বাংলাদেশ
বিমানবন্দরে লাশের কফিন বদল: অবশেষে গ্রিস প্রবাসী আফসরের লাশ এলো বাড়িতে
জানাজায় অংশ নিতে তার বাড়িতে এসে জড়ো হয় পুরো গ্রামের মানুষ, লাশ বহনের জন্য প্রস্তুত করা হয় খাটিয়া, দাফনের জন্য খোঁড়া হয় কবর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাফন ও জানাজা হলো না। কারণ, কফিন খুলে জানা যায় লাশটি অন্য মানুষের!
এ ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের পূর্বপাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপীর গ্রামে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে প্রবাসী নিখোঁজ: ১৪ দিন পর লাশ উদ্ধার
দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে গ্রিস প্রবাসী আফসর মিয়া (৪০)। তিনি দীর্ঘদিন গ্রিসে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
ভুল করে আফসর মিয়ার ঠিকানায় আরেক প্রবাসী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির জালাল মিয়ার লাশ পাঠানো হয়।
স্বজনেরা পরে দূতাবাসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ওই লাশ মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর জালাল মিয়ার। পরে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের মাধ্যমে ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কে জালাল মিয়ার লাশ ফেরত দেয়া হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ বিমানবন্দরের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার ভোর রাতে আফসর মিয়ার লাশ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।
এদিন সকাল ১০ টায় দামোধরতপী মসিজেদ জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত ১০ মার্চ আফসর মিয়ার লাশ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। নির্ধারিত তারিখে আফসর মিয়ার স্বজনেরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন লাশ নিতে।
কফিনের গায়ে আফসর মিয়ার নাম দেখে শুক্রবার রাতেই লাশ দামোধরতপী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা। কিন্তু বাড়িতে নিয়ে কফিন খুলে দেখেন লাশ অপরিচিত মানুষের।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, গ্রিসে মৃত্যুবরণকারী আফসর মিয়ার লাশ তার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় গ্রাম্য কবরস্থানে লাশ সমাহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
অবশেষে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে উঠলো নিখোঁজ শিশুর লাশ
রাজধানীতে ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ডিজিটাল সিটিজেনশিপ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার বারিধারায় একটি হোটেলে ডিনেট লেসন লার্ন্ট সেমিনার অন ফস্টারিং রেসপন্সিবিল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ প্রজেক্ট শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ‘ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম’ সেমিনারটি আয়োজনে যৌথভাবে অর্থায়ন করে।
সেমিনারে ‘ফস্টার রেসপন্সিবিল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে গৃহীত বিভিন্ন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক, সচেতনতামূলক ও পরামর্শমূলক উদ্যোগের সফলতা ও শিক্ষণীয় দিকগুলো তুলে ধরে ভবিষ্যতে করণীয় নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন খাতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীসহ আরও অনেকে। তারা বাংলাদেশে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের নানা সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন এবং অনলাইন মাধ্যমকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার বিষয়ে নানাবিধ পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ২ দিন পর ক্লাস শুরু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের দুই দিন পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে আবার ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কেও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন,‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে পরীক্ষায় বসছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ: ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণে ক্যাম্পাসে এলাকাবাসী ও পুলিশ হামলা চালায়। পুলিশ হামলা করলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটের পেছনে ছিল। পুলিশ ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘এখনও অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ক্লাস বর্জন করে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি পালন করছি।’
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন সুপার আব্দুল করিম জানান, রেললাইন অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে রেলওয়ে থানায় ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন পর্যবেক্ষণে প্রতি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ জীবনযাপনের স্বার্থে ঢাকায় সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব ওয়ার্ডে স্থাপনা ও ভবনের পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ও গ্যাস লাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের বাড়ি: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
সম্প্রতি রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব ও গুলিস্তানের সিদ্দকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত রবিবার (১২ মার্চ) এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
নাগরিকদের নিরাপদ জীবন-যাপনের স্বার্থে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রত্যেক ওয়ার্ডের স্থাপনা ও ভবনের সুয়ারেজ (পয়ঃনিষ্কাশন) লাইন ও গ্যাসলাইন নিয়মিত পর্যবেক্ষণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাত দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ কমিটি করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের পর পর্যবেক্ষণে যদি পয়ঃনিষ্কাশন লাইন ও গ্যাস লাইনের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কমিটিকে প্রতি আট সপ্তাহ পর পর এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা সিটিতে অবস্থিত ভবন-স্থাপনাগুলো নিয়মিত তদারকি ও সিটিতে বসবাসকারীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
গণপূর্তসচিব, বিদ্যুৎসচিব, স্থানীয় সরকারসচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর অবহেলা। ঢাকা শহরে থাকা হাজার হাজার স্থাপনা বা ভবনের পয়নিষ্কাশন ও গ্যাসের লাইন তদারকি, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো এ বিষয়ে সক্রিয় নয়। যে কারণে রিটটি করা হয়।
দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডের গ্যাস ও পয়নিষ্কাশন লাইন তদারকির জন্য সাত সদস্যের একটি করে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান এই আইনজীবী।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি থাকবে। আট সপ্তাহ পর অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রধানত শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামো খাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে আরও সহযোগিতা চেয়েছেন।
এডিবি’র প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার নেতৃত্বে একটি পরিদর্শনকারী প্রতিনিধিদল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এই সমর্থন চান।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি প্রধানত শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত বিভিন্ন প্রকল্পে ম্যানিলা ভিত্তিক ব্যাংকের কাছ থেকে আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও মধ্যাহ্নভোজ সংক্রান্ত কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে তিনি এডিবিকে এসব সহায়তার জন্য এগিয়ে আসতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে এডিবি-র একজন সহ-সভাপতি বাছাই করার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিশেষ করে দুঃসময়ে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য তিনি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
এডিবি প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ব্যাংকটি একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে ১৯৭৩ সাল থেকে কাজ করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাবে এডিবি। আগামী দিনে এই অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এডিবি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্খার যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে।
এডিবি প্রধান কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য বজায় রেখে সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, সকালে বাংলাদেশে ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার আলবুলুশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ওমানকে জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করতে বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি উপসাগরীয় দেশকে বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ প্রতি বছর বিদ্যমান এক দশমিক পাঁচ মিলিয়ন টন থেকে আরও বাড়ানোর জন্য বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, ওমান মাছ, মাংস, চাল, শাকসবজি ও পাটজাত পণ্যসহ কৃষিজাত পণ্য আমদানি করতে পারে।
‘আমরা আপনাদেরকে সরবরাহ করতে প্রস্তুত’ উল্লেখ করে তিনি ওমানকে বাংলাদেশ থেকে আইটি বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক ও নার্সসহ দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করতে বলেন।
বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ বাংলাদেশি ওমানে কাজ করছেন।
রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার আলবুলুশি সরকার থেকে সরকার ব্যবস্থার অধীনে ওমান থেকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ওমানের ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে এ বিষয়ে অনুরোধপত্র পাঠিয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
মায়ের মতো মাতৃভাষাকেও ভালোবাসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, আমরা দেশমাতাকে যেমন ভালোবাসি, তেমনি ভাষাকেও ভালোবাসতে হবে। বাংলা ভালোভাবে শিখতে ও ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ভাষার বিকৃতি যেন আমরা না করি। কমপক্ষে আরেকটি ভাষা শিখি। ইংরেজি ভাষা সারা বিশ্বে চলে, সেই ভাষা অন্তত শিখব।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
আর কেউ যদি তৃতীয় ও চতুর্থ ভাষা শিখো, তাহলে তো কথাই নেই। সারা পৃথিবীর দরজা তোমার জন্য খোলা।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন অলিম্পিয়াড ২০২২ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ভাষার শেখার পাশাপাশি তোমাদেরকে আইসিটিও শিখতে হবে। আইসিটিও কিন্তু এখন স্বাক্ষরতার অংশ। এক সময় আমরা শিখতাম ক, খ, এ বি সি এবং এক দুই তিন।
কিন্তু এখন আইসিটির বর্ণমালা শিখতে হচ্ছে। পাশাপাশি তোমাদেরকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং সূক্ষ্ম জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে।
দীপু মনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম। আজকে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পন্নোয়ন দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি। আগামী দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
তার জন্য স্মার্ট নাগরিক লাগবে, আর সেই স্মার্ট নাগরিক হবে তোমরা। তার জন্য তোমাদেরকে সে গুণাবলী অর্জন করতে হবে।
তিনি ছেলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করি তোমরা ছেলেরা নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবে, যাতে তোমরা নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে। তুমি যেমন মানুষ, একজন নারীও মানুষ। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, হাজীগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি
১১ কোটি টাকা ডাকাতি: ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধার, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার গাড়ি থেকে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা ও নেত্রকোনা জেলা থেকে মূলহোতাসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি গোয়েন্দা দল।
তাদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন- মোহাম্মদ হৃদয় (২১), মোহাম্মদ মিলন মিয়া (২৯) ও ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) ফারুক হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির একটি গোয়েন্দা দল রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে এবং নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার ও ৭ কোটি ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানা ডাকাতির ছক কষে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
বর্তমানে পলাতক সোহেল রানা একটি প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি মানি প্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের চালক ছিলেন এবং গাড়ির গতিবিধি সম্পর্কে তিনি ভালোভাবে জানতেন।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
ডাকাত দল ওই দিন কোনো বাধা ছাড়াই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বলেও জানানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে এই চক্রের সদস্যরা সংগ্রহ করেছে। ডাকাতির পর তারা তাদের অংশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আকাশ ও সোহেল টাকার সিংহভাগ নেন।
রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় সাভারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএমে টাকা ভরতে গিয়ে মানি প্ল্যান্ট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকার নগদ টাকা লুট করেছে ডাকাতরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা দলগুলো ঢাকা, এর আশপাশের এলাকা ও সুনামগঞ্জ থেকে আড়াই কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করে এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি
৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ
দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: ‘জাতীয় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ ১৬ থেকে ২২ মার্চ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
এছাড়া জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন
তিনি আরও বলেন, জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।
মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় তিনি বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।
সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি সমস্যা সমাধানে সরকার বদ্ধপরিকর: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুইজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে একজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি একজন ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮৪ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪০৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭৫৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৬৫ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৮৮ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে কারও মৃত্যু হয়নি,আক্রান্ত ৩
ডেঙ্গু: দেশে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
দেশে ৯ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ৯ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৮ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও চার জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ছয় হাজার ৬৯৩ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ৩ জনের করোনা শনাক্ত