বাংলাদেশ
এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই: আমানউল্লাহ আমান
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, এই সরকার ভোট চোর সরকার। এই সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই, কারণ সরকার তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় নি।
তিনি বলেন, এবার এমনটা হতে দেয়া হবে না। তত্ত্বাধায়ক সরকারের অধীনেই এবার নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা বিএনপির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে করা পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু এখন মানুষ ভোট দিতে পারে না। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নেই।
আমান বলেন, শেখ হাসিনার ভোটারবিহীন নির্বাচনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার পেছনে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে। আমাদের অনেক সহযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোট সেন্টারে কুকুর ঘুমিয়েছিল। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার, অবৈধ সরকার। তাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কর্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিএনপির উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান এবং সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করলেন সৌরভ গাঙ্গুলী
আ.লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এখন যে শান্তি সমাবেশ, এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টার অংশ। কারণ চিহ্নিত একটি অপশক্তি নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টি এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো অপচেষ্টা অবশ্যই প্রতিহত করবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫তম বছরপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের শান্তিশৃঙ্খলা যেন কোনোভাবে বিনষ্ট না হয়, আমরা যেন শান্তি বজায় রেখে আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে পারি; দেশকে সোনার বাংলা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারি, সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি কিছু নেই। আমরা মাঠে আছি এবং থাকব। আমরা সরকারে যেমন আছি, জনগণের সঙ্গে মাঠেও তেমনি আছি। শান্তি, শৃঙ্খলা ও জনগণের জানমাল রক্ষায় চিরদিন ছিলাম, আজও আছি এবং আগামীতেও থাকব।’
দীপু মনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে যত অধিকার আছে, সে সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করায় নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা যে ভাষা পেয়েছি, তার অধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন পেয়েছি; এ সবকিছুসহ দেশগড়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, সাবেক সচিব ও শিশুসাহিত্যিক ফারুক হোসেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজবিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অসিতবরণ দাশ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে টিলাকাটা ও পুকুর ভরাট করা বন্ধ করতে হবে। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলকে পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে হবে। এছাড়া পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদীর সদর উপজেলার বালাপুর নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছে: পরিবেশমন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবনকে পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে প্রকৃত শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া জাতিকে উন্নত করতে ও স্বাবলম্বী করতে শিক্ষিত হতে হবে এবং অন্যদেরও শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধনের পাশাপাশি একজন সুনাগরিক ও আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভাষা সংগ্রামী ও দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত জাতীয় নেতাদের সংগ্রামী জীবন কাহিনী জানাতে হবে।
তিনি বলেন, আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো.নজরুল ইসলাম বাবু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দিন বাবু; মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান, বিদ্যালয়টির সভাপতি ও পাইকারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আবুল হাসেম এবং বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবদুস সবুর প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাপ এ চিহ্নিত ১১৩ টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমানো হবে: পরিবেশমন্ত্রী
নরসিংদীতে উপজেলা চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ
নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খান দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবপুর থানাসংলগ্ন নিজ বাড়ির গেটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে হারুনুর রশিদ খানের সমর্থকরা শিবপুর উপজেলার প্রধান সড়কগুলোতে অবরোধ সৃষ্টি করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে রেস্টুরেন্টে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি, গুলিবিদ্ধ ২
পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার সকালে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীরা তাকে তিন রাউন্ড গুলি করে। গুলিগুলো তার পিঠে লেগেছে। গুলির শব্দ শুনে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন দ্রুত বের হয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
স্বজনরা তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী শিবপুর স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে ও পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, মসজিদের জন্য টাকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেচি গেট খুলে দেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তারা পিঠে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কৃষকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, দুই শিশু গুলিবিদ্ধ
জীবনানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঝালকাঠিতে মাসব্যাপী রূপসী বাংলা মেলা শুরু
নিসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ঝালকাঠি শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী রূপসী বাংলা মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ঝালকাঠি-২ আসনের এমপি আমির হোসেন আমু।
মেলায় শিশুদের জন্য ট্রেন ও রাইডার, শতাধিক স্টলে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য এবং ঝালকাঠি জেলার ব্রান্ডিংভিত্তিক পণ্য প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ৩ দিনব্যাপী শিবচতুর্দশী মেলা শুরু আজ
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম এবং সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ হিসেবে ছিলো প্রখ্যাত শিল্পী নিশিতা বড়ুয়ার প্রাঞ্জল সংগীত পরিবেশন।
আরও পড়ুন: বইমেলা গেট প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন করলেন কোয়ান্টামের ১৫০ স্বেচ্ছাসেবী
নতুন ৩০টি বই প্রকাশ করল স্পর্শ ব্রেইল ফাউন্ডেশন
করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৬
দেশে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ছয়জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ৭ জনের করোনা শনাক্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৫০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১ হাজার ৪৬৫ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ২২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৪
দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ৬
ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা স্বেচ্ছায় ফেরত না দেয়ার অভিপ্রায়েই ঋণ নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ঋণ নেয় (ইচ্ছা করে) পরিশোধ না করার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু ব্যাংকারও জড়িত।’
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে হামিদ বলেন, কেউ হবে রাজনীতিবিদ, কেউ হবে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি, কেউ হবে আমলা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তা করতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থার সংবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অশুভ সম্পর্ক যেকোনো দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তবে তিনি কোনও দেশের নাম বলেননি।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার মূল ক্ষেত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকের রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির ভূমিকা পালন করে। ছাত্র রাজনীতিতে এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণ ও চাঁদাবাজির কারণে ছাত্র রাজনীতিকে এখন আগের মতো সম্মানের পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো নয়।’
ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে হামিদ বলেন, তারা নৈতিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে রাতারাতি ধনী হওয়া যায় তা চিন্তা করেন।
হামিদ বলেন, একই কথা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চাকরি করার পর কীভাবে দ্রুত গাড়ি ও বাড়ির মালিক হবেন তা নিয়েই তারা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যায় যে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের সেবক। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা মাঝে মাঝে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে দ্বিধা করে না।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দুর্নীতি অন্যতম বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে হবে।
হামিদ বলেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষক আইনের অপব্যবহার করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইনের অপব্যবহার করে এমন একটি বিভাগ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে খুব ব্যস্ত। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সব কার্যক্রম ঠিক রেখে রাজনীতি, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে আপস করে অ-একাডেমিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম থেকে ৪৭তম ব্যাচের ৩১ হাজার ৭১৬ জন যোগ্য স্নাতকের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২১৯জন অনার্স, মাস্টার্স, এম ফিল, পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি এবং উইকএন্ড কোর্সের অধীনে নিবন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ১৫ জন স্নাতককে আসাদুল কবির স্বর্ণপদক এবং শরাফুদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয় তাদের অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের জন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০১ সালে, তৃতীয়টি ২০০৬ সালে, চতুর্থটি ২০১০ সালে এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
বাঘের সমন্বিত বাসস্থান সংরক্ষণ: ২৬-২৭ ফেব্রুয়ারি কসমস সেন্টারে ওয়াইল্ডটিমের আয়োজনে কর্মশালা
শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা ওয়াইল্ডটিম ঢাকার মালিবাগের কসমস সেন্টারের পদ্মা সম্মেলন কক্ষে আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি 'ইন্টিগ্রেটেড টাইগার হ্যাবিট্যাট কনজারভেশন প্রোগ্রাম' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করবে।
কর্মশালার লক্ষ্য হলো অংশগ্রহণকারীদের পরিকল্পনা, ডিজাইন এবং সফল বন্যপ্রাণী গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং দক্ষতা প্রদান করা।
ওয়াইল্ডটিম ওয়ার্কশপটি বাংলাদেশ বন বিভাগ, ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত হবে। গবেষক ছাত্র, গবেষক এবং পেশাদারসহ বন্যপ্রাণী গবেষণায় আগ্রহী অংশগ্রহণকারীরা বন্যপ্রাণী, জীববিজ্ঞান এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ গবেষক এবং অনুশীলনকারীদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: বাঘের চামড়াসহ ২ চোরা শিকারী আটক
এই প্রথম ভারত এবং বাংলাদেশের গবেষকরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উন্নতির জন্য কী করা উচিত সে সম্পর্কে তাদের চিন্তাভাবনা, জ্ঞান এবং অনুশীলনের উদ্যোগগুলো বিনিময় করবেন এবং তুলে করবেন।
বাংলাদেশ বন বিভাগের বন সংরক্ষক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেল-এর ইমরান আহমেদ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে কর্মশালায় যোগ দেবেন। ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করবেন ওয়াইল্ডটিমের প্রতিষ্ঠাতা এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
কর্মশালাটি গবেষণা ডিজাইনের নীতি, ফিল্ড ডেটা সংগ্রহের কৌশল, ডেটা বিশ্লেষণ এবং প্রতিবেদন লেখাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবে। এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা জিপিএস ট্র্যাকিং, রিমোট সেন্সিং এবং ক্যামেরা ফাঁদসহ বন্যপ্রাণী গবেষণায় ব্যবহৃত সর্বশেষ সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখবে। প্রথম দিনে (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল পাঁটটা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দিন (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল পৌনে ছয়টা পর্যন্ত দুই দিনের কর্মশালায় নির্ধারিত মোট ৫০ জন অংশগ্রহণকারী যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অর্ধগলিত বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার
ওয়াইল্ডটিমের সিইও এবং মুখপাত্র প্র ফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা এই কর্মশালার আয়োজন করতে পেরে এবং অংশগ্রহণকারীদের সফল বন্যপ্রাণী গবেষণা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান প্রদান করতে পেরে আনন্দিত।’
‘আমরা বিশ্বাস করি যে এই কর্মশালা অংশগ্রহণকারীদের জন্য অভিজ্ঞ গবেষক এবং অনুশীলনকারীদের কাছ থেকে শেখার এবং ক্ষেত্রের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ হবে।’
আয়োজিত কর্মশালার সমস্ত উপকরণ, নাস্তা এবং উভয় দিনে দুপুরের খাবার অন্তর্ভুক্ত। এই বিশেষ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা সার্টিফিকেটও পাবেন।
ওয়াইল্ডটিম:
ওয়াইল্ডটিম বন্যপ্রাণী এবং তাদের আবাসস্থল রক্ষা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি শীর্ষস্থানীয় পরিবেশ সংস্থা। সংস্থার লক্ষ্য হলো টেকসই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনা অনুশীলনে উৎসাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়, সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ গণনার ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি, আটক ১৪
বিদেশে মাংস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সারাদেশে প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সারাদেশে প্রাণিসম্পদকে বিস্তৃত করে সুস্বাদু মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো।
আরও পড়ুন: সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য প্রস্তুতি হিসেবে রোগমুক্ত গবাদিপশু উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক করে দেয়া হয়েছে।
দেশে উৎপাদিত মাংস নিরাপদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে কিছু লোক বলল ফার্মের মুরগি ক্ষতিকর। এগুলো খাওয়া যাবে না। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি কোনভাবেই মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়।
মন্ত্রী বলেন, গবেষণা মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুবর্ণ মুরগি উদ্ভাবন করেছে; যার স্বাদ, গন্ধ ও রং দেশি মুরগির মতো। দেশে উৎপাদিত দুধ, ডিম ও মাংস ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ায় বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হয়েছে।
এ খাতে বিনিয়োগকারীরা উদ্যোক্তা হয়ে গর্বের সঙ্গে বলেন, আমি বেকার না, আমি উদ্যোক্তা, আমার খামার আছে। এভাবে আমরা পোল্ট্রি, ডেইরি তথা লাইভস্টক খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার নেতৃত্বেই সর্বপ্রথম উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু দেশে আনা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, একটা সময় কোরবানির আগে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো, ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি করা সম্ভব হবে না। এখন আর বিদেশ নির্ভর নয়, বরং কোরবানির সময় বাজারে এক দশমাংশ পশু অবিক্রিত থাকে। এ সাফল্য হঠাৎ করে আসেনি। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা, অনুপ্রাণিত করা ও সহায়তা করায় রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল।
মানুষের মৌলিক চাহিদার একটা অংশ খাবারের নিশ্চয়তা প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়েছে, উৎপাদনকারীদের সহায়তা করেছে, বিপণন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে।
এদিকে করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ে অভাবনীয় সাফল্য ছিল। মানুষের দোরগোড়ায় দুধ, ডিম, মাছ ও মাংস বিক্রি করা হয়েছে। রমজানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ব্যবস্থা বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও জানান পোল্ট্রি ফিড ও অ্যানিমেল ফিডসহ এ খাতে যারা অন্য কারখানা করতে চায়, বিদেশ থেকে তাদের যে উপাদান আনতে হয় তার ওপর কর রেয়াত দেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে যারা দেশে কারখানা স্থাপন করতে চায় তাদের মেশিনারিজ আমদানির উপর শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বল্প সুদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে খামারিদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। এ খাতে যেখানে যে সহযোগিতা দরকার, শেখ হাসিনা সরকার পাশে রয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশে আছে।
এছাড়া প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরলে বোঝা যাবে এ খাতে কত বিস্ময়কর বিপ্লব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাউথ সাউথ কো-অপারেশন বিষয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের নতুন ফোরাম গঠনের জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, এ ফোরামের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে গ্লোবাল সাউথের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করার সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন
শনিবার নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশনকে আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ে একটি নতুন মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব’- বিষয়ে আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় এই ফোরাম প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই মুহুর্তে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনে মন্ত্রী পর্যায়ের কোন প্ল্যাটফর্ম নেই। তাই তিনি ২০১৯ সালের মার্চে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত বিএপিএ+৪০ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের পররাষ্ট্র/অর্থ/উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।
এ বৈঠকে আর্জেন্টিনা, চীন, কিউবা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালাউই, মরক্কো, নেপাল, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সলোমন দীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর স্থায়ী প্রতিনিধি এবং রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ সালের এজেন্ডা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি অর্জনে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
তারা এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আনয়নের জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কিউবা, কেনিয়া, মিশর, রুয়ান্ডা এবং মরক্কো-এর প্রতিনিধিরা এই ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেপালের প্রতিনিধিরা গঠনমূলক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা প্রস্তাবটিকে বাণিজ্য, অর্থ, বিনিয়োগ, জ্ঞান ভাগাভাগি সহ সাউথ সাউথ কো-অপারেশন এর অব্যবহৃত সুযোগ কাজে লাগানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বৈঠকটি পরিচালনা করেন এবং এতে তিনি স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এসময় সাউথ-সাউথ কো-অপারেশনের জাতিসংঘ অফিসের একজন প্রতিনিধিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
রোহিঙ্গা রেজুলেশন বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর