বাংলাদেশ
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া অবৈধ: হাইকোর্ট
ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে পারফরম্যান্স বোনাসের (উৎসাহ ভাতা) দেয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, কোনও বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল-খুশিমতো পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সামসুন নাহার লাইজু।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এ সুস্পষ্টভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও কোনো বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল খুশিমত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে ওয়ায়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে ক্যাব। উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন শুনানি হওয়ার পর যেকোনও সময় রায় দেয়ার কথা ছিল। আজ উচ্চ আদালত বিধি বহির্ভূতভাবে পানির মূল্য নির্ধারণ ও পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও জানান, যেহেতু অন্যায় কাজগুলো আগেই সমাপ্ত হয়েছে তাই সেসব বাতিল না করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু ভবিষ্যতে বিধি ছাড়া যেন পানির মূল্য নির্ধারণ করা না হয় এবং পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। মহামান্য আদালতের কাছে বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় পর্যন্ত জুডিশিয়াল গাইডলাইন করে দেয়ার যে আবেদন ছিল তা আপাতত মঞ্জুর করা থেকে বিরত থেকেছেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে সরকার অনতিবিলম্বে বিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান অসুবিধা দূর করবে।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত বছরের ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ওই রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ হিসেবে প্রণোদনা দেয়ার ওপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কোনো বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণ করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হলে তাতে সাড়া দেননি আদালত। পরে গত বছরের ১১ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে মূল মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী গত ১৬ নভেম্বর ওয়াসার পক্ষে ব্যারিস্টার এ এম মাসুম একটি এফিডেভিট দাখিল করেন।
তাতে বলা হয় ২০১১-২০১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়া হয়। এর মধ্যে ২০১১-২০১২ অর্থবছরে পারফরম্যান্স বোনাস বাবদ দেয়া হয় ২ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ১লাখ ৩৮ হাজার ২১৯, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে দেয়া হয় ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৯২ হাজার ৮১টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দেয়া হয় ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১০ টাকা, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেয়া হয় ৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৭ টাকা, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে দেয়া হয় ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৯হাজার ২৫৩টাকা, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৬২ লাখ, ৪০ হাজার ৫১৫টাকা, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেয়া হয়েছে ১৭ কোটি ৭৮লাখ ৫১ হাজার ৫১৭টাকা।
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ওয়াসা প্রথম ৫টি অর্থবছরে ১টি করে উৎসাহ বোনাস দিলেও; ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৪টি, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪টি এবং ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩টি উৎসাহ বোনাস দিয়েছে। তবে ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে কোনও উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়নি।
ওয়াসার এফিডেভিটে আরও বলা হয়, ওয়াসা আইনের ধারা ২২ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির কারণে কোনও রকমের বিধি প্রণয়ন করা ছাড়াই বোর্ডের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছর ৫শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধি করতে পারে। ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানমালা-২০১০ এর ৩৪(৩) বিধি অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দিতে পারে।
এদিকে সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৫ বার ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় বিধি তৈরি না করেই পানির দাম বাড়ানো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে পারফরম্যান্স বোনাসের নামে টাকা বিতরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে ক্যাব।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিধি প্রণয়ন ছাড়া পানির মূল্য নির্ধারণ ১৯৯৬ সালের ওয়াসা আইনের ২১ ও ২২ ধারার পরিপন্থী।’ আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার পারফরম্যান্স বোনাস ঘোষণা ও বিধি ছাড়া পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা ওয়াসার কর্মীদের উৎসাহ বোনাসে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
ঝালকাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ঝালকাঠিতে বাসের ধাক্কায় স্কুলছাত্রসহ দুইজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নলছিটি উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাকেরগঞ্জ এলাকার মিলন ভট্টাচার্যের ছেলে ও ভুট্টো উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র তূর্য ভট্টাচার্য এবং ভ্যানচালক মো. আকাশ।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, তুর্য তার স্কুলের সামনে ভ্যানচালক আকাশের সঙ্গে কথা বলার সময় পটুয়াখালীগামী একটি দ্রুতগামী বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়।
বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে।
আরও পড়ুন:পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিহত
সিলেটের ওসমানীনগরে পৃথক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ নিহত ২
ডেঙ্গু: দেশে আরও ৩ রোগী শনাক্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্ত তিনজনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ১৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১০ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮৯ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪০৭ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭৬৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৬৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৯৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৫
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৪
জয়পুরহাটে প্রতিবেশীকে হত্যার দায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীকে হত্যা মামলায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আহাম্মদ আলী (৭৪),তার স্ত্রী মিনা বেগম (৬২), তাদের তিন ছেলে আলতাব হোসেন (৪৫), মোন্তাজ আলী (৪১) ও এন্তাজ আলী (৩৫) এবং প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৩)।
জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জয়পুরহাট সদর উপজেলার দেবরাইল গ্রামের আজিজুল তার বাবা ও ভাইদের নিয়ে সাংসারিক আলোচনা করছিলেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই সময় প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীরা (আসামিরা) সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবা ও ভাইসহ আজিজুলকে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ১৭ এপ্রিল আজিজুলের ভাই মিজানুর রহমান মিঠু সদর থানায় মামলা করেন।
হাসপাতালে ২২দিন চিকিৎসা নেয়ার পর আহত আজিজুল মারা যান। ওই মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
মামলায় অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিপি) ও গকুল চন্দ্র মণ্ডল বাদী পক্ষের এবং আ্যাডভোকেট আকতার বানু আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
জয়পুরহাটের ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু
হজের খরচ কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, হজ প্যাকেজের দাম কমানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও আদালতের আদেশের অনুলিপি পাইনি। যদি নতুন কোনও সিদ্ধান্ত হয়, আমরা পরে আপনাকে জানাব।’
তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান প্যাকেজের অধীনে হজের নিবন্ধন আজ শেষ হচ্ছে। ইচ্ছুক হজযাত্রীদের এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে।
রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ানো হবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মতিউল।
১৫ মার্চ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৫৬৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ২৪৬ জন হজে নিবন্ধন করেছেন।
আরও পড়ুন: আজ শেষ হচ্ছে হজের নিবন্ধন
তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য এখনও ২৫ হাজার ৪৮০টি খালি কোটা রয়েছে।
বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে হজ প্যাকেজ খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
চলতি বছর হজের উচ্চ ব্যয় নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা শুনে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালত প্রশ্ন তোলেন যে সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজ করবে।
এতে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?
এ বছর সরকারের দেয়া হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি স্মারকলিপিতে ২০২৩ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে।
প্যাকেজ অনুসারে, একজন ব্যক্তিকে এই বছর হজ করতে ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে; ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: এত টাকা লাগলে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজে যাবে: প্রশ্ন হাইকোর্টের
বেসরকারি হজ প্যাকেজে ন্যূনতম খরচ ৬.৭২ লাখ টাকা: হাব
করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) এর এক যৌথ জরিপে করোনাকালে বাংলাদেশের শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল, তাদের একটি হলো বাংলাদেশ। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
জরিপে দেখা যায়, করোনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা। যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে।
তাছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫ দশমিক ৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।
এই জরিপে বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনা ও ঢাকায় (যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে (৫ দশমিক ৭ শতাংশ)।
সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩ দশমিক ১ শতাংশ) ছিল কম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।’
উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অনান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
জরিপে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরিপটি এক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা আশা জাগিয়েছে।
শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে।
২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে যে, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিয়ের ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কিনা।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
নারী পুলিশ দিয়ে প্রথম ডগ স্কোয়াড পরিচালনা দলের যাত্রা শুরু
অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ পুলিশ বিমানবন্দরের নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সমন্বয়ে প্রথম নারী পুলিশ কুকুর পরিচালনা দল চালু করেছে।
কে-৯ ডগ হ্যান্ডলার কোর্স থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে সাতজন মহিলা এপিবিএন সদস্যকে পুলিশ ডগ হ্যান্ডলার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা পেশাদার কুকুর স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রিসন (ইউকে) এবং মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড) থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। মার্কিন দূতাবাস ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৩-এর কমান্ডিং অফিসার তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কর্তব্যরত অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ২০১৭ সালে দুটি ল্যাব্রাডর, দুটি জার্মান শেপার্ড এবং চারটি ম্যালিনিও কুকুর নিয়ে কে-৯ ডগ স্কোয়াড ইউনিট শুরু করে।
ডগ স্কোয়াড ইউনিট যাত্রীদের চেকিং এবং লাগেজ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ডগ স্কোয়াড গ্রুপে কুকুরের সংখ্যা ৬৬-এ উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রমের কথা বিবেচনা করে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২৩ সালে ডগ স্কোয়াডে আরও পনেরটি কুকুর যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড নাশকতা, মাদক চোরাচালান ও মুদ্রা চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোর উদ্দেশে নারী পুলিশ কন্টিনজেন্টের যাত্রা
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছুই নেই। সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে সমিতির নির্বাচনের বিষয়টির সমাধান করতে বলেছেন।প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে এটা আমাদের বিষয় না। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিচারপতিদেরকে ডেইলি স্টারের একটি ছবি দেখিয়ে বলেছি বাঁশ হাতে ভাঙচুরে জড়িত আইনজীবী বিএনপিপন্থী। তিনি আওয়ামী লীগ পন্থী না। উভয়পক্ষই যখন এমন করে তখন কি করণীয় জানতে চাইলে আমি বলেছি যে মমতাজ উদ্দিন ফকির ও আবদুন নূর দুলাল যখন নির্বাচন করতে গেল তখন বাধা দিচ্ছিল। সেই পর্যায়ে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে। আগের দিনই বারের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। কারণ আগের দিন রাতেই বিএনপি সমর্থক লোকজন ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে, অপর পক্ষ বাধা দেবে; তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।এর আগে
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বুধবার ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা।আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে আজ সকালে তালা লাগিয়ে দেওয়া ও বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো তারা আদালতে তুলে ধরেন। এ সময় আপিল বিভাগের অপর সাত বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান বিচারপতি সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে বেলা ১১টায় তার খাসকামরায় যাওয়ার জন্য বলেন। প্রয়োজনে এ সময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকেও ডেকে নেয়া যেতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আদালতের কাজ করতে দিন। আপনারা দু’জন বেলা ১১টায় খাসকামরায় এসে সব বলেন। আমরা শুনব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেব।’
পরে বেলা ১১টার পরে সমিতির বিএনপি সমর্থক সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়। এরপরই প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় যান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বিএনপিপন্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদিন জানান, আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। আমাদের সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক প্রার্থী তাদের সব বক্তব্য ও অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ সময় প্রধান বিচারপতি সব শুনে বলেছেন যে আমি এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাব।
তিনি বলেন, অতীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতি সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতি ও সম্পাদককে ডাকেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান বিচারপতি বলেছেন তার নাকি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান এই অঙ্গনের অভিভাবকের কাছে এ ধরনের ঘটনার বিচার না পেলে আর কোথায় যাব।
এদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আজও নির্বাচনের বিপক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরাও স্লোগান দিচ্ছেন। পাশপাশি পুলিশের প্রহরায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে এক তরফাভাবে নির্বাচন চলছে।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত আজও ভোট গ্রহণ চলবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ আদালতের
পাকিস্তান ছাড়া কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাকিস্তান ছাড়া বিশ্বের কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে না,যা বিএনপিই নির্লজ্জভাবে বলে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে খাদ্য বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে। এতে তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে আশা নেই জেনেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্বের কাছে রোল মডেলে পরিণত করছেন।
ড. ইউনূসকে নিয়ে ৪০ জন বিশ্বনেতার চিঠি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বাংলাদেশের কথা ভাবে না তাদের নিয়ে আমাদের ভাবার দরকার নেই। তিনি নিজেই আইন লঙ্ঘন করেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার হালুয়া-রুটি বণ্টন করে বিএনপির সৃষ্টি: তথ্যমন্ত্রী
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে অপারেশন, কথিত চিকিৎসকের কারাদণ্ড
বাগেরহাটে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক কথিত চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে নিয়মবর্হির্ভূতভাবে পাইলস ও পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশন করার অপরাধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. দেলোয়ার হোসেনকে।
এসময়, বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রোহান সরকার বলেন, পল্লী চিকিৎকের সনদ নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এই ব্যাক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় চেম্বার খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এর আগেও অভিযান চালিয়ে তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। ওই সনদ দিয়ে তিনি পাইলস, অর্শ, ভগন্দার, গেজ ও নাকের পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশনে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং অপারেশন করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ৩ বালু উত্তোলনকারীর কারাদণ্ড
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড