বাংলাদেশ
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের মাটিতে সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার ওপর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
এই প্রদর্শনীটি বুধবার জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি, জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া কর্মী ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুষ্টিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন
উদ্বোধনী বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
তিনি এই প্রদর্শনীটি সফলভাবে আয়োজন করতে আন্তরিকভাবে সহায়তার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যার ইতিহাস আন্তর্জাতিক সম্পদায়ের মাঝে গভীরভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের আরও জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’
আজকের এই প্রদর্শনী কেবল আমাদের ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করতে সহায়তা করবে না, আগামী দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধ রোধের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ২৭টি আলোকচিত্র সংগ্রহ করে ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর এক বিস্তারিত উপাখ্যান উপস্থাপন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীতে। যা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘হঠাৎ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি প্রায় প্রতিদিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের দুর্ঘটনা দেখতে পাচ্ছেন।’
‘এই সপ্তাহে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গণগুলিতে শিশু নিহত হয়েছে। কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? আমি মনে করি না এই ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নষ্ট করবে।’
নওগাঁ পৌরসভা-চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানাকে(৩৮) র্যাব-৫ এর একটি টহল দল ২২ মার্চ সকালে কাজে যাওয়ার সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ধরে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই দিন পরে, তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ২৪ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
এদিকে মোমেন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে অন্যদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার দরকার নেই।
‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রামে ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। অন্য দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে আমাদের কোনো পাঠের প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন খুবই শক্তিশালী।
যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সমস্যা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের গণতন্ত্র খুবই দুর্বল। তাই তারা দেশে ও বিদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পক্ষে ওকালতি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মৃত সুলতানার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তলব হাইকোর্টের
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দেশে ও বিদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের বিষয়ে আরও সোচ্চার হওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। আমরা এটি সম্পর্কে একই পৃষ্ঠায় আছি। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো গত এক দশকে ব্যাপক সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা ভুয়া ভোটারদের মোকাবিলা করার জন্য ছবিসহ ভোটার আইডি তৈরি করেছি। বিগত ১৪ বছরে নির্বাচন কমিশন হাজার হাজার নির্বাচন পরিচালনা করেছে। তাদের প্রায় সবগুলোই ছিল স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য। এবং ভবিষ্যতেও আমাদের নির্বাচন হবে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য।’
মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন বৈশ্বিক গণমাধ্যমে ‘জাদুকরী’ হিসেবে সমাদৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বিশ্বব্যাপী আমাদের গুরুত্ব বাড়িয়েছে। এবং ক্রমাগত উন্নয়নের কারণে, বিশ্বের অনেক দেশ এখন আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন,‘এই স্বাধীনতা দিবসে এবং রমজানের শুরুতে, আমরা অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছ থেকে অভিনন্দনমূলক চিঠি পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা: নিহত বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮
সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সোমবার এক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৮ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রী নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- নোয়াখালী জেলার সেনবাগের শরীয়ত উল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া ও মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুর জেলার সবুজ হোসেন, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মো. আসিফ ও সাফাতুল ইসলাম, গাজীপুর জেলার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসেন রনি, চাঁদপুর জেলার কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোর জেলার কাওছার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজার জেলার মোহাম্মদ হোসেন, রুহুল আমিন, খায়রুল ইসলাম, তুষার মজুমদার, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আউয়ালের ছেলে সাকিব ও রানা মিয়া।
এর আগে ১৩ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ২৪ ওমরাহ তীর্থযাত্রীর মধ্যে আরও পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের চারটি ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাসটি ৪৭ জন ওমরাহযাত্রীকে মক্কায় নিয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের মধ্যে পঁয়ত্রিশ জন যাত্রী ছিল বাংলাদেশি নাগরিক।
সোমবার (২৭ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে আসির প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রেক ফেইল করার পর বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এবং আগুনে পুড়ে যায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাশ পুড়ে বিকৃত হওয়ার কারণে পরিচয় শনাক্ত করা খুবই কঠিন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সেতুর সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ২০
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার দুই কর্মকর্তা ঘটনার পরপরই এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করার এবং বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছে এবং আহত ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং নিহতদের লাশ দ্রুত দেশে আনতে কাজ করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বুধবার বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা বাড়তে পারে কারণ আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাদেশি নাগরিকদের লাশ যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় প্রায় ২৪ ওমরাহযাত্রী নিহত এবং প্রায় ২৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোক বার্তায় তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সৌদি মিশনের কর্মীদের বাংলাদেশি নাগরিকদের লাশ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় ১৩ বাংলাদেশি নিহত
রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে ও ধর্মের অপব্যবহারের মাধ্যমে মগজ ধোলাই অব্যাহত রাখতেই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বিরোধিতার প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা করা হচ্ছে।
আর আরেকটি পক্ষ রয়েছে, যারা ধর্মটাকে অপব্যবহার করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিরোধিতা করছে।
বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ ও দেশব্যাপী প্রধান শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যেমন ষড়যন্ত্র হয়েছে, তেমনি নতুন শিক্ষাক্রম নিয়েও অনেক বাধা তৈরি হচ্ছে। আমাকে এবং যারা বইয়ের লেখক, জাফর ইকবাল ভাইসহ (শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল) তাদের বেশ কয়েকজনকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই। আমাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার জন্য, আর যে স্বপ্ন নিয়ে এত ত্যাগের বিনিময়ে দেশটি তৈরি হয়েছিল সেই স্বপ্নের জায়টিতে পৌঁছানো জন্য আমাদের যা কিছু এখন করণীয়, তা আমাদের করতেই হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি তো নির্বাচনের বছর, রাজনৈতিক বিরোধিতা তো আছেই। সব দেশেই থাকে, আমাদের দেশেও আছে। আমাদের দেশের ধরনটা হয়তো ভিন্ন, টক্সিট। এখানে (বাংলাদেশে) বিরোধিতা করলে একটি পক্ষ আছে যারা আমাদের পক্ষটাকে নিশ্চিহ্নই করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, কোচিং ও নোট-গাইডের কারণে অনেকে বিরোধিতা করছেন। কোচিংয়ের সব কিছু খারাপ তা তো নয়, কোচিং কথাটাও খারাপ নয়, বাণিজ্য কথাটাও খারাপ নয়, কিন্তু যারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান না করে বাধ্য করেন শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যেতে, সেখান থেকে রোজগারটা করেন অতিরিক্ত। সেখানে সমস্যা।
এছাড়া আরেকটি পক্ষ আছে নোটবই-গাইড বই, তাদেরও ভয় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তো নোট-গাইড বই দরকার হবে না। তাদের ভয়টিও অমূলক নয়, এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে নোটবই-গাইড বই প্রয়োজন হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আরেকটি শ্রেণি আছে, সমাজে যাদের অংশ বিশাল বড়, তারা স্ট্যাটাসকে পছন্দ করেন, অর্থাৎ যা আছি তাই, আমি ছাপোষা মানুষ এর মধ্যেই থাকি কীসের আবার পরিবর্তন। আমরা পরিবর্তন চাই-টাই না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা আস্থা রাখুন এই যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বাচ্চাদের যে পরিবর্তন দেখতে পাবো, আমরা গর্ব অনুভব করবো, দৃঢ় প্রত্যয়ে তা বলতে পারি। আগামী প্রজন্মের প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার যে প্রত্যয় আমাদের দেশটা যেখানে নিয়ে যেতে চাই, সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এই কাজটি করতেই হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
চাঁদপুরে বৃষ্টির সময় খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কিশোরের মৃত্যু
চাঁদপুর শহরে খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন হাফেজ খান (৭৫) নামে আরও এক বৃদ্ধ।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে দিকে সদরের বহরীয়া লক্ষীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রামদাসদী গ্রামের একটি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চরফ্যাশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নিহতরা হলো-গ্রামের আকবর মিজির ছেলে শামীম মিজি (১৩) ও জাহাঙ্গীর খানের ছেলে মিনহাজ খান (১২)।
নিহতরা একই গ্রামের স্থানীয় লালুর দোকান এলাকার বাসিন্দা। তারা দুইজনই পুরান বাজার নুরিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
আহত হাফেজ খান ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, ঝড় তুফান ও বৃষ্টি কমলে মাঠে খেলার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্টের শিকার হন শামীম ও মিনহাজ। এ সময় হাফেজ খান নামের এক বৃদ্ধও আহত হন।
পরে দুই কিশোর গুরুতর আহত হলে তাদের দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ঘোষণার পরপরই স্বজনদের লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে না দেওয়ায় হাসপাতালের স্টাফদের উপর হামলা করে মৃতদের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা। এতে করে হাসপাতালে নিহতদের স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ দ্রুত এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ রশিদ জানান, এখন লাশ থানার হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
কুমারখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লাইনম্যানের মৃত্যু
নিকলীতে আবাসিক হোটেল থেকে যুবতীর লাশ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আবাসিক হোটেল থেকে তামান্না (২২) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে নিকলী উপজেলা সদরের পুরান বাজারে অবস্থিত আওয়ার হাওর প্যারাডাইস নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৬ষ্ঠ তলার একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
নিহত তামান্না কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুর গ্রামের অহিদ মিয়া মেয়ে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়েটির কথিত স্বামী হুমায়ুনকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ। হুমায়ুন একই জেলার কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ তামান্না ও হুমায়ুন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী উপজেলা সদরে প্যারাডাইস আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর রুমে তারা অবস্থান করেন।
বুধবার দুপুরে হুমায়ুন তামান্নাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তামান্নাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া তামান্নার গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে।
পরে, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠায়। এছাড়া কথিত স্বামী হুমায়ুনকে আটক করা হয়েছে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মনসুর আলী আরিফ, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে।
তামান্নার পরিবারকে জানানো হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দিনাজপুরে মিজান হত্যা মামলার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
ওয়াজে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে মাদানীকে জামিন
ভবিষ্যতে কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য না দেওয়ার শর্তে ঢাকা ও গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রফিকুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী মোল্লা।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। এই আদেশের ফলে শিশু বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এসব মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, চার্জশিট, মামলার এজহার যাচাইবাছাই করে আমরা তাকে জামিন দিতে একমত নই।
তবে রফিকুল ইসলাম মাদানী যদি কোনো ওয়াজ মাহফিল বা সভায় রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনবিরোধী, ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান না করার হলফনামা আকারে মুচলেকা দেন, তাহলে আমরা তার জামিন বিবেচনা করতে পারি।
গত বছরের ২৭ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন শর্ত দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হলফনামা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। সম্প্রতি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রফিকুল ইসলাম মাদানী হলফনামায় সই করেন।
হলফনামায় তিনি লেখেন, কোনো ওয়াজ মাহফিলে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী এবং প্রচলিত আইনবিরোধী কোনো বক্তব্য প্রদান করব না। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে ও জনমনে সংঘাতের সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য ওয়াজ মাহফিলে দেব না।
পরে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানালে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামের এক ব্যক্তি মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র্যাব-১ -এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।
২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনওদের উপজেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিধান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হাইকোর্ট
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের খারুয়ামুকুন্দ গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জিয়াদ (১০) ওই গ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
রাওনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, বুধবার সকালে জিহাদ বাড়ির পাশের একটি মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় হঠাৎ বজ্রপাতের বিকট শব্দে অচেতন হয়ে পড়ে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. নাসরিন সুলতানা মুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, শিশুটি বন্ধুদের সঙ্গে খোলা মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়।
পরিবারের আবেদন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বজ্রপাতে শ্বশুর ও জামাইয়ের মৃত্যু
শরীয়তপুরে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত
পিরোজপুরে পানিতে ডুবে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় খালে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলাখালী ইউনিয়নের বর্ডার ব্রীজ খালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুরা হলো-নুর মোহাম্মদ (১১) জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের পুত্র এবং মো. হাসিবুল (১০) ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার ওসমান গণির পুত্র।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী গ্রামে নানা বাড়িতে কয়েকদিন আগে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসে হাসিবুল। দুপুরে হাসিবুল মামা নুর হোসেনের সঙ্গে গোসল করার জন্য বর্ডার ব্রীজ খালে যায়। গোসল করতে গিয়ে অনেক সময় বাড়িতে না আসায় বাড়ির লোকজন খোঁজা-খুজি করার পরে খাল পাড়ে ঘাটের পানির নিচ থেকে তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ভান্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অমিত হাসান বলেন, শিশু দুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সুন্দরবনের বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন আব্দুল ওয়াজেদ
সুন্দরবনের বাঘের মুখ থেকে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বৈশখালী গ্রামের মৃত জব্বার আলী গাজীর ছেলে আব্দুল ওয়াজেদ (৪৫)।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে তাকে নিয়ে লোকালয়ে ফিরেছেন তার ছোট ভাই লিয়াকত হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাছিকাটার দাড়গাঙে কাঁকড়া আহরণের সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন আব্দুল ওয়াজেদ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অর্ধগলিত বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার
আব্দুল ওয়াজেদের ছোট ভাই লিয়াকত হোসেন জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাছিকাটার দাড়গাঙে কাঁকড়া শিকার করছিলেন। হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে একটি বাঘ ভাইয়ের ওপর হামলে পড়ে। এসময় নৌকায় থাকা গরানের লাঠি নিয়ে তিনি উচ্চস্বরে শব্দ করেন এবং সেই সঙ্গে বাঘের চোখে চোখ রেখে মোকাবিলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাঘটি ভাইকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরে তিনি ভাইকে উদ্ধার করে লোকালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
তিনি আরও জানান, ভাইয়ের পিঠ, ঘাড় ও মাথার সামান্য অংশ আক্রান্ত হয়েছে। তাকে এখন বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় একজন জেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছিল। তবে, তার নামে পাস পারমিট ছিল না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি, আটক ১৪
সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক