বাংলাদেশ
দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।
তিনি বলেন, মোট ধান উৎপাদনের মধ্যে বোরো উৎপাদন হয়েছে ২০১ দশমিক ৮৬ টন, আউশ ৩০ দশমিক ০১ টন এবং আমন ১৪৯ দশমিক ৫৮ টন।
সোমবার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত ২০২১-২২ অর্থবছরে দেওয়া তথ্যানুযায়ী মোট ৩৯২ দশমিক ৩১ টন চাল ও গম দেশে উৎপাদিত হয়েছে। এরমধ্যে চাল ৩৮১ দশমিক ৪৫ টন এবং গম ১০ দশমিক ৮৬ টন।
মন্ত্রী বলেন, বিবিএস কর্তৃক পরিচালিত গৃহস্থালি আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস ২০২২) অনুযায়ী মানুষের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম। যার মধ্যে চাল ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম এবং গম ২২ দশমিক ৯ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা চালের মান নিয়ে কোনো আপস হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
সে অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ টন (চাল ২০৩ দশমিক ৯৪ লাখ টন এবং গম ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ টন); যা মোট খাদ্য উৎপাদনের তুলনায় কম।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ বিবেচনায়, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৭১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন (আনুমানিক)। এ বিবেচনায় দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ টন।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের আগের প্যাটার্ন বজায় থাকলে দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। [সূত্র: ২০২২ সালের আদমশুমারি বিবিএস]।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২২-২৩ অর্থবছরে ২০২৩ সালের ৪ জুন পর্যন্ত সরকার ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম আমদানি করেছে; অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ টন গম; অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে (৪ জুন ২০২৩ পর্যন্ত) সরকারি খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ লাখ টন (১৩ দশমিক ৮৩ লাখ টন চাল ও ৩ দশমিক ৬১ লাখ টন গম)।
আরও পড়ুন: সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চায়: খাদ্যমন্ত্রী
টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন: খাদ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই হাত হারানো শিশুকে দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়: হাইকোর্ট
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারানো ঢাকার ধামরাইয়ের বর্ণমালা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. শেখ সাদিকে কেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মো. শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এছাড়া সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কারাগারে ‘চিকিৎসক নিয়োগ বিধিমালা’ চূড়ান্তে ১ মাস সময় দিলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মো. শেখ সাদি ধামরাই বর্ণমালা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। গত বছরের ১৫ জুলাই দুপুর ১২টার সময় মো. শেখ সাদি ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। সে গোসল করার জন্য পুকুরে ঝাঁপ দেয়, এসময় পানির ওপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে তার উভয় হাতে আগুন ধরে যায়। তার চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠান।
তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তার জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক শেখ সাদির উভয় হাত কাঁধ থেকে কেটে ফেলে দেয়। দুর্ঘটনাস্থলে ও তার আশপাশে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের তার ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। স্থানীয় লোকজন অনেকবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধামরাই জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ওই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
আরও পড়ুন: অর্পিত সম্পত্তির তদারকি-লিজের ক্ষমতা ডিসিদের: হাইকোর্ট
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ধামরাইয়ের অবহেলায় শেখ সাদি তার উভয় হাত হারিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোনোভাবেই ঘটনায় দায়দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।
মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, গত ২ মার্চ শেখ সাদির বাবা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন করে। কিন্তু কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ মে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে শেখ সাদির চিকিৎসা খরচ বাবদ বিশ লাখ টাকা, দুর্ঘটনার কারণে যন্ত্রণা ও দুভোর্গের জন্য দশ লাখ টাকা, কর্মক্ষমতা হারানো বাবদ এক কোটি বিশ লাখ টাকা বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে শেখ সাদির চিকিৎসার সকল খরচ বহন এবং ভবিষ্যতে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। পড়াশুনার জন্য বিশেষায়িত সুবিধা এবং ভবিষ্যতে শেখ সাদিকে পুনবার্সনের ব্যবস্থা করারও দাবি করা হয়েছে এই রিটে।
আরও পড়ুন: তাফসির আউয়ালকে বিদেশ যেতে বাধা না দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে আগামী ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য দুই দিনব্যাপী ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে।
স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টায় ফ্লাইটটি জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত
১৪ জুন ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডি হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনের একটি কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
কল-অনের পর বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’-এর প্লেনারিতে ভাষণ দেবেন।
সেখানে পৌঁছনোর পর তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন এডিজি এবং আইএলওর আঞ্চলিক পরিচালক। এছাড়া গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার থাকবে।
তিনি মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তার সদর দপ্তরে ডিজি আইএলও কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজে যোগ দিবেন।
১৫ জুন তিনি ডব্লিউইএফ’র অফিসে ডব্লিউইএফ’র এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরে 'এ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ'-এ যোগ দেবেন।
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: মাথা উঁচু করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায়, ডব্লিউটিও ডিজি ড. ওকোনজো-ইওয়ালা হোটেল প্রেসিডেন্ট উইলসনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় জেনেভা ত্যাগ করবেন এবং ১৭ জুন ভোরে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বনেতাদের আলোচনার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।
এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিবে। আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি যেটি গঠন করে।
ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, পানামার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী এবং বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন।
দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন আরও টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকাকে তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।
এটি অংশগ্রহণকারীদের সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে তা প্রদর্শন করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করবে।
এছাড়া তারা সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আশা করা হচ্ছে যে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয়তা এবং কৌশলগুলোর অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামে আলোচনাকে অবহিত করবে।
যেমন ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন জি২০ এবং ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।
শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, জাতিসংঘমহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দিবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় খেলাধুলার আরও ব্যাপক প্রসার করুন: প্রধানমন্ত্রী
বৃহত্তর বৈশ্বিক স্বার্থে বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখুন: জি২০ সভায় মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের সম্মেলনের (ডিএমএম) বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থে বহুপাক্ষিকতার প্রকৃত চেতনাকে সমুন্নত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
সোমবার নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি বার্তা অনুসারে, মোমনে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর সামনে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের ওপর জোর দেন এবং বাস্তবায়ন, অর্থায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায়ে উন্নত দেশগুলোর সমর্থনের আহ্বান জানান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির পক্ষে সোচ্চার ছিলেন: মোমেন
জি২০ দেশগুলোর পাশাপাশি অতিথি দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী/মন্ত্রীরা এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে প্রাথমিকভাবে বহুপাক্ষিকতা, এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি এবং সবুজ উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।
মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট এবং ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ মিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও অর্জন তুলে ধরেন।
তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ জয়শঙ্করের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের বিষয় এবং আগামী দিনে ঘটতে পারে এমন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মোমেন জি২০ মিটিং সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য এবং ভারতের জি২০ সভাপতিত্বে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য ভারতের প্রশংসা করেন।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে গৃহীত বিভিন্ন অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
মোমেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ মালিকি বিন ওসমান এবং ইউএসএআইডির উপ-প্রশাসক ইসোবেল কোলম্যানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মোমেন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি লোক নিয়োগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে হবে: মোমেন
ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে তার বৈঠকে মোমেন বাংলাদেশ এবং ইউএসএআইডির মধ্যে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের কথা তুলে ধরেন।
উভয় বৈঠকেই তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য সমর্থন চেয়েছেন।
বারাণসীতে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মন্ত্রীদের এ সম্মেলনে অর্থনৈতিক মন্দা, ঋণ মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, দূষণ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও অসমতা, খাদ্য ও জ্বালানির নিরাপত্তাহীনতা, বিশ্বব্যাপী সরবরাহ-শৃঙ্খল ব্যাঘাত, ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা, জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট প্রভৃতির কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, জি২০ উন্নয়ন মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকটিকে এসডিজি’র অর্জনকে ত্বরান্বিত করার জন্য পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মিলিতভাবে একমত হওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখা হয় এবং উন্নয়ন, পরিবেশ ও জলবায়ুর মতো বিষয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করার পাশাপাশি ব্যয়বহুল বাণিজ্য শর্ত এড়িয়ে চলার সুযোগ হিসেবে দেখা হয়; যা উন্নয়নশীল দেশগুলোর অগ্রগতিকে বাধা দেয়।
ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিট অনুসারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ভারত আয়োজিত হয়েছিল এবং বারাণসী বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো নিউইয়র্কে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনেও অবদান রাখবে।
বৈঠকে দুটি প্রধান অধিবেশন থাকবে, একটি ‘মাল্টিলেট্যারালিজম: কালেক্টিভ অ্যাকশনস ফর অ্যাসসিলেরেটিং প্রোগেস টুয়ার্ডস এসডিজিস’ এবং আরেকটি ‘গ্রিন ডেভেলপমেন্ট: এ লাইফ (লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট) অ্যাপ্রোচ’ বিষয়ক।
৬-৯ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ এবং চূড়ান্ত ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (ডিডব্লিউজি) সভার আগে উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠক হয়েছিল।
প্রতিনিধিদের বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম বারাণসীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের আভাস দেওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী এবং ভ্রমণেরও আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে ফিরলেই রোহিঙ্গারা সুন্দর ভবিষ্যৎ পাবে: মোমেন
আইনজীবীদের আন্দেলনের নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের’ আত্মপ্রকাশ
আইনের শাসন, গণতন্ত্র, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ফেরানো, সার্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আইনজীবীদের মর্যাদা রক্ষায় দেশব্যাপি একটি বৃহৎ পরিসরে আন্দেলনের জন্য সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন মতাদর্শের আইনজীবীরা মিলে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠন করেছে।
সোমবার দুপুরে বিপুল সংখ্যক আইনজীবীর উপস্থিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট (ইউএলএফ)’ নামে এই নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরুর ঘোষেণা দেওয়া হয়।
নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
আরও পড়ুন: খোকন-কায়সারসহ ২৪ আইনজীবীর আগাম জামিন
যুগ্ম আহ্বায়ক গণফোরাম নেতা সিনিয়র ও আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।
৩৬ সদস্য বিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ, এ. এম. মাহবুব উদ্দীন খোকন, জগলুল হায়দার আফ্রিক, গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, গরীব এ নেওয়াজ, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী কায়সার কামাল, সদস্য কে. এম. জাবির, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বদরুদ্দোজা বাদল, আব্দুল জব্বার ভূইয়া, শাহ আহম্মেদ বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, ড. গোলাম রহমান ভুইয়া, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, শফি উদ্দিন ভূইয়া, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, সমন্বয়কারী সৈয়দ মামুন মাহবুব, গাজী কামরুল ইসলাম সজল এ.বি.এম. রফিকুল হক তালুকদার রাজা প্রমুখ।
কমিটির সকল সদস্য সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং স্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সমস্ত বার সমূহকে স্বাধীন রাখার জন্য আইনজীবীদের নির্দলীয় প্লাটফর্ম প্রয়োজন।
সেই লক্ষ্যেই গঠিত হয়েছে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট। সুপ্রিম কোর্ট বার ও সারা দেশের বারগুলোতে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে বারের সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, সাবেক নির্বাচিত নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন জেলা বারে গণতন্ত্রকামী আইনজীবী সংগঠন সমূহ এবং বিশিষ্ট আইনজীবীগণ একাধিকবার পারস্পারিক মতবিনিময় করেন।
সেই মতবিনিময় সভাগুলোতে সকলেই একমত পোষণ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সমস্ত বার সমিতি সমূহকে সরকার সমর্থিত আইনজীবীদের সৃষ্ট অশান্ত এবং চরম নৈরাজ্য থেকে উত্তরণের জন্য আইনজীবীদের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, সৌহার্দ এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের অস্তিত্ব অক্ষুন্ন রাখা।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর: ২৫ আইনজীবীর আগাম জামিন
আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ মোর্চার তিন দফা লক্ষ্য সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিচার অঙ্গণের দুর্নীতির মূলোৎপাটনসহ সারা দেশের সমস্ত আইনজীবী সমিতিসমূহ যেন স্বাধীন ও নির্ভীকভাবে আইনজীবিদের সম্মান ও স্বার্থসংরক্ষণের জন্য সারা দেশব্যাপী আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত করবে।
দ্বিতীয় দফায় বলা হয়েছে, দেশের আইন অঙ্গণের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং কোনো অবস্থাতেই যাতে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুপ্রবেশ না করতে পারে এবং দেশের সকল বারে যাতে বহিরাগতদের প্রবেশ না হয়। সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা।
তৃতীয় দফায় বলা হয়েছে, যেহেতু গত ১৫, ১৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বারে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই সাংবিধানিক সংকট পূরণের লক্ষ্যে বারের সদস্যরা গত ৩০ মার্চ সংবিধানের ১৭(৩)(এ) অনুযায়ী তলবী সাধারণ সভার মাধ্যমে একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি ঘোষিত হয়।
সেই সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যারিস্টার এম. আমির-উল-ইসলাম। সংবিধান অনুযায়ী এই কমিটি হচ্ছে বারের কমিটি। ইউএলএফ এই কমিটি অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টবারের কমিটির সব ধরনের কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করবে।
এছাড়াও প্রত্যেক বার সমিতিতে যাতে আইনজীবীগণ সুষ্টভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক বারে ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নুল আবেদীন বলেন, বিনা বিচারে শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং ভিন্ন মতের জন্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ গণতন্ত্রকামী বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেরকে বছরের পর বছর কারাগারে অহেতুক আটক রাখা হয়েছে, যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, আমরা সাংবিধানিক শাসন এবং সংবিধান বিরোধী এই ধরনের জুলুম-নির্যাতন এর বিরুদ্ধে আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলবো। শুধু সুপ্রিম কোর্ট বার নয়, সারা দেশে পর্যায়ক্রমে আইনজীবীদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় করা, সমস্ত জেলা বারগুলোতে সফর এবং বৈঠক যার মূল উদ্দেশ্য সমৃদ্ধ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ যৌক্তিক গণমুখী আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইনজীবীদের বৃহত্তর আন্দোলনের লক্ষ্যে প্রত্যেক বারে ইউএলএফের কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: সুশাসন নিশ্চিত করতে আইনজীবীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারেন: রাষ্ট্রপতি
৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
রবিবার (১৮ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬-১১ মাস বয়সী ১ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসি ১৮ শতাধিক কেন্দ্রে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে
সোমবার (১২ জুন) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩’- উপলক্ষে আয়োজিত কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি এবং সাংবাদিক ওরিয়েন্টশন সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্তকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ১ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৫০ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ৩ হাজার ৬৫৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এবার জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ১ লক্ষ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন 'এ' (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ (২ লাখ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ডা. শামসুল কবির সভায় জানান।
সভায় জাতীয় পুষ্টি সেবা (এনএনএস) এর লাইন ডাইরেক্টরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, গালর্স গাইড-রোভার স্কাউট-রোটারী ক্লাব, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রকল্প (ইউপিএইচসিএসডিপি), আবু মিয়া ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, মা ও শিশু উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও হেলথ্ সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রাম (এনএইচএসডিপি) এবং ইউনিসেফ এর প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন নিশ্চিত করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
৪০ বছর পর ১৫ একর জমি উদ্ধার করলো ডিএসসিসি
যমুনা নদী প্রকল্প নিয়ে করা রিট খারিজ
যমুনা নদী ছোট করার জন্য নেওয়া প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
যমুনা নদী ছোট করা হচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানানোর পর সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছিলেন অরবিন্দ কুমার রায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছে, ভবিষ্যতে যে প্রজেক্ট নেওয়া হবে সেখানে যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যাতে নদী ছোট করা না হয়। ভবিষ্যতে কোন পক্ষই আর সাহস পাবেনা নদী ছোট করার।
এর আগে রবিবার যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা নেই বলে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন দিয়ে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে এই বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যমুনাকে ছোট করতে চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে।
এজন্য তারা ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয় এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বেলকুচিতে অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনের কারাদণ্ড
আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
জাপান থেকে আসা দুই শিশুর বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের আপিল শুনানি ঢাকা জেলা জজ আদলতেই হবে। এই আদালত পরিবর্তন করে তার আপিলের শুনানি হাইকোর্টে করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ইমরান শরীফের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী।
শিশুদের জাপানি মায়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
পরে শিশির মনির জানান, আপিল বিভাগ নির্দেশ দিয়েছিলেন ৯০ দিনের মধ্যে ঢাকা জেলা জজ আদালতে আপিল নিষ্পত্তি করতে। কিন্তু ইমরান শরীফ আপিল কোর্টে মামলা পরিচালনা না করে জেলা জজ আদালতের পরিবর্তে হাইকোর্টে আপিল শুনানি চেয়ে আবেদন করেন, যা খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ জুন ঢাকা জেলা জজ আদালতে আপিল শুনানির জন্য দিন ঠিক করা আছে। সেই আদালতেই আপিলের শুনানি হবে।
দুই শিশুর মধ্যে এখন বড়জন মায়ের কাছে ও ছোটজন বাবার সঙ্গে রয়েছে।
এর আগে গত ৯ মার্চ জাপান থেকে আসা দুই শিশুর জিম্মা নিয়ে ইমরান শরীফের আপিল তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ঢাকার জজ আদালতকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনিরের তথ্যমতে, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো এবং বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিনজন সন্তান জন্ম নেয়।
তারা হলো- জেসমিন মালিকা, লাইলা লিনা ও সানিয়া হেনা। তিন মেয়ে টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি ইমরান তার স্ত্রী এরিকোর সঙ্গে ডিভোর্স আবেদন করেন।
এরপর ২১ জানুয়ারি ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তার মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে। পরে স্কুলবাসে বাড়ি ফেরার পথে বাস স্টপেজ থেকে ইমরান তাদের বড় দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
ওই ঘটনার চারদিন পর ২৫ জানুয়ারি ইমরান তার আইনজীবীর মাধ্যমে এরিকোর কাছে সন্তানদের পাসপোর্ট হস্তান্তরের আবেদন করেন। কিন্তু এরিকো তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর মধ্যে ২৮ জানুয়ারি এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে তার সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। আদালত ৭, ১১ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক সাক্ষাতের আদেশ দেন। ইমরান আদালতের আদেশ ভঙ্গ করে মাত্র একবার মায়ের সঙ্গে দুই মেয়ের সাক্ষাতের সুযোগ দেন।
একই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ইমরান তার মেয়েদের জন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন করেন এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন পাসপোর্ট নেন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
পরে ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন।
তিনি ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে তাদের সমঝোতায় আসতে বলেন উচ্চ আদালত। কিন্তু ওই দম্পতি সমঝোতায় না আসায় কয়েক মাস ধরে শুনানির পর হাইকোর্ট একই সালের ২১ নভেম্বর দুই সন্তানকে বাবার হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত দেন। পাশাপাশি মা যাতে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বাবাকে খরচ দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিশুদের মা নাকানো এরিকো। পরে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুই মেয়ে কার জিম্মায় থাকবে, তার নিষ্পত্তি হবে পারিবারিক আদালতে এবং এর আগ পর্যন্ত দুই শিশু তাদের মায়ের কাছেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত দেন আপিল বিভাগ। তাই আপিল বিভাগ থেকে মামলাটি পারিবারিক আদালতে আসে।
শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান শিশুদের জিম্মা চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে রায় দেন।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে পরদিন ইমরান শরিফ আপিল করেন।
আরও পড়ুন: জাপানি দুই শিশু থাকবে বাবার হেফাজতে: হাইকোর্ট
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮০
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যুর সংখ্যা দুই।
এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮০ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৫০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ৫২৮ জন ঢাকায় এবং ১২২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩ হাজার ৩৯০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৫৬২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৮২৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২ হাজার ৭১৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ২ হাজার ১২ জন ঢাকার ও বাকি ৭০২ জন অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৮৯
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৬
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৪০
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ১৪০ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪০ হাজার ৬১০ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৭
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৭০ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত আরও ৬৮ জন
দেশে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৭৫