বাংলাদেশ
তিস্তার পানি বাড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি)।
বুধবার সংস্থাটি তার নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে। যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়ের জন্য কমলগঞ্জ পয়েন্টে ধলাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, খোয়াই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি কমে যাচ্ছে এবং সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীতে যা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলতে পারে।
সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন
তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
বাসচাপায় পা হারানো শিশুকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো ৫ বছরের শিশু অগ্ররাজ সিকদারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
অগ্ররাজের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, এস আলম পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট তুষার রায়। পরে তিনি রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল তার ছেলে অগ্ররাজ সিকদার। সে সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী এস আলম পরিবহনের বাসটি একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গেলে তার ছেলের পায়ের ওপর উঠে যায়। এই অবস্থায় বাসটি তাকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয় এবং ডান পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্ররাজের মা পূর্ণিমা দে বলেন, বাসচাপায় তার ছেলের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে। ছেলের চিকিৎসায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তারা আর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। শিশু অগ্ররাজের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। পরে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
জানা যায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে গত ১০ জুন বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। বিএনপি যদি এই দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু উচ্চ আদালত বাতিল করেছে, তাই এটা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
বুধবার (৫ জুলাই) সকালে নগরীর আগারগাঁও-এ বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ ভবনে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে আলোচনা করেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন।
সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়েই ৯০ শতাংশ কথা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
তিনি আরও বলেন, ‘ইউকে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরাও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) শক্তিশালী করেছি। সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচনে কমিটেড। আমাদের ইসি স্বাধীন। অনেক সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিরপেক্ষ হচ্ছে এটা তার প্রমাণ। সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে এই দাবি তারা মেনে নিয়ে সংলাপে আসলে আমরা সংলাপে রাজি।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন চায়, ডায়ালগ চায়। আমরা গঠনমূলক সংলাপে প্রস্তুত; নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট নিয়ে আলোচনা হবে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উপায় নেই, এটা বিরোধী দলের বোঝা দরকার।’
রাশিয়া, ইউক্রেনের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু আড়ালে গেলেও তা মরে যায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বদরবারে এটার দিকে জনমত অব্যাহত রাখা ও মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকার বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের জন্য ১১ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে এয়ারবাস কিনতে চাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে। জিএসপির পর ডিসিটিএস স্কিম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা দেখাবে। শুল্ক সুবিধা ঘিরে এর থেকে বড় শিল্পের পাশাপাশি সুবিধা পাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও।
যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উভয় দেশের অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একটি দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। গত এক বছরে দেশটির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় এটি আমার প্রথম সফর। শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বাধাগুলো দূর করে পারস্পরিক সমৃদ্ধি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
১৯৭১ সালের নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমা চাইতে বললেন সালমান এফ রহমান
সম্পর্ক উন্নয়নে ১৯৭১ সালে সংঘটিত নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
পবিত্র হজ পালনের সময় সৌদি আরবের মদিনায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে এ কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
সোমবার (৩ জুলাই) এক টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে মসজিদে নববীতে একটি আনন্দঘন সাক্ষাৎ হয়েছে। আমার ১২ বছর বয়সে আমাদের শেষ দেখা হয়েছিল। এই সাক্ষাতে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর আহ্বান সালমান এফ রহমানের
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি তাকে বলেছি, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি করতে ১৯৭১ সালে যা ঘটেছিল তার জন্য পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজন। আমরা পবিত্র নগরীতে মুসলিম উম্মাহ’র কল্যাণ কামনা করেছি।’
অন্য এক টুইটে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার মক্কা, মিনা ও মদিনায় ‘ভালো আলাপ’ হয়েছে।’
টুইটে সালমান এফ রহমানকে বাল্যবন্ধু হিসেবে অভিহিত করে আরিফ আলভি বলেন, ‘দুই বন্ধুর এই সাক্ষাৎ হয়েছে ৬০ বছর পর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্তরা শনিবার থেকে অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন: সালমান এফ রহমান
বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত প্রযুক্তির আরও যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
মঙ্গলবার সংসদীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আনিসুল হক লক্ষ্মীপুর থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে আটটি স্কোয়াড্রন ফাইটার জেট রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি সাবমেরিনসহ ৬৫টির বেশি যুদ্ধজাহাজ, দুটি হেলিকপ্টার ও চারটি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন যে ফ্রিগেট, করভেট, অফশোর পেট্রোল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল (এমসিএমভি), লার্জ পেট্রোল ক্রাফট (এলপিসি), ওশান টাগস, হারবার টাগস, অয়েল ট্যাঙ্কার, লজিস্টিক শিপ, অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের অন্যান্য পরিকল্পনা রয়েছে।
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাজেট বরাদ্দের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ভাসমান ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভারক্রাফট।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
এদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বলেছেন, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার শেষ জন্ম তারিখ ছিল ৩০ মে, ১৯৫৯।
সে অনুযায়ী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার চাকরির মেয়াদ হবে ৩০ মে, ২০১৯ পর্যন্ত। বর্তমানে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কর্মরত নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, মন্ত্রণালয় ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন সংসদকে জানান, মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আ.লীগের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতিসংঘের মতে, প্রকৃতি ধ্বংসের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ লাখ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক দূষণ তাদের বর্তমান গতিতে চলতে থাকলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তিন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদের একটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মামলা নিষ্পত্তি করুন: আইসিসির প্রসিকিউটরকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্বের কোথাও আর কোথাও গণহত্যা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জোর প্রচেষ্টা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার তিনি আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ.এ খানকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি শেষ করার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা করা উচিত। বিচার বিলম্বিত হলে, ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করা হয়।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত কথিত নৃশংসতার সম্পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করার অনুরোধ মঞ্জুর করেছিলেন।
তদন্ত শুরুর এই অনুমোদনকে ন্যায়বিচারের অন্বেষণ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন’ হিসেবে মনে করা হয়; বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত অপরাধের শিকারদের জন্য।
প্রসিকিউটর অফিসের তদন্তকারীরা এখন সতর্কতার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিল যা তাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল কিনা- সে সম্পর্কে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে। ‘আমরা বলি আর কখনো গণহত্যা হবে না।’
মোমেন আরও বলেন, প্রসিকিউটর খান কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং আরআরআরসি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে শিগগিরই ভালো খবর পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন না: পিজিআরকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) সদস্যদের ভিভিআইপিদের সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন না করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে সদর দপ্তরে পিজিআর-এর ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
তিনি বলেন, আপনাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ভিভিআইপিদের জন্য সর্বাত্মক, সমন্বিত ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তবে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভিভিআইপিদের জনসংযোগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।
রাষ্ট্রপ্র্রধান বলেন, আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একদিকে যেমন গৌরবময়, তেমনি বিশেষভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল।
এছাড়া সাহাবুদ্দিন প্রতিটি পিজিআর সদস্যকে বর্তমান বিশ্বায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) এবং প্রযুক্তিগত বৃদ্ধিতে সময় উপযোগী এবং মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও দক্ষ হয়ে উঠতে বলেন।
তিনি বলেন, পিজিআর এর প্রতিটি সদস্যকে হতে হবে আরও চৌকস ও দক্ষ, যাতে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি তাৎক্ষণিক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আগামীতেও দায়িত্বের ব্যাপকতা বিবেচনা করে এই রেজিমেন্টকে আরও সুসংহত করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পিজিআর সদস্যরা 'চেইন অব কমান্ড'-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখবে এবং রেজিমেন্টের মর্যাদা ও মান সমুন্নত রেখে এবং অতীতের ইতিহাস ও ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
পিজিআরকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে সেনাবাহিনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে যে কোনো দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সাফল্যের সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হবে।
পরে সভাপতি সাহাবুদ্দিন পিজিআর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং সেখানে একটি চারা রোপণ করেন এবং ফটো সেশনে অংশ নেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিজিআর কমান্ডার, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
হজ সফরে জেদ্দায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) নগরীর পঙ্গু হাসপাতালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আহত সাংবাদিককে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, রাজধানীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে যত কাজই হোক না কেন পুলিশ যা যা করা দরকার তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ এখন ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ফার্মগেটে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত সব ছিনতাইকারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
এছাড়া সাংবাদিক রকিবুল হাসান ছিনতাই মামলার দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও একটি মোটরবাইকও জব্দ করেছে পুলিশ।
মামলার আরেক আসামি পুলিশের নজরদারিতে থাকায় যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ফারুক।
তিনি আরও বলেন, রকিবুল তার জবানবন্দিতে বলেন যে ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন পাঠাও রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালক এবং আরেকজন ইলেকট্রিশিয়ান।
আরও পড়ুন: ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উন্নয়নে দেশের ১৭ জেলায় ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদী ইউএসএআইডি’র মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের (এমএনসিএসপি) সমাপ্তি উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন সোমবার (৩ জুলাই) এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ও সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম দ্বারা বাস্তবায়িত ইউএসএআইডি মামনি প্রকল্পটি বাংলাদেশের ১৭ টি জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করেছে।
প্রকল্পের দীর্ঘ পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বিশদভাবে তুলে ধরা হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার এবং বাংলাদেশের মানুষের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও সরঞ্জামের উন্নয়ন এবং মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুরোধে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রকল্পটি গর্ভবতী নারী, মা এবং নবজাতকের জন্য জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্য সহযোগিতার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করেছে এবং প্রায় ৩৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা
তিনি জানান, ‘ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি সিভিল সার্জন, হেলথ ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার এবং সেবা প্রদানকারীসহ সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েট মিডওয়াইফদের সাথে কাজের মাধ্যমে বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ে প্রধান মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম করেছে।’
ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেলেও এর বেশিরভাগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রকল্প সমর্থিত জেলাগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় জীবন রক্ষাকারী এই কার্যক্রম প্রসারিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে দাতাদের সাথে কাজ চালিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইনফেকশাসাস ডিজিস টিম লিডার ডা. সামিনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় কমিউনিটি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মানসম্মত মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা উন্নত করেছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুবিধাসহ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি খাতের বিভিন্ন সুবিধা সরাসরি উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস এর সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারপার্সন; অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, প্রাক্তন সভাপতি, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি); স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. আজিজুল আলীম।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ