বাংলাদেশ
রংপুরে দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে তরুণীর লাশ উত্তোলন
দাফনের সাড়ে ছয় মাস পর আদালতের আদেশে এক তরুণীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকালে নগরীর খাসবাগ এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ ওঠায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মৃত বর্ষা হোসাইন বর্না (২০) ওই এলাকার বেলাল হোসেনের মেয়ে। বর্না আউট সোর্সিংয়ের কাজ করতেন।
তার মা শাহিনা বেগম ও বাবা বেলাল হোসেন দুই সন্তান বর্ষা ও বাঁধনকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
পুলিশ জানায়, বর্নার সঙ্গে একই এলাকার রিপন মিয়ার ছেলে জিয়াদ হোসেনের (২৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের কথা বলে বর্নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় জিহাদ। এতে বর্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি জিয়াদ ও তার পরিবারকে জানানো হলে তারা বর্নার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলে। কিন্তু বর্না রাজি না হওয়ায় তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। একপর্যায়ে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে আত্মহত্যা করেন বর্না।
এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়।
পরবর্তীতে রংপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছয় জনকে আসামি করে বর্নার মা শাহিনা বেগম মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-জিয়াদ হোসেন, ছবি বেগম, মনি বেগম, সিরাজউদ্দিন, সাজু মিয়া ও মো. রিফাত।
এদিকে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে ১২ জানুয়ারি পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এসময় সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মলিহা খানম ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুরের সিআইডির পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষকের লাশ উত্তোলন
প্রেমিকার বাড়ির সামনে মৃত্যুর ৩৬ দিন পর প্রেমিকের লাশ উত্তোলন
বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটির নানাবিধ প্রকল্পে উপকার পেয়েছে ৩ লাখ মানুষ
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি ২০২২ সালে বাংলাদেশে ১৮০০ উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এতে উপকৃত হয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সোমবার কাতার চ্যারিটির বাংলাদেশ অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
কাতার চ্যারিটি গতবছর ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন খাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে লবণাক্ততাপ্রবণ উপকূলীয় এলাকায় ৫৪২টি গভীর নলকূপ, সোলার চালিত ওয়াটার পাম্প এবং আরও প্রযুক্তির ওয়াটার পিউরিফায়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট-২ প্রকল্পের উদ্বোধন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসান ও আর্থিক স্বনির্ভরতামূলক খাতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৫০ টি প্রকল্প। বছরব্যাপী জরুরি ত্রাণ, ইফতার, যাকাত ও কোরবানি প্রজেক্টে উপকৃত হয়েছে ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষ।
এর বাইরে কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশের তিন হাজার ২০০ এতিম শিশুকে দিচ্ছে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা। কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য অব্যাহত রয়েছে খাদ্য সহায়তাসহ নানা রিলিফ কার্যক্রম।
এছাড়া গতবছর কাতার চ্যারিটির সহায়তা পেয়েছে প্রায় দুই লাখ শরণার্থী।
ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় গত বছর এই সংস্থাটি ১৮৫ টি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেছে।
গত ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য পুরস্কার পেল র্যাবের কুকুর
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইউজিসি
ভোলায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযোগে নারী গ্রেপ্তার
ভোলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বছর বয়সী এক শিশুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে শিশুটির বাবার করা মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মোসা. হালিমার (৩৫) বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চাচড়া গ্রামে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরিকালে নারী আটক
এর আগে রবিবার মধ্যরাতে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর উদ্ধার হওয়া শিশু রিহানকে তার বাবা- মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোলা শহরের কালিনাথ রায়ের বাজারের বাসিন্দা মো. হাছনাইন ও তামান্না দম্পতির এক বছর বয়সী শিশু রিহান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে রবিবার বিকালে তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির পর থেকে গ্রেপ্তার হালিমা শিশু রিহানের রুমের পাশে ঘোরাঘুরি করে এবং তার মায়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুর মাকে মৃত রোগীর লাশ দেখার কথা বলে কেবিনের বাইরে পাঠিয়ে রিহানকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। রিহানের মা ফিরে এসে ছেলেকে না পেয়ে চিৎকার করলে হাসপাতালকর্মীদের সহায়তায় পুরাতন ভবনের নিচতলা থেকে শিশু রিহানসহ হালিমাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকালেই তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চুরি হওয়া শিশুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হালিমাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এবং আদালতে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতাল থেকে ৩ দিন বয়সী শিশু চুরি, নারী আটক
ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরি
জামিন পেলেন মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির পর এবার তার স্বামী রকিব সরকারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মারামারি মামলায় জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রকিব সরকারের আইনজীবীরা গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নিয়াজ মাখদুম এর আদালতে তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে হুইল চেয়ারে চড়ে স্বামী রকিব সরকারের সঙ্গে আদালত প্রাঙ্গনে আসেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরব থেকে অবতরণের পর ঢাকা বিমানবন্দরে মাহিয়া মাহি গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসানুল হক বলেন, রকিব সরকারের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে দুই মামলায়ই তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত শনিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। একই মামলার আসামি তার স্বামী রকিব সরকার সেদিন দেশে না এসে পরদিন রবিবার সকালে দেশে ফেরেন।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়িয়ে তিনি সোমবার তার স্ত্রী মাহিয়া মাহিকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে যান জামিন নিতে।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর মাহি বলেন, আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অনন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।
রকিব সরকারের আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার বলেন, রকিব সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলাসহ দুইটি মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। পরবর্তী পুলিশ প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত এই জামিন বহাল থাকবে।
তিনি আরও জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ২৪ এপ্রিল। আর অপর মামলাটির দিন ধার্য হয়েছে ২৫ মে তারিখে।
পুলিশের দেয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের দায়ের করা মারধর, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় নায়িকা মাহি ও তার স্বামী আসামি হয়েছেন।
মাহিয়া মাহি সৌদি আরবের মক্কা থেকে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে পুলিশ কমিশনারের দেড়কোটি টাকা লেনদেনের কথা বলে পুলিশ বিভাগ, পুলিশ কমিশনার ও তার পারিবারিক ভাবমূর্তি ও মর্যাদা দারুন ভাবে ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছেন জিএমপি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইউজিসি
জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ক্রটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিদ্যমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভর্তিতে বিগত বছরের জটিলতাগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এবং ভর্তি কীভাবে আরও সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় দেশবাসী আমাদেরকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছে। তারা বলেছে এটি একটি ভালো পরীক্ষা পদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছুহটার বা বের হয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ভালো ও সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হয় সেজন্য উপাচার্য ও ভর্তি সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্টদের অল্প সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ক্লাস শুরু করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেশবাসীকে চমৎকার একটি ভর্তি পরীক্ষা উপহার দেয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু
বসবাসযোগ্য ঢাকার জন্য নাগরিকদের সচেতনতা জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত ঢাকা শহরের জন্য সবার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা জরুরি।
তিনি বলেন, সেজন্য নীতি নির্ধারক ও নগর পরিকল্পনাবিদসহ সমাজের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। এছাড়া সবাইকে বসবাসযোগ্য ঢাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
সোমবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’- শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোনো পরিকল্পনা বা জননীতি বাস্তবায়ন করতে গেলে যখনই তা কারও স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় তখন সেই পরিকল্পনার বিপক্ষে তিনি অবস্থান নেন। এই ধরনের মানসিকতা কমিউনিটির সবার মঙ্গলের জন্য পরিহার করতে হবে।
এ সময় মন্ত্রী ঢাকা ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দায়িত্ব পালন করেছেন সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে।
ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বসবাসের স্থান, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, সবুজ ও জলজ এলাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভালো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজসহ সবার এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভিতরে জনসংখ্যা কত হবে, তাদের জন্য কি কি নাগরিক সুবিধা প্রয়োজন তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।
আরও পড়ুন: সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ঢাকাকে বাসযোগ্য ও টেকসই করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, যেখানে পাঁচ হাজার লোকের নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা আছে সেখানে যদি ২০ হাজার লোক বসবাস করে তাহলে কিভাবে বসবাসযোগ্যতা বজায় থাকবে। এই বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর হওয়ায় এই শহরের ওপর চাপ কমাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাকে পৃথিবীর আর কোনও শহরের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ ঢাকায় ঢুকছে; তাতে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সবুজ এলাকা রক্ষা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ সময় মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়ছে জানিয়ে বলেন, উন্নত বিশ্ব প্রতিশ্রুত আর্থিক অনুদান ছাড় না করার কারণে বাংলাদেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রায় যেতে পারছে না।
মন্ত্রী রাজধানীর খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে বলেন, জলবদ্ধতা দূর জরার জন্য তার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের ফলে রাজধানীবাসী আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিতে আছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা যার যার দায়িত্ব পালন করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে।
নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে কাজ করলে জাতির পিতার সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারব।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খাঁন, ইউএসএইড বাংলাদেশের অফিস অব ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মোহাম্মাদ এন. খান।
আরও পড়ুন: তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এতে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার।
পশ্চিমাদের অবশ্যই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে হওয়া পাক গণহত্যার কথা স্বীকার করতে হবে: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যেসব দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা স্বীকার করছে তাদের এটাও স্বীকার করতে হবে যে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে গণহত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই এই দেশগুলোর কাছে এ বিষয়টি উত্থাপন করব।
সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘রিকগনিশন অব বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১’- শীর্ষক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু জাতিসংঘে ইতোমধ্যে একটি গণহত্যা দিবস রয়েছে, তাই দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বসম্প্রদায় ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে জাতিসংঘের গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না।
বিষয়টিকে জটিল আখ্যায়িত করে শাহরিয়ার আশা প্রকাশ করেন, সরকারিভাবে সেসব দেশের স্বীকৃতি না পেলেও বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের কাছ থেকে স্বীকৃতি পাবে।
সরকার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার জন্য জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের জন্য তার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, যা বিশ্বের অন্যতম জঘন্য অপরাধ।
আওয়ামী লীগ সরকার ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
২০১৭ সালের ২০ মার্চ প্রস্তাবটি করা হয়েছিল।
এর আগে একই বছরের ১১ মার্চ সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দিবসটি পালনের প্রস্তাব পাস হয়।
২০১৭ সালের মার্চ মাসে সংসদে উত্থাপিত হওয়ার পর থেকে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার হিসেবে ছিল।
সরকারের প্রচেষ্টা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কারণ জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যার অপরাধের শিকার এবং এই অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক স্মরণ ও মর্যাদা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সরকার সর্বোচ্চ সংখ্যক দেশের কাছ থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি চায়।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, কিন্তু দ্রুতই গণহত্যার বিষয়টি বিস্মৃত হয়ে যায়।
২৫শে মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগের জন্য জাতির চিরন্তন স্মারক এবং এটা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।
২৫ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে যান।
সেই রাত থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের স্থানীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী পরবর্তী ৯ মাসে সারা দেশে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে: আইজিপি
পুলিশের আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, পুলিশ হত্যার আসামি ও কথিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুবাইয়ে অবস্থানরত আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ বদ্ধপরিকর: আইজিপি
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে, তার যে নামে আমরা অভিযোগপত্র দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এটা ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছিনা তদন্তের স্বার্থে।’
দুবাইয়ে এক ঝাঁক তারকা আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন যাওয়া প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, তারা বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতেই পারেন, এরপরও পুলিশ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখছে।
নায়িকা মাহিয়া মাহির গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। তবে আমি নিশ্চিত করতে চাই কারও বিরুদ্ধে অন্যায় হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ সাহাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরাভ খানকে চেনেন না, দাবি সাবেক আইজিপি বেনজীরের
নির্বাচন কমিশনের দেয়া দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ পুলিশ: আইজিপি
ইউসেপ বাংলাদেশের কোয়েস্ট-২ প্রকল্পের উদ্বোধন
ঝরে পড়া শিক্ষার্থী ও অনগ্রসর তরুণদের মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে কোয়েস্ট-২ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ইউসেপ বাংলাদেশ।
সোমবার (২০ মার্চ) মিরপুরের ইউসেপ বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয়ে ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্প কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্র্যান্সফরমেশন (কোয়েস্ট)-২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. মো. আবদুল করিম।
প্রধান অতিথি অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার ১৯৭২ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষার প্রসারে অসামান্য অবদানের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
তিনি নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবকদের জীবন উন্নয়নে সামগ্রিক কার্যক্রমের জন্য ইউসেপ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর অর্থায়নে ইউসেপ বাংলাদেশের গৃহিত প্রকল্প ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্রান্সফরমেশন’ (কোয়েস্ট) প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো-অনগ্রসর পরিবার, মেয়ে, প্রতিবন্ধী মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সংস্থা হিসেবে ইউসেপ বাংলাদেশকে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা।
ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার পাইলট প্রকল্পের আলোচনায় ‘সম্পৃক্ত নয়’ ইউএনএইচসিআর
ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক প্রকল্পে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তকরণে একমত ভারত ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজারে প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের সামরিক ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক সাবমেরিন ঘাঁটি চালু হওয়ায় বাংলাদেশের সামরিক ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’- কমিশনিং অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তার সরকার ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নৌ বহরে দুটি সাবমেরিন (বিএনএস নবযাত্রা ও বিএনএস জয়যাত্রা) যুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের তাদের পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি দেশ গড়ার জন্য কাজ করতে এবং সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে দেশ গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। কারণ, আমরা আমাদের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ করার জন্য একটি সুনীল অর্থনীতি কর্মপন্থা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের অনেক সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে হামলা হলে তার সরকার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম হিসেবে গড়ে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যদি বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়ে, এটা মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাহিনী প্রস্তুত করছি’।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে ৪টি ফ্রিগেট, ৬টি করভেট, ৪টি বড় প্যাট্রোল ক্রাফট, ৫টি প্যাট্রোল ক্রাফট এবং ২টি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান, কারণ এই বাহিনী শুধু বাংলাদেশের জন্য জাহাজ নির্মাণই করছে না, বিভিন্ন জলযান নির্মাণ করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও করছে।
পেকুয়া ভেন্যু থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান সাবমেরিন ঘাঁটির কমান্ডিং অফিসার কমডোর এম আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরম্যান (অর্ডার) হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিএনএস শেখ হাসিনার নামফলক উন্মোচন করা হয়।
নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শনিবার