বাংলাদেশ
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু-কিশোরদের এবং আগত অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাদের বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণে সহায়ক হবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) জনাব নির্ঝর অধিকারী।
বয়স অনুযায়ী শিশু-কিশোরেরা দু’টি গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অংকনের বিষয় ছিল শহিদ মিনার।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি রুট ম্যাপ চূড়ান্ত করেছে, যা ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ৮টা থেকে কার্যকর হবে।
রুটম্যাপ অনুযায়ী, সর্বস্তরের জনসাধারণ পুরনো হাইকোর্টের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল ক্রসিং, বাংলা একাডেমি, টিএসসি মোড়, উপাচার্য ভবনের পাশ দিয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড়, নিউমার্কেট-ক্রসিং পার হয়ে আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর দিকের গেইট দিয়ে কবরস্থানে প্রবেশ করবেন এবং শহীদদের কবর জিয়ারতের পর আজিমপুর কবরস্থানের মূল গেট (দক্ষিণ দিকের) দিয়ে বের হয়ে আজিমপুর সড়ক হয়ে পলাশী মোড় থেকে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনারে যাবেন।
আরও পড়ুন: জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
কবরস্থানে না গিয়ে বিকল্প পথে যারা শহীদ মিনারে যেতে চান তারা উপাচার্য ভবন পার হয়ে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি মোড় থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে (জহুরুল হক হলের পশ্চিমের রাস্তা) সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা হয়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।
নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তা দিয়েও আজিমপুর মোড়, পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
চাঁনখারপুল এলাকা থেকে বক্শি বাজার মোড় হয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়েও পলাশী মোড় হয়ে সলিমুল্লাহ হল ও জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ধরে শহীদ মিনারে যাওয়া যাবে।
টিএসসি মোড় থেকে জগন্নাথ হলের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ শিব বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে শহীদ মিনারে ও মেডিকেল কলেজে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
উপাচার্য ভবন গেট থেকে ফুলার রোড হয়ে ফুলার রোড মোড় পর্যন্ত রাস্তা এবং চাঁনখারপুল থেকে কার্জন হল পর্যন্ত রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের পর সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের সামনের রাস্তা দিয়ে দোয়েল চত্বর ও পেছনের রাস্তা দিয়ে চাঁনখারপুল হয়ে শুধু প্রস্থান করা যাবে, শহীদ মিনারের দিকে আসা যাবে না।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা থেকে ক্যাম্পাস এলাকার অন্যান্য সড়ক বন্ধ থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
যেখানে তারা ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে নেয়া রুটম্যাপ ও সার্বিক প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবির ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য বরাবরের মতো এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং বিভিন্ন উপ-কমিটি নানাবিধ দায়িত্ব পালন পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার শ্রদ্ধা জানানোর পর অন্যান্য সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। এবছর ব্যক্তি পর্যায়ে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা যাবে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, বেদির প্রাঙ্গণ ধুয়ে-মুছে রং করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকাটিকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এবং চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে।
আইন অনুষদের সামনে পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যাতে এলাকা মনিটরিং করতে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায়।
অন্যদিকে, ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে তাদের চিত্রকর্মে তুলির সর্বশেষ আঁচড় দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাবির চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম গত দুই দিন ধরে দেয়ালচিত্র করছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, প্রস্তুতি প্রায় শেষ। বাকি আছে শুধু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের গ্রাফিতি। বাকি অংশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে।
দেশে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৪ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৭ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৮৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৩৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬১ জনে।
এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ৫ জনের করোনা শনাক্ত
শুধু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ বলেন, সীমান্তে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে মাদকের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিজিবি।
তিনি বলেন, তবে শুধুমাত্র আমাদের সীমান্ত দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ করলেই মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ মাদকের চাহিদাও বন্ধ করতে হবে। একটি দেশের সমাজকে ধ্বংস করতে মাদকই যথেষ্ট। সেকারণে মাদকের কুফল সমাজে তুলে ধরতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজিবিতে চাকরির সুযোগ: আবেদন করা যাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি দপ্তরে মাদক ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসব মাদক জব্দ করে বিজিবি।
ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে- পাঁচ হাজার ৭৮১ বোতল বিভিন্ন প্রকার মদ, ২৪৩ কেজি গাঁজা, ১১ হাজার ৭৮৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৭ হাজার ৭৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৫ হাজার ৪৬৫ পিস ভারতীয় অনাগ্রা ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
মাদক ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনূর রশীদ।
এ সময় সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক, অতিরিক্ত পরিচালক অপারেশন মেজর রেজা আহমেদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার, সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার মেজর গালিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক তাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রাইভেটকার থেকে ৯ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ৬টি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করেছে বিজিবি
দেশে ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি দুইজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৫
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৩৫ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৬৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩১৪ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৫০ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৪
দেশে ডেঙ্গুতে শনাক্ত ও মৃত্যু নেই
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর
ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রশ্ন করেন, এই ভাষা আন্দোলনের জন্য বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। তার কোনো অবদান না থাকলে তিনি কেন জেলে ছিলেন?
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ‘আইডিএফ গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে অনুপ্রাণিত করেছিল। অথচ ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আসলে তার (বঙ্গবন্ধুর) নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভাষা আন্দোলনেও তার অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, এমনকি অনেক বিজ্ঞজনও বলেছিলেন যে তিনি (বঙ্গবন্ধু) সেসময় জেলে থাকায় তার কোনো অবদান নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকাকালীন ছাত্রনেতারা তার সঙ্গে দেখা করতেন এবং ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে তার নির্দেশনা নিতেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইগুলো পড়লে এসব তথ্য জানা যাবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন বঙ্গবন্ধু’- বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডের ১১৩-১৩০ পৃষ্ঠা থেকে সুনির্দিষ্ট তারিখ, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়া ছাত্র নেতাদের নাম এবং ভাষা আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
‘অমর একুশে’ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ শিল্পকলা বিভাগে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেয়েছেন।
সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর); আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়; শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান এবং চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর); গবেষণায় ড. মো. আব্দুল মজিদ; শিক্ষায় অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর); সমাজসেবায় মো. সাইদুল হক ও অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর); রাজনীতিতে ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান পুরস্কার পেয়েছেন।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্তকে একটি করে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রশংসাপত্র পাঠ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে একুশে পদক প্রবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে মিয়ানমারের ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক; রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিশাল একটি বোঝা।
তিনি বলেন, 'তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াটা অনিশ্চিত, তাই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য আমি জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের উন্নত জীবনযাপনের জন্য দ্বীপটি সুসংগঠিত ও উন্নত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার, সীমিত আকারে কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে স্থানীয় জনগণকে ছাড়িয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তারা বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের জীবন ও জীবিকার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করেছে। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ মানব ও মাদক পাচার, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জঙ্গি তৎপরতার মতো বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।’
তিনি আরও বলেন,, 'এ অবস্থায় যেহেতু তাদের দেশে ফেরার সুযোগ অনিশ্চিত, তাই তারা ভাসানচর দ্বীপে স্থানান্তরিত হলে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, যেখানে তারা বসবাসের জন্য উন্নত পরিবেশ পাবে।’
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে ভিড় কমাতে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নিয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক সংঘটিত হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আ.লীগ জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে আর বিএনপি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে: প্রধানমন্ত্রী
মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন- ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, হরমুজ আলী ও আব্দুস সাত্তার। পলাতক আছেন ফখরুজ্জামান ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
আরও পড়ুন: প্রেমিকসহ স্ত্রীকে খুন, স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
২০১৫ সালের ১৯ মে জাতীয় পাটির এমপি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে।
আসামিরা হচ্ছেন-এম এ হান্নান, এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান মিন্টু, মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী।
একই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেপ্তার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেপ্তার হন বাকি তিনজন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে উপজাতি তরুণীকে ধর্ষণ, মুদি দোকানিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর মধ্যে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং অপর এক আসামি মিজানুর রহমান মন্টু মারা গেছেন। বাকি জীবিত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন কারাগারে বাকি দুইজন পলাতক রয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এমপি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচার শেষে ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। আর ১৬ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড
অনলাইন প্লাটফর্মে ফারাজ সিনেমাটি প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা নিয়ে ভারতে নির্মিত ফারাজ সিনেমাটি অনলাইন প্লাটফর্মে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার হলি আর্টিসানের ঘটনায় নিহত অবিন্তা কবিরের মা রুবা আহমেদের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জমান ও বিচারপতি মো. বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ এই নির্দেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও আইনজীবী আহসানুল করিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে বৈবাহিক অবস্থা লিখতে বাধ্য করা যাবে না: হাইকোর্ট
২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩’ প্রদান করেছেন।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দেন।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
অভিনয়ে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীতের জন্য মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-ই-খুদা (মরণোত্তর)। আবৃত্তির জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও শিল্পকলার (কলা) জন্য নওয়াজিশ আলী খান এবং ছবি আঁকার জন্য কনক চানপা চাকমা।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি স্বর্ণপদক, একটি পদকের রেপ্লিকা, একটি সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রবর্তিত হয় একুশে পদক।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন