বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়া হয়েছে: তদন্ত কমিটি
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে যে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আগুনের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।
রবিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান আবু সুফিয়ান জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রতিবেদনে ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ক্যাম্প-১১-এর ডি ব্লকে দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন ধরে যায়। এটা প্রমাণ করে যে ঘটনাটি নাশকতার অংশ ছিল।’
তদন্ত কমিটির মতে, ওই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দুই হাজার ২০০ বাড়ি পুড়ে গেছে যেখানে ১৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিকে গুলি করে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণে মা ও ছেলে দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার মাসদাইরে বিস্ফোরণের পর ভবনে আগুন লেগে এক নারী ও তার তিন বছরের ছেলে দগ্ধ হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় ভবনের ৫ম তলায় বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে।
আহতরা হলেন- কুলসুম আক্তার ও তার ছেলে খালিদ।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স- এর উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় ১০ তলা ভবনের ৫ম তলায় বিস্ফোরণের ফলে আগুন লাগে। এতে কুলসুম ও তার ছেলে আহত হয়।
তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিস্ফোরণে ঘরের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে।
তবে কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
পাঁচমাস পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল খাদ্যে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সেসময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯ শতাংশের ওপরে। গত ১১ বছর ৯ মাসে (১৪৪ মাসে) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ।
২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। তখন মূল্যস্ফীতি কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
২০২২ সালের আগস্ট মাসের পরে, মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে, সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় এখনও মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি।
ফেব্রুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এটি ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ গণনা করা হয়েছিল। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও অখাদ্য উভয় ক্ষেত্রেই গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল।
এদিকে, গত কয়েক মাসে সরকারের মতে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।
এমনকি স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের অন্যতম উৎস ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
ফলে সাধারণ মানুষ অনেক দিন ধরেই কমফোর্ট জোনে নেই বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন।
যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে, কিছু পণ্যের দাম কমলেও তা খুব কম হারে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষকৃত মাছ দেশের লাখ লাখ সীমিত আয়ের মানুষের প্রোটিনের প্রধান উৎস। দাম বাড়ার কারণে, নিম্ন-আয়ের মানুষেরা তাদের সীমিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে বাংলাদেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৮৫ শতাংশ
অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমে ৮.৯১%
৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার ৯২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী রাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। আর চিকিৎসা নিয়েছেন আরও শতাধিক।’
রাবির চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের দুই ও আট নম্বর ওয়ার্ডে বেশি ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শনিবার রাতে ছাত্ররা মেডিকেলে আসেন এবং তাদের মধ্যে ৯২ জন বিভিন্নভাবে জখম আবস্থায় ছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায় এখন সকল শিক্ষার্থী বিপদমুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অন্যদিকে, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে। সব আসামি অজ্ঞাত। মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ালে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আকস্মিক বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠী ও নদীর তীরবর্তী মানুষের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার 'রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন প্রজেক্ট (রিভার)' অনুমোদন করেছে।
রবিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় আরও সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আজ আটটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং প্রকল্পগুলোর মোট আনুমানিক ব্যয় ১২ হাজার ১৬৭ দশমিক ১৫ কোটি টাকা (এখানে শুধুমাত্র দুটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় গণনা করা হয়েছে)।’
তিনি বলেন, মোট অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ৯৭ দশমিক ৯১ কোটি টাকা জাতীয় কোষাগার থেকে, ৮ হাজার ৯১২ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা বিদেশি উৎস থেকে এবং বাকি ১৫৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে নেয়া হবে।
অনুমোদিত ৮টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন প্রকল্প এবং বাকি ২টি সংশোধিত প্রকল্প।
এছাড়া বৈঠকে ব্যয় না বাড়িয়ে আরও চারটি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: একনেকে ৭ হাজার ১৮ কোটি টাকার ৬ প্রকল্প অনুমোদন
প্ল্যান্টিং কমিশনের মতে, রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন প্রজেক্ট (রিভার) ৪ হাজার ৩২৩ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে ১৪টি জেলার ৭৮টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা আসবে বহিরাগত উৎস (আইডিএ) থেকে।
রিভার প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল আকস্মিক বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠী ও নদীর তীরবর্তী মানুষের বন্যা ঝুঁকি হ্রাস করা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ১০০টি সৌরবিদ্যুৎ গ্রিড স্থাপন, প্রায় ২৫০টি মাঠের উচ্চতা হ্রাস করা ও ২৭৫ কিলোমিটার বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র সংযোগ সড়কের উন্নয়ন, ৫০০ মিটার সেতু নির্মাণ, ১ হাজার ৩৩০ মিটার কালভার্ট নির্মাণ, ১১০ কিলোমিটার কমিউনিটি অবকাঠামো সংযোগ সড়ক উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেজ স্থাপন, প্রায় ৬ হাজার ৬০০টি সড়কে সোলার লাইট স্থাপন ও প্রায় ১ হাজার ৪০০টি বজ্রপাত-রোধী মেশিন স্থাপন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক চার লেনসহ একনেকে ৬ প্রকল্প অনুমোদন
আরও পাঁচটি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ট্রান্সমিশন-গ্রিড সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ১২৮ দশমিক ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে জেন্ডার রেসপনসিভ এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টিভিইটি সিস্টেম (প্রগ্রেস), ১ হাজার ৬৮৬ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুল্ক আধুনিকায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ১২ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা কর্তন করে ৩য় সংশোধিত নগর টেকসই প্রকল্প (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ), ৩ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন (এসসিআরডি) প্রকল্প, ১হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ৩৪৭ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা-ধোনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদীর তীর রক্ষা।
দুটি সংশোধিত প্রকল্প হল সাউথ-ওয়েস্টার্ন পাওয়ার ট্রান্সমিশন-গ্রিডের সম্প্রসারণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প যার অতিরিক্ত ব্যয় ১ হাজার ৪৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা (বর্তমানে মোট ব্যয় ৪ হাজার ৩২২ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা বেড়েছে); এবং আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (তৃতীয় সংশোধিত) যার খরচ কমানো হয়েছে ১২ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা (এখন এর খরচ কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৮৬ কোটি টাকা)।
আরও পড়ুন: একনেকে ২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন
ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনামিয়া।
আসামীপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চার বক্সের মধ্যে তিন বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদি হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
রাজধানীর গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৩ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ভবন মালিকসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের বেসম্যান্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু। এর মধ্যে ওয়াহিদুর ও মতিউর সম্পর্কে আপন দুই ভাই।
রবিবার দু’দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মাবুদ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৩
গত বৃহস্পতিবার তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটির নাম কুইন টাওয়ার।
গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিন্থানের সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক
প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যে মেলা আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী
বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরও বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি বলেন,সে দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন সরকারের সফল উদ্যোগের ফলে বহুমুখী পাটপণ্য সবার হাতে হাতে পৌঁছাতে পারবো।
রবিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পাট দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ,জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেনেসহ অন্যান্যরা।
১২ থেকে ১৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এবার মেলায় ৭২টি উদ্যেক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনী পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যত পারেন, পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি এখাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।
মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরও উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা তৈরি করতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনও ভবিষ্যত নেই।
পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোয় আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জাড়ি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে এবং পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে।
সে লক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেএমসি'র সকল বন্ধ মিলগুলো চালু করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
৩৭তম ফোবানা সম্মেলন ১ সেপ্টেম্বর কানাডায় শুরু
ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশনস ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) ৩৭ তম সম্মেলন আগামী সেপ্টেম্বর মাসের ১- ৩ তারিখে কানাডার মন্ট্রিয়ল শহরে শেরাটন লাভাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনাতনে (ভিআইপি লাউঞ্জ) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফোবানা চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান।
আতিকুর রহমান বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, সাবেক চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কবির কিরণ ও ২০২২’র লসএঞ্জেলেস ফোবানার মেম্বার সেক্রেটারি সৈয়দ এম হোসেন বাবু, সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব লস এঞ্জেলেসের প্রতিনিধি কাবেরী রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন ৩০ আগস্ট নিউইয়র্কে শুরু
৩৭তম ফোবানা মন্ট্রিয়লের আহবায়ক সাংবাদিক মনিরুজ্জামান ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত থেকে সাংবাদিকদের কনভেনশনের বিষয়াদি অবহিত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বৃহত্তম বাংলাদেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফোবানা। এবার দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়ল ফোবানা সম্মেলনটি করতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনটির কনভেনার হচ্ছেন উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সংগঠক মনিরুজ্জামান এবং মেম্বার সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান ও অভিজিৎ দে।
ফোবানার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ভাষাকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরাত বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে উজ্জীবিত রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে এর প্রচার ও প্রসার করা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলন ও এক্সপো ২০২৩ (আইইএসই) ১৬ এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি
মার্কিন নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্র সম্মেলন ২৯-৩০ মার্চ
ডেঙ্গু: দেশে কারও মৃত্যু হয়নি,আক্রান্ত ৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্ত তিনজনই ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪০২ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৭৪৪ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৩৫৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৩৮৫ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে কারও মৃত্যু হয়নি, আক্রান্ত ১