বাংলাদেশ
দিনাজপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ
দিনাজপুরের চুনিয়াপাড়ায় ঢাকা ফেরত পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বালুবাহী ট্রাক্টর চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।
সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জানমাল।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
রেলওয়ে থানার ইনচার্জ এরশাদুল হক জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি গন্তব্য পঞ্চগড় স্টেশনে ফিরে যাবার সময় দিনাজপুর সদরের চুনিয়াপাড়া রেল ক্রসিং এর কাছে বালু বহনকারী একটি ট্রাক্টরকে ধাক্কা দেয়।
এতে ট্রাক্টরটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। সামনের অংশে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ট্রেনটি নিরাপদে পঞ্চগড়ে পৌঁছেছে।
তিনি আরও জানান, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জানমাল।
এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলবাসের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা
চাঁদপুরে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার, আটক ২
নিখোঁজের চারদিন পর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাকদিরামপুর গ্রাম থেকে রবিবার এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেল বেপারী(৩০) চাঁদপুর সদর উপজেলার ডকনঘর এলাকার ফজলু বেপারীর ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, বুধবার রাতে সোহেল বেপারী নিখোঁজ হন।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার স্ত্রী জোসনা বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে এ ঘটনায় সোহেলের বন্ধু শাহাদাত হোসেন(৩০) ও জাকির হোসেনকে (৪২) আটক করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ বিকালে সাকদিরামপুর গ্রামের বারোপাটওয়ারী বাড়ির পেছনের একটি ঝোপ থেকে সোহেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
কিভাবে তিনি সেখানে নিহত হয়েছিলেন তা তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অংশীদারিত্বে সৌদির আগ্রহ প্রকাশ
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের দক্ষতায় আগ্রহী এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ খাতে সহযোগিতার জন্য দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কোম্পানি (এসসিএআই) এর প্রধান নির্বাহী আয়মান আল রাশেদ এ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রিয়াদে রবিবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে এক বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে অংশীদারিত্বের জন্য সৌদি আরবকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ও বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি সেক্টর বাংলাদেশের জন্য একটি বিকাশমান সেক্টর। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা গ্রহণ করে, যার মূল বিষয়গুলো হচ্ছে- একটি উন্নত দেশ, একটি সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, আধুনিক উৎপাদন ব্যবস্থা ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি।
প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরব কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে স্বাগত জানিয়ে এসসিএআই এর প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় মিশন উপপ্রধান আবুল হাসান মৃধা ও দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রিয়াদে ডিজিটাল কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন – ডিসিও আয়োজিত এক সেমিনারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ডিজিটাল অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধি বিষয়ে বক্তব্য দেন। অতিথি দেশ হিসেবে প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুুন: সৌদি সরকার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের ওমরাহ বীমা খরচ ৬৩% কমিয়েছে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-কমার্সের বাজারের আকার ২০২৫ সালের মধ্যে তিন দশমক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন মোবাইল আর্থিক পরিষেবা ব্যবহারকারীরা প্রায় ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি লেনদেন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদবিহীন অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে রয়েছে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্স সেক্টরে লেনদেন সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার বিনিময় অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার মূল স্তম্ভ হলো, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট ইকোনমি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা ২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন স্টার্টআপে বিনিয়োগে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমাদের নিজস্ব ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে প্রতিশ্রুতিশীল স্টার্টআপে বিনিয়োগ প্রদান করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে যেখানে গত ৫ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। বিভিন্ন স্টার্টআপ ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে প্রায় দেড় মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে এবং যা ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপিতে দুই শতাংশের বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দুদু’র মৃত্যুতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক
সোমবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছালেম উদ্দিন ১৯৬৯ সালে সরকারি কমার্স কলেজের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ থেকে ১৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোসলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে হারালো।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তানজিম আনোয়ারের বাবার মৃত্যুতে ডিকাবের শোক
চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
চট্টগ্রাম জেলা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ আসন (চাঁন্দগাও- বোয়ালখালি) সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ইন্তেকাল করেছেন।
রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। (ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ কন্যা, একমাত্র ভাই, আত্মীয়স্বজন ও বহু রাজনৈতিক শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন
মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মো. মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি মরণব্যাধি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান।
চট্টগ্রাম ৮ আসনের এমপি ও জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন করে তিনি এমপি হয়েছিলেন।
প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে শোক নেমে এসেছে। তাৎক্ষণিক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান।
সরকারি তথ্য মতে, মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম শাখার সহ-সভাপতি হন। পরবর্তীতে, তিনি চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন মারা গেছেন
তিনি ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে ১৮০ রোহিঙ্গাকে
কক্সবাজারের উখিয়ার পাশ্বর্বতী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুইটি গোষ্টির মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।তুমব্রু কোনার পাড়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়।
রবিবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছেন।এদেরকে ঘুমধুমসহ ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়।পর্যায়ক্রমে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প হস্তান্তর করা হবে।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: ‘তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না যাচাই করা হবে’
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর শুরু হয়। এখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) ২ কর্মকর্তার অধীনে ডজনাধিক স্টাফ কাজ করেন। প্রথমদিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। নম্বর উল্লেখ আছে। আর এসব স্লিপের নিচে সই করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) এর কর্মকর্তা প্রিতম সাহা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক খুন
উল্লেখ্য, বর্তমানে তুমব্রু ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের দুই হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত।গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে ভ্যাটের পরিধি বাড়ান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভ্যাট ও কর আদায়ের পরিধি আরও প্রসারিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের প্রথম দিনে 'জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু বিষয়ে সমন্বয়ের কথা বলছি। এটাই সর্বোত্তম। আমরা চাই আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আপনারা এটি করুন।’
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
মুন্সি বলেন, ২০২৬ সালে শুল্কের চাপ থাকবে। আশা করা হচ্ছে, এলডিসি তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার পর এনবিআর বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। ভ্যাট ও আয়করের পরিধি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর পরিধি অবশ্যই প্রশস্ত করতে হবে।
‘এখন আপনারা যদি আয়কর সংগ্রহ করতে যান তবে আপনারা মানুষের কাছে অপছন্দের হয়ে উঠবেন। কেউ ট্যাক্স দিতে চায় না; সেখানেও আপনাকে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে হবে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি স্মার্ট বাংলাদেশ দরকার। ডিজিটালের অবসান ঘটিয়ে স্মার্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপনাদের কাজগুলো স্মার্ট হতে হবে। তাই আমি বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে শুনেছি এবং বিভিন্ন ধরনের অটোমেশন আসছে। আমি খুব আশাবাদী; আপনাদের কাজ আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজস্ব-বান্ধব মানসিকতা গড়ে তুলতে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের আয়োজন করছে এনবিআর। একই সঙ্গে রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ে এনবিআর প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করা হয়। রাজস্ব সম্মেলন ও নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢামেক হাসপাতালে আগুন: পালানোর সময় রোগীর মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রবিবার বিকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পালাতে গিয়ে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত জসিম উদ্দিন কুমিল্লার তিতাস থানার শ্রী নয়ন কান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নিহতের ছেলে মফিজ জানান, তার বাবা শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, বিকালে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় কিডনি বিভাগে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তিনি তাড়াহুড়ো করে নিচে নামতে গিয়ে সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে যান।
পরে তাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে ঢামেকে ভর্তি হলো বৃক্ষশিশু রিপন!
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে নতুন ভবনের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে এয়ার কন্ডিশনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
এফএসসিডি সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে বিকাল ৩টা ১২ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেকে ৭০ বছর বয়সী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী মার্চ মাসে ভারতের আদানি গ্রুপের ঝাড়খণ্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
রবিবার তার কার্যালয়ে ‘আদানি পাওয়ার থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই’ বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
ইউএনবি’র একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেন যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) আদানি গ্রুপের সঙ্গে সই করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সংশোধন করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি
রিপোর্ট অনুসারে, আদানি পাওয়ার সম্প্রতি বিপিডিবি-কে ডিমান্ড নোট ইস্যু করার জন্য একটি অনুরোধ পাঠিয়েছে, যেখানে কয়লার দাম প্রতি মেট্রিক টন ৪০০ ডলার উদ্ধৃত করা হয়েছে, যাতে অনেক বেশি মূল্য ধরা হয়েছে। বিপিডিবি কর্মকর্তারাও মনে করেন বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে এটি অনেক বেশি।
নসরুল হামিদ বলেন, পায়রা পাওয়ার প্লান্টের মতো অন্যান্য কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের তুলনায় আদানির বিদ্যুতের শুল্ক প্রতিযোগিতামূলক হবে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আদানি বিদ্যুতের শুল্ক পায়রা প্ল্যান্টের বিদ্যুতের শুল্কের চেয়ে বেশি হবে না।’
তিনি আরও বলেন, মার্চে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট এবং চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আরও ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।
নসরুল হামিদ আসন্ন সেচ মৌসুমে বিদ্যুত ঘাটতির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে মে মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে।
তিনি দাবি করেন, সেচ মৌসুম শুরুর আগেই রামপাল ও বরিশালসহ বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও বাড়ানো হবে যাতে মার্চ মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়।’
তিনি বলেন, নতুন স্থাপিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এ বছর একের পর এক চালু হবে।
আরও পড়ুন: পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল, কার্যকর ১ ফেব্রুয়ারি
বায়ু দূষণ থেকে মানুষকে বাঁচান: পরিবেশ অধিদপ্তরকে হাইকোর্ট
বায়ু দূষণ রোধে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।’
রবিবার এ বিষয়ে শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, উচ্চ আদালত বায়ু দূষণ রোধে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার ছিটেফোঁটাও বাস্তবায়ন হয়নি। অবৈধ ইটভাটাও বন্ধ করা হয়নি। দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। অনেকে বিদেশে থাকেন, তাদের ছেলে মেয়েরাও বিদেশে থাকে। ঢাকার বায়ু দূষণে তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু আমরা তো এ দেশেই থাকি। এ দেশেই থাকতে হবে। বায়ু দূষণের হাত থেকে মানুষকে বাঁচান।
আদালত পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, পানি ছিটানো না হয় তাহলে আমরা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তলব করে ব্যাখ্যা চাইব।
পরে আদালত দুই সপ্তাহের মধ্যে বায়ু দূষণ রোধে হাইকোর্টের দেয়া ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, পুলিশের আইজি, রাজউককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য দার্য করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করীম।
২০২০ সালে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালত যে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল তা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
ওইদিন তিনি বলেছিলেন, আপনারা জানেন কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ু দূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ু দূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিকভাবে একইরকম হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে যেন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লিতে করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারও কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর বায়ু দূষণে এক নম্বরে আছে, অথচ কেউ কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এ বিষয়ে বলে যাচ্ছেন। পরে শুনানির পর গত ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে ২০২০ সালে বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়- ১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে। ২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবেন। ৩. ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর নির্দেশ ছিল, এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সব সড়কে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিংসহ যেসব কাজ চলছে, সেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে হবে। ৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। ৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীন চলছে, এর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইক্লিং বন্ধ করতে হবে। ৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে। এরপর মার্কেট ও দোকান বন্ধ হলে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশের অবনতি হয়েছে: সিপিডি
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক