বাংলাদেশ
শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এক মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে হবে।
একইসঙ্গে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদনে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থপাচার সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- (সিআইডি), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট –(বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড –(এনবিআর) ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে এই অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার অর্থ পাচার বিষয়ে বিচারাধীন এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে হাইকোর্টে রিট
রুলে মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মাদক কারবারির মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, এর আগে ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দি দাস এই সম্পূরক আবেদন করেন।
গত ১১ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে অর্থ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন আঙ্কটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে। যার বরাত দিয়ে দেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকসহ গণমাধ্যম খবর-প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ।
মাদক এবং অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।
তালিকায় এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের নাম রয়েছে, এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান ও মিয়ানমার। মূলত ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের এই চিত্র প্রথমবারের মতো তুলে ধরে আঙ্কটাড।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা রবিবার হয়েছে হয়েছে।
সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ বছরের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ‘সি-১’ ইউনিটের অধীনে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একই দিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়। পাঁচ পালায় (শিফট) শুরু হওয়া সি ইউনিটের পরীক্ষা বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: সাভারে মোবাইল দোকানিদের হামলায় ৫ জাবি শিক্ষার্থী আহত
এ বছর স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৫৭ জন। এ হিসাবে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩৫ জন।
গত বছর একই আসন সংখ্যার বিপরীতে আবেদন পড়েছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৫টি। ওই বছর ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৫৪ জন ভর্তি। এ বছর ৩৪ হাজার ৭৪৮টি আবেদন কম পড়েছে।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মোট সাতটি ইউনিটের অধীনে ৩৪টি বিভাগ ও তিনটি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
সবচেয়ে বেশি ৭৬ হাজার ৬৪টি আবেদন জমা পড়েছে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে। সবচেয়ে কম ৫ হাজার ৬৫টি আবেদন জমা পড়েছে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ ‘সি-১’ ইউনিটে।
এ ছাড়া গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৬১ হাজার ৮৬৪টি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৪১ হাজার ৪৬৯ জন, কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৪১ হাজার ৪৪৫ জন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে ১৮ হাজার ৯৭ জন এবং আইবিএ ইউনিটে ৫ হাজার ৮৪৩ জন আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
জাবি’র হল থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলার ৯ আসামিকে শনিবার জামালপুরের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
রবিবার আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানোর রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, নয় আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
রবিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
নাদিম হত্যার ঘটনায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার পাঠাটি এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
তিনি বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্যও ছিলেন।
নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম অভিযোগ করেন, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর সমর্থক নাদিমের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
সাংবাদিক নাদিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসসিআরএফ
জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম (এসসিআরএফ)।
শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে সভাপতি আশীষ কুমার দে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম এ দাবি জানান।
সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন: জামালপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত সাংবাদিকের মৃত্যু
বিবৃতিতে বলা হয়, নাদিমকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। নাদিমের নির্মম হত্যাকাণ্ড মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হলে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা ভেঙে পড়বে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানীর খুনিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: এমএসএফ
সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী স্থানীয় সাধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এসসিআরএফ নেতারা নিহত সাংবাদিক নাদিমের পরিবারের সদস্যদের অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের মূল হচ্ছে স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট নাগরিক না হলে স্মার্ট অর্থনীতি হবে না, স্মার্ট সরকার হবে না।
তিনি বলেন, স্মার্ট নাগরিক তৈরি করবেন আপনারা, যারা মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল হাতিয়ার। আর শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর।
শনিবার (১৭ জুন) সকালে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে জেলার নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ: আমাদের করণীয়’- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। এখন আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষকরা বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বলেন, তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগিয়ে গেছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ওয়াদা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার। এ পথে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। এখন গ্রামে বসেও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মিলছে।
মন্ত্রী বলেন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবলের বিকল্প নেই। তাই সামনের দিনে প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর ও আমাদের প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলায় গুরুত্ব দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার অবিচল নেতৃত্বে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৭৭
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিনদিন অবনতির দিকে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্তের হার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৭৭ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২০১
আক্রান্তদের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ৪০২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭৫ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৩৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন। এরমধ্যে ৯১১ জন ঢাকায় এবং ২২৭ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৪ হাজার ৬০৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ৫৭৫ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩ হাজার ৪৩২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ৬৩৭ জন ঢাকার ও বাকি ৭৯৫ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩৯ জন
ডেঙ্গু: দেশে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ২৮৫
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলমমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম তাসখন্দের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর বাণিজ্য অনুষদ থেকে শুক্রবার (১৬ জুন) এক্সটারনাল রিসার্চার হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তার গবেষণার বিষয় ছিল- ‘ফ্যাক্টরস অ্যফেক্টিং দ্য অ্যাডোপশন অব টেকনোলজি-ড্রাইভেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড: এশিয়ান কনটেক্সট’।
আরও পড়ুন: ঢাবির পিএইচডি থিসিস কীভাবে সংরক্ষণ ও মূল্যায়ন হয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
গবেষণার বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের ১০ জন সদস্যই গোপন ব্যালটে সর্বসম্মতভাবে তার পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের পক্ষে ভোট দেন।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি এন্ড ডিপ্লোমেসি-এর রেক্টর এবং উজবেকিস্তান পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার সাদিক সাফায়েভ, ভাইস রেক্টরগণ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ সহ এ অঞ্চলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সময় বৈজ্ঞানিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জাহাঙ্গীর আলম এর ৬টি আর্টিকেল ও ২ টি কনফারেন্স পেপার প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ, উজবেকিস্তান, কানাডা, চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ তার থিসিসের বিষয়ে রিভিউ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
তিনি মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের বিশিষ্ট স্কুল শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমীনের ছেলে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করা চুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু
ইবির এমফিল, পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
বাংলাদেশ ব্যাংক ৯% সুদের হার তুলে নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক একক অঙ্কের সুদের যে সীমা দেওয়া আছে তা তুলে নিয়ে রবিবার (১৮ জুন) একটি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে। শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং অর্থনীতিতে প্রবাহিত অর্থের মাত্রা কমাতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার রবিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) নীতিগত বিবৃতি প্রকাশ করবেন।
অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ প্রধান, ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ, গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি এবং কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংক নীতি অনুমোদন করবে ১৪ জুন
নতুন মুদ্রানীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বাশার ইউএনবিকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।
তিনি বলেন, ‘এই মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং একটি একক মুদ্রা বিনিময় হার প্রবর্তনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুদের হার নিয়ে নতুন ঘোষণা আসবে। বর্তমানে ৯ শতাংশের সীমা দেওয়া আছে, সেটা তুলে নেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ঋণে বিদ্যমান ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা তুলে দিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস ১ জুলাই থেকে এই সুদের হার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১.৩১ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার ভিত্তিক সুদের হার, জুলাই থেকে সমন্বিত বিনিময় হার: বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ১০৮ জন
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ১০৮ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪১ হাজার ২৪০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৭১ জন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ৩০৯ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৮৯
দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৬৫ জন
খালেদা জিয়া সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন
হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (১৭ জুন) বিকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে
তিনি বলেন, ‘তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আজ বিকাল ৫টায় নিজ বাসভবনে ফিরবেন। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, বাড়িতেই তার চিকিৎসা চলবে।’
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ জ্বর ও পেটব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার ভোরে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নগরীর বসুন্ধরা এলাকার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় তত্ত্বাবধানে তার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না এই শর্তে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল