বাংলাদেশ
করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৬
দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ৬ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৮৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪২০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ পাঁচ হাজার ১৬ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে ৯ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে ২ জনের করোনা শনাক্ত
সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা
সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ ঘটা শিরিন ম্যানশনকে 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি’।
সোমবার ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীনের নেতৃত্বাধীন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত আঞ্চলিক কমিটি শিরিন ম্যানশনকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ইতোমধ্যে সেখানে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে।
আঞ্চলিক কমিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’-কে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটি এ ভবন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে বিস্ফোরণ একটি বড় দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, বিস্ফোরণে ভবনটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেজন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আঞ্চলিক কমিটি কর্তৃক ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা এবং 'ঝুঁকিপূর্ণ ভবন' চিহ্নিত করে ব্যানার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পুলিশ ও অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম ও আলামত সংগ্রহ চলছে। আলামত সংগ্রহ ও তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে ভবনটি নিয়ে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বাধীন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংক্রান্ত ডিএসসিসি'র টেকনিক্যাল কমিটি’- পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
বগুড়ায় কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বগুড়ার ধুনটে নিজঘর থেকে ঝুলন্ত এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার খোকশাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামী নাফিজুর রহমান শাওন (১৫) খোকশাবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাই শাহিনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে স্কুলছাত্রীল ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে প্রেম করে এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করে শাওন। সোমবার সকালে স্ত্রীকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে রেখে বাড়ি ফিরে শাওন স্ত্রীর ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
দাম্পত্য কলহের জেরে এ ‘আত্মহত্যা’র ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে হোস্টেল থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা ও মেয়েকে হত্যার দায়ে তিনজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার রাজারামপুর কুমারপাড়া হুমায়ন কবির, মাহবুব আলম ও মো. রুবেল। রায়ের সময় তিন আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে উপস্থিত এবং একজন পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রবিউল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রাজারামপুর কুমারপাড়া এলাকার প্রবাসী নাসির উদ্দীনের স্ত্রী নাসিমা বেগমকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। এসময় মেয়ে নীলা জেগে উঠলে তাকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও জানান পরদিন পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মা-মেয়ের লাশ ও হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে নাসিমার বাবা তৈমুর রহমান বাদী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় নাসিমার স্বামী সৌদি আরবে ছিলেন। মামলা চলাকালীন সময়ে এক আসামির মৃত্যু হয়। এছাড়া বাকী পাঁচ আসামির মধ্যে দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ
ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দিনাজপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলা এবং বিরল এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় তারা নিহত হন।
নিহতেরা হলেন- জেলা সদরের শেখপুরা ইউনিয়নের গোপালপুরের পুর্ণচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ধিরিবালা (৬৫) এবং দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্রি মহল্লার এবাদ আলীর ছেলে নওশের আলী (৬০)।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৭৭
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, জেলা সদরের শেখপুরা ইউনিয়নের গোপালপুরে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে রাস্তা পারাপারের সময় পুর্ণচন্দ্র রায়ের স্ত্রী ধিরিবালা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বিরল এলাকায় প্রায় একই সময়ে রাস্তা পারাপারের সময় নওশের আলী নামে আরেক ব্যক্তি মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত হন।
স্থানীয়রা তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি নিহত
উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫টি মূল সহায়তা প্রয়োজন: দোহায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নিশ্চিত করতে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পাঁচটি মূল সহায়তা চেয়েছেন; যা শান্তি ও অন্তর্ভুক্তিকরণে সহায়তা করবে।
সোমবার কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ৫ম এলডিসি সম্মেলনে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইন এলডিসিস ফর স্মার্ট এন্ড ইনোভেটিভ সোসাইটিস’- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মূল সহায়তাগুলো হলো:
১.জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে কার্যকরী প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতকে উপযুক্ত প্রণোদনা দেয়া।
২. এলডিসিগুলোতে ব্রডব্যান্ড বিভাজন এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য কমাতে ডিজিটাল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ।
৩. এলডিসিগুলো যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, তা মোকাবিলা করার জন্য পেশাদার গবেষক এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
৪. উত্তরণের পরেও বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি-রাসায়নিকের জন্য ট্রিপস চুক্তির অধীনে এলডিসি মওকুফের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা।
৫. স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন উভয়ের জন্য উপযোগী একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ব্যবস্থার বিকাশে সহায়তা।
এছাড়াও তিনি অংশগ্রহণকারীদেরকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার পরবর্তী রূপকল্পে আরও অনেক এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি চারটি মূল উপাদানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তখন এটা একটা ‘রূপকথার’ মতো শোনাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: এলডিসি-৫ সম্মেলন: দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘তবে করোনা মহামারি প্রমাণ করেছে যে আমরা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারি।’
শেখ হাসিনা বলেন যে মহামারি সবাইকে শিক্ষা দিয়েছে যে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদনশীল সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই ধরনের বিনিয়োগ অপরিহার্য।’
তিনি আরও বলেন, গবেষণা ও উন্নয়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গড় জিডিপি ব্যয় এখনও শূন্য দশমিক ছয় শতাংশের নিচে রয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের আগমনের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো পিছিয়ে থাকতে পারবে না। আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কাজের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদের অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব দরকার।’
তিনি বলেন, তিনটি মানদণ্ডেই বাংলাদেশ ২০২১ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন ২০২৬ সালে উত্তোরণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই পরিবর্তনের সময়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে বিনিয়োগ আমাদের সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। আমরা একটি জাতীয় চাহিদা মূল্যায়নের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জাতিসংঘের প্রযুক্তি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈজ্ঞানিক মানসিকতা গড়ে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারাদেশে অনেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, সরকার বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ চালু করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগ দিতে দোহার উদ্দেশে রওনা হবেন শনিবার
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর সরকার এখন পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে কমাতে বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থার উন্নতিতে বিনিয়োগ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকে আরও কমানোর জন্য আমাদের প্রশমন প্রযুক্তির অভিগ্যতা প্রয়োজন। আমাদের সরকার পরিচ্ছন্ন শক্তি পরিবর্তনের অংশ হিসেবে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। আমরা বিশেষত ভাসমান সৌর প্যানেল, অফশোর উইন্ড টারবাইন এবং সবুজ হাইড্রোজেন দিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে আমাদের অংশ বাড়ানোর লক্ষ্য রাখি।’
তিনি আরও বলেন যে সরকার কৃষি গবেষণাকে সমর্থন করার ওপর জোর দিয়েছে, যা বাংলাদেশকে ক্ষুধা মোকাবিলায় এবং বহুলাংশে খাদ্য নিরাপদ হওয়ায় সহায়তা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের কৃষি ও পশুসম্পদকে পরিবেশবান্ধব করতে আরও বিনিয়োগ করছি। আমরা চুক্তি চাষ সহ বিভিন্ন উপায়ে অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে প্রস্তুত আছি।’
চিকিৎসা গবেষণার সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের বর্তমান লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নতুন রোগের আবির্ভাবের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগের গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থাকতে হবে। আমাদের অবিলম্বে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের জন্য নতুন চিকিৎসার বিকাশে বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ গড়তে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা কাজে লাগান: বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গু: দেশে ৮ জন রোগী শনাক্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও আটজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে ৩ জন রোগী শনাক্ত
আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ৬ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৬৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৬৬ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪০০ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭২৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৪৫ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৮২ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ৪
দেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার।
তিনি বলেছেন, উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, দেখুন এটি কোনো নাশকতা কিনা, ষড়যন্ত্র কিনা; সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের সাতটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি সে রকমই ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখবো। সে নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।’
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দুদিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারও সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসঙ্গে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়।
তিনি বলেন, ‘এতে একজন কাদিয়ানি সদস্য মারা যায়। মারামারি করতে গিয়ে একজন জামায়াতের সদস্যও আহত হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে সাতটি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে র্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। র্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। যারাই মামলা দিচ্ছে, মামলা নেয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার তারা এতোটা মারমুখী কেন হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কিনা; সেটাও আমরা দেখছি। আমাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমরা দেখছি, সেটি নিয়ে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই দেখবো, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সায়েন্স ল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ একটি বড় দুর্ঘটনা: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণ একটি বড় দুর্ঘটনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছি যে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে। আমরা আরও তদন্ত করছি এবং অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি।’
সোমবার মিরপুর ডিওএইচএস-এ একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্ব পায়নি।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
রবিবার ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় একটি ‘বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে’। এসময় শিরিন ম্যানশন নামের একটি তিনতলা ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়লে কমপক্ষে তিনজন মারা যান এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হন।
নিহতরা হলেন- তুষার, শফিকুজ্জামান ও আব্দুল মান্নান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এবং কেমিক্যাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের (সিডিআরটি) সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল রবিবার বিকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে এবং পরীক্ষা চালায়।
রবিবার বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে বিপজ্জনক ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে একটি ব্যানার তুলেছে।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাবে হামলা পুলিশকে লক্ষ্য করে: ডিএমপি প্রধান
সায়েন্স ল্যাবের বিস্ফোরণ বড় হামলার ইঙ্গিত হতে পারে: কাদের
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ শিক্ষার্থীর সহদোরাকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার এসব শিক্ষার্থীর বোন ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের করা পৃথক চারটি আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। এছাড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: ৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন জানান, চারটি আবেদনে মোট আবেদনকারী ৫৬জন। তাদের সহোদরারা ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর ১৪ বিধি অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যান্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা জমজ ভাই/ বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদন সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ওই পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৫৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত জানুয়ারিতে পৃথক রিট করেন। শুনানি হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়ে রুল দেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা