বাংলাদেশ
সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় দক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির (আইটি) ব্যাপক ব্যবহারের কারণে সাইবার ক্রাইম এখন বাড়ছে। প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, সাহাবুদ্দিন দেশের পুলিশ বাহিনীকে প্রতিটি কর্মকাণ্ডে আরও জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানান। পুলিশ সদস্যদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে তাদের কাজ আরও জনবান্ধব হয়।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ভালো: রাষ্ট্রপতি
জনস্বার্থ বিবেচনায় যেকোনো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ পুলিশকে আগামী দিনগুলোতে আন্তরিকতার সঙ্গে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও সাক্ষাৎকালে আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১১ জুনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) এসব নথি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার জনস্বার্থে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুবউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’- শিরোনামে গত ১১ মার্চ প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতয়ি দৈনিক। এই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হয়। মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী।
যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প নেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর বিধি ২ অনুসারে অসদাচরণ করেছেন। তাই বিধি ৩ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। সেই সঙ্গে রুল চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ বিদান অনুসারে এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা অসদাচরণ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়েছিলাম। গত ২১ মে হাইকোর্ট প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চান। সেই সঙ্গে প্রকল্পটি চূড়ান্ত করা হয়েছে কিনা এবং প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সত্যতা কতটুকু, তা জানতে চেয়েছিলেন। রবিবার রাষ্ট্রপক্ষ এসব তথ্য জানাতে সময় চাইলে হাইকোর্ট প্রকল্পের নথি তলব করেন।’
প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কিভাবে অসদাচরণ করেছেন, জানতে চাইলে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ -এর ২ বিধিতে অসদাচরণের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। সে সংজ্ঞা অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করলে অসদাচরণ হয়। আর কোনো কর্মচারীর অসদাচরণ প্রমাণ হলে বিধি ৩ অনুসারে সে কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
এ আইনজীবী বলেন, ‘নদী খনন করে প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, একনেকের সিদ্ধান্ত আছে। আরেকটা সিদ্ধান্ত আছে নদী-খাল-জলাশয় দখল করে কোনো প্রকল্প নেওয়া যাবে না। ফলে যেসব কর্মকর্তারা এই প্রকল্প নিয়েছেন তারা সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন। এটা অসদাচরণ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যমুনা নদীকে ছোট করতে চায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আপাতত দেশের দু’টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে গ্রোয়েন বাঁধ দিয়ে নদী ছোট করা হবে।
যমুনা নদীকে ছোট করার পেছনে যুক্তি তুলে ধরে পাউবো বলছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদী চওড়া হচ্ছে। নদী কোথাও কোথাও ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার প্রশস্ত হচ্ছে। এতে নদীভাঙন বাড়ছে।
পাউবো মনে করে, এত চওড়া নদীর প্রয়োজন নেই। এটি সংকুচিত করে সাড়ে ছয় কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হবে। যমুনা নদী ছোট করলে দু’টি সুফল পাওয়ার কথা বলছে পাউবো। একটি হলো, নদীর ভাঙন কমবে। অন্যটি বিপুল পরিমাণে ভূমি পুনরুদ্ধার করা যাবে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীকে ছোট করার চিন্তা নির্বুদ্ধিতার। যাদের মাথা থেকে এসব চিন্তা আসে, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। কোনো যুক্তিতেই যমুনাকে সংকুচিত করা যাবে না। এটি বিশ্বে এক অনন্য নদী। এ নদীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের পরীক্ষা যেন সাবধানে করা হয়। তবে বিস্তারিত সমীক্ষা না করে গ্রোয়েন প্রযুক্তির প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের নবনিযুক্ত বিচারপতিদের সাক্ষাৎ
কয়লার ঘাটতি: পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের অন্য ইউনিটে উৎপাদন ২ জুনের পরে স্থগিত হতে পারে
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (বিসিপিসিএল) কর্মকর্তাদের মতে, কয়লা সংকটের কারণে শিগগিহরই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাচালিত পায়রা পাওয়ার প্লান্টের আরেকটি ইউনিটের কার্যক্রম স্থগিত করা হচ্ছে।
প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট রয়েছে, যার প্রতিটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট এবং দুটির প্রথম ইউনিট ইতোমধ্যে কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে।
বিসিপিসিএলের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মওলা ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন বাকি ইউনিটটি ২ জুন পর্যন্ত চলতে পারে’।
বিসিপিসিএল, চায়না ফার্ম চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) যৌথ উদ্যোগে পায়রা পাওয়ার প্লান্টের মালিক ও অপারেটর।
প্ল্যান্ট ম্যানেজার জানান, প্ল্যান্টে বর্তমানে একটি ইউনিট চলছে, যার ৬৬০ মেগাওয়াট রয়েছে এবং আরেকটি ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিট গত সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে।
মওলা বলেন, কয়লা আমদানিতে অতিরিক্ত অর্থপ্রয়োজন হওয়ায় মূলত এই সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
বকেয়া পরিমাণ এখন ৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু সম্প্রতি আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অতিরিক্ত বকেয়া কয়লা সরবরাহকারীকে ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করার অনুমতি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, এটি কয়লা আমদানি পুনরায় শুরু করার ব্যবস্থা করতে সহায়তা করবে।
বিসিপিসিএলের আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, তবে এখনও কয়লা সরবরাহ পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে এবং আমরা আশা করি ২৮ শে জুনের আগে আমরা নাও পেতে পারি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টকে পুরোদমে চালু করতে প্রতি মাসে ৩ লাখ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করতে হবে।
তারা বলেন, বিসিপিসিএল সাধারণত কয়লা আমদানির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলে। কিন্তু সম্প্রতি ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলার জন্য আফসোস করেছে সোনালী ব্যাংক।
সমস্যার কথা স্বীকার করে বিসিপিসিএলের কর্মকর্তারা বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগে অবহিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ২১ মার্চ পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন, যখন তিনি দেশের শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ ঘোষণা করেন।
এই মাইলফলক অর্জন বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বিসিপিসিএল ৯৮২ দশমিক ৭৭ একর জমিতে উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয়ে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
চীনের রপ্তানি-আমদানি ব্যাংক প্রকল্পটির জন্য ১ দমমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। কোম্পানিটি ২০১৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ধরনের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্বের ত্রয়োদশ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সপ্তম।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্ল্যান্টের জন্য ব্যবহৃত আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির লক্ষ্য সরকারের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবেশ রক্ষা করা।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে পরীক্ষা চালানোর পর, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
২০২০ সালের অক্টোবরে, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে ৬৬০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হচ্ছে। এটির একটি ৭৬ দশমিক ৩০ একর ডাম্পিং জোন রয়েছে, যেখানে ২৫ বছরের মূল্যের উপ-পণ্য রাখা যেতে পারে।
কারখানাটি বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করছে। এর নিজস্ব জেটি রয়েছে যার পরিবাহক বেল্ট একই সময়ে চারটি জাহাজ থেকে প্রতি ঘন্টায় ৩ হাজার ২০০ টন কয়লা আনলোড করতে পারে।
তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে মাত্র ৩২০০ মেগাওয়াট থেকে ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।
ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১.৩১ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ প্রায় ১০ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা বেড়ে ১ কোটি ৩১ হাজার ৬২১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, খেলাপি ঋণ তিন মাস আগের তুলনায় ৯ শতাংশ এবং এক বছর আগের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্ত্বেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে, যা চ্যালেঞ্জিং এবং চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।।
তিনি বলেনম ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে, যখন দুর্বল ব্যবসার কারণে ব্যবসায়ীকেরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা থেকে বিরত ছিল।
আরও পড়ুন: ৭৫ হাজার কোটি টাকার কম রাজস্বে বাড়বে বাজেট ঘাটতি: সিপিডি
মহামারি চলাকালীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণের নিয়মিত পরিশোধের ওপর একটি স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিল, যা বিপুল সংখ্যক ঋণগ্রহীতাকে খেলাপি হতে সাহায্য করেছিল।
স্থগিতের সুবিধা প্রত্যাহারের পর, খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত বছরের ডিসেম্বরে ১ দশমিক ২০ লাখ কোটি টাকার বেশি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, একদল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হয়ে যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে।
তিনি বলেন, সুশাসনের অভাবে কিছু সংগঠিত গোষ্ঠী তাদের সামর্থ্যের চেয়ে বেশি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছে, যা খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি কর থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত কর আদায় করা যাবে: সিপিডি
আসন্ন বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) বাতিল হওয়া মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান এর রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফরুল্লাহ ও বিচারপতি বশিরউল্লার দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এক আদেশে আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেওয়ার এবং তাকে প্রতীক দেওয়ার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেন।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এসএম মুশফিকুর রহমান।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী মুশফিকুরের হাইকোর্টের আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমার মক্কেলের যে ভুলের কারণে প্রার্থীতা বাতিল করেছিল রিটার্নি অফিসার তার বিরুদ্ধে আমার মক্কেল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আপিল করেছিলেন, সেখানেও আমার মক্কেলকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। আজ (রবিবার) আদালত আমার মক্কেলের অধিকারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
কেসিসি নির্বাচন: ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
করোনা: ৭৩ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
দেশে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৭৩ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৯৭১ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: ৬১ জন আক্রান্ত, মৃত্যু নেই
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ছয় হাজার ২১২ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৮ জন করোনা আক্রান্ত
রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা চালানোর জন্য সদস্য দেশগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার এবং তহবিল দিয়ে গাম্বিয়াকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার ওআইসি মহাসচিব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ওআইসি সদস্য দেশগুলোকে এই মামলায় তাদের পক্ষে যোগদান করার জন্য এবং ওআইসির তৈরি এই তহবিলে সমর্থন দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এই মামলাটি আমাদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
তিনি বলেন, গাম্বিয়া বড় বা ধনী দেশ নয়; তবে তারা অনেক প্রচেষ্টা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসি মহাসচিব এবং গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ওআইসি তৈরি তহবিলের জন্য সমর্থন চেয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একটি যৌথ চিঠি পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, সোমবার ওআইসি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: ওআইসি মহাসচিব ঢাকায় পৌঁছেছেন
মোমেন বলেন, ‘তারা (ওআইসি) একটি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। আগামীকাল তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।’
তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা সংকট এবং মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ওআইসি মহাসচিব বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা হল ওআইসি'র জন্য একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার বিষয়।’
সদস্য দেশগুলোতে শান্তি স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হিসেন ব্রাহিম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য আমরা আমাদের ধন্যবাদ জানাতে এখানে এসেছি। এই রোহিঙ্গারা কষ্ট পাচ্ছে। তারা শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নত জীবনের দাবিদার।’
সফরকালে ওআইসি মহাসচিব আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) চ্যান্সেলর হিসেবে ওআইসি মহাসচিব ৩০ মে অনুষ্ঠিতব্য আইইউটির ৩৫তম সমাবর্তনে যোগ দেবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং
জীবন উৎসর্গকারী ৫ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে জাতিসংঘের সম্মাননা
১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত, ব্যবস্থাপনা কঠিন বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ঢাকা মহানগরীর পর দেশে সবচেয়ে বেশি রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে। জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরও সহস্রাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের আশ্বাসে সন্তুষ্ট নয় রোহিঙ্গারা
নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় ওয়াসার পানি সঠিক ব্যবস্থাপনায় ধরে রাখা গেলেও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পানি সরবরাহের ব্যবস্থা খুব কম। ফলে তারা বিভিন্ন গর্ত থেকে পানি সংগ্রহ এবং অনেক সময় পানি খোলা পাত্রে রেখে দেয়। এ ছাড়া তাদের সচেতনতার বিষয়টি আরও কম।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জনগোষ্ঠী বেশি হলেও সেখানে জায়গা রয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জায়গায় কম মানুষ বেশি। ফলে সেখানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে ১ হাজার ৬৬ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় যেখানে ঘনবসতি বেশি সেখানে মশার উপদ্রব বেশি। তবে নির্দিষ্ট করে কোনো এলাকায় সবচেয়ে বেশি সেটি বলা এই মুহূর্তে কঠিন। রোগীদের তথ্য যাচাই করে তারপর বলা যাবে। আমরা পুরো ঢাকা শহরকেই বিবেচনায় নিচ্ছি। আমাদের কাজ রোগী ব্যবস্থাপনা। ডেঙ্গু কোথায় বেশি এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের।
রোগী জটিলতার ব্যাপারে অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন বলেন, ঢাকা শহরে অপরিকল্পিত নগরী গড়ে উঠছে। ঠিক ব্রাজিলের মতই। ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই আমরা প্লাটিলেটকে সামনে আনি। অথচ এটি সেভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের উচিত সচেতনতায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও সন্ত্রাস ঠেকাতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ডেঙ্গু: আক্রান্তের হারে ঊর্ধ্বগতি, হাসপাতালে ভর্তি ৬৭ জন
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হারে ঊর্ধ্বগতি হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আক্রান্তের হারে ঊর্ধ্বগতি, হাসপাতালে ভর্তি ৮০ জন
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২০৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ১৮০ জন ঢাকায় এবং ২৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭৭১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ১৭৭ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৫৪৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৯৮৭ জন ঢাকার ও বাকি ৫৬২ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৪ জন
ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ৩ রোগী হাসপাতালে
রোগীর পেট থেকে বের করা হলো ১৫টি কলম!
সিরাজগঞ্জে আব্দুল মোতালেব নামে এক মানসিক রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করলেন শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
শনিবার (২৭ মে) বিকালে কোনোরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করে আনা হয়।
সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান এক এক করে ১৫টি কলম বের করে আনেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ১১ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
মানসিক রোগী আব্দুল মোতালেব বেলকুচি উপজেলার খুকনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন এবং কলম কুড়িয়ে আস্ত গিলে ফেলতেন।
ওই হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব সম্ভবত পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর সময় কলম কুড়িয়ে তা গিলে ফেলতেন।
এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অনেকগুলো কলম দেখতে পেয়ে তা বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোনোপ্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পেট থেকে কলম বের করা এটিই বাংলাদেশে প্রথম ঘটনা বলে দাবি করেছেন ওই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশেই এখন অত্যাধুনিক এন্ডোস্কোপি মেশিনের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার না করেই পিত্তথলি ও কিডনির পাথর অহরহ বের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ সব রোগের চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে এখন আর বিদেশে যেতে হবে না।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু