বাংলাদেশ
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বা মডেল টেস্টের প্রয়োজন নেই: ডিএসএইচই
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিএসএইচই) স্কুলগুলোকে নতুন পাঠ্যক্রম অনুসারে ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল পরীক্ষা না নেয়ার জন্য বলেছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে ডিএসএইচই।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যক্রম এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা বোর্ড (এনসিটিবি) প্রদত্ত ‘শিক্ষক নির্দেশিকা’ অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ: সিলেট বোর্ডে পরিবর্তন হয়েছে ৫১ শিক্ষার্থীর
এতে আরও বলা হয়েছে, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে এনসিটিবি কর্তৃক নির্দেশিকা পরে জানানো হবে।
এটি শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা/থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের তাদের মনিটরিং জোরদার করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে মানববন্ধন
১৫ মার্চের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই রমজান মাস। কিন্তু তার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি (আইপি) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে রমজানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৫ মার্চের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে নতুন করে কোনও অনুমতি দিবে না। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ সংরক্ষণে আলোর মুখ দেখাচ্ছে ‘এয়ার ফ্লো মেশিন’
এছাড়া আসন্ন রমজানে দেশে পেঁয়াজের সংকট সৃষ্টি হবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে গেলে ভোক্তাদের বেশি দামে কিনতে হবে।
অন্যদিকে সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয়। যার প্রভাব ফেলে সরকার ও ভোক্তাদের ওপর। কিন্তু এবার রমজানে দাম বাড়ার কোন আশঙ্কা নেই। কারণ ভারতে এবার পেঁয়াজের ফলন বেশি হওয়ায় সেখানে দাম তুলনামূলক অনেক কম।
তিনি বলেন, দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে এখনও ১৫-২০ দিন সময় লাগবে এবং দেশি পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রমজানে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এখন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ঠিক এই সময়েই সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রমজানে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে আমদানিকারকদের ভারতে ১০ হাজার পেঁয়াজের এলসি করা আছে।
এছাড়া, ১৫ মার্চের পর আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভোক্তাদেরও রমজানে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের ভোক্তাদের কথা বিবেচনায় রমজান মাসে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা দরকার। আর যদি আমদানির অনুমতি বন্ধ করতে হয় ঈদের পর বন্ধ করা যেতে পারে। তাহলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত থেকে রেহাই পাবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যেসব অনুমতি পত্র (আইপি) দিয়েছে এবং যেসব আইপি দেয়া হচ্ছে সেগুলোর মেয়াদ ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
যদি নতুন করে আইপি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা না আসে তাহলে এরপর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরের মোকামে প্রতি কেজি ভালো মানের আমদানি করা পেঁয়াজ ২৪ টাকা আর দেশিয় পেঁয়াজ ২৬ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভারতীয় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফলতা
হিলির আড়তগুলোতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন উপায়ে পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও বিদ্যুতের দামের মাসিক সমন্বয় নিয়ে সরকার ভাবছে: নসরুল হামিদ
মঙ্গলবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য জমির বহুমুখী ব্যবহার’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে একটি প্রচার কর্মশালার সাইডলাইনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বিদ্যুতের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী রমজানে এ বছর দেশে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে বলে বিদ্যুৎ খাতের অভ্যন্তরীণ সূত্রের পূর্বাভাস।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হলেও প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতির কারণে প্রায় ১২ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
সাম্প্রতিক ডলার সংকটের কারণে সরকার ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে নসরুল বলেন, সরকার এক বছরের মধ্যে প্রায় ১০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার চেষ্টা করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ১৩ হাজার ডিজেলচালিত সেচ পাম্পকে ধীরে ধীরে সৌরচালিত পাম্পে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
তিনি তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
এই সংকটময় সময়ে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সংকটময় সময়ে অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে (বৈশ্বিক আর্থিক সংকট) আমরা হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে অনেক উন্নয়ন অংশীদার তাদের সুদের হার বাড়াচ্ছে, যা বেশিরভাগ প্রকল্পের ক্ষেত্রে উন্নয়ন অর্থায়নকে অকার্যকর করে তোলে।’
শেখ হাসিনা একাধিক অর্থনৈতিক ধাক্কা বা প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত উন্নয়ন অংশীদারদের সহজ শর্তে অর্থায়ন চালিয়ে যেতে হবে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নত দেশগুলোকে এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দাতব্য চায় না, বরং যা প্রাপ্য তা চায়। বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে আমরা আমাদের ন্যায্য অংশ দাবি করছি।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
তিনি বলেন, বৈশ্বিক ব্যবসায়িক অংশীদাররা অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বিধিনিষেধ আরোপ করছে, যা সামগ্রিক সরবরাহ শৃঙ্খলকে আরও ব্যাহত করছে এবং এভাবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দক্ষতা উন্নয়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, আইসিটিভিত্তিক উদ্যোক্তা, মানবসম্পদ ও মানসম্মত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৌশলগত গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি সহজ ও উদ্ভাবনী অর্থায়ন পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এডিবিকে অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সন্তুষ্টির সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে আমাদের কঠিন সময়ে উদ্ভাবনী ও কারিগরি সহায়তায় এডিবি সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং সমাপনী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার ওপর চাপ দিয়ে কোনও কাজ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ড. ইউনূসের পক্ষে ৪০টি নাম ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন কেন: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে বিদেশি সংবাদপত্রে কেন বিজ্ঞাপন দেয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক কাতার সফরের ফলাফল নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবি সম্পাদক ফরিদ হোসেনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না কি উত্তর দেব। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে। যিনি এত নামীদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভারটাইজমেন্ট (বিজ্ঞাপন) দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়।’
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের জন্য ৪০ জন বিশ্বনেতার আবেদনের সমালোচনা মোমেনের
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ জন ড. ইউনূসের পক্ষে কোনো বিবৃতি দেয়নি, এটি ছিল একটি বিজ্ঞাপন। যেখানে আমাদের নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির পক্ষে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আইন আছে এবং সেই আইন অনুযায়ী সবকিছু চলে, ব্যক্তি যেই হোক না কেন। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করি। কারা সঠিকভাবে কর প্রদান করে এবং কর সংগ্রহ করে তা তদারকি করার জন্য একটি পৃথক সংস্থা রয়েছে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেয় তবে আমাদের একটি শ্রম আদালত রয়েছে।
সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন যে এসব বিষয়ে তার কিছু করার নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এর বেশি আমি আর কি বলতে পারি? কিন্তু আমি শুধু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।’
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
১৭ মার্চ জাতীয় পতাকা উড়াতে হবে, প্রজ্ঞাপন জারি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মার্চ) সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ভবনে জাতীয় পতাকা উড়াতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, ‘জাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস' যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ (শুক্রবার) সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতা বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের ষড়যন্ত্রে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার কালো পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি
পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৯ এপ্রিল আদালত এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রেখেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ।
এর আগে দুপুরে একই আদালতে অভিযোগ গঠন বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিকাল চারটায় আদেশের জন্য রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র গ্রহণ
এসময় বাবুল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) প্রশিকিউসনের রুমে বিকালে সাড়ে চার থেকে বিকালে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা আইনজীবীদের সঙ্গে বাবুল আক্তারের বৈঠকের সুযোগ দিয়েছেন আদালত।
জানতে চাইলে পিপি আবদুর রশিদ জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বাবুলসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। অপর দিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে অভিযোগপত্রভুক্ত সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে আসামি বাবুল আক্তার হত্যা করা হয়। বাবুল আক্তার যখন ঢাকায় ছিলেন তখন সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২, ২০১ এবং ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
শুনানীকালে বাদীর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মিতুকে হত্যা করার জন্য কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও মোতালেব মিয়া ওয়াসিম বিভিন্ন সময় বৈঠক করে। মিতুকে হত্যা করার জন্য কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা, এহতেশামুল হক ভোলা ও মোতালেব মিয়া ওয়াসিম পূর্ব থেকে ভাড়া করে ও অস্ত্র সংগ্রহ করে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করেন প্রধান আসামি বাবুল। পরে মিতু হত্যা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তড়িঘড়ি করতে বাবুল আক্তার মামলা করেছিল।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, আমরা এই মামলার অভিযোগ থেকে বাবুল আক্তারের ডিসচার্জ (অব্যাহতি) চেয়ে আবেদন করেছি। এর পক্ষে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালত বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে যাব কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে রাখার একটি আবেদন করা হয়েছিল, আদালত আদেশে বিচারের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছেন। জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
শেখ হাসিনার ওপর চাপ দিয়ে কোনও কাজ হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার ওপর চাপ দিয়ে কোনও কাজ হবে না, কারণ অতীতেও তিনি অনেক চাপ সহ্য করে এসেছেন।
আগামী প্রজন্মের নির্বাচন নিয়ে কোনও আন্তর্জাতিক চাপ অনুভব করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এমন কোন চাপ নাই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক কাতার সফরের ফলাফল নিয়ে সোমবার বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার শক্তির উৎস একমাত্র দেশের জনগণ। তাই যত চাপই দেয়া হোক না কেন, তাতে কিছুই হবে না। জনগণের কল্যাণে যা যা করা দরকার আমরা তা করব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন, আরও ৩০টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এবং অনেক চাপ উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।
এছাড়া একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে একজন ব্যক্তিকে রাখার জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে তিনি অসংখ্য ফোন কল পেয়েছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
তিনি বলেন, কার সঙ্গে আমরা সংলাপ করব? ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা (তাদের সঙ্গে) সংলাপ করেছি। তার ফলাফল কি ছিল?
তিনি বলেন, তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া কিছুই করেনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা (বিএনপি) ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০টি সংসদীয় আসনে ৭০০ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে।
এছাড়া তারা টাকার বিনিময়ে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর তাকে সান্ত্বনা দিতে তিনি খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন, কিন্তু তার (খালেদার) বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী
এরকম অপমান করার পর তাদের সঙ্গে কিসের বৈঠক? এটা পরিষ্কার কথা। এছাড়া যারা ন্যূনতম সৌজন্য জানেন না তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার কী আছে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা এখন আর সফল হবে না।
তিনি বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে কেউ কিছুই করতে পারবে না।
কারণ তারা কিছু সময়ের জন্য কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিন্তু আমাদের জনগণ তা প্রতিহত করবে।
কাতারে সরকারি সফর শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ৪ মার্চ শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি-৫) বিষয়ে জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের দোহা যান।
কাতারে থাকার সময় তিনি এলডিসি-৫ সম্মেলন, বিভিন্ন সাইড-লাইন ইভেন্ট এবং একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: তথাকথিত বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার করে সাফল্য নষ্ট করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৫ জনের পদত্যাগের একদিন পরেইই আরও তিন শিক্ষক তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন শিক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
পদত্যাগকারীরা হলেন-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন দপ্তারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া এবং সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব।
সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, আমি আদর্শিকভাবে নতুন প্রক্টরের বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। তিনি বিএনপিপন্থী মানুষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনে উনার ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার গুঞ্জন রয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে এরকম কাউকে মনোনীত করা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তাই আদর্শগত কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।
তবে অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছে আমি জানি না।
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ড. সুমন বড়ুয়া বলেন, আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। আমার সঙ্গে বাকিদের পদত্যাগের কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার গবেষণা ও শিক্ষার্থীদের সময় দিতে চাই। তাই একটা দায়িত্ব কমিয়ে নিয়েছি।
এর আগে রবিবার (১২ মার্চ) চবি প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরসহ ১৮টি পদ থেকে ১৬ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের পরপরই নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম সিকদারকে।
এছাড়া শিক্ষক হওয়ার এক মাসের মাথায় মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের নতুন প্রভাষক সৌরভ সাহা জয় এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের মোহাম্মদ রোকন উদ্দিনকে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষকদের গণহারে পদত্যাগের বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, তিনমাস আগে থেকে আমি খবর পাচ্ছি, তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করছেন এবং প্রশাসন বিরোধী কথা বলছেন। তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিলো। চেষ্টা করেছি, কিন্তু সবকিছু পূরণ করতে পারিনি। যারা পদত্যাগ করেছে তাদের সবাইকে রবিউল (সাবেক প্রক্টর) নিয়োগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবি প্রশাসন থেকে প্রক্টরসহ ১৭ জনের পদত্যাগ
চবি সিন্ডিকেট নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলের বিজয়
বগুড়া বিশ্ববিদ্যালয়: পুরাতন আইন থাকায় অনুমোদিত খসড়া বাতিল
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে পুরাতন আইন থাকায় ২০১৯ সালে অনুমোদিত এ সংক্রান্ত নতুন আইনের খসড়া বাতিল করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (১৩ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯ এর বিষয়ে মন্ত্রিসভার একটি নীতিগত সম্মতি ছিল। কিন্তু নীতিগত সম্মতি নিয়ে ভেটিংয়ের জন্য এটি লেজিসলেটিভ বিভাগে পাঠানো হয়। পরে দেখা গেছে, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়ে আছে। সে আইনে বলা ছিল-সরকার আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করলে সেটি কার্যকর হবে। কিন্তু আইনটি পাশ হলেও সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর পরবর্তীতে আর কেউ এটি নিয়ে কাজ করেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনও করা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, একই স্থানে ও একই বিষয়ে দুটি আইন থাকার যুক্তিযুক্ত না থাকায় ২০০১ সালের আইনটি কার্যকর রেখে ২০১৯ সালের নীতিগতভাবে পাশ হওয়া আইনটির খসড়া বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুলের মেয়াদ বাড়ল আরও ২ বছর