বাংলাদেশ
জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের দাম কমলেও স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম কমানোর পথে যাবে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসি সম্মেলন কক্ষে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) আয়োজিত ‘এম্পাওয়ারিং বাংলাদেশ’- শীর্ষক একটি প্রকাশনা উন্মোচনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জ্বালানির দামের এই পতনের প্রবণতা কতদিন অব্যাহত থাকবে তা স্পষ্ট নয়। তবে যদি কোনো স্থিতিশীল পরিস্থিতি আসে, তাহলেই সরকার দাম কমিয়ে সমন্বয় করার কথা ভাববে।’
তবে তিনি বলেন, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ছে বলে সরকার ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
এফইআরবি’র সভাপতি শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী এবং সঞ্চালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক ইলাহী বলেন, শিল্প খাতে ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের অগ্রিম চিন্তা থেকে সরকার বিপুল সংখ্যক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা মাথায় রেখে আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি। ’
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেছেন যে ভূগর্ভস্থ পানির উৎস এবং মাটি রক্ষা করার জন্য সরকার উন্মুক্ত কয়লা খনির অনুমতি দেবে না।
আরও পড়ুন: জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি পাইপলাইন: প্রধানমন্ত্রী
ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর সময় অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমা ও তার পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে থাকা ১৩ লাখ ১১ হাজার টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু ও শিশুর পরিবারকে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এ টাকা দিয়েও সঞ্চয়পত্র কিনে দিতে বলেছেন আদালত। সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ দিয়ে শিশু ফাতেমা, তার দুই ভাই-বোন ও দাদীর সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন বলেন, অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ১৩ লাখ ১১ হাজার টাকা ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের কাছে রয়েছে। এ টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে শিশু ফাতেমা, তার ভাই ইবাদত হোসেন ও বোন জান্নাতের কল্যাণে ব্যয় করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া, ট্রাস্টি বোর্ডকেও দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী রাফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিটকারী আইনজীবীকে ট্রাস্টি বোর্ডে একটি আবেদন করতে বলেছেন। আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডকে নিহত রত্না বেগমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক-চাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। এ সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক। পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেখানে নেওয়ার পর জানা যায়, জীবিত আছে নবজাতকটি। পরবর্তীতে যার নাম রাখা হয় ফাতেমা।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
সিলেটে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটের গোলাপগঞ্জে মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম-আতিকুর রহমান রাহেল (৩০)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগমকে (৫০) কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল নামক এক ব্যক্তি।
পরে, তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে গেপ্তার করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ জানান, সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তবে, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খান এর ছেলে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল বাড়ির সামনের গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মা মিনারা বেগম বাধা দেন। এসময় তাদের সঙ্গে ছেলের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে আতিক হোসেন খান উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মায়ের ওপর হামলা করেন।
স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে ছেলে আতিক হোসেন খান ওরফে আতিকুর রহমান রাহেল পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই করিম খান মৃত্যুবরণ করেন। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা মিনারা বেগমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বেগমকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে হঠাৎ আবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছেলের দাফনের পর বাবার মৃত্যু
সিলেটে অটোরিকশা চালকের লাথিতে ক্যান্সার রোগীর মৃত্যু!
জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২: ৩ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান মনোনীত
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ,পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অসামান্য অবদানের জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২-এর জন্য তিন ব্যক্তি এবং দু’টি প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০২২ -এর চূড়ান্ত মনোনয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে যথাক্রমে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবনানন্দ রায় এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ধামরাই, ঢাকা মনোনীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (ড. তুহিন ওয়াদুদ) ব্যক্তি পর্যায়ে পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচার বিভাগে মনোনীত হয়েছেন এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), খুলনা।
পরিবেশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিভাগে ব্যক্তি পর্যায়ে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন সাতক্ষীরার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান ড. এস.এম. মফিজুল ইসলাম।
জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২২ ক্যারেটের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণ,একটি চেক,ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট এবং অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে মৃত সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে যখন ওই নারীকে নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছিল; তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা হয়নি। এর একদিন পর মামলা দায়ের করা হয়। সুতরাং, এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বক্তব্য হলো ওই নারী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ধরা পড়েননি।
দু-একটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যেখানেই এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
নওগাঁ পৌরসভা-চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানাকে (৩৮) ২২ মার্চ র্যাব-৫ এর একটি টহল দল তুলে নিয়ে যায়।
পরে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল এবং তারপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যে মামলাগুলো করা হয়েছে বা করা হচ্ছে সেগুলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্বীকার করি আপনারা নির্ভীক সাংবাদিক। জনগণের কাছে সত্য প্রকাশ করলে সরকার কখনো বাধা দেবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) লোকজন ধরে নিয়ে যায়।
একই দিন দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৮ হাজার ২৩ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৬
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিক শামসকে ছেড়ে দেওয়া হয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গত ২৬ মার্চ প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘এরপর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি মামলা হওয়ার পর তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা হচ্ছে বলে আমরা শুনেছি।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিককে আটক রাখা এবং ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনো তথ্য না পাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল স্পষ্ট করে বলেছি, একটা সংবাদের ভিত্তিতে দুই-একটা মামলা হচ্ছে বলে আমি শুনেছি। কিন্তু মামলাগুলো কোথায়-কখন হচ্ছে সেটার বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে এখন পর্যন্ত নেই।’
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব সাংবাদিক সত্য তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।’
গত ২৯ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকার বাসা থেকে শামসকে সাদা পোশাকে সিআইডি তুলে নিয়ে যায়।
বিকালে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন’ প্রকাশের অভিযোগে শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন যুবলীগ নেতা।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত শামসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ছয়জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বাকি তিনজন দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে আরও ৬ রোগী শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৩ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৪৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪২২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪২১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮১০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪০৩ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪০৭ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে আরও ২ রোগী শনাক্ত
চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার মামলা
চট্টগ্রামে ‘দৈনিক যুগান্তর’- এর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনাল আইনে মামলা করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি করা হয়।
মামলার আসামি করা হয়েছে- দৈনিক যুগান্তরের ঢাকা অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মাহাবুবুল আলম বাবলুকে।
আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হেলাল আকবর বাবর কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক মাহবুব সম্প্রতি ‘দুবাই ফেরত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবর বাহিনীর দাপট, শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল’- শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামস আদালতে
প্রতিবেদনটি তিনি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেন।
প্রতিবেদনে হেলাল আকবরকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার বলে উল্লেখ করা হয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন লিখে ভুক্তভোগীর মানহানি করায় হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনেন বাদী যুবলীগ নেতা।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর ইউএরবিকে বলেন, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে আমার বিরোধ নাই, সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক। যুগান্তরের এই সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে।
তিনি আরও বলেন, তিনি লিখেছেন আমি নাকি সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজ। মামলার আগে তাকে আমি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরও একটি মানহানির মামলা করবো।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠালেন আদালত
চট্টগ্রামে প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৩ জনকে লিগ্যাল নোটিশ
র্যাব হেফাজতে সুলতানার মৃত্যু: কথিত সহযোগী আল আমিন গ্রেপ্তার
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রধান আসামি আল আমিনকে বুধবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার র্যাব-৩ এর সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) ফারজানা হক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৩ এর একটি দল ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আল আমিনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, গত ২৪ মার্চ র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁ ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের একজন ‘সহায়ক’ এই আল আমিন।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘আল আমিন ও তার দলের সদস্যরা রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম সচিব মো. এনামুল হকের একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বেকার যুবকদের সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।’
এতে বলা হয়,পরে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে পারলে তিনি আল আমিন ও তার সহযোগী সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সুলতানা জেসমিনকে গত ২৩ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: জেসমিনকে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে র্যাবের জুরিসডিকশন নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মামলা দায়েরের পর থেকে গ্রেপ্তার আসামিকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় এবং একপর্যায়ে তিনি র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন।
আল আমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আল আমিন একজন মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট। তিনি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে জালিয়াতি করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য একটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না: মোমেন