বাংলাদেশ
পরিবেশ, সুশাসন ও মানবাধিকার পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, রোজিনা ইসলাম, মোহাম্মদ নূর খান ‘লিটন’ এবং মিনহাজ চৌধুরী।
বর্তমান সময়ের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধানের কাজের স্বীকৃতি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশিদের আজ সংবর্ধনা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
আরও পড়ুন: রাতারগুল ঘুরে দেখলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মিলার
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘ঠিক কাজটি করার জন্য সাহস ও নিষ্ঠার সঙ্গে লড়াই করেছেন এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে একত্রিতভাবে এই বিজয় উদযাপন করতে পারা আমার জন্য সম্মানের।’
পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন-
রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ ও মানবাধিকারের সুরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্দোলনের জন্য ২০২২ সালের ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ এওয়ার্ড বিজয়ী হয়েছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি একজন পরিবেশ আইনজীবী যিনি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থেকে বন উজাড়, দূষণ, অনিয়ন্ত্রিত জাহাজ ভাঙ্গা এবং অবৈধ ভূমি উন্নয়নের বিরুদ্ধে মামলা করে জিতেছেন।
মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম: ২০২২ সালের ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট হিরো স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার -এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসাবে তরিকুল ইসলাম মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলেন। তিনি মানব পাচারের ঘটনা তদন্ত করা ও পাচারকারীদের বিচার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সামর্থ্য বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রোজিনা ইসলাম: ২০২২ সালের অ্যান্টি-করাপশন চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। একজন সাংবাদিক হিসেবে রোজিনা ইসলাম বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতি বিষয়ে সংবাদপত্রে তার অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করার সাহস ও দৃঢ়তা দেখিয়েছেন।
মোহাম্মদ নূর খান ( লিটন): তিনি ২০২৩ সালের হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার অ্যাওয়ার্ড জয়ী হয়েছেন। লিটন বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা নথিভুক্ত করা ও জবাবদিহিতা তৈরিতে তার দশকব্যাপী লড়াইয়ে অতুলনীয় সাহসিকতা ও একাগ্রতা দেখিয়েছেন।
মিনহাজ চৌধুরী: ড্রিংকওয়েল নামের একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি। কোম্পানিটি ২০২২ সালে জলবায়ু সহিষ্ণুতা বা অভিঘাতসহনশীলতা বিভাগে ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেটের কর্পোরেট অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কার জিতেছে। ড্রিংকওয়েল একটি আমেরিকান কোম্পানি যারা ভারত ও বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ খাবার পানি তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গাইবান্ধার চরাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
মাঝে মাঝেই ‘ভয়ঙ্কর’ দুঃস্বপ্ন দেখেন সালমান রুশদি
এরফান সেলিমের জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এই আদেশ দেন।
এ দিন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা: হাজিরার জন্য ১৫ মে দিন ধার্য আদালতের
আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এছাড়া আগামী ৬ মার্চ সাক্ষগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এদিকে তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
অপর চার আসামি হলেন- এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপুও সহযোগী কাজী রিপন।
এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়।
এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন।
তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: নীরব হত্যা: ৫ শিক্ষার্থীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্ত্রীর মামলায় ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
১৪৯৮ টাকার ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকায়: ডিএসসিআরপি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) বাজার মনিটরিং দলগুলো দেখেছে যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারিত ১৪৯৮ টাকার ১২ কেজি এলপিজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।
বিইআরসি আইন অনুযায়ী প্রতি মাসের শুরুতে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়।
বুধবার রাজধানীর ডিএনসিআরপি সদর দপ্তরে এলপিজি অপারেটর, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘এলপিজি অপারেটিং কোম্পানিগুলোর বিক্রয় কেন্দ্র থেকে খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রয় কেন্দ্রের সর্বত্র পণ্যগুলো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৬৫ টাকা
এসময় ডিএনসিআরপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় সমস্ত এলপিজি অপারেটর, ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছিল।
এছাড়াও, এলপিজি অপারেটররা ডলার সংকট, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং এলসি খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলির অনীহাকেও দায়ী করছে যখন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সিএবি) এলপিজি বাজারে নৈরাজ্যের জন্য বিইআরসি এবং ডিএনসিআরপির নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করছে।
মেঘনা এলপিজির মাহবুব আলম বলেন, ‘আমাদেরকে ডলারের বিনিময় হার হিসেবে ১০৬ টাকা দিতে হবে আগের দাম ছিল ৮৫ টাকা।
তিনি বলেন, শিপিংয়ের মালবাহী চার্জ প্রতি টন ৯০ ডলার থেকে ১২০ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহন খরচ বেড়েছে।
বসুন্ধরা এলপিজির বিপণন প্রধান জাকারিয়া জালাল বলেন, ‘এসবই আমাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়েছে। কিন্তু প্রতি মাসে দাম ঘোষণা করার সময় বিইআরসি এই ধরনের খরচ বিবেচনা করছে না।’
ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতাদের প্রতিনিধিরা বলেছেন যে বিইআরসি ডিলারদের সমস্ত খরচ বাড়লেও তাদের মার্জিন বাড়ায়নি।
বিইআরসি সচিব খলিলুর রহমান এলপিজি অপারেটর এবং ডিলারদের অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন যে নিয়ন্ত্রক তাদের খরচ বৃদ্ধির বৈধ নথি জমা দিতে বলেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডিলার এবং এলপিজি অপারেটরদের কেউই বৈধ নথি জমা দেননি। বরং তারা এই বিষয়ে আরও সময় চেয়েছিল।’ বিইআরসি কোনো বৈধ নথি ছাড়া তাদের খরচ বৃদ্ধির দাবি বিবেচনা করতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সিএবি প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, বিইআরসি এবং ডিএনসিআরপি উভয়ই ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় যথেষ্ট ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তারা চূড়ান্ত ভুক্তভোগী হচ্ছেন এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার ব্যর্থতার মূল্য দিতে হচ্ছে।
ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক বলেছেন যে তার কার্যালয় এই বিষয়ে আরও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশ জমা দেবে।
তিনি বলেন, বসুন্ধরার মতো কোম্পানি যাদের শেয়ার বাজারে ২০ শতাংশের বেশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
ডিএনসিআরপি কর্তৃক পদক্ষেপ না নেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ‘যদি আমরা তাদের উৎপাদন বন্ধ করি, আপনি কি জানেন বাজারে কি প্রভাব পড়বে?’
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো বিইআরসি চলতি মাসে ১২ কেজি এলপিজির দাম ২৬৬ টাকা বাড়িয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাজারে দাম আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আবার এলপিজির দাম ৩০০ টাকা বাড়ানো হলে বাজার ঠান্ডা থাকবে না। বরং বাজার অপারেটররা তা আরও বাড়াবে। চিনির দামের ক্ষেত্রে আমরা এটি অনুভব করেছি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্ধারিত মূল্যের বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার
এলপিজির দাম কেজি প্রতি বাড়ল ২২.১৫ টাকা
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক ছয়টি সংসদীয় আসন ও রংপুর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের পর আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে কারও উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, এসব প্রমাণ করেছে যে, আওয়ামী লীগের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে ছয়টি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটি আসনে জয়ী হয়েছে জাতীয় পার্টি। আরেকটি আসনে সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফিরেছেন।
তাছাড়া, আমরা একটি রাশেদ খান মেননের দলে ছেড়ে দিয়েছি যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। আরেকটি হাসানুল হক ইনুর দলকে দেয়া হয়েছিল এবং এই দল বগুড়ায় জয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, শুধু বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। রংপুরের মেয়র নির্বাচন নিয়ে কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। কিন্তু ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জিতেছে, আওয়ামী লীগ হেরেছে।
তাই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে তা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। আমি আশা করি এরপর (উপনির্বাচন ও মেয়র নির্বাচন) নির্বাচন নিয়ে কেউ কিছু বলার সুযোগ পাবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে।
তিনি বরেন, আমি মনে করি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এছাড়া সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, যা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই একটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। যারা আগে ভেবেছিল বাংলাদেশ কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
১৯৭৫ সালের ট্র্যাজেডির (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা) পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তারা এটাই চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা বেড়েছে বলেই প্রমাণ করেছে দেশটি পারে। সব এলাকায় ডিজিটাল সেবা চালু করা হচ্ছে এবং এখন জমির কাগজপত্র ঘরে বসেই নেয়া যাবে এবং বাড়ি থেকে যে কোনো বিল পরিশোধ করা যাবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জিয়াউর রহমানের আমলের নির্বাচনের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণ দেখেছে কিভাবে ১৯৮১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কারচুপি হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, তার আমলে জেনারেল এরশাদ (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা) ৪৮ ঘণ্টা গণনা স্থগিত করে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেছিলেন।
তিনি স্মরণ করেন যে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠন করতে পারেনি এবং তাই বিএনপি সরকার গঠনে জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের গ্যাস বিক্রি নিয়ে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
তিনি বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ মেডিকেল টিম, ওষুধ, শুকনো খাবার পাঠাচ্ছে।
দুর্নীতি: বিমানের ১৭ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিমানের সাবেক ও বর্তমান ১৭ কর্মকর্তাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই ১৭ জন কর্মকর্তা হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদনের পর বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এআরএম হাসানুজ্জামান।
আরও পড়ুন: টিপু-প্রীতি হত্যা: বিডি বাবুকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক জেসমিন আক্তার বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন—বিমানের ফ্লাইট অপারেশন্সের পরিচালক ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ, ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলম সিদ্দিক, মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রহমান ফুকই, সাবেক মুখ্য প্রকৌশলী শহীদ উদ্দিন মোহাম্মদ হানিফি, সাবেক মুখ্য প্রকৌশলী দেবেশ চৌধুরী, এয়ারওরথিনেস কনসালটেন্ট (সিএএবি) গোলাম সারওয়ার, প্রকৌশলী মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঞা, ডিজিএম কামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার শরীফ রুহুল কুদ্দুস, ক্যাপ্টেন মো. নজরুল ইসলাম শামীম, জিয়া আহমেদ, চিফ পার্সার কাজী মোসাদ্দেক আলী, ফ্লাইট পার্সার মো. শহিদুল্লাহ কায়সার ডিউক, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আজাদ রহমান, ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কাদির, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার মো. জাহিদ হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক বসুনিয়া, ব্যবস্থাপক মো. আতাউর রহমান, চিফ পার্সার মোহাম্মদ সাজ্জাদ উল হক, ফ্লাইট পার্সার শাহনাজ বেগম ঝর্ণা, চিফ ইঞ্জিনিয়ার গাজী মাহমুদ ইকবাল।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে আগে নিজেরা লাভবান হয়ে ও পরে অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি প্লেন লিজ নেন। পরে রি-ডেলিভারি পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের এক হাজার ১৬১ কোটি টাকার ক্ষতি ও অর্থ আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধির ১০৯/৪০৯/৪২০ ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।’
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে মিসরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ দুটি লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রথম বছর শেষেই দুটি এয়ারক্রাফটেরই ইঞ্জিন বিকল হয়। ইঞ্জিনগুলো প্রায় ১২-১৫ বছরের পুরোনো এবং এর উড্ডয়ন যোগ্যতার মেয়াদকাল কম থাকায় পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়। প্লেন সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় সেটিও। এতে পাঁচ বছরে দেশের ক্ষতি হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। যা একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ মে তারিখ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বরাবর চিঠি দিয়ে লিজ সংক্রান্ত নথি তলব করে দুদক। ইতোমধ্যে এয়ারক্রাফট লিজ নেয়ার প্রক্রিয়ায় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগটি গভীরভাবে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১ নম্বর সাব-কমিটির দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মিসরীয় প্লেন লিজ নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর অনিয়মের এই অনুসন্ধান দুদক শুরু করে।
সংসদীয় কমিটি মনে করে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের এয়ারক্রাফট বহর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে মিসরীয় দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর এয়ারক্রাফট লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে।
দুদক জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় আরও গভীরভাবে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলো থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
এখন প্রতিযোগিতার নয়, পারস্পরিক সহযোগিতার সময়: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এখন প্রতিযোগিতার নয়, পারস্পরিক সহযোগিতার সময়। এছাড়া প্রতিযোগিতা না করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনে বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আমরা আত্মকেন্দ্রিক হতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত সম্ভাবনামীয় নেতাদের নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এলইএপি সম্মেলনের মূলমঞ্চে মিনিস্ট্রিরিয়াল সেশনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রীএই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
দুবাই ভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা এমকান করপোরেশন সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা ইসাক অ্যাপলবাউমের সঞ্চালনায় এ প্যানেলে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এইচই রুদিয়ানতারা এস. স্ট্যাট আলোচনায় অংগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের জনসম্পদকে অনন্য শক্তি উল্লেখ করে পলক বলেন, বোস্টন কনসাল্টেন্ট গ্রুপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে এখন তিন কোটির মতো মধ্যম আয়ের ভোক্তা রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ কোটিতে উন্নীত হবে।
কারণ ওই সময়ে মধ্যে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই এই বাজার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রেরণা শক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আর তিনি বিশ্বাস করেন সরকার নিজে ব্যবসা করবে না, ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
এছাড়া পলক আমাদের তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হচ্ছে বলেও জানান। এজন্য আমরা তাদের মেন্টরিং করছি। প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্টার্টআপ ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতির বিকাশের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড গঠন করা হয়েছে। এটা দেশে প্রথম এবং একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড যা বাংলাদেশ সরকার স্পন্সর করেছে যার মূলধন ৫০০ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে।স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগে ভাল সুফল পাওয়া। যাদের অধিকাংশই পরিচালনা করছে তরুণরা। গত ১০ বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিদেশি উদ্যোগ তহবিলসহ ১৫ লাখ প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে৷
তিনি বলেন, বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদানের কারণে বিদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব ব্যবসা করছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজার বিদেশি আইসিটি উদ্যোক্তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পলক
উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে ‘আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন "(ডিসিও) এর দ্বিতীয় সাধারণ অধিবেশনের সাত দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সৌদি আরবে গেছেন।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ির মূল নকশা ৭ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর গুলশানে সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সেই বাড়ির মূল লে আউট প্ল্যান (নকশা) সাত দিনের মধ্যে দাখিল করতে রাজউককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে কোর্টের কার্যক্রম ছাড়া এ মামলার বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণা না চালাতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়াও রুল শুনানির জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী সালাম মুর্শেদী
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন মাসুদ। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ৩০ অক্টোবর গণপূর্তের বাড়ি দখলে রাখায় সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ব্যারিস্টার সুমন।
রিটে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান-২’র ১০৪ নম্বর সড়কে সি ই এন (ডি)-২৭-এর ২৯ নম্বর বাড়িটি ১৯৮৬ সালের অতিরিক্ত গেজেটে ‘খ’ তালিকায় পরিত্যক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা বাড়ির নথি ও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ
কিন্তু আব্দুস সালাম মুর্শেদী সেটি দখল করে বসবাস করছেন।
রিটে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি ও চলতি বছরের ৪ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে দেয়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি চিঠি যুক্ত করা হয়।
২০১৫ ও ২০১৬ সালে দেয়া চিঠিতে পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে বাড়িটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও আব্দুস সালাম মুর্শেদী কীভাবে বাড়িটি দখল করে আছেন, রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাখ্যা চেয়েছিল পূর্ত মন্ত্রণালয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে চিঠি আমলে না নেয়ায় ফের ৪ জুলাই চিঠি দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পরিত্যক্ত বাড়ির তালিকা থেকে ভবনটি অবমুক্ত না হওয়ার পরও কীভাবে রাজউক চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে সেটির নামজারি ও দলিল করার অনুমতি দেয়া হলো, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু রাজউক চেয়ারম্যান সে ব্যাখ্যা দিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সালাম মুর্শেদীর বাড়ি: দুটি ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
এ রিটের শুনানি নিয়ে গত ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এছাড়া এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পক্ষে তার আইনজীবী হলফনামা দাখিল করেছেন।
আর রাজউক, গণপূর্ত ও দুদকের পক্ষেও প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ফখরুল ও আব্বাস
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির এই দুই নেতার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
মামলাটিতে এক মাস কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
বুধবার আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।
পরে আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, মামলাটিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আগে কারামুক্তি পান।
বুধবার হাইকোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করেছেন। ফলে এই মামলায় দুজন স্থায়ী জামিন পেলেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
পরে তাঁদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে চতুর্থ দফায় তাদের জামিন না-মঞ্জুর হওয়ার পর গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
গত ৩ জানুয়ারি তারা হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান। একই সঙ্গে এ মামলায় তাদেরকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে ৪ জানুয়ারি সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।
এরপর তারা কারামুক্তি পান। বুধবার হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া একই সিলেবাসের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কলেজ অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী বিব্রত
আশা করি, সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি বাস্তবায়ন করবে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতো। এখন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। এসএসসিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা হয়, তার আরেকটু উচ্চতর স্তরে এইচএসসি। সেই এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে একটা পরীক্ষা হয়। সেখানে গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও সাধারণ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেয়া হয়। এক পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে তালিকা তৈরি হয়। সেই স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ফের করোনায় আক্রান্ত
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৫০ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি
এবারের এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফলে এ তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল
তিনি বলেন, ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় মোট ৯ হাজার ১৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে এক হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করলেও ৫০টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি।
এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় আটটি, যশোরে ছয়টি, কুমিল্লায় পাঁচটি এবং ময়মনসিংহে তিনটি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছে।
এদিকে চারটি মাদরাসা ও দুইটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২: ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এইচএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.৯৫ শতাংশ