২ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি থেকে অনার্স স্তরের শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ২৪ হাজার টাকা, অর্থাৎ প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষ প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলুন: স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী
একই অনুষ্ঠানে তিনি ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদাপূর্ণ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক এবং নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ কামালের জীবনের উপর নির্মিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
বাগেরহাটে গ্রামরক্ষাবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ঘেরের মাছ, পানিবন্দি ৩ শতাধিক পরিবার
বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে থাকা গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে তিনটি গ্রাম।
শুক্রবার (০৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে ভদ্রপাড়া নামকস্থান থেকে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। এরপর মুহূর্তেই ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ স্থান।
অতিরিক্ত পানিতে ২০ থেকে ২৫টি মাছের ঘের ও বেশকিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। একই সঙ্গে তিনটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। রয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভদ্রপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি ঘের মালিক মশিউর রহমান বাদশা বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢোকে। পানিতে তিনটি মাছের ঘের ডুবে আমার ১০ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।
আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টিতে বাড়ির আঙ্গিনায় হাটু পানি জমে রয়েছে। রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। পানিতে পুকুর, বাতরুম, রান্নাঘর, উঠোন, বাগান সব একাকার হয়ে গেছে।
একই এলাকার বৃদ্ধা হায়াতুন্নেছা বেগম বলেন, নদীর পানি ঠেকানোর জন্য কোন বেরিবাঁধ নেই। এলাকাবাসী মিলে ছোট বাঁধ দিয়ে কোনমতে বসবাস করছি। জোয়ারের পানিতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সব জায়গাতে পানি, আমাদের দুর্ভোগ কোনভাবে কমছে না। বাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এরকম মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ভদ্রপাড়া এলাকায় একটি বেরিবাঁধ দেওয়ার দাবি জানান এই নারী।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
এদিকে ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা ছাড়াও সদরন উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর যেসব এলাকায় বেরিবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পানি কমে গেলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে রিং-বেরিবাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।আরও পড়ুন:চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
ক্রীড়াঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও ৮টি বিভাগে দুটি প্রতিষ্ঠানের হাতে মর্যাদাপূর্ণ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২৩ তুলে দিয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেক।
ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ ও দক্ষিণ এশিয়ার স্বর্ণপদক বিজয়ী ভারোত্তোলক জিয়াউর ইসলাম।
আরও পড়ুন: পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হিটস্ট্রোকে ১১ জনের মৃত্যু
টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিন আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম। এছাড়া পুরস্কার পেলেন উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ও তৃণমূল হকি সংগঠক ওস্তাদ ফজলু এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন কলসিন্দুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মালা রানী সরকার।
ক্রীড়া সাংবাদিকতায় পুরস্কার পেয়েছেন খন্দকার তারেক এম নূরুল্লাহ।
বাংলাদেশ তীরন্দাজ ফেডারেশন ক্রীড়া সংস্থা/ফেডারেশন/সংগঠনের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) স্পোর্টস স্পন্সর।
এছাড়া, মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কারে ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা, একটি ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০২১ সালে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কার চালু করে।
২০২০ সালে মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন শুরু করে এবং মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৫ আগস্ট শেখ কামালের জন্মদিনকে জাতীয়ভাবে 'ক' শ্রেণীবদ্ধ দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০ টাকা মূল্যমানের ডাকটিকিট, ৪০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্প, ১০ টাকার ফার্স্ট ডে কভার এবং পাঁচ টাকার ডাটা কার্ড সম্বলিত একটি স্যুভেনিরও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা চিরতরে বিলুপ্ত করতে কাজ করুন: কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
এ উপলক্ষে শেখ হাসিনা একটি বিশেষ ক্যানসেলার ব্যবহার করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হারুনুর রশীদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডাকটিকিট এবং প্রথম দিনের কভারটি আজ ঢাকা জিপিও-র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরে সারা দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: দক্ষ প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলুন: স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করবে জাতিসংঘ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি, এই অগ্রগতির সুবিধাগুলোকে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো হ্রাসে জাতিসংঘের নেতাদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি নতুন বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গুতেরেস বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে। কিন্তু, তারা নৈতিক, আইনি এবং রাজনৈতিক উদ্বেগের জন্ম দেওয়ার ফলে বহুপক্ষীয় সমাধান প্রয়োজন।’
জাতিসংঘের মহাসচিব তার বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের সাতজন বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক পণ্ডিতদের একজন হিসেবে সালেমুল হককে নিয়োগ দেন।
তিনি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড তথ্য এবং প্রমাণের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হিসাবে জাতিসংঘের ভূমিকাকে শক্তিশালী করবে এবং আমাকে এবং আমার সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমকে পরামর্শ দেবে।’
উপদেষ্টা বোর্ডে জাতিসংঘের সিস্টেম সত্তার প্রধান বিজ্ঞানী, সেক্রেটারি-জেনারেলের প্রযুক্তি বিষয়ক দূত এবং জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের পাশাপাশি সাতজন বিশিষ্ট পণ্ডিত থাকবেন। বোর্ড সারা বিশ্বের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে।
কুইবেক এআই ইনস্টিটিউট এবং ইউনিভার্সিটি ডি মন্ট্রিলের বৈজ্ঞানিক পরিচালক ও অধ্যাপক প্রফেসর ইয়োশুয়া বেঙ্গি মিলার বলেছেন, ‘বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড প্রতিষ্ঠার মহাসচিবের সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির নীতির প্রতি জাতিসংঘের নেতাদের অটুট উৎসর্গের উপর জোর দেয়। আমি বিজ্ঞান-ভিত্তিক নীতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আলোচনা করতে জাতিসংঘের মহাসচিবকে সমর্থন করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের কথা বলেছে জাতিসংঘ
বোর্ডের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নীতিশাস্ত্র, শাসন এবং টেকসই উন্নয়নের সংযোগস্থলে প্রবণতাগুলোর উপর স্বাধীন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করা। তাদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে, বোর্ড এবং এর নেটওয়ার্ক জাতিসংঘের নেতাদের মানুষ, গ্রহ এবং সমৃদ্ধির জন্য তাদের কাজের সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রত্যাশা, মানিয়ে নেওয়া এবং লাভ করতে সহায়তা করবে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ইসমাহানে ইলাউফি,‘জাতিসংঘের নীতি ও কর্মসূচিগুলো সর্বোত্তম উপলব্ধ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এবং দক্ষতার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে, দ্রুত বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্বারা উপস্থাপিত জটিল নৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক দ্বিধাগুলো নেভিগেট করার ক্ষেত্রে বোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠনের মাধ্যমে, জাতিসংঘ বিজ্ঞান ও নীতির আরও ভালো সেতুবন্ধনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়। এই উদ্যোগটি সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের সম্মিলিত সুবিধার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পূর্ণ সম্ভাবনা গ্রহণের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করে। সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে, বোর্ড বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রভাগে জটিল ঝুঁকি এবং সুযোগগুলো মোকাবিলা করার জন্য জাতিসংঘের সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। একই সঙ্গে সবার জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ তৈরি করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর
১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
বাংলাদেশ সাইবারস্পেসের বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট 'ব্যাপক সাইবার-আক্রমণ' শুরু করার জন্য ৩১ জুলাই কিছু ধর্মীয় এবং আদর্শিকভাবে অনুপ্রাণিত গোপন হ্যাকার গ্রুপের একটি ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি- ই- গভ সিআইআরটি) সতর্কতা জারি করেছে।
এতে বলা হয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সমস্ত ধরণের সরকারি এবং বেসরকারী সংস্থাগুলোকে আইটি অপারেশন এবং ব্যবসায় ব্যাহত করতে পারে এমন গ্রুপগুলোর সম্ভাব্য সাইবার-আক্রমণের বিষয়ে থাকতে হবে।
হ্যাকটিভিস্ট গোষ্ঠীগুলো থেকে উদ্ভূত ছোট থেকে মাঝারি আকারের সাইবার-আক্রমণের জন্য সমস্ত সংস্থাকে সতর্ক থাকতে এবং তাদের অবকাঠামো রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রতিটি থানায় সাইবার ইউনিট গঠন করা প্রয়োজন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী
সিআইআরটি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে এই গোষ্ঠীগুলো পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সংস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সাম্প্রতিক গবেষণায়, আমরা একই অনুপ্রেরণাসহ বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছি। তারা অবিরামভাবে বাংলাদেশে সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সাইবার-আক্রমণ পরিচালনা করছে যা এর কার্যক্রম এবং ব্যবসাকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গোষ্ঠীগুলোর প্রাথমিক আক্রমণের কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস (ডিডিওএস) আক্রমণ, ওয়েবসাইট বিকৃত করা, ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপোস করা এবং পেলোড ড্রপ করার জন্য পিছনের দরজা হিসাবে ক্ষতিকারক পিএইচপি শেল ব্যবহার করা।
সিআইআরটি অনুসারে শীর্ষ লক্ষ্যযুক্ত সংস্থার ধরনগুলো হলো সরকার ও সামরিক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যাংকিং এবং এনবিএফআই, ফার্মাসিউটিক্যালস, খুচরা ও শিল্প সংস্থা এবংবিদ্যুৎ ও শিক্ষা খাত।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
বাংলাদেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, তাদের সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীকে একটি ‘শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘আগামী বছরের নির্বাচনের জন্য যেসব দল প্রচার চালাচ্ছে তাদের সবার জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই। যাতে বহুদলীয় রাজনীতি ও ভিন্ন মত প্রকাশের চর্চা বজায় থাকে। একই সঙ্গে সবার মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের এই মুখপাত্র বলেন, বিরোধী দলের বেশ কয়েকটি সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, সাধারণ পোশাকধারী কিছুসংখ্যক মানুষের পাশাপাশি পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের মারতে হাতুড়ি, লাঠি, ব্যাট ও লোহার রড ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের কথা বলেছে জাতিসংঘ
এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিরোধী দলের অনেক সমর্থকদের পাশাপাশি কিছু পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের প্রকাশ্য দিবালোকে মারধর করা হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের পরিচয় দিয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে।’
জেরেমি লরেন্স বলেছেন, সমাবেশের আগে এবং চলাকালীন শত শত বিরোধী নেতা ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই তাদের মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে এবং জনগণকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি দিতে হবে। একই সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেই অধিকারগুলোর প্রয়োগকে দমন বা সীমিত করার প্রচেষ্টা থেকে রক্ষার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা পুলিশকে তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি, খুবই প্রয়োজন হলেই তবেই বল প্রয়োগ করার জন্য। যদি তা করা হয় তাহলে বৈধতা, সংযম ও সমানুপাতিকতার নীতিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্মতি জানানো হবে।
জাতিসংঘের এই মুখপাত্র বলেন, ‘অত্যধিক বলপ্রয়োগের বিষয়ে অবিলম্বে তদন্ত করা উচিত এবং দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সকল পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ারের
সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: জাতিসংঘ
পান্না কায়সারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পান্না কায়সারের (৭৩) মৃত্যুতে শুক্রবার (৪ আগস্ট) গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী এক শোক বার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পান্না কায়সার, শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী এবং অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা।
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কায়সার শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
অধ্যাপক পান্না কায়সার আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়ার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক