বাংলাদেশ
দেশে আরও ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত নেই
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে একজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং আট জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৯২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৭৩ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৪৮ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৮৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪৫২ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪৩৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত নেই
দেশে আরও ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এ বছর অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সারাদেশে নির্মাণাধীন ৫৬৪টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ইতোমধ্যে ৪ দফায় ২০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মসজিদে নামাজ আদায়ে যেসব নির্দেশনা ফের দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়
উদ্বোধনকৃত মডেল মসজিদসমূহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪ টি মসজিদের মধ্যে চার দফায় ২০০ টির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পেল ৬৫ শিশু-কিশোর
বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
ঈদকে সামনে রেখে ঢাকায় বেড়েছে মাংসের দাম
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে গরুর মাংস ও সব ধরনের মুরগির মাংসের দাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে এবং সব ধরনের মুরগির দাম ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে মাংসের দাম কমবে: সাঈদ খোকন
ঈদে গরুর দাম ও বহন খরচ বেড়েছে দাবি করে ঢাকার বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়েছে কসাইরা।
হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা ও বাসাবোসহ বিভিন্ন কিচেন মার্কেটে ঘুরে দেখা যায়, বুধবার প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও কসাইরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা (গড়) বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে হাতিরপুল এলাকার কসাই রতন বলেন, রমজানের প্রথম থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত কেজি ছিল ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ঈদের আগে মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে যায়।
এছাড়া গরুর দাম বেশি এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রামপুরার গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিবও একই কথা বলেছেন।
এছাড়া প্রতি কেজি মাটন বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।
গরুর মাংস কিনতে হাটে আসা শান্তিনগরের বাসিন্দা ইয়াকুব জানান, প্রতিদিনই দাম বাড়ছে। ‘রমজানের শুরুতে আমি এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় কিনেছিলাম। আজ (বৃহস্পতিবার) ৮০০ টাকায় কিনেছি। আমাদের বলার কিছু নেই।’
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের মুরগির ব্যবসায়ী সোহাগ বলেন, ‘গতকাল বুধবারও ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি) যা আজ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা।’
মোরগ (সোনালী) ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সোনালী (মোরগ) মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৩৬০ টাকায়।
লেয়ার (লাল) প্রতি কেজি সাদা লেয়ার ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, যা বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
তবে ঈদুল ফিতর উদযাপনে নগরবাসী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সবজির দাম কমেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ঈদ উপলক্ষে বেড়েছে গরু-মুরগির মাংসের দাম
করোনাভাইরাস ঢাকায় বাড়িয়ে দিয়েছে মাংসের দাম
৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
দিনাজপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নাটোর জেলায় বৃহস্পতিবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনসহ ৯ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে পার্ক করা ট্রাকে বাসের ধাক্কায় চারজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন জানান, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাসটি থেমে থাকা ট্রাককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও অপর দুইজন আহত হয়।
এদিকে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন-জেসমিন সাদিয়া (২৮), তার দুই মেয়ে শাফা (১১), সামিহা (৭) এবং বিল্লাল বেপারী (৪০)।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উচিৎপুরে বৃহস্পতিবার একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে চারজন বহনকারী থ্রি-হুইলারের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-পার্বতীপুর উপজেলার শংকরের ছেলে উত্তম (৩৫), উত্তমের স্ত্রী পল্লবী (৩২) ও তাদের ৯ বছরের ছেলে অর্ণব (৮) এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুরের পলাশ মহন্তের ছেলে মহন্ত (৮)।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, সকাল ১১টার দিকে বাসটি একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় থ্রি-হুইলারকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই শিশু নিহত হয় এবং চারজন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে উত্তম ও তার স্ত্রী পল্লবীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান এবং অন্য দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে সদর উপজেলার ভেষজ চিকিৎসককে (কবিরাজ) দেখাতে সিকদারহাটে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিবারটি।
এছাড়া দুর্ঘটনার পর দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরেকদিকে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার জগদীশপুরে রাত ১২টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে সাধনপুর পঙ্গু নিকেতন কলেজের ছাত্র ইমন হোসেন (১৯) নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
৭১-এ গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক আয়োজিত ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরে এসেছে।
এ বিষয়ে অত্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য নিম্মরূপ-
জাতীয় গণহত্যা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলদেশ মিশন কর্তৃক আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীটি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং প্রতিষ্ঠানটির সকল নিয়ম মেনেই আয়োজন করা হয়েছে।
অতএব ‘নিয়ম না মেনে বা ইতিহাস বিকৃত করে প্রদর্শনী আয়োজন করায় জাতিসংঘ প্রদর্শনী বন্ধ করে এবং বিতর্কিত ছবিগুলো নামিয়ে ফেলে’ বলে যে দাবী করা হয়েছে তা সত্য নয়, বরং নিতান্তই বানোয়াট।
১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর এবারই প্রথম জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকার শহীদদের সম্মানে এ ধরণের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২৯ মার্চ প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন।
তিন দিনব্যাপী চলা এই প্রদর্শনী ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
ঐতিহাসিক এই আয়োজন সফল করতে সকল সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মিশন ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।
৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হলো জাতিসংঘ বাংলাদেশ
রমজান মাস উদযাপনকারী সকলেই পুরো মাস দিনের বেলা রোজা রাখেন এবং সন্ধ্যায় ইফতার গ্রহণ করেন। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেভাবে রোজা ভাঙতেন, রোজা পালনকারীগণ সেভাবে তিনটি খেজুর খেয়ে চিরাচরিতভাবে তাদের রোজা ভেঙ্গে থাকেন। তারপর বিভিন্ন রকম খাবার সহযোগে ইফতারির পালা, পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে ফল এবং বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি শরবতের মিষ্টি পানীয় ইফতার টেবিলের একটি অভিন্ন পরিবেশনা।
কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী আব্দুল্লাহ, সায়মা, আয়েশা এবং অন্যান্য অনেক শিশুর নিকট রমজান মাস হলো প্রার্থনা, রোজা পালন এবং পিয়াজু, ছোলা, জিলাপি, ইত্যাদি সহযোগে চিরাচরিত 'ইফতারি'র মাস। কিন্তু সবসময় এই ইফতারগুলোও তাদের খাবার টেবিলে স্থান পায়না।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতিসংঘ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে একটি সুন্দর সন্ধ্যা কাটানোর লক্ষ্যে বের হন। এই টিম ইফতারের জন্য ৫০০ খাবার প্যাকেট ও উপহার বাক্স শিশুদের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে কড়াইল এতিমখানা, গাবতলী, কমলাপুর ও সদরঘাট - ঢাকা মহানগরীর এই চারটি স্থানে যান ।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘ইফতারের সময় এই শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় আমাদের সহানুভূতি ও সহায়তা শিশুদের কতটা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সন্ধ্যার ইফতার আয়োজনকে একটি বিশেষ মাত্রা দেয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের জাতিসংঘ সংস্থাসমূহ ও জাতিসংঘ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে ঢাকা: ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব।’
যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কিছু স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের ভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অব্যাহত গণতন্ত্রের কারণে চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে এবং দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এভিয়েশন খাতে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।
তিনি বলেন, গত মার্চে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা টেকসই উপায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪০ হাজার শিশুর জন্ম হওয়ায় রোহিঙ্গার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাংলাদেশের ওপর বিশাল বোঝা বাড়িয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
শেখ হাসিনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব ভুগছে। আমরা সবসময় যে কোনো যুদ্ধের বিপক্ষে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যা এভাবেই সমাধান করেছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
শোলাকিয়ায় চলছে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের প্রস্তুতি
ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাতের জন্য মোটামুটি প্রস্তুত করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।
ঈদের জামাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পূর্বের চেয়ে দেড়গুণ বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মুসল্লিদের সঙ্গে মোবাইল ও ছাতা নেওয়ার ওপর দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সকাল ১০টায় শুরু হবে ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল ফিতরের নামাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরকে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম, ময়মনসিংহ র্যাব-১৪’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, র্যাব- ১৪ (সিপিসি- ২) কিশোরগঞ্জের ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, শোলাকিয়া ঈদগাহে জঙ্গি হামলার সতর্কতা হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি পাঁচ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়াও মাঠে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হবে।
তিনি আরও বলেন যে এ কাজে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিয়ন সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে। কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভির্য্যের মধ্য দিয়ে ১৯৬তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত করতে পারব।
ঈদের জামাতে বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন মাওলানা সোয়াইব বিন আ. রউফ।
ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, এর মধ্যে চারটি পুলিশের ও দু’টি র্যাবের। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বোম ডিসপোজাল টিম, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম, মাইন ডিটেক্টর ইউনিটসহ পুলিশের অন্যান্য টিম কাজ করবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, মুসল্লিদের দেহ তল্লাশির পাশাপাশি একমাত্র জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া আর কোনো কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে আসার বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকবে।
এদিকে শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১ ভৈরব থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়, আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায়, ভৈরব পৌঁছাবে দুপুর ২টায়। শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২ ময়মনসিংহ থেকে ছাড়বে সকাল পৌনে ৬টায়, কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮টায়; আবার কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায় এবং ময়মনসিংহে পৌঁছাবে বিকাল ৩টায়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী ও এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। ওই জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। এরপর থেকে আমরা সব সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি ও করছি।
তিনি আরও বলেন, এবার পূর্বের চেয়ে দেড়গুণ বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ঈদগাহ ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসবেন পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হবে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে আসতে হবে। সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। আমরা কোনো হুমকি মনে করছি না।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪’র অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, স্নাইপার, ড্রোন ক্যামেরা, দু’টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে শতাধিক র্যাব সদস্য মোতায়ন থাকবে। তারা দুই থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কাজ করবেন। জঙ্গি হামলার কোনো থ্রেট বা হুমকি নেই বলেও তিনি জানান।
দীর্ঘদিনের রেওয়াজ অনুযায়ী ঈদের জামাত শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট পূর্বে তিনটি, তিন মিনিট পূর্বে দুইটি এবং এক মিনিট পূর্বে একটি শটগানের গুলি ফুটিয়ে আওয়াজ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে ৯ দিন বন্ধ থাকবে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর
বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়লেও দেশে তীব্র লোডশেডিং
বিদ্যুতের উৎপাদন আরও বাড়লেও এখনও দেশে ব্যাপক লোডশেডিং চলছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত দেশে মোট ১৫ হাজার ৬৪৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে, যা আগের দিনের রেকর্ড ১৫ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াটকে ছাড়িয়ে গেছে।
১৬ হাজার ৯৬ মেগাওয়াটের বিপরীতে চাহিদা মেটাতে দেশকে ৪২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হতে হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎ শিল্পের অনেক অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি মনে করেন, দেশে আসলে আরও বেশি লোডশেডিং হয়েছে, এমনকি তা এক হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি।
আরও পড়ুন: রেকর্ড তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন, তবুও বাড়ছে লোডশেডিং
তারা বলছেন, উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সারাদেশে ব্যাপক লোডশেডিং করতে বাধ্য করেছে।
বিপিডিবি জানায়, মোট উৎপাদনের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ছয় হাজার ২৫২ মেগাওয়াট, তরল জ্বালানি চালিত কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজার ৫৯৩ মেগাওয়াট, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট, জলবিদ্যুৎ থেকে ৭০ মেগাওয়াট, ভারত থেকে এইচভিডিসির মাধ্যমে আমদানি করে ৯২৩ মেগাওয়াট, ত্রিপুরা থেকে ১৪২ মেগাওয়াট এবং আদানি গ্রুপ থেকে ৭৪৪ মেগাওয়াট উৎপাদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় প্রকৌশলীকে ‘হুমকি’, থানায় জিডি
নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৩টি বাড়ি ও ৮টি গরু
ঢাকার নবাবগঞ্জে বুধবার ভোরে অগ্নিকাণ্ডে আটটি গরু পুড়ে মারা গেছে এবং পুড়ে গেছে তিনটি ঘর।
বাড়ির মালিক মিনাতি তালুকদারের পরিবার জানায়, আগুনে প্রায় ১৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নবাবগঞ্জ থানাধীন ইয়ানরাইল ইউনিয়নের দক্ষিণ কিরাঞ্চি গ্রামের বাড়িতে আগুন লাগে এবং আশপাশের তিনটি বাড়ি ও একটি গোয়ালঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরুকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আগুনে আরও আটটি গরু দগ্ধ হয়েছে।
স্বামী মারা যাওয়ার পর মিনাতি তার ১৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে উপজেলা পরিষদ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।