বাংলাদেশ
রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি ও বইটির সম্পাদনা সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম।
বইটি অনুবাদ করেছেন দুলাল আল মনসুর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে তার এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরও আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমের জামিন বহাল
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে অস্ত্র আইনের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে তার আপিল মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, যারা ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র ও গানম্যান নিয়ে ঘোরেন তাদের বিষয়ে নীতিমালা করা উচিৎ।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
এর আগে হাইকোর্ট ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জি কে শামীমকে ৬ মাসের জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত ১৯ ডিসেম্বর ঐ জামিন আদেশ স্থগিত করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। আইনজীবী কুমার দেবুল দে আপিল বিভাগের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আদালতে আজ জি কে শামীমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল ও জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান। তাদের সহযোগিতা করেন বি এম ইলিয়াস কচি, কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
এই অভিযানেই শামীম এবং তার ৭ দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৩টি মামলা করে র্যাব। এর মধ্যে অস্ত্র ও মুদ্রা পাচার মামলায় সবাইকে আসামি করা হলেও মাদক আইনের মামলায় শুধু শামীমকে আসামি দেখানো হয়। প্রতিটি মামলাতেই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মামলার এক মাসের মাথায় ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় শামীম এবং তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
অস্ত্র মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম অস্ত্র মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন, সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন।
শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় ইইউ প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, আগামী বছরগুলোতে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে তিনি তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
তিনি উল্লেখ করেন, টেকসই উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও অন্যান্য স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে: প্রধানমন্ত্রী
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ২০২৩ সালে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘এটি একটি নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনার আনুষ্ঠানিক সূচনাকেও চিহ্নিত করেছে। যার লক্ষ্য আমাদের অংশীদারিত্বের কাঠামোকে আরো বিস্তৃত ও আধুনিকীকরণ করা।’
প্রেসিডেন্ট বলেন, ইইউ দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের কাঠামোর মধ্যে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখতে এবং এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ যুদ্ধের বিপক্ষে, রক্ষা করা হবে সার্বভৌমত্ব: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও সঙ্গে যুদ্ধে না জড়ানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াব না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪' প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।’
জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছেন ১০৮ জন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২৪ সেশনের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের জন্য ১০৮ জন পরীক্ষার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সকাল ৯টায় প্রথম শিফটের মধ্যে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
বিগত বছরের মতো এবারও শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৫০ হাজার ৫৬ জন প্রার্থী ৬ শিফটে ৪২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বছর মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯১ জন ভর্তিচ্ছু প্রার্থী লড়ছেন মাত্র ১ হাজার ৮৪৪টি আসনের বিপরীতে।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ‘প্রতিটি আসনের জন্য প্রায় ১০৮ জন ভর্তিচ্ছু প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’
ভর্তি ব্যবস্থাপনা কমিটির মতে, ‘ডি’ ইউনিট (বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ফ্যাকাল্টি) সব অনুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন (৬৯ হাজার ৪১৬টি) পেয়েছে।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
এছাড়া ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদ) ৩২১টি আসনের জন্য ১৭ হাজার ৭১৬ জন, ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) অধীনে ৪১২টি আসনের জন্য ৩৯ হাজার ৮৪৫ জন, ‘সি১’ ইউনিট (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব, চারুকলা বিভাগ) এর ৭৭টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ২২৯ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে।
‘ই’ ইউনিটের (বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি) অধীনে ১৬৫টি আসনের জন্য ১২ হাজার ৬৮৩ জন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধীনে ৫০টি আসনের জন্য ৩ হাজার ৫৪৬জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
‘সি’ ও ‘সি১’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি, বি, ই এবং আইবিএ-জেইউ ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘পরীক্ষার আগে আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিক্ষা ছুটি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই ৯ বছর পর দেশে জাবি শিক্ষক
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত
নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাচীন লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তৃতীয়বারে মতো যৌথভাবে মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে। বর্ণীল এই আয়োজনে বিভিন্ন জাতি-বর্ণের মানুষ একত্রিত হয়ে নিজ নিজ মাতৃভাষার জয়গান করেন।
দূতাবাসের এ আয়োজনে ২০টি দেশ সহ-আয়োজক হিসেবে যোগ দেয়। লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের ডিন স্বাগত বক্তব্যে দেন।
চীন, ভারত, ইতালি, ইয়েমেন, পুয়ের্তোরিকো, ইউক্রেন, স্পেন, কসোভো, বলিভিয়া, মরক্কো প্রভৃতি দেশের শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ভাষায় গান, কবিতা, যন্ত্রসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
বিভিন্ন ডাচ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও ডাচ ভাষায় বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা করেন।
বাংলাদেশের শিল্পী তানজিনা তমা এবং বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবারের সদস্যবৃন্দ একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ইশারায় ভাষা শিক্ষার অভিধান’ চালু করল ইউএনডিপি
দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতিতে মাতৃভাষার গুরুত্ব, বহু ভাষাতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন ইউনেস্কো-নেদারল্যান্ডসের চেয়ারম্যান ক্যথলিন ফেরিয়ার এবং নেদারল্যান্ডসের বৈষম্য ও বর্ণবাদ বিরোধী জাতীয় কমিটির সমন্বয়ক রবিন বালদেব সিং।
এছাড়া বহু ভাষাতত্ত্ব এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর আলোকপাত করেন লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ‘এসপ্রান্তো’ ভাষার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতালীয় অধ্যাপক ফ্রেডরিকো গোবো।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, ভাষা আন্দোলনের ৭ দশক পর বাংলাদেশ পৃথিবীর সকল জাতি ও ৭ হাজারের অধিক ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠির সঙ্গে তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ধারণ করার জন্য একাত্মতা প্রকাশ করে। বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে সঙ্গতি, বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ইত্যাদির ধারক ও বাহক।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তাধারার প্রতিফলন হিসেবে দূতাবাস ও লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে সৃষ্টিশীল পোস্টার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যা নেদারল্যান্ডস এ বসবাসরত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ভাষার ওপর এক স্বতঃস্ফূর্ত কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা শিক্ষার মাধ্যম হওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ডাচ-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতণ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন থিংক-ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ আয়োজন বিভিন্ন মহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ইউক্রেন দূতাবাসের উপ-মিশন প্রধান উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাসের এ আয়োজন পৃথিবীর সকল দেশের স্বতন্ত্র ভাষা-সংস্কৃতি, বর্ণ ইত্যাদির ধারণ ও বাহন করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।’
এছাড়া সকালে রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের পরিবার সদস্য, নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দি হেগ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: ৯টি দেশের শিল্পীদের বর্ণাঢ্য অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
স্টেশনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ট্রেনযাত্রীর
ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন এক যাত্রী।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম গোপাল চন্দ্র পাল। তার বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী মহুয়া কমিউটার থেকে নেমে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের ৫নং প্ল্যাটফর্মের পাশে গোপাল গেলে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে একটি ছিনতাইকারী চক্র। কিন্তু নিজের ফোনটি দিতে না চাওয়ায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে গোপালের বুকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায় ছিনতাইকারীরা।
পরে রেলওয়ে পুলিশ গোপালকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক দীপক চন্দ্র পাল বলেন, ছিনতাইকারীরা গোপালের মোবাইল ফোনটি নিতে পারেনি। সেটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিতে বাঁধা দেওয়ার এক পর্যায়ে গোপালকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ মর্গে রয়েছে। যাত্রী নিহতের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
৯টি দেশের শিল্পীদের বর্ণাঢ্য অংশগ্রহণে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২২ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস -এর সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।
টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং ৯টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
এছাড়াও সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশের পররিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং, জাকার্তায় ইউনেস্কোর আঞ্চলিক অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিসেস মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া-এর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন টেলরস ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত। এই পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. ইয়াং হুই , এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অব ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটি (এপিজেএফইএস) এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোরের শিক্ষক গৌথম কুমার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ র ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, ৯টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যগণ এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা প্রদর্শিত হয়।
সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতে দরকার ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে আমাদের ঋদ্ধ ঐতিহ্য। ঢাকার নান্দনিকতা ও ঐতিহ্যের জন্যই ঢাকা বারবার হয়েছে এ অঞ্চলের রাজধানী। ঢাকার মতোই এদেশের প্রতি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা আলাদা কৃষ্টি, সংস্কৃতি ,সৌন্দর্য যা বাংলাদেশকে করেছে ঐশ্বর্য মন্ডিত।’
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে কেরাণীগঞ্জে অধ্যাপক হামিদুর রহমান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আলিয়স ফ্রঁসেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা: জীবন্ত ঐতিহ্য সমূহের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে: নসরুল হামিদ
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, নদী, জীবন-জীবিকা ও শহরের রয়েছে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক। ঢাকার সঙ্গে বুড়িগঙ্গার রয়েছে এমনই একটি আত্মীয়তা। বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই ঢাকা বেড়েছে, বিকশিত হয়েছে। ঢাকার স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহ্য সমন্বিত এবং সম্মিলিতভাবে রক্ষা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই একে ঝুঁকিতে পড়তে দেওয়া ঠিক হবে না।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ফরাসগঞ্জ ছিল ফরাসিদের আবাসস্থল।
মোগল আমলের রূপান্তর এবং আশেপাশের এলাকা সমূহের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির বিবর্তন, আরমানিটোলা পাড়ার আশেপাশের প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর শ্রেণীবিন্যাস, শাখারী কারিগরদের নির্মাণশৈলী ও হারানো কারুকাজ ধরে রাখা , তাতিবাজারের সোনার গহনা নির্মাণ শৈলী, বাংলা বাজারে বই ও বাংলা ভাষা এখনো যেভাবে ধরে রাখা হয়েছে , গোল তালাবের আকারে পুরান ঢাকার ঘন বুননে বিরল মুরুদ্যান, মঙ্গলাবাসরে জমিদারের প্রসারের রূপান্তর এবং পলাশগঞ্জের পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঠের সঙ্গে কাগজের সংযোগের গল্প এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দু-একদিনের মধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়বে: নসরুল হামিদ
এ সময় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন আলিয়াস ফ্রঁসেজ ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক ফ্রান্সিস গ্রজিন।
এই প্রদর্শনীটি ইনএসএ, প্যারিস লা ভিলেট, বুয়েট, ঢাকা, বিভিসিওএ, নাভি মুম্বাই, সি.এ.টি, ত্রিভান্দ্রম এবং মকপো বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্থাপত্যের শিক্ষার্থীদের গ্রুপগুলোর দুই সপ্তাহরে স্থাপত্য বিষয়ক গবষেণার ফলাফল।
তারা পুরান ঢাকার সঙ্গে সর্ম্পকিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান করার জন্য বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করেছেন। এতে যেসব বিষয় সমূহ নিয়ে তারা অনুসন্ধান চালিয়েছেন সেগুলোর মধ্যে ছিল– পুরান ঢাকার বিপন্ন ঐতিহ্য, বৃত্তাকার র্অথনীতি, শহুরে কৃষি, জনসাধারণরে জন্যে স্থান বন্টন পদ্ধতি এবং পুরান ঢাকার করপোরেট সংস্কৃতি।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: নসরুল হামিদএই বেগবান প্রবৃদ্ধির মাঝেই ঢাকা তার স্থাপত্য ও জীবন্ত ঐতিহ্য হারানোর ঝুঁকিতে রয়ছে। পুরান ঢাকা এবং বুড়িগঙ্গা নদীর মধ্যে একটি জটিল সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে-যা এই মাঠ র্পযায়রে কর্মশালাটি এই সম্পর্কটিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। একইসঙ্গে এই শহরের পুরোনো গোলকধাঁধায় এখনও বিকাশমান জীবন্ত ঐতিহ্যেরে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে। ৪৪ জন শিক্ষার্থী এবং ১২ জন পরামর্শদাতার একটি দল পুরোনো শহরের এই দিকগুলোকে চিত্রায়িত এবং নথিভুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করেছেন৷
এই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা দিকগুলো হলো- মুঘল আমলের মহল্লা থেকে বড় কাটরার রূপান্তর এবং আশেপাশের এলাকা সমূহের জন্যে এর একটি অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি হিসেবে রূপান্তর, এই প্রক্রিয়ায় এর আসল কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলা, আরমানি টোলা পাড়ার আশেপাশে প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর শ্রেণিবিন্যাসের গবেষণা, শাঁখারী কারিগরদের কাছ থেকে শাঁখারী চুড়ি তৈরির হারানো কারুকাজ শেখার পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখা, তাঁতী বাজারের সোনার চকচকে এই পাড়ায় নির্মিত ঐতিহ্যকে দ্রুত গতিতে রূপান্তরিত করা, এর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। বাংলাবাজারে বই ও বাংলা ভাষা এখনও যেভাবে ধরে রাখা হয়েছে, গোল তালাবের আকারে পুরান ঢাকার ঘন বুননের বিরল মরুদ্যান, মঙ্গলাবাসরে জমিদারের প্রাসাদের রূপান্তর এবং ফরাশগঞ্জরে পার্শ্ববর্তী এলাকার কাঠের সঙ্গে কাগজের সম্পর্কের গল্প।
প্রদর্শনীটি চলবে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনীটি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নসরুল হামিদ
খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
রাজধানীর মালিবাগের একটি ডায়াগনস্টিক ও চেক আপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিন আইহামের সুন্নতে খতনা চলাকালে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চিকিৎসকরা হলেন- এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব।
হাসপাতালে খৎনা করার সময় জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার অভিযোগে গত রাতে আহনাফ তাহমিন আয়মান মারা যান।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন জানান, নিহতের বাবা ফখরুল আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন চিকিৎসকসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
এদিকে দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও মেডিকেল চেকআপ সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা আহনাফকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। তাকে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরে তার আর জ্ঞান ফেরেনি।
রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মীর মৃত্যু: জামিন পাননি সাংবাদিক আশফাক ও তার স্ত্রী